বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগেও তৈরি হচ্ছে রকেট, ছুটবে মহাকাশে
আকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করা হয় যে রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে, সেই লঞ্চারের মূল জ্বালানি-ধারক ব্যবস্থা এতদিন তৈরি হত সরকারি ব্যবস্থাপনাতেই। সেই কাজে হাত লাগিয়ে এবার সফল হল একটি বেসরকারি সংস্থাও। হায়দ্রাবাদের সদ্যস্থাপিত এক সংস্থা স্কাইরুট এয়ারোস্পেস সম্প্রতি নাগপুরে দেখাল তাদের তৈরি রকেটের কেরামতি। ভারতীয় মহাকাশবিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামে নামাঙ্কিত বিক্রম-১ নামের ওই স্টেজ থ্রি রকেট একটানা একশো আট সেকেন্ড ধরে জ্বালানি দহন করল একটা জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে, যা দেখে সকলেই বুঝলেন যে এই রকেট এবার আকাশে উড়বার জন্য তৈরি, আর এটাও এখন প্রায় নিশ্চিত যে পুরোদস্তুর বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি রকেট আকাশে উড়তে বেশি বাকি নেই।
তিনটি স্তর বা স্টেজে বিভক্ত এই রকেটের তৃতীয় স্টেজটির নাম দেওয়া হয়েছে কালাম-১০০, এ নাম কার সম্মানে, সেটা না বললেও চলে। এক বিশেষ ধরনের কার্বন ফাইবারে তৈরি এই রকেটটিতে দহন ঘটেছে মূলত কঠিন জ্বালানির । আর এটাও জানা গিয়েছে, রকেটটি প্রায় আড়াইশো কেজি ওজনের বস্তু নিয়ে পাঁচশো কিলোমিটার অব্দি উড়তে সক্ষম।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার ২০১৮ সালে ইসরো ছেড়ে বেরিয়ে এসে তৈরি করেন এই সংস্থাটি। আর এখন এটাই ভারতের প্রথম কোনো সংস্থা, যারা আকাশে পাঠাতে চলেছে নিজস্ব মহাকাশযান।
আরও পড়ুন: ছত্রাক থেকে ছিলিম: গাঁজা চাষের অভিনব পন্থার হদিশ
আশা করা যায়, এমন দিন আসতে বেশি বাকি নেই, যখন এরকম কোনো সংস্থার হাত ধরেও মহাকাশে প্রেরিত হবে সম্পূর্ণ ভারতীয় মহাকাশযান, পাড়ি দেবে চাঁদে বা অন্য কোনো গ্রহ-অভিমুখে।
#কৃত্রিম উপগ্রহ #কালাম-১০০ #মহাকাশ যান #মহাকাশ বিজ্ঞান #ফিচার #টিম সিলি পয়েন্ট