জগদীশচন্দ্র ও সমকালীন বঙ্গসমাজ (দশম পর্ব)
পর্ব ১০ : রম্যা রোলাঁ ও জগদীশচন্দ্র
..................
উনিশ ও বিশ শতকের প্রথমার্ধের একজন শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং চিন্তাবিদ রম্যা রোলাঁ (১৮৬৬ - ১৯৪৪) সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের পাওয়ার বছর দুই পরে, ১৯১৫ সালে। ভারতবর্ষের সঙ্গে এই ফরাসি সাহিত্যিকের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। কখনও রামকৃষ্ণ–স্বামীজীর ভাবধারায় আকৃষ্ট হয়ে লিখছেন এই দুই মনীষীর জীবনী (এর আগে তিনি লিখেছিলেন বিথোফেন বা টলস্টয়ের জীবনী), আবার মহাত্মা গান্ধী বা রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তায় ফুটিয়ে তুলছেন এই দেশের সংস্কৃতি নিয়ে নিজের মুগ্ধতাকে। একটি গোটা ডায়েরি-সংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর, যার নামই ‘ভারতবর্ষ’; সেখানে শুধুই এই দেশের কথা, এই দেশের মহাপুরুষদের কথা। অবন্তীকুমার সান্যালের কল্যাণে সেই বইয়ের অসাধারণ একটি অনুবাদ এখনও সুলভ।
রম্যা রোলাঁ ভারতকে চিনতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আলাপ করবার পর। সেটা ছিল ১৯২১ সালের ১৯ এপ্রিল। ‘ভারতবর্ষ’ নামে তাঁর সেই দিনপঞ্জিতে তিনি গুছিয়ে লিখেছিলেন সে-বিবরণ, সেখানে রবীন্দ্রনাথের বাহ্যিক সৌন্দর্যময় চেহারার বিবরণ বা পোশাকের বর্ণনা তো ছিলই, এবং তার সঙ্গে অবশ্যই ছিল আলাপচারিতার মূল সুরটিও। অনেক পরে ১৯৩৭ সালে সেই আলাপচারিতা প্রকাশিত হয় এশিয়া পত্রিকায়।
২. জগদীশচন্দ্রের সঙ্গে রম্যা রোল্যাঁ-র আলাপের সূচনা ঘটে ১৯২৪ সালে, যে-বছর লন্ডনের 'রয়্যাল সোসাইটি অভ মেডিসিন' জার্নালে প্রকাশিত হল তাঁর ‘সার্কুলেশন অ্যান্ড অ্যাসিমিলেশন ইন প্ল্যান্টস’ নামের লেখাটি। এই লেখার এক কপি তিনি প্যারিস থেকে পাঠান রম্যা রোঁলাকে। রোলাঁ তাঁর দিনপঞ্জিতে ১৯২৪-এর মার্চ মাসে লেখেন, জগদীশচন্দ্র বইটি তাঁকে পাঠিয়ে সঙ্গে লিখেছেন কয়েকটি লাইন :
“প্রিয় মহাশয়, মানবতার সর্বজনীন স্বার্থের জন্যে আপনার কর্মসাধনা আমার গভীর শ্রদ্ধা উদ্রেক করেছে। প্রাণের ঐক্য সম্পর্কে আমার বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার একটি কপি আপনাকে পাঠাবার অনুমতি দেবেন, বিগত ৩০ বছর যাবৎ ভারতবর্ষে এটি ছিল আমার অনুসন্ধানের ... [শব্দটি দুষ্পাঠ্য, আমার অনুমান ‘ফলাফল’]— আমি অল্প দিনের জন্যে ইউরোপ সফরে এসেছি এবং বৈজ্ঞানিক সমাজগুলোতে বক্তৃতা দিয়ে চলেছি। এখন আমি আমার দেশে ফিরে চলেছি— আন্তরিক শ্রদ্ধাসহ— ইত্যাদি। মহাত্মা গান্ধী এবং কবি রবীন্দ্রনাথ আমার অতি শ্রদ্ধাস্পদ ব্যক্তিগত বন্ধু।”
‘--আমি সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দেখার এবং মহৎ কর্ম সম্পর্কে পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম; সেগুলোর প্রকাশিত অংশ এবং পত্রপত্রিকার সমালোচনা আমাকে গভীরভাবে আকর্ষণ করেছে।’ (দিনপঞ্জি, মার্চ ১৯২৪, ৬২ পৃ)
রম্যা রোলাঁ জগদীশচন্দ্রের কীর্তিকর্মের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন আগে থেকেই, এই বইটি পেয়ে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানীর সঙ্গে আলাপিত হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
তাঁর দিনপঞ্জিতে জগদীশচন্দ্রর প্যাট্রিক গেডেস-কৃত জীবনী পড়ে রম্যা রোলাঁ লেখেন মুগ্ধতার কথা:
‘পি. গেডেস-এর ‘দি লাইফ অ্যান্ড ওয়ার্ক অফ স্যর জগদীশচন্দ্র বোস’ পড়ে (বোনের মাধ্যমে) উদ্দীপ্ত।’ [দিনপঞ্জি ৬৯ পৃ]। ৯ জুলাই ১৯২৭ তারিখে তাঁর ডায়েরিতে লেখেন:
"বিবেকানন্দকে ডাঃ বসু ভালবাসতেন, বিবেকানন্দও ভালবাসতেন বসুকে। শুনে আনন্দ পেলাম, ডাঃ বসুর মধ্যে জাতীয়তাবাদী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছেন মনে করে একসময় বিবেকানন্দ উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন, এবং তাঁকে [অর্থাৎ জগদীশচন্দ্রকে] সনির্বন্ধ অনুরোধ করেন— তিনি যেন ভারতীয় মনের বৈজ্ঞানিক মূল্যের দাবি নিয়ে কেবল বিজ্ঞানেই জাতীয়তাবাদ দেখান।
৩.
তাঁদের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯২৭ সালের জুলাই মাসে। সেবারে জগদীশচন্দ্র ইন্টেলেকচুয়াল কো-অপারেশন কমিটির বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষ্যে সস্ত্রীক জগদীশচন্দ্র এসেছিলেন ইউরোপে। ফ্রান্সের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পর রম্যা রোল্যাঁ-র আমন্ত্রণে প্যারিসে আসেন জুলাইয়ের ৯ তারিখে। রম্যা রোল্যাঁ আর তাঁর বোন গাড়ি নিয়ে স্টেশনে গিয়েছিলেন এই দম্পতিকে আনতে। তাঁদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছিল অবলা বসুর পোশাক।
ডায়েরিতে ওই দিনের তারিখে তিনি জগদীশচন্দ্রের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিবরণ লিখেছিলেন বেশ কয়েক পাতা জুড়ে, যার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে তাঁর আশ্চর্য পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা। যেমন তিনি জগদীশচন্দ্রের দৈহিক বিবরণ লেখেন এইভাবে: ‘মানুষটি ছোটোখাটো, বুদ্ধিদীপ্ত দুই চোখ, কালো ভুরু, রূপোলি চুল; একটি সেমিটিক রক্ত-মেশা ভুমধ্য সাগরাঞ্চলের মানুষের মতো রোদে-পোড়া গায়ের রং; ছোটো ছোটো দুটি শুকনো হাতের (প্রতিভাবানের হাত) নখ ছোটো ক’রে কাটা, বয়সের তুলনায় এক অবিশ্বাস্য (আমার সমান বা আমার চেয়েও উচ্চ স্তরের) তারুণ্য এবং কথা বলার। চিন্তা করার, বেঁচে থাকার এক আনন্দ— আমাকে মনে পড়িয়ে দেয় গৌরবময় আবিষ্কারের ঠিক পরেকার (১৯১৫) আইনস্টাইনকে।’ (দিনপঞ্জি, ১৯৩ পৃ)
অবলা বসু সম্বন্ধে রোল্যাঁ লেখেন যে লেডি বসু বয়স্কা মহিলা, তাঁর গায়ের রঙ কালো, মুখটি অন্যদের চেয়ে বড় আর ভারি। স্বামীর সব কাজে তিনি উৎসাহ দেন, স্বামীর প্রতি বেশ ভালোরকম অনুগত। জগদীশচন্দ্র যখন একটানা কথা বলে যান, তিনি চুপ করে শোনেন।
এই সফর থেকে ফিরে জগদীশচন্দ্র রম্যা রোল্যাঁ-কে লিখেছিলেন: ‘প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় বন্ধু,— আপনার সুন্দর বাড়ীটিতে আপনার সঙ্গে দেখা-করা এবং যা কিছু সত্য ও সুন্দর তার সংস্পর্শে আসা এক বিরাট সুখ; একমাত্র এরাই টিকবে…’ (দিনপঞ্জি, ১৯৯ পৃ)
রম্যা রোল্যাঁ-র সঙ্গে এই দম্পতির কয়েক দিন পর আবার দেখা হয়। সেটা ছিল সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ। সেদিন অসুস্থ শরীর নিয়েই এক সম্মেলনে জগদীশচন্দ্রের বক্তৃতা শুনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন প্রচণ্ড ঝড় উঠেছিল, রাত দশটার দিকে বসু-দম্পতি এবং রোল্যাঁ একই গাড়িতে ফেরবার চেষ্টা করছিলেন তাঁদের অস্থায়ী বাসায়। কিন্তু জলের তোড়ে গাড়ি এগোতেই পারছিল না। বাধ্য হয়ে অন্য গাড়ি আনবার চেষ্টা করা হয় টেলিফোন করে। সে-রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরেছিলেন ঠিকই, পরের গোটা দিনটাই আকাশ ছিল মেঘলা আর কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারপাশ, সেদিন সকাল ন’টার দিকে বসু দম্পতি জেনিভা যাত্রা করেন।
এরপর আরও একবার এঁদের সাক্ষাৎ হয় পরের বছরেই। ১৯২৮ সালের মে মাসে বসু দম্পতি আবার আসেন ইউরোপে। সেবারে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রম্যা রোল্যাঁ-র। তাঁদের আলাপচারিতার সময় অবলা বসু এবারেও প্রায় সারাক্ষণই চুপ করেই ছিলেন, মাঝেমধ্যে একটা-দুটো শব্দ বড়জোর বলতেন। প্রসঙ্গত রোল্যাঁ এবং জগদীশচন্দ্রের মধ্যে আলাপচারিতার সময় দোভাষীর কাজ করতেন রোল্যাঁ-র বোন ম্যাডেলাইন। এই ম্যাডেলাইন এক সময় রবীন্দ্রনাথের ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসটি ফরাসি ভাষায় অনুবাদও করেছিলেন। এই আলাপচারিতার বিবরণও রম্যা রোল্যাঁ তাঁর দিনপঞ্জিতে বেশ কয়েক পাতা জুড়ে লিখে রেখেছিলেন।
এর পরেও একাধিকবার রম্যা রোলাঁ-র বাসভবনে এসেছেন সস্ত্রীক জগদীশচন্দ্র। এরকমই আরও এক আগমনের উল্লেখ, দিনপঞ্জি থেকে:
’১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ও লেডী বসু এসেছেন; তাঁরা তেরিতে-য় কলিনে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতবর্ষে রওনা হবেন। জগদীশচন্দ্র একটুও পাল্টান নি; তাঁর তরুণ সুলভ প্রাণশক্তি তেমনি অক্ষুণ্ণ আছে। কিন্তু পুরোপুরি মন জুড়ে আছে ভারতবর্ষ ও তার সংগ্রামের চিন্তা, তাতে তিনি ক্ষয় হয়ে যাচ্ছেন। আর কিছুই তিনি ভাবতে পারছেন না। তাঁর সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। যে দু’ঘন্টা আমাদের সঙ্গে রইলেন, আমাদের কথাবার্তার একমাত্র বিষয় হলো এইটেই। নিঃসন্দেহে তিনি রবীন্দ্রনাথের চেয়ে অন্য ধাতুতে গড়া। আমি স্বীকার করছি, তাঁকে আমার বেশী মনে ধরে। তিনি উদ্বেগ ও নৈরাশ্য প্রকাশ করলেন; তিনি ভালোই জানেন যে, ভারতবর্ষ জিতবে; কিন্তু তিনি ভাবছেন, অপরিসীম দুঃখভোগের কথা— আজকের দুঃখভোগ, আগামী কালের দুঃখভোগের কথা। তিনি দেখছেন, ইংলন্ডের হাতে ভারতবর্ষ হয়েছে শিক্ষাহীন, নির্মম নির্যাতিত, বাক্রুদ্ধ, অন্ধ; তাঁর জিজ্ঞাসা, যাঁদের উপর তাঁর আস্থা আছে, মাত্র সেই দুইজন রাজনৈতিক নেতাঃ গান্ধী ও (অত্যন্ত অসুস্থ) মতিলাল নেহরুর মৃত্যুর পর ভারতবর্ষে কী হবে। যে-জাতি নিজেকে স্বাধীন করে, পুনর্জীবিত হয়ে ওঠে, তার অপ্রত্যাশিত সঞ্চিত শক্তি সম্পর্কে তাঁর আস্থা জাগাবার চেষ্টা করলাম; আমি মাজিনির ইতালি, বিপ্লবী ফ্রান্স ও রাশিয়ার বীরোচিত দৃষ্টান্ত তাঁকে দিলাম...— বিদায় নিতে গিয়ে তিনি আবেগের সঙ্গে কামনা জানালেন, আমি যেন তাঁর জাতির ও জগতের মঙ্গলের জন্যে অনেক দিন বেঁচে থাকি।’ (দিনপঞ্জি ২৬০-৬১ পৃ)
এরপর এপ্রিল ১৯৩২-এ তাঁর দিনপঞ্জিতে পাই জগদীশচন্দ্রের জীবনীকার প্যাট্রিক গেডেস-এর মৃত্যু সংবাদ ও তাতে রম্যা রোল্যাঁ-র প্রতিক্রিয়া:
‘মঁপেলিয়ে-র স্কচ ও ভারতীয়দের কলেজের প্রতিষ্ঠাতা–পরিচালক স্যর প্যাট্রিক গেডেসের মৃত্যু হয়েছে মঁপেলিয়ে-য় ১৭ (এপ্রিল)। তিনি ছিলেন স্যর জগদীশচন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতির একজন বড়ো বন্ধু। তাঁর কলেজটি ছিল ফ্রান্সে ভারতীয় চিন্তার একটা কেন্দ্র, একটা খাঁটি আশ্রম। বহুকাল আগে সেই এডিনবরায় তাঁর সঙ্গে আমার বোনের পরিচয়; আমাদের যোগাযোগ ছিল চিঠিপত্র ও প্রকাশিত বইপত্রের মধ্যে দিয়ে।’ (দিনপঞ্জি ৩৪৭-৪৮ পৃ)
১ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ রম্যা রলা তাঁর দিনপঞ্জিতে নিবেদিতাকে নিয়ে কিছু কথা লিখতে গিয়ে আনেন জগদীশ প্রসঙ্গ, ‘প্রবল বুদ্ধিমত্তা তাঁকে জগদীশচন্দ্র বসুর প্রথম আত্মপ্রকাশের সময় সহযোগীও ক’রে তুলেছিল। নিবেদিতাই এই প্রতিভাধর পণ্ডিতের প্রথম গ্রন্থগুলো সংস্কার ক’রে দিয়েছিলেন, তখন তিনি ‘মোটেই লেখার কায়দায় (l’art d’e crire) ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ ছিলেন না; নিবেদিতা জানতেন কী করে তাঁর জন্যে অর্থসাহায্য আনতে হয়, যা তাঁর কলকাতার বিজ্ঞানমন্দির প্রতিষ্ঠা সম্ভব ক’রে তুলেছিল। (কৃতজ্ঞতা জানাতে জগদীশচন্দ্রও অলিন্দে নিবেদিতার আবক্ষ-মূর্তি বসিয়েছেন।) (দিনপঞ্জি ৪৪৬ পৃ)
জগদীশচন্দ্রের মৃত্যুর খবর তাঁর দিনপঞ্জিতে পাওয়া যায় এইভাবে:
‘অক্টোবর ১৯৩৭। কলকাতায় স্যর জগদীশচন্দ্রের মৃত্যু। এই প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ (ভিলন্যভে ও গ্নাঁ-য়) আমার মনে যে ছাপ ফেলেছিল তা অন্যত্র বলেছি। তাঁর মধ্যে অনির্বাণ জীবনের এমন এক শিখা জ্বলতো যে মৃত্যু তাঁকে দেখা দিতে পারে তা যেন কল্পনাই করা যেতো না।’ (দিনপঞ্জি ৪৩৯-৪৪০ পৃ)
জগদীশচন্দ্রের চেয়ে আট বছরের ছোট রম্যা রোল্যাঁ জগদীশচন্দ্রের মৃত্যুর পরে বেঁচেছিলেন আরও সাত বছর। তাঁর দিনপঞ্জিতে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর উল্লেখ নেই, যদিও জীবনের শেষের দিকেও তাঁর সঙ্গে একাধিক ভারতীয় মনীষীর যোগাযোগ ছিল।
· সহায়ক বই: ‘ভারতবর্ষ’ দিনপঞ্জি (১৯১৫ - ১৯৪৩), রম্যাঁ রলাঁ, মূল ফরাসি ‘Inde’ থেকে অনুবাদ অবন্তীকুমার সান্যাল, র্যাডিক্যাল বুক ক্লাব, ১৯৮৯।
……………………