জেলিফিশেই লুকিয়ে অমরত্বের চাবিকাঠি : সাম্প্রতিক আবিষ্কারে চাঞ্চল্য
আমাদের পুরাণে অমৃতের উল্লেখ আছে। বিজ্ঞানও বহুকাল ধরে এই ম্যাজিকের সন্ধানে মাথা কুটেছে। সেই খোঁজ কি অবশেষে সফল হতে চলেছে? তা-ও আবার জেলিফিশের সৌজন্যে? ‘প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণা তা-ই বলছে।
ড. কার্লোস লোপেজ ওটিনের নেতৃত্বে ওভিয়েডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জেলিফিশের অনন্য বৈশিষ্ট্য খুঁজতে তার জিন ম্যাপিং করেছেন। আর তাতেই জেলিফিশের মৃত্যুকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতার কারণ তাঁরা জানতে পেরেছেন। 'টারিটোপসিস ডোরনি' নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, মৃত্যুকে জয় করার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে তাদের জিনের মধ্যেই। ইচ্ছেমতো নাকি বয়স কমিয়ে ফেলতে পারে এই অমেরুদণ্ডী জলজ প্রাণীটি। কিন্তু কীভাবে?
গবেষকরা খেয়াল করেছেন, টারিটোপসিস ডোরনি প্রজাতির জেলিফিশের জিনোমে অবস্থি টেলোমের ক্ষয় হয় না। ফলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিংবা কোষ-বিভাজনেও প্রভাব পড়ে না কোনো। বার্ধক্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, রোগভোগকে উপেক্ষা করে দিব্যি বছরের পর বছর তারুণ্য উপভোগ করতে পারে এই জেলিফিশ। একমাত্র অন্য প্রাণীর আক্রমণ বা দুর্ঘটনার শিকার হলে তবেই মৃত্যু হয় তাদের। ক্রোমোজোমের শেষ দুই প্রান্ত টেলোমিয়ার অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। ফলে তার জীবনচক্রে ডিএনএ কখনওই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই টেলোমিয়ারের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে। ফলে বার্ধক্য ও মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে মানুষ। এবার নতুন আবিষ্কৃত এই সূত্র থেকে মানুষকে অমরত্বের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া যায় কিনা, সেটাই দেখার।
......................
#Jellyfish #Immortality