দুটি কবিতা
...............
(১)
সরীসৃপের মত চলি। রন্ধ্রপথ চিনি যতখানি, ততখানি উপরে আকাশ।
বুকে ভর দিই। স্থির থাকি সরলরেখায়। বক্রে, কথিত আছে লক্ষ্যে পৌঁছাই।
চেরা জিভে গন্ধ পান করি। আবেষ্টনে জলে ডুবি, ভেসে উঠি কদাচিৎ -বিবশ শিকার।
নমিত ফনার চোখে প্রকৃত গহীন লাগে গুল্মজীবন। উদ্যত ফনার জীবন বিপন্নতার।
প্রকৃত প্রস্তাবে তা একান্তই ভীতি এবং নিরাশার।
(২)
একটি কেন্দ্রীয় অক্ষরেখা বরাবর প্যাঁচ দিয়ে উঠে যায় ঘোরানো সিঁড়ি,তবে
তা নিরালম্ব নয়। কতবার ভেবেছি অন্য কিছু হব। অজানা অক্ষ ঘিরে
ধাপে ধাপে উঠে যাবো আকাশের দিকে। স্খলিত হেলিক্স আমি শূণ্য থেকে শুরু করে
শূণ্যে ফিরে যাবো বারবার। কতবার ভেবেছি, আকর্ষের সংবেদন মেখে নেব
যেন স্পর্শকে স্নান বলে মনে হয়।তবু প্রতিবার, বল্কল ছিঁড়ে যেতে চায়,
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শাখা আর প্রশাখার দল, ভারহীন । পাতাও পীতবর্ণ।
নখ থেকে রক্ত ঝরে পড়ে, তবু কেন্দ্রাতিগ টানে ফিরি, ফিরে ফিরে আসি,
চিত্রলিপির মত আঁকিবুকি কাটি বারবার। বৃক্ষ লতার মত হলে বিপর্যয়।
তার চেয়ে ঢের বেশি বিপর্যস্ত বয়সে প্রাচীন ও অবসন্ন আমাদের এই বীজগুলি।
….…………………………………..
[অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র]