অনলাইন শিক্ষা ও প্রান্তিক সমাজ: একটি সোনার পাথরবাটির গল্প
“কীরে, তোরা শুনতে পাচ্ছিস? কীরে? হ্যাঁ না কিছু বল!”
একলা ঘর। দরজা জানলা বন্ধ। ঘরে বসে এক যুবক, হাতে মোবাইল, কানে ইয়ারফোন। অনর্গল বকবক করে যাচ্ছে সে, হাত পা নেড়ে, বিভিন্ন মুখভঙ্গি করে। আর মাঝে মাঝেই মেহের আলির মত ভূতগ্রস্ত গলায় বলে উঠছে, ‘কীরে, শুনতে পাচ্ছিস? কীরে, যা বলছি কিছু বুঝতে পারছিস তোরা?’
আগেভাগেই বলে রাখি, আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত একটি কলেজে ইংরেজি পড়াই। কলেজটির বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী অভাবী, কৃষিজীবী পরিবারের সন্তান। ভদ্দরলোক পণ্ডিতরা যাদের গায়ে ‘প্রান্তিক শিক্ষার্থী’ তকমা সেঁটে দিয়ে সুগভীর আত্মশ্লাঘা অনুভব করেন, আমার কলেজে তারাই প্রতি বছর আসে ভর্তি হতে। দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, বিগত প্রায় দু’বছর ধরে উপরে বর্ণিত এই দৃশ্য খালি আমার নয়, এধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ অধ্যাপক অধ্যাপিকাদেরই রোজনামচায় পরিণত হয়েছিল।
তা বলে যে করোনার আগে আমাদের কাজ খুব একটা সোজা ছিল, তা মোটেই মনে করবেন না যেন। এই ইংরেজির কথাই ধরুন না হয়। মোটামুটি নতুন ব্যাচ আসার পরেই আপনি প্রতিবারের মত আবার বুঝতে পারবেন, এদের বেশির ভাগেরই সাহিত্যের জ্ঞান মোটামুটি শূন্য। কারণ স্কুলে পড়ানো হয় না, পাশ করানো হয়। আজকাল যখন ‘টেনিদা পড়নি, ফেলুদা চাখোনি, কাকাবাবু গেলোনি? তাহলে তুমি বাঙালিই নও!’ মার্কা মিম দেখি, আমার হাসি পায়। শহুরে মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক বৃত্তটাকেই যারা বেমালুম গোটা বাঙালি সমাজ বলে ভেবে নেয়, তারা রাখে বাংলার বৃহত্তর গ্রামবাংলার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খবর? একটা দেশের সাহিত্য বুঝতে গেলে তাদের সংস্কৃতি, তাদের ইতিহাস সম্বন্ধে একটা ন্যূনতম ধারণা থাকা দরকার। খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বর্তমান গ্রামবাংলার স্কুলে ছেলেমেয়েরা এসব কিছুই পায় না। ফলে ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ উপন্যাসে ডার্সি এলিজাবেথের সঙ্গে নাচতে না চাওয়াটা যে কত বড় অপমানজনক ব্যাপার, তা বোঝাতে কালঘাম ছুটে যায় আমাদের।
এর উপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত দেখা দিল অতিমারি। প্রথম প্রথম অনলাইন ক্লাসকে আমরা সবাই মুক্তকণ্ঠে স্বাগত জানিয়েছিলাম, কারণ তখন সেটা ছিল বন্ধ পাঠশালার অন্ধকূপের মাঝে একমাত্র আলোর হদিশ। করোনা তখন নতুন, অজানা। স্বাভাবিকভাবেই সবার মনে দানা বেঁধেছে আশঙ্কা। আস্তে আস্তে বোঝা গেল, এ ঝামেলা সহজে কাটার নয়। একে মেনে নিয়েই এগোতে হবে আমাদের। ফুটো জাহাজের যাত্রীদের মত গুছিয়ে নিতে হবে জীবনের অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলো, অসুবিধা হলেও কিছুদিন বিসর্জন দিতে হবে বাকি কারবার। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, কোথায় কী! ঘটা করে নির্বাচন হল, ধর্মীয় মোচ্ছব হল, আরো হ্যানত্যান কতকিছু। শুধু পাঠশালা সেই বন্ধ।
বিন্দুমাত্র ভণিতা না করে সোজা ভাষায় জানিয়ে দিই, আমাদের মত দেশে প্রান্তিক অঞ্চলে অনলাইন শিক্ষা একটি প্রহসন। ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র প্রচার হলেও উচ্চমানের ইন্টারনেট পরিষেবা মূলতঃ শহর এবং মফস্বলেই সীমাবদ্ধ। এছাড়া মোবাইল বলুন বা নেটপ্যাক, সবকিছুর জন্যই টাকা লাগে, যেটা আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের হাতে নেই। এমন অবস্থায় যদি আপনি ভেবে থাকেন যে গ্রামের স্কুল কলেজে রোজ প্রত্যেকটি ছেলেমেয়ে নির্বিঘ্নে ভিডিও ক্যামেরা অন করে ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাস করবে, তবে আপনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আমরা অনলাইন ক্লাস নেবার সময়ে ছাত্রছাত্রীদের মুখ দেখতে পাই না, গলা ঠিকঠাক শুনতে পাই না। তারাও আমাদের গলা কতটুকু ঠিকঠাক শোনে, তা জানবার উপায় নেই। দু’তিনবার খোঁচালে একবার দায়সারা গোছের উত্তর আসে, ‘হ্যাঁ স্যার বোঝা যাচ্ছে।‘ যেন প্ল্যানচেটে আত্মা নামানো চলছে। ঝড়বৃষ্টি হলে সেদিনের মতো ক্লাস মোটামুটি শিকেয়, ইন্টারনেট সংযোগ আবার স্বাভাবিক হবার আশায় বুক বেঁধে বসে থাকা। শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে সহজ সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া পঠনপাঠনকে প্রতি মুহূর্তে আনন্দময় করে তোলে, তার সুযোগ এখানে কোথায়? যে কোনো ভালো শিক্ষকই মানবেন, পড়ানোটা আসলে একটা পারফরম্যান্স। যেখানে মঞ্চটাই উধাও, সেখানে পারফরম্যান্সের প্রশ্ন আসে কোত্থেকে?
অতএব শিক্ষক এখানে কোনো রক্ত মাংসের সচল মানুষ নয়, দূর থেকে ভেসে আসা একটা কণ্ঠস্বর মাত্র। এর সঙ্গে যোগ করুন মোবাইল ফোনে ক্ষণে ক্ষণে ঢুকতে থাকা হরেক রকম নোটিফিকেশন। ছাত্রছাত্রীরা যে সহজেই অন্যমনস্ক হয়ে পড়বে, এতে আর আশ্চর্যের কী আছে? দিনের পর দিন এই প্রাণহীন শিক্ষাপদ্ধতি তাদের মধ্যে জন্ম দিচ্ছে একটা অদ্ভুত গা ছাড়া ভাবের। চোখের সামনে একটু একটু করে কমে যাচ্ছে হাজিরার পরিমাণ, অফলাইন ক্লাসের চঞ্চল, সপ্রতিভ ছাত্রীটিও ক্রমশ অনলাইনে এসে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকছে। সামনাসামনি থাকলে অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের অভিব্যক্তি দেখে আন্দাজ করা যায়, সোজাসুজি প্রশ্ন করে তাকে বেকায়দায় ফেলে ক্লাসে মনোযোগ ফিরিয়ে আনা যায়। অনলাইনে আপনি কাউকে বেশি প্রশ্ন করলে সে নিজেকে মিউট করে দেবে, অথবা সোজা লগ আউট করে বেরিয়ে যাবে। এরপর আপনার সত্যিই আর কিছু করবার থাকে কি?
কিন্তু উপরমহলের আদেশ, পড়ানো যেমনই হোক, পরীক্ষা নিয়ে যেতেই হবে। তাই অনলাইন পরীক্ষা নামক প্রহসন, প্রকৃত মূল্যায়ন শিকেয় তুলে দিয়ে গণটুকলির আয়োজন, ঘরে বসেই যা ইচ্ছে যেভাবে ইচ্ছে লিখে দেবার অবাধ ধ্যাষ্টামো। ছাত্রছাত্রীরা ক্রমশ বুঝে যাচ্ছে, এ ব্যবস্থায় একেবারে পড়াশোনা না করেও পরীক্ষা দিয়ে দেওয়া যায়, এবং তাদের প্রতারণা ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বাজারচলতি ওয়েবসাইট থেকে চোখ বুজে উত্তর ঝেপে দেবার সময় নিচের বিজ্ঞাপনসুদ্ধু টুকে দিচ্ছে তারা, কখনো আবার দু একটা উত্তর বেমালুম বাদ দিয়ে চলে যাচ্ছে। ক্লাসে যা পড়ানো হচ্ছে, খাতায় লেখা উত্তরের সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সাদৃশ্য নেই। ভাষা শোচনীয়, বানান মারাত্মক। পরীক্ষা কমিটির অধ্যাপকদের কাবুলিওয়ালার মত ছাত্রছাত্রীদের পিছনে পড়ে থেকে খাতা আদায় করতে হয়। গণ্ডাখানেক খাতা এসে কলেজে মেলে ঢুকবার (অথবা না ঢুকবার) সময় যে প্রাণান্তকর নাটক হয় তাতে না হয় আর নাই গেলাম। ‘জনঅরণ্য’ ছবির সংলাপ মনে পড়ে, ‘কী হচ্ছে ভাই? পরীক্ষা হচ্ছে, স্যার!’
আস্তে আস্তে পড়া শোনবার, ধৈর্য ধরে ক্লাসে বসে থাকবার, পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেবার স্বাভাবিক অভ্যাসগুলোই লোপ পেয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক গঠন থেকে। ফলে তারা পড়াশোনা জিনিসটার সঠিক স্বাদই পাচ্ছে না, নিরুৎসাহ হয়ে পড়ছে, উদ্যম হারিয়ে ফেলছে। তার উপর রয়েছে গরিব পরিবারে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে অন্নসংস্থানের জন্য কাজকর্মে ঢুকে পড়বার চাপ। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও অনেকটাই ঔপনিবেশিক তারে বাঁধা, তা গ্রামীণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠতে পারেনি। এদিকে নিজের সংস্কৃতি, পরিস্থিতি, পরিবেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, গাদা গাদা নোট গলাধঃকরণ করে ছাত্র যা শেখে, অনেক সসময়ই সেই শিক্ষা তাকে চাকরি দিতে পারে না। পরিমল ভট্টাচার্য (উনিও আমার মতোই সরকারি কলেজে ইংরেজি পড়ান) তাঁর ইন আ ওয়াটারবোর্ন ল্যান্ড বইতে দেখাচ্ছেন, ইছামতীর পারের এক তাঁতি পরিবারের ছেলে পারিবারিক বৃত্তি ছেড়ে, বাজারে ধারদেনা করে সংস্কৃতে মাস্টার্স করেছে, কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরি তার কাছে অধরাই রয়ে গেছে। হালছাড়া নৌকার মতো সে রয়ে গেছে টাউন অঞ্চলেই, ইতিউতি টিউশনি করে চালাচ্ছে জীবন সংগ্রাম। প্রান্তিক মানুষদের কাছে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটাই যান্ত্রিক এবং অপ্রাসঙ্গিক ছিল, অতিমারি এবং অনলাইন শিক্ষা এসে তাকে একেবারে বেআব্রু করে দিয়েছে। পেটের দায় বড় দায়, ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই তাই এই প্রহসনের পালা সাঙ্গ করে সংসার সামলাতে নেমে পড়ছে। কেউ মোটর গ্যারেজে কাজ নিচ্ছে, কেউ করছে সবজি বিক্রি। কেউ বিয়ে করে লেখাপড়ার পাট বেমক্কা চুকিয়ে দিচ্ছে। বাজার চত্বর, অফিস চত্বরে দেখা মিলছে নিত্যনতুন শিশু কিশোরের, তাদের কেউ ধূপ বেচছে, কেউ চানাচুর, কেউ আবার প্লাস্টিকের জিনিস। এরা অনেকেই হয়তো এককালে স্কুলে ছিল, কিন্তু সেসব এখন অনেক আগের কথা বলে মনে হয়।
আরও পড়ুন : ঘুমপাড়ানি গান কিংবা বাংলার শিক্ষা / পূর্বা মুখোপাধ্যায়
প্রান্তিক সমাজে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার এই ব্যর্থতা সম্বন্ধে আজ বেশ কিছুদিন ধরে বহু শিক্ষক শিক্ষিকা সরব হয়েছেন, বারবার আওয়াজ তুলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুলে দেবার ব্যবস্থা করবার জন্য। তবু অবাক লেগেছে কিছু তথাকথিত শিক্ষকের কথা শুনে, যাঁরা এই সঙ্গত দাবির যৌক্তিকতা মানতে চাননি, নানাভাবে কথার জাল বুনে এড়িয়ে গিয়েছেন আসল সমস্যাগুলোকে। কেউ কেউ অদ্ভুতভাবে বলেছেন, অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায় প্রান্তিক ছাত্রছাত্রীদের লিঙ্ক পাঠানোর মাধ্যমে বিভিন্ন লেখা, ছবি, ভিডিও প্রভৃতির সাথে পরিচিত করে তোলা যায়, তাদের মনের প্রসার ঘটে, তাই অনলাইন শিক্ষা শুধু যথেষ্টই নয়, অফলাইন পঠনপাঠনের থেকে অনেক ভালো(!)। সুকৌশলে যে কথাটি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটি হল, অতিমারি আসার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই উচ্চশিক্ষা ক্রমশ ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবহার বাড়ছিল, প্রান্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পড়াশোনায় ক্রমশ মিশ্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছিল। আমরা ছাত্রছাত্রীদের লিঙ্ক পাঠাতাম, ভিডিও দেখতে বলতাম। এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু সেই লিঙ্ক তারা আদৌ খুলে দেখেছে কিনা পরের দিন সামনাসামনি তা যাচাই করবার সুযোগ থাকত, স্মার্ট ক্লাসরুমে তাদের প্রোজেক্টরে সিনেমা দেখিয়ে তা নিয়ে সবাই মিলে আলোচনা করা যেত। শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি অনলাইন হয়ে গেলে এগুলো করবার উপায় কোথায়? অনলাইন শিক্ষা অফলাইনের পরিপূরক, বিকল্প নয়। এই সহজ কথাটা কেন বুঝতে চাইছি না আমরা? শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার সুবাদে যেখানে মূল সমস্যাগুলো বারবার জনসাধারণের কাছে তুলে ধরাটাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য, সেখানে আমাদের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ যদি সেগুলো শব্দের বেড়াজালে ঢেকে দেবার সংকল্প করতে থাকেন তবে তো লড়াইটাই আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, তাই না?
আরও পড়ুন : অনলাইন ক্লাসের গল্প: ইচ্ছে আর উপায় / দেবলীনা ত্রিপাঠী
আজ প্রচুর টালবাহানার পরে অবশেষে কলেজ পুরোপুরি খুলেছে, এবং স্বাভাবিক ছন্দে পঠনপাঠন করবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুবই আনন্দের কথা, সন্দেহ নেই। কিন্তু ভয় হয়, এই দু’বছরে যে ক্ষতি হয়ে গেল, তা কী আদৌ কোনোদিন পূরণ করা যাবে? প্রথম বর্ষে যারা একরাশ জিজ্ঞাসা নিয়ে ক্লাস শুরু করেছিল, দু’বছর অনলাইন ক্লাসের চক্করে পড়ে তাদের মনে ক্রমে ক্রমে এক অনিচ্ছুক, দায়সারা ভাব আসতে দেখেছি। বারবার বলেছি হাল ছেড়ো না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিগগিরি আবার খুলবে। কিন্তু জীবনটা সিনেমা নয়, আর আমিও উদয়ন পণ্ডিত নই। তাই বারবার আমার ফাঁকা আশ্বাসবাণীকে মিথ্যা পরিণত করে চালু হয়েছে রাজনৈতিক প্রচার, ধর্মীয় উৎসব, মেলা, রেস্তোরাঁ সবকিছু, শুধু মাঝের কিছু সময়ের আংশিক পরিত্রাণ বাদ দিলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আগাগোড়া বন্ধ থেকেছে কলেজের দরজা। এই শিক্ষার্থীরা সময়ের নিয়মে পাশ তো ঠিকই করে যাবে, কিন্তু আদৌ কী শিখল এরা? এরপর এই শিক্ষা কোন কাজে লাগবে তাদের? এ দেশ যোগ্য প্রার্থীকেই অনেক সময় কাজ দিতে পারে না, সেখানে অনলাইনে প্রাপ্ত শিক্ষা(?) আগামী দিনে চাকরির পরীক্ষায় কী সাহায্য করবে এই ছাত্রছাত্রীদের? একটা কথাই খালি মনে হয়, গত দু’বছরে পরিযায়ী শ্রমিকের হয়রানি ও মৃত্যুর প্রসঙ্গে উত্তাল হয়েছে দেশ, গঙ্গায় ভেসে যাওয়া লাশ সম্বন্ধে খরচ হয়েছে রাশি রাশি নিউজপ্রিন্ট, কিন্তু এতগুলো ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ যেভাবে চরম অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াল, তা নিয়ে কী সত্যিই যথেষ্ট চিন্তিত হয়েছি আমরা?
......................
#pandemic #covid-19 #অতিমারি #শিক্ষা #Online Education #অনলাইন শিক্ষা #সিলি পয়েন্ট #বিপ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য্য