বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

জগদীশচন্দ্র ও সমকালীন বঙ্গসমাজ (দ্বাদশ পর্ব)

অর্পণ পাল 8 days ago বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

পর্ব ১২ : জগদীশচন্দ্র ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (২)

..................

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জগদীশচন্দ্রের সম্পর্কের সূচনা ফার্স্ট আর্টস-এর প্রশ্নপত্র বানানোর মধ্যে দিয়ে। এই কাজে তিনি সঙ্গে পেয়েছিলেন মহেন্দ্রলাল সরকার এবং আরও কয়েকজনকে। ১৮৮৫ সালে সাতাশ বছর বয়সে তাঁর অধ্যাপক হিসেবে প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগদান, এবং এর দু-বছর পর ১৮৮৭ সালের জুলাই মাসের কুড়ি তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাঁর নাম ফার্স্ট আর্টস-এর পরীক্ষক হিসেবে অনুমোদিত হয়। এই তালিকায় ছিলেন তাঁর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক ফাদার ইউজিন লাফোঁ-ও। 

শুধু পরীক্ষকই নন, তিনি ছিলেন প্রশ্নপত্র-নির্মাতাও। এই পরীক্ষায় তাঁর ওপর দায়িত্ব ছিল আলো এবং তড়িৎবিদ্যা অর্থাৎ ‘Light and Electricity’ বিষয়ে প্রশ্ন বানানোর। 

আরও বছরখানেক পর বিএ পরীক্ষারও পরীক্ষক হন জগদীশচন্দ্র। তাঁর সঙ্গে তখন গণিত বিভাগের পরীক্ষক হয়েছিলেন তাঁর চেয়ে বয়সে ছ-বছরের ছোট আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। তখনও তিনি আইন-ব্যবসায় যুক্ত হননি, যদিও উজ্জ্বল ছাত্র হিসেবে তাঁর নামডাক ছড়িয়েছে। এর বছর চারেক আগেই তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষায় পাশ করেছেন। আর ওই ১৮৮৮ সালে তিনি মহেন্দ্রলাল প্রতিষ্ঠিত আইএসিএস-এ লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হন। 

এর পরের বছর, মানে ১৮৮৯ সালে জগদীশচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো নির্বাচিত হন। তাঁর সঙ্গে ওই বছরে ফেলো হয়েছিলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ও। মনে রাখা দরকার, তখনও এই দু-জনেই মহেন্দ্রলালের আইএসিএস-এ বক্তৃতা দেন। জগদীশচন্দ্র এবং আশুতোষ দুজনেরই ওই ১৮৮৯/৯০ সালের দিক থেকে এখানে আসাটা অনিয়মিত হয়ে পড়ে, এরপরে বন্ধই করে দেন। আশুতোষ ব্যস্ত হয়ে পড়েন আইন-চর্চার কাজে, আর জগদীশচন্দ্র তখনও বিশেষ কোনো কাজে জড়িত না হয়ে পড়লেও আরও তিন চার-বছর পর বিশুদ্ধ বিজ্ঞান-গবেষণার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তবে এই ১৮৮৯/৯০ সালের দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও নানা কর্মকাণ্ডে (যেমন লাইব্রেরির জন্য বই নির্বাচনের কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি, বিভিন্ন কোর্সের জন্য বই নির্বাচন কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি) আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে আস্তে-আস্তে জড়িয়ে পড়তে দেখি। পরবর্তীকালে তিনি যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠবেন, এই সময়টা ছিল তারই যেন প্রস্তুতিপর্ব। যেমন ওই সময়ে আমরা দেখি তিনটি বিভাগ— গণিত, বিজ্ঞান আর কলা বিভাগের বোর্ড অভ স্টাডিজ-এ সদস্য ছিলেন আশুতোষ, বিজ্ঞানে ছিলেন জগদীশচন্দ্রও। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন বিষয়ের এই বোর্ড অভ স্টাডিজ-এর তালিকায় দেখা যেত যে এমন মানুষও সদস্য হতেন, যিনি অন্য বিভাগের অধ্যাপক। জগদীশচন্দ্র যেমন তিনটি বিভাগ ‘গণিত ও পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ্যা’, রসায়ন এবং ‘জীববিদ্যা ও ভূতত্ত্ব’ বিভাগের বোর্ড অভ স্টাডিজ-এ ছিলেন, তেমনি ইংরেজি বিভাগের বোর্ড অভ স্টাডিজ-এ ছিলেন গণিতের আনন্দমোহন বসু। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও নানা খুঁটিনাটি কাজেও জগদীশচন্দ্র কখনও কখনও যুক্ত হতেন বলে জানা যায়। যেমন একবার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শারীরশিক্ষার পাঠক্রম চালু করা হবে বলে এক উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই আবেদনে সেনেটের বেশ কয়েকজন সদস্য সই করেন। এঁদের মধ্যে দেখি নাম রয়েছে জগদীশচন্দ্রেরও। নাম ছিল তাঁর শ্বশুর দুর্গামোহন দাস বা জামাইবাবু আনন্দমোহনেরও। এছাড়াও বিভিন্ন সদ্যস্থাপিত স্কুল বা কলেজের অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য যে কমিটি, তাতেও ছিলেন জগদীশচন্দ্র। আরও কয়েক বছর পর যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে ডক্টর অভ আর্টস ডিগ্রি দেওয়া হবে বলে একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেই ব্যাপারটায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আট সদস্যের একটা কমিটি তৈরি হলে সেখানে দেখি মহেন্দ্রলাল সরকার বা ফাদার লাফোঁ-র পাশাপাশি জগদীশচন্দ্রকেও। অবশ্য তখন তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পারদর্শিতা দেখিয়ে দেশে এবং বিদেশে খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করেছেন, এরপর তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় যে আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে জড়িয়ে নিতে চাইবে, এটা স্বাভাবিক। আর ততদিনে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিএসসি ডিগ্রিও লাভ করেছেন, এখন তাঁকে ডক্টর জেসি বোস বলা যেতেই পারে। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে সাহেবদের আধিপত্য কমতে শুরু করেছিল। মূলত দেশীয় বিদ্বৎজনদের নিয়েই বিভিন্ন কমিটি তৈরি হত। সাহেবদের সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। তবে উপাচার্য তখনও সাহেবরাই হতেন। অবশ্য ১৮৯০ সাল থেকে বছর দুয়েক গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম এদেশীয় হিসেবে উপাচার্য হয়েছিলেন বটে, তবে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ই প্রথম যিনি এই পদে বসে বহু গুরুত্বপূর্ণ কাণ্ড ঘটাতে পেরেছিলেন। তাঁর উপাচার্য পদের মেয়াদ ছিল ১৯০৬ থেকে ১৯১৪, এবং ১৯২১ থেকে ১৯২৩ পর্যন্ত। 

বিশ শতকের গোড়ার দিকে জগদীশচন্দ্র প্রধান পরীক্ষক নির্বাচিত হন। এবং ১৯০৪ সালে এসে তিনি এমএ পরীক্ষারও পরীক্ষক নির্বাচিত হন। বিভিন্ন বিষয়ের বোর্ড অভ স্টাডিজ-এর সদস্য হিসেবে অবশ্য তাঁর নাম প্রতি বছরই দেখা যেত। এখানে এটা বলে নেওয়া ভালো যে তাঁরই সহ-অধ্যাপক এবং বিখ্যাত রসায়ন-বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্র রায় কিন্তু প্রত্যেক বছরই যে তাঁর মতোই এইরকম বোর্ড অভ স্টাডিজ-এর তালিকায় থাকতেন এমনটা নয়। মাঝেমধ্যেই তাঁর নাম বাদ যেত। যেমন বাদ গিয়েছিল ১৯০৪ সালে। আবার ১৯০৬ সালে তিনি প্রথমবার সেনেটের সদস্য হন, তখন অবশ্য সেনেটে জগদীশচন্দ্র ছিলেন না।  

এমএ পরীক্ষার পরীক্ষক হিসেবে জগদীশচন্দ্রের নাম বাদ পড়ে ১৯০৮ সালে। সম্ভবত তখন তিনি একের পর এক বৈজ্ঞানিক সফরে বিদেশযাত্রায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ায় (এবং বই লেখবার কাজও বেড়ে গিয়েছিল) নিজেই এই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছিলেন। এর পরের বছর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের পূর্ণ সময়ের সিনিয়র অধ্যাপক নিযুক্ত হন, তাঁর সহকারী হিসেবে যোগ দেন সুরেশচন্দ্র নাগ। এই সময় জগদীশচন্দ্র তাঁর কলেজে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাঠক্রম চালুর জন্য চেষ্টা শুরু করেছিলেন। তবে জগদীশচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ পরীক্ষার পরীক্ষক হিসেবে আবার ফিরে এসেছিলেন ১৯১১ সালে। তখন তাঁর সঙ্গে এই কাজে যুক্ত ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ মল্লিকও। প্রসঙ্গত এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হত মোট পাঁচটি কলেজে— প্রেসিডেন্সি, স্কটিশ চার্চ এবং সেন্ট জেভিয়ার্স-এ অনার্স কোর্সের, আর ঢাকা কলেজ এবং গৌহাটি কটন কলেজে পাস কোর্সের। ১৯১৪ সালে পদার্থবিদ্যার অনার্স কোর্সের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার পরীক্ষকমণ্ডলীর প্রধান হয়েছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত যেমন বিভিন্ন কলেজের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করত তেমনই নানা কলেজে কখনও-কখনও সরেজমিনে হালচাল দেখতে পর্যবেক্ষণকারী দল পাঠানো হত। এই প্রসঙ্গেই বলা যেতে পারে যে ১৯১২ সালের ডিসেম্বর মাসে জগদীশচন্দ্র বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের প্র্যাকটিক্যালের পরীক্ষাগারগুলি পরিদর্শন করতে এসেছিলেন, এবং এর উন্নতির জন্য কিছু সুপারিশও করেছিলেন লিখিত আকারে। যদিও সেগুলো অনেক দিন পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি। 

২. 

এসে যায় ১৯১৫ সাল। অধ্যাপনার কাজে জগদীশচন্দ্রের আটান্ন বছর পূর্ণ হয়। এই বছর থেকেই ব্রিটিশ সরকার তাঁকে তাঁর সারা জীবনের জন্য পুরো বেতনের প্রোফেসর এমেরিটাস হিসেবে নিযুক্ত করে। তাঁকে পড়ানোর কাজ থেকে পুরোপুরি অব্যহতি দেওয়া হয়, এখন তিনি গোটা সময়টাই গবেষণার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারবেন। 

ইতিমধ্যে ১৯১৪ সালে তৈরি হয়ে গিয়েছে রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজ। পরের বছর থেকে এখানে একে একে যোগ দেন মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু বা চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন-এর মতো তখনও অপরিচিত অথচ গুণী তরুণেরা। রসায়নে অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন প্রফুল্লচন্দ্র রায়, তবে জগদীশচন্দ্র কখনও আসেননি প্রেসিডেন্সি ছেড়ে। ১৯১২ সালেই তাঁকে এখানে পালিত অধ্যাপক (মূল অর্থ সাহায্যকারী তারকনাথ পালিত-এর নামে) হিসেবে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল, তিনি সে-আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সেই পদে পরে যোগ দেন ভেঙ্কট রামন। প্রসঙ্গত, এই রামন-এর সঙ্গে বেশ কিছু কারণে একাধিকবার ছোটখাটো ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন জগদীশচন্দ্র। যেমন ১৯১৭ সালের তিরিশে আগস্ট তিনি চিঠি লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানান যে তাঁর অনুপস্থিতিতে রামন-এর এক প্রতিনিধি প্রেসিডেন্সি কলেজের গবেষণাগারে এসে জগদীশচন্দ্রের এক সহকারীর (প্রধান যন্ত্রবিদ) সঙ্গে কথা বলে তাঁকে বিজ্ঞান কলেজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেছিলেন। প্রয়োজনে তাঁকে এখানে তিনি যা পান তার তিন গুণ অর্থ মাইনে হিসেবে দেওয়ারও টোপ দেওয়া হয়েছিল। এই ব্যাপারটায় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন জগদীশচন্দ্র। যদিও অধ্যাপক রামন-এর বিরুদ্ধে এই কাজের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেন ১৯১৭ সালে। তখন তাঁর সদ্য ষাট পূর্ণ হয়েছে। এরপরেও তিনি ওই কলেজের প্রোফেসর এমেরিটাস হিসেবে আরও কুড়ি বছর যুক্ত ছিলেন বটে, তবে ওই ১৯১৭ সালেই বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করবার ফলে সেই প্রতিষ্ঠানেই তিনি বেশি করে সময় দিতে শুরু করেন। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মে তাঁকে মাঝেমধ্যেই যুক্ত থাকতে দেখা যেত। যেমন ১৯২১ সালে যখন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের চেষ্টায় খয়রার মহারাজ গুরুপ্রসাদ সিংহ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশ কিছু টাকা দান করেন, সেই টাকায় পাঁচটা অধ্যাপক পদ সৃষ্টি হয়। এই দানের শর্ত অনুযায়ী একটা কমিটি তৈরি হয়েছিল, কারা অধ্যাপক হতে পারবেন সেটা বেছে নেওয়ার জন্য। এই কমিটিতে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, নীলরতন সরকার এবং জগদীশচন্দ্র বসু। এঁদের সুপারিশে পদার্থবিদ্যার প্রথম খয়রা অধ্যাপক হয়েছিলেন মেঘনাদ সাহা। অবশ্য তিনি বছর দুই পর এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক পেয়ে চলে যান। তাঁর জায়গায় আসেন শিশিরকুমার মিত্র। এই বোর্ডের সদস্য হিসেবে অনেক বছর যুক্ত ছিলেন জগদীশচন্দ্র, ১৯৩৪ সালে, তখন তাঁর বয়স ছিয়াত্তর, তখনও দেখি তিনি নির্বাচক হিসেবে সক্রিয় আছেন এবং দেবেন্দ্রমোহনের জায়গায় ঘোষ অধ্যাপক হিসেবে শিশিরকুমার মিত্রকে নির্বাচিত করা হচ্ছে। এর পরের বছরেও খয়রা অধ্যাপক হিসেবে যে বিধুভূষণ রায়-কে নিয়োগ করা হয় সেই নির্বাচনের কমিটিতেও ছিলেন জগদীশচন্দ্র। আরও বছর দুই পর জগদীশচন্দ্রের মৃত্যু হয় আশি পূর্ণ হওয়ার মাত্র সাত দিন আগে, সেই হিসেবে তাঁর প্রায় গোটা জীবনই তিনি যুক্ত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। 

(মূল সহায়ক বই: ‘সিপাহি বিদ্রোহ থেকে স্বাধীনতা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস’, শ্যামল চক্রবর্তী (দু-খণ্ডে), দে’জ পাবলিশিং।)

…………………… 

#Jagadish Chandra Bose #Scientist #জগদীশচন্দ্র বসু #series #silly পয়েন্ট

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

23

Unique Visitors

208846