অবিস্মরণিকা ( অন্তিম পর্ব )
.................................
অবিস্মরণিকা। বলে না যাওয়া এক চলে যাওয়ার আখ্যান।
যে থেকে যায়, তারও কি সবটা থেকে যায়?
মানুষ সতত, না চাইতেও নিজের নানাবিধ হোরক্রাক্স বানিয়ে ফেলে না কি? বিচ্ছেদ না হলে কোথা থেকে পাবে এত শক্তি?
আর বিচ্ছেদ-প্রদেশের মানুষজন? কেমন থাকেন তাঁরা? কী বলার থাকে তাঁদের কাছে?
ঐন্দ্রিলা চন্দ্রের রঙে-রেখায় সেই অতি নিবিড় ব্যক্তিক অনুভূতিমালার অনুবাদ। সঙ্গে কথা-যোজনায় রোহন রায়। আজ সিরিজের দশম তথা অন্তিম ছবি।
.................................
সত্যি সত্যি এতটা জিভ বের করে কেউ মরে যেতে পারে -
না দেখলে জানতে পারতাম না
হাত বাড়িয়ে কাউকে পাবে না,
সেই বিশ্বাসে
মানুষ এতটা জিভ বাড়িয়ে দেয়
বর্শার মতো সেই জিভ
আমি মুছে ফেলছি ।
মরে যাবার সময় প্যান্টে করে ফেলা আকুল পেচ্ছাপ
আমি মুছে ফেলছি ।
আমি এখন ওর চুল বেঁধে দিচ্ছি, যেমন দিতাম বরাবর
সদ্য কেনা প্যাকেট ছিঁড়ে ওর চোখে দিয়ে দিচ্ছি ল্যাকমের নতুন কাজল,
এরপর তুলো ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে, আস্তে আস্তে
খুব আস্তে আস্তে
মুছে দেব ওর চোখের তলার কালি ।
যে নেই, তাকে যত্ন করে রেখে দেব,
এবং আমিও থেকে যাব -
সবশেষে এটুকুই জানানোর ছিল ।
....................................
[কথা যোজনা : রোহন রায় ]
আরও দেখুন - অবিস্মরণিকা (পর্ব : নয়)