সানা ইরশাদকে কেন পুলিৎজার নিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না?
শ্রীনগরের বাসিন্দা, ২৮ বছর বয়সী চিত্রসাংবাদিক সানা ইরশাদ মাট্টু এ বছর পুলিৎজার পেয়েছেন। কিন্তু তাঁকে পুরস্কার নিতে যেতে দেওয়া হল না। গত মঙ্গলবার দিল্লি বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কগামী বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের চিত্রসাংবাদিক সানা এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন কোভিড পরিস্থিতিতে অসাধারণ সাংবাদিকতার জন্য। একই সংস্থার আরও তিনজন চিত্রসাংবাদিকের সঙ্গে তিনি ২০২২ সালের ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে পুলিৎজার পেয়েছেন।
ক্ষুব্ধ সানা টুইট করে জানিয়েছেন, ছ' মাসেরও কম সময়ে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া হল তাঁকে। তিনি দাবি করেছেন, বৈধ মার্কিন ভিসা থাকা সত্ত্বেও দিল্লি বিমানবন্দরের অভিবাসন দপ্তর তাঁকে আটকে দিয়েছে। সানার কথায়, এমন সুযোগ মানুষের জীবনে একনারই আসা সম্ভব। সেই সুযোগ থেকে অকারণে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাঁকে।
কাশ্মীরের কয়েক সাংবাদিকের বিদেশ যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় সানার নাম আছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে এটুকুই জানানো হয়েছে যে সানার নাম 'নো ফ্লাই' তালিকায় রয়েছে বলে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা, তা স্পষ্ট করা হয়নি। কয়েক মাস আগে জুলাই মাসে একটি বই প্রকাশ এবং ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর জন্য সানার দিল্লি থেকে প্যারিসে যাওয়ার কথা ছিল। তখনও কর্তৃপক্ষ তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। আর এবার পুলিৎজারের মতো সম্মান পাওয়া সত্ত্বেও বাঁধা দেওয়া হল তাঁকে। ২৬শে জুলাই কাশ্মীরের আরও এক ফ্রিলান্স সাংবাদিক আকাশ হাসানকে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো যাওয়ার পথে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আসলে ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পর থেকেই সেখানে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চাপ বাড়ছে। মনে রাখা দরকার এ বছরের World Press Freedom Index-এ ভারতের স্থান ১৫০ নম্বরে। গত বছরের অবস্থান থেকে ৮ ধাপ নেমে এসেছে ভারত। সানা ইরশাদ বা কাশ্মীরের অন্যান্য সাংবাদিকদের অপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ঘটনা পরের বছরের সূচককে কীভাবে প্রভাবিত করে, সেটাই দেখার।
.....................
#Sanna Irshad Mattoo #Kashmiri journalist #Pulitzer Prize #silly পয়েন্ট