আঠেরো বছর বয়সেই সাপ-সংরক্ষণে বিশেষ কৃতিত্ব : বিহারের 'স্নেকম্যান' হরিওম চৌবে
সাপ দেখে ভয় পেতেন না কোনওদিন। বরং সাপের জন্য ছিল ভালোবাসা। বারো বছর বয়সে কোনোরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্রথমবার বিষধর সাপ ধরেছিলেন তিনি। মারেননি, ছেড়ে দিয়ে এসেছিলেন জলাশয়ের ধারে। সেই শুরু। আজ মাত্র আঠেরো বছর বয়সের গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই বন্যপ্রাণী-সংরক্ষক হিসেবে সবার সমীহ আদায় করে নিয়েছেন বিহারের হরিওম চৌবে। বিশেষত সাপ-উদ্ধারেই তিনি বিশেষজ্ঞ। 'বিহারের স্নেকম্যান' নামে ডাকা হচ্ছে তাঁকে।
আরও পড়ুন : ভারতে প্রথম কোনো নারীর নামে অরণ্য : বনকর্মী সরোজিনীকে অনন্য সম্মান ওড়িশা সরকারের
বক্সারের প্রান্তিক সর্পসঙ্কুল গ্রামাঞ্চলে বড় হয়ে ওঠার সূত্রে ছোটো থেকেই মানুষ আর সাপের দ্বৈরথ দেখতে হয়েছে হরিওমকে। সেখানে প্রতি বছর সাপের কামড়ে বেশ কিছু মানুষ মারা পড়েন, উল্টোদিকে মানুষের রোষে মারা পড়ে প্রচুর সাপ। বন কেটে যত বসতি বাড়ছে, এ সমস্যা বেড়েই চলেছে। উন্নয়নের বলি হচ্ছে বন্যপ্রাণীরা, সেই অভিশাপই ঘুরে মানুষের কাছে ফিরে আসছে অনেকসময়। হরিওম নিজে উদ্যোগী হয়ে গ্রামে কারোর বাড়ি সাপ ঢোকার খবর পেলেই তা বাঁচাতে ছুটতেন তিনি। তারপর সযত্নে তাদের ছেড়ে দিয়ে আসতেন অরণ্য কিংবা জলাভূমিতে। সাপ ধরায় প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছিল না তাঁর। বই পড়ে, নিজে-নিজে হাতেকলমে অভ্যেস করে শিখেছেন। সাপের প্রজাতি, চরিত্র, আচরণ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনেছেন বিভিন্ন বই পড়ে। ২০১৯ সালে তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ২০২১ সালে নিজের পৈতৃক ভিটেতে তৈরি করেন আহত ও অসুস্থ প্রাণীদের জন্য একটি রেস্কিউ সেন্টার। সাপের পাশাপাশি সেখানে আছে কিছু কুকুর, বেড়াল, বেজি, গরু, পাখি ইত্যাদি। সুস্থ করে তাদের উপযুক্ত জায়গায় ছেড়ে দেন হরিওম। আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ সাপ এবং ১৫২ টি অন্যান্য বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছে বিরল প্রজাতির দুটি প্যাঁচাও। এই আশ্রয়কেন্দ্র চালানোর খরচ ওঠে সাপ উদ্ধার করেই।
........................
ঋণ : thebetterindia.com
#Hariom Chowbe #Snake Rescuer #Wildlife #silly পয়েন্ট