বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মারি-অ্যানে ল্যাভয়সিয়ে: আধুনিক রসায়নের বিস্মৃত জননী

অর্পণ পাল Dec 14, 2021 at 3:23 am বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

আধুনিক কালে মেয়েরা পুরুষদের পাশাপাশি বিজ্ঞানচর্চায় যথেষ্ট স্বাভাবিকভাবে হাত লাগালেও এমনটা মোটেই সহজ ছিল না অতীতে। হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র মহিলাদেরকেই আমরা এগিয়ে আসতে দেখি, যাঁরা সমস্ত সামাজিক বা পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় বিজ্ঞানচর্চায় যুক্ত হতে পেরেছিলেন। এঁদের মধ্যে শুরু করতে হয় বোধ করি অতীতের ইজিপ্টের হাইপেশিয়াকে দিয়ে। এরপরে আঠেরো শতকে এসে পাই এমিলি দু শেটেলে-কে। আর তাঁরই বছর কয়েক পরে আমাদের নজরে আসেন আরও একজন, মারি-অ্যানে পলজি ল্যাভয়সিয়ে (Marie-Anne Paulze Lavoisier, ২০ জানুয়ারি ১৭৫৮ - ১৮৩৬)।

তাঁকে বলা হয় ‘মাদার অব মডার্ন কেমিস্ট্রি’। পদবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আন্তনি লরেন্ট ল্যাভয়সিয়ে-র (১৭৪৩-১৭৯৪)। হ্যাঁ, তিনি ছিলেন ফরাসি বিজ্ঞানী আন্তনি-র স্ত্রী। মাত্র তের কি চোদ্দ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয় পনেরো বছরের বড় আন্তনি ল্যাভয়সিয়ে-র সঙ্গে। এই আন্তনি, যিনি পরিচিত ছিলেন ‘ফাদার অব মডার্ন কেমিস্ট্রি’ হিসেবে, নিঃসন্দেহে আধুনিক রসায়নবিদ্যার বিরাট মাপের বিজ্ঞানী। ১৭৮৯-এ তাঁর লেখা ‘Elementary Treatise on Chemistry’ বইটি সে আমলে দারুণ খ্যাতি পেয়েছিল, অক্সিজেনের প্রকৃত স্বরূপও তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন। দহন আর শ্বসন যে একই ধরনের বিক্রিয়া, এটাও তাঁর আবিষ্কার। তা ছাড়া ভরের নিত্যতা সূত্রও তাঁর আবিষ্কার। কিন্তু তাঁর বৈজ্ঞানিক কাজকর্মের আড়ালে যাঁর সক্রিয় সাহায্য ছিল সবচেয়ে বেশি, তাঁর উল্লেখ খুব বেশি কিছু পাওয়া যায় না বিজ্ঞানের ইতিহাসে। বিজ্ঞানচর্চায় মেয়েদের অংশগ্রহণ নিয়ে যে কোনও আলোচনায় মারি-অ্যানে অবশ্যই স্মরণীয়। 

মাত্র তিন বছর বয়সে মা-হারানো মারি-অ্যানেকে তাঁর বাবা পাঠিয়ে দেন এক কনভেন্টে, যেখানে টানা দশ বছর তিনি শেখেন গণিত, অঙ্কন, সংগীত, ইতিহাস, ভূগোল; হাতের লেখারও অভ্যেস চালু হয় এখানেই। বিয়ের আগে কনভেন্ট স্কুলের এই প্রাথমিক পড়াশুনো করবার সুযোগই তাঁর জীবনের পরবর্তী কর্মকাণ্ডে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। পড়াশুনোয় দারুণ মেধা ছিল তাঁর, পাশাপাশি ছিল উচ্চাশা। সুতরাং বিয়ের পরে তিনি যে স্বামীর কাজ নিয়ে উৎসাহিত হয়ে পড়বেন এবং সে কাজে নিজেকেও যুক্ত করে ফেলবেন, এটাও স্বাভাবিক। স্বামীর উৎসাহেই নিশ্চয়ই, মারি-অ্যানে রসায়নবিদ্যায় বেশ কিছুটা শিক্ষাও লাভ করলেন আন্তনির এক সহকর্মী জাঁ ব্যাপ্তিস্তে বুকুয়েত-এর থেকে। বাড়িতে প্রতি সপ্তাহে আসতেন শহরের বড় বড় সব বিশিষ্ট ব্যক্তি, স্বামীর সঙ্গে তাঁদের কত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা! মারি-অ্যানে তো সেসব শুধু বাইরে থেকে দেখবার পাত্রীই নন, সুতরাং তিনিও আস্তে আস্তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে উঠলেন ওই বৃত্তের। এমনকি স্বামীর গবেষণায় আর্থিক সাহায্য যাতে আসে, সেদিকেও ছিল তাঁর নজর, নানা সময় শিল্পপতিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তিনি স্বামীর জন্য আর্থিক সাহায্যের বন্দোবস্তও করে দিয়েছেন। 

আন্তনির সঙ্গে যখন অক্সিজেনের প্রস্তুতি নিয়ে বিতর্ক বাধে জোসেফ প্রিস্টলে-র, তখন তার পিছনেও ছিল মারি-অ্যানের ভূমিকা; তিনিই স্বামীর জন্য প্রিস্টলির লেখাপত্র ইংরেজি থেকে ফ্রেঞ্চে অনুবাদ করে দিতেন। আন্তনি ভালো ইংরেজি জানতেন না, মারি-অ্যানে ইংরেজি শিখেছিলেন ভালো করে, যাতে অনুবাদ করতে কোনও অসুবিধা না হয়। শুধু প্রিস্টলেরই বা কেন, তিনি অনুবাদ করে দিতেন অন্যদের লেখাপত্রও, যার মধ্যে বলা উচিত হেনরি ক্যাভেন্ডিশ-এর নামও। সে আমলে প্রচলিত ফ্লোজিস্টন মতবাদকে (তখন ব্রিটেনে মনে করা হত যে দাহ্য বস্তু থেকে দহনের সময় ফ্লোজিস্টন নামে এক স্বাদহীন, অদৃশ্য এবং ওজনহীন অংশ বেরিয়ে যায়, ফলে বস্তু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই তত্ত্ব মানলে জারণে বস্তুর ওজন কেন বৃদ্ধি পায় সে ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব, কিন্তু আরও অনেক কিছুর ব্যাখ্যা মেলে না, যে কারণে পরে এই তত্ত্ব পরিত্যক্ত হয়। প্রিস্টলে এই তত্ত্বে আস্থা রাখতেন) ভ্রান্ত প্রতিপন্ন করতে এই অনুবাদ-কাজগুলো খুব সাহায্য করেছিল ল্যাভয়সিয়ে-কে। যেমন তাঁর একটি অনুবাদকর্মের নাম ‘Essay on Phlogiston and the Constitution of Acids’, যার লেখক আইরিশ ভূতত্ত্ববিদ ও রসায়নবিদ রিচার্ড কিরওয়ান (Richard Kirwan, ১৭৩৩-১৮১২)। রয়্যাল সোসাইটির ফেলো কিরওয়ানের লেখা এই বইটি প্রকাশিত হয় ১৭৮৭ সালে। ফ্লোজিস্টন তত্ত্বের এক বড় সমর্থক কিরওয়ানের এই বইটি ওই তত্ত্বেরই স্বপক্ষে লেখা। কিন্তু বইটি পড়বার পর ল্যাভয়সিয়ে এই তত্ত্বের অনেক ত্রুটি খুঁজে পান, এবং তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই বছর কয়েক বাদে কিরওয়ান এই তত্ত্বে বিশ্বাস মুছে ফেলতে বাধ্য হন। 

আসলে তখন ফ্রান্সের চেয়ে ব্রিটেনেই এই ধরনের গবেষণা করতেন অনেক বেশি মানুষ। মূলত শ্বাসকাজে লাগে এমন গ্যাস নিয়ে কাজকর্ম নিয়ে ওখানে মেতে ছিলেন জোসেফ প্রিস্টলে, যিনি অক্সিজেন গ্যাসকে মুক্ত করবার ব্যবস্থা আবিষ্কার করবার জন্য বিখ্যাত। আর ছিলেন জোসেফ ব্ল্যাক, ইনি কাজ করতেন স্কটল্যান্ডে। ছিলেন হেনরি ক্যাভেন্ডিশও। হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন মিলিত হয়েই যে জল তৈরি হয়, বা অন্যভাবে বললে জল যে আসলে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের মিশ্রণেই তৈরি, এটা হেনরিই সবচেয়ে বড় অবদান। এই হেনরি ক্যাভেন্ডিশেরই এক বংশধর উইলিয়াম ক্যাভেন্ডিশ এর অর্থসাহায্যে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনরির সম্মানে তৈরি হয় ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবরেটরি, যেখানে কাজ করে নোবেল পেয়েছিলেন জোসেফ জন থমসন, আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, আর্থার কম্পটন বা ফ্রান্সিস ক্রিক-এর মতো বহু বিজ্ঞানী। মারি-অ্যানের ইংরেজি জ্ঞান এই সব বিশিষ্ট রসায়নবিদদের কাজকে হাজির করে দিয়েছিল আন্তনির সামনে। সব মিলিয়ে তিনি যথার্থভাবেই হয়ে উঠেছিলেন আন্তনির ‘সেক্রেটারি, পাবলিসিস্ট এবং ট্রাস্টেড ইন্টেলেকচুয়াল কমপেনিয়ন’।

মারি-অ্যানের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বইয়ের অলংকরণ এবং খোদাই কর্মে স্বামীকে সাহায্য করা। ল্যাভয়সিয়ে রসায়নের যা কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করতেন, সে সবেরই একটা মুখ্য বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর যন্ত্রপাতি নিয়ে নানারকম রাসায়নিক নিয়ে বিক্রিয়া ঘটানো আর সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির সাহায্যে সেসব পরিমাপ করা। যেমন ভরের নিত্যতা সূত্র প্রমাণ করবার সময় তিনি বিক্রিয়ার আগে এবং পরে বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থদের ভর মেপে মেপে দেখতে হয়েছিল তাঁকে। সুতরাং ভরের সামান্য তফাৎ বুঝতে গেলে তাঁর অবশ্যই দরকার ছিল ভর পরিমাপের সূক্ষ্ম তুলাযন্ত্র। আর মারি-অ্যানের কাজ ছিল এই সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষার যন্ত্রপাতিগুলোকে যথাযথভাবে এঁকে ফেলা। আন্তনি ল্যাভয়সিয়ে-র সেই বিখ্যাত ‘এলিমেন্টারি ট্রিটিজ অন কেমিস্ট্রি’ বইয়েই ছিল এরকম তেরোটি পাতা জোড়া ছবি, যেগুলো এঁকেছিলেন বা খোদাই করে তৈরি করেছিলেন মারি-অ্যানেই। যন্ত্রপাতির ছবিই শুধু আঁকলে চলে না, দরকার থাকে সেগুলোর বিভিন্ন অংশকে চিহ্নিত করা, বা যাকে বলে মার্কিং করা। এসব কাজে মারি-অ্যানের দক্ষতা ছিল অসামান্য। তিনি ছবি আঁকা শিখেছিলেন জাকুই লুই দাভিদ (Jacques Louis David, ১৭৪৮-১৮২৫) নামে সে আমলের এক বিখ্যাত আঁকিয়ের কাছে, যিনি নিজেও ল্যাভয়ঁসিয়ে দম্পতির একটি চমৎকার ছবি এঁকেছিলেন (প্রচ্ছদ দ্রষ্টব্য)। দাভিদ সাহেব নিজে ছিলেন দক্ষ অনুবাদক এবং বিজ্ঞান-লেখাপত্রের সম্পাদকও। 


[রসায়নাগারে অক্সিজেন কীভাবে শোষিত হয় তা নিয়ে মারি-অ্যানে ল্যাভয়সিয়ে-র নিজের আঁকা একটি ছবি। মারি-অ্যানে বসে আছেন একেবারে ডান দিকে।]


স্বামীর পাশে গবেষণাকর্মে সারাক্ষণ থাকলেও তাঁর প্রতি সদা বিশ্বস্ত থাকেননি মারি-অ্যানে। স্বামীর ব্যস্ততার জন্যই হয়তো, আর এক ইউরোপীয় মহিলা-বিজ্ঞানী এমিলি দু শেটেলে-র মতোই তিনিও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন পিয়ের স্যামুয়েল দু পঁ (Pierre Samuel du Pont de Nemours, ১৭৩৯-১৮১৭) নামে এক ধনী অর্থনীতিবিদের সঙ্গে। আন্তনি ব্যাপারটা জানতেন নিশ্চয়ই, কিন্তু বিশেষ কাদা ঘাঁটতে যাননি। তবে এ সম্পর্ক শেষ অব্দি নষ্টই করে দিয়েছিলেন মারি-অ্যানে। একদিক থেকে বলতে গেলে আধুনিক আমেরিকার গঠনে মারি-অ্যানের ভূমিকাও রয়েছে। ফরাসি বিপ্লবের সময় এই দু পঁ যখন পালিয়ে গেলেন আমেরিকায়, আর সেখানে গিয়ে দৃঢ় মতামত দিলেন, স্পেনের হাত থেকে সদ্য ছিনিয়ে আনা লুইসিয়ানা এলাকাকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া উচিত। কয়েক বছর পরে ফ্রান্সে পটবদলের পর মারি-অ্যানের বারংবার ডাকে অবশ্য দু পঁ ফিরে আসেন এবং নেপোলিয়নের রাজত্বে বেশ উঁচু পদ পেয়েছিলেন। নেপোলিয়নকে তিনিই বুঝিয়েসুঝিয়ে আমেরিকার ওই এলাকাটিকে বিক্রি করতে বাধ্য করেছিলেন। 

মারি-অ্যানের জীবনে কিন্তু দুঃখের দিন নেমে এল শিগগিরি। এসে গেল ফরাসি বিপ্লবের সেই অন্ধকার কাল। বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটল ১৭৮৯-এর ১৪ই জুলাই, এবং এর কিছু পরে সে দেশের উঁচু পদে থাকা সরকারি কর্মচারী বা বিত্তবানদের ওপর শুরু হল অত্যাচার। আন্তনি ল্যাভয়ঁসিয়ে ছিলেন কর আদায়ের ব্যাপারে এরকমই এক কর্তাব্যক্তি। 

গোটা একটা নক্ষত্র সম্প্রদায় আবিষ্কার করেও নোবেল-উপেক্ষিতা জোসেলিন বার্নেল / অর্পণ পাল 

বন্দি করে রাখা হল আন্তনিকে। আর তখন বাইরে থেকে স্বামীকে বাঁচাবার জন্য যা যা করতে হয়, করতে কার্পণ্য করেন নি মারি-অ্যানে। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বামীর স্বপক্ষে সমর্থন জোগাড় করা, বা অর্থব্যয় করা, সবই ব্যর্থ হয়। নিজের চোখের সামনে তিনি স্বামীকে দেখেন চাপানো হচ্ছে গিলোটিনে, তখন মারি-অ্যানের বয়স মাত্র ছত্রিশ। তাঁকেও বন্দি করে রাখা হয়েছিল বেশ কিছুদিন। তবে আন্তনিকে হত্যা করবার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। 

জিনিয়াস এক গণিতজ্ঞ এবং... / অর্পণ পাল 

আন্তনির মৃত্যুর পর দায়িত্ব বেড়ে যায় মারি-অ্যানের। স্বামীর রেখে যাওয়া গবেষণার কাজকর্মের বিবরণ গুছিয়ে লিখে তিনি আট খণ্ডে প্রকাশ করেন ‘Memoires de Physique et chimie’ বইটি। স্বামীর অসমাপ্ত কাজকে এইভাবে অক্লান্ত পরিশ্রমে সমাপ্ত করবার নজির খুব বেশি মেলে না বিজ্ঞানের ইতিহাসে। স্বামীর পাশে থেকে গোটা জীবন তাঁর কাজে আদর্শ সহকারী হয়ে নিজেকে মিলিয়ে দেওয়া, এমনটাই বা খুব বেশি বিজ্ঞানীদের বেলা আমরা দেখতে পাই কি? 

বিধবা নারী মারি-অ্যানে চালাতেন এক সালোঁ। যেখানে আসতেন বিশিষ্ট সব মানুষেরা, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন বা জেমস ওয়াট যেমন। এটাও বলা দরকার, মারি-অ্যানে প্রয়াত স্বামীর অসমাপ্ত কাজকে হাজির করতে পরিশ্রম করবার পাশাপাশি আরও একটি বিয়ে করে নিয়েছিলেন। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর দশ বছর পর তিনি বিয়ের জন্য বেছে নিলেন ব্রিটিশ-আমেরিকান বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার বেঞ্জামিন থমসন-কে (উপাধি কাউন্ট রামফোর্ড)। যদিও এই বিয়ে তিন বছরের বেশি টেকেনি। তবে দ্বিতীয়বার বিয়ে করবার পরেও মারি-অ্যানে নিজেকে মাদাম ল্যাভয়সিয়ে হিসেবেই পরিচয় দিতেন। দীর্ঘ জীবন তিনি কাটিয়েছিলেন পৃথিবীতে, আটাত্তর বছর বয়সে ১৮৩৬ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি মারা যান প্যারিসে। 

********** 

#ল্যাভয়সিয়ে #কেমিস্ট্রি #রসায়ন #বিজ্ঞান #অক্সিজেন #ফরাসি বিপ্লব #মারি-অ্যানে #মহিলা বিজ্ঞানী #বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি #অর্পণ পাল #সিলি পয়েন্ট #বাংলা পোর্টাল #ওয়েবজিন #web portal

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

53

Unique Visitors

182971