ফিচার

প্রাণী-সংবেদনকে স্বীকৃতি নিউজিল্যান্ডের। আমরা পারি না?

টিম সিলি পয়েন্ট Dec 19, 2020 at 5:56 am ফিচার

জীব-জন্তুর বেঁচে থাকার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে দায় অনুভব করি বা না করি, জীব-জন্তু আমরা অনেকেই কম-বেশি ভালোবাসি। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে আইনও আছে। কিন্তু এই আইনের ফাঁক-ফোকরও রয়েছে বিস্তর। আইন থাকা সত্ত্বেও তাই কখনও গর্ভবতী হাতি হত্যা, কখনও বা কৃষ্ণসার হরিণকে মারা চলতে থাকে অবাধে। চোরাশিকার তো আমাদের দেশে বহুদিন ধরেই ক্রনিক ব্যাধির মতো। আজ আমাদের দেশের এই 'খান'দানি কথা বাদ দিয়ে বরং নিউজিল্যান্ডের কথা বলা যাক, যে দেশ ২০১৫ সালে সমস্ত প্রাণীকেই 'সংবেদনশীল' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রাণীকল্যাণে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।

নিউজিল্যান্ড সরকার ‘প্রাণীকল্যাণ আইন’ সংশোধন করে আনুষ্ঠানিকভাবে সমস্ত প্রাণীকে 'সংবেদনশীল' ঘোষণা করেছে। আইনটিতে বলা হয়েছে, ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাণীর দেখভাল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই করবেন। যত্ন-আত্তিতে খামতি থাকলে শাস্তি ভোগ করতে হবে মালিককে। ‘কিউয়ি’-দের কাছে পোষ্য হিসেবে বিড়ালের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে এই বিড়াল প্রতিপালনের ওপরেও রয়েছে নানা বাধ্যবাধকতা। পোষ্য বিড়ালের প্রতি অবহেলা করলে রয়েছে জরিমানার ব্যবস্থা। বন্দি অবস্থায় কোনও প্রাণীহত্যা সে দেশের আইনে উল্লেখযোগ্য অপরাধ।

২০১৫ সালের বিলে নিউজিল্যান্ড প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষার জন্য প্রাণীদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। বিলটি আরও কার্যকর করার জন্য নিম্ন-মধ্য-মাঝারি পর্যায়ের অপরাধের ক্ষেত্রে পেনাল্টি স্কিমের কথা বলা হয়েছে৷ নিউজিল্যান্ডের ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. স্টিভ মার্চেন্ট বলেছেন, 'প্রাণীকল্যাণের প্রতি আমরা জাতি হিসেবে সামগ্রিকভাবেই যত্নবান হচ্ছি। এই বিলটিতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।' ২০১৩ সালের মে মাসে প্রাথমিক শিল্পমন্ত্রী নাথন গাই এই বিলটি সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন। এই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আতসবাজির ওপরেও নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। কারণ, সাধারণ লোক আতসবাজির প্রদর্শন উপভোগ করলেও অনেক সময় পশু-পাখিরা গুরুতর ভাবে আহত হয়।

আসলে মানবেতর প্রাণীদের সংবেদন মানুষের মতো জটিল বা বহুস্তরীয় না হলেও তাদেরও নিজস্ব সংবেদন রয়েছে। নিজেদের এবং নিজেদের আশেপাশের পরিবেশ নিয়ে তারা নিজেদের মতো করে সচেতন। তাদের মধ্যে রয়েছে আত্মসচেতনতার বিভিন্ন ধাপ। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, মানবেতর প্রাণীদেরও অবচেতন মন থাকে। অগণিত স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে সচেতন বা অবচেতনে আবেগ, সহানুভূতি ইত্যাদি আছে। নিউজিল্যান্ড প্রাণী-মনস্তত্ত্বকে গুরুত্ব দেবার চেষ্টা করছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। অন্যান্য দেশে এমন উদ্যোগ দেখা যাবে কি?

[সূত্র : www.the-open-mind.com]

#Animal Psychology #Animal Sentiment #Animal Welfare #The Animal Welfare Amendment Bill #New Zealnd #প্রাণী সংবেদন #প্রাণচক্র #সচেতনতা #Awarness #টিম সিলি পয়েন্ট

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

20

Unique Visitors

219129