বাঁশের দৌলতে বেঁচে গিয়েছিল তাজমহল?
ভারতের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যের মধ্যে একটি তো বটেই, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যেও গণ্য করা হয় তাকে। সেই কত বছর আগে নির্মিত হয়েছে, কিন্তু তাজমহল নিয়ে আজও বিতর্কের শেষ নেই। শেষ নেই গল্পেরও। তবে এটা ঘটনা যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার ভারী চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল তাজমহলকে নিয়ে। তাজমহলকে বাঁচানো যাবে কিনা সেই নিয়েই তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। জাতীয় সম্পদ। না বাঁচাতে পারলে সে এক বিরাট লজ্জার ব্যাপার। সে-যাত্রায় তাজমহলকে বাঁচিয়েছিল বাঁশ।
১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চলেছিল দুনিয়া কাঁপিয়ে দেওয়া এই যুদ্ধ। ঔপনিবেশিক রাঘব-বোয়ালদের জন্য প্রায় সমস্ত মহাদেশকেই জড়িয়ে পড়তে হয়েছিল এই যুদ্ধে। আর এই যুদ্ধের মিত্রশক্তির অন্যতম পক্ষ ইংল্যান্ড তখন এ দেশের শাসক। ফলে ভারতও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল অনিবার্যভাবেই। আর সেইজন্য জাপানি বোমা পড়ার ভয়ে একসময় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ। এদিকে নাগরিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রশাসন চিন্তিত হয়ে পড়েছিল বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন, বিশেষত তাজমহলের নিরাপত্তা নিয়েও।
জাপানি বোমারু বিমান যাতে তাজমহলকে চিহ্নিত করতেই না পারে, সেজন্য অভিনব আর মজার এক উপায় অবলম্বন করেছিল সেকালের ব্রিটিশ শাসক। সে সময় আকাশযুদ্ধের দিশা দেখানোয় একমাত্র ভরসা কম্পাস। আধুনিক বিজ্ঞানের মতো ইন্টারনেটের সুবিধা দিয়ে দিকনির্দেশ বা উপগ্রহের মাধ্যমে কোনও অঞ্চলের ছবি তুলে আনার সুবিধা ছিল না। তাই ব্রিটিশরা তাজমহলকে পুরোপুরি ঢেকে দিয়েছিল বাঁশের খাঁচায়। যাতে উপর থেকে দেখলে তাজমহলের আকৃতি কোনোভাবেই বোঝা না যায়, মনে হয় অনেক বাঁশ স্তূপাকারে রাখা আছে। বলা যায়, তাজমহলকে একরকম ছদ্মবেশ দেওয়া হয়েছিল কিছুদিনের জন্য।
উপায়টা কাজে লেগেছিল কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না। কারণ শত্রুপক্ষের তেমন পরিকল্পনা ছিল কিনা এটা কোনও সূত্র থেকে জানা যায়নি। কিন্তু এটা ঘটনা যে গোটা বিশ্বযুদ্ধে সত্যিই কোনও বোমা পড়েনি তাজমহল চত্বরে। হয়তো বাঁশের দৌলতেই বেঁচে গিয়েছিল ভারতের গর্ব।
.....................
#Tajmahal #Second World War #তাজমহল #silly পয়েন্ট