দক্ষিণ আফ্রিকায় চাকরি করে হাঁসেরাও
পুলিশ বিভাগে কুকুরের চাকরি বা বনবিভাগে হাতির চাকরির কথা আমরা অনেকেই জানি। রীতিমতো ঈর্ষণীয় বেতনও পায় তারা। কিন্তু হাঁসেরাও যে চাকুরে হতে পারে এ ভাবনা অনেককেই অবাক করবে নিশ্চয়ই। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের আঙুরখেতে দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকে হাঁসেদের ওপরেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি বড় আয়ের উৎস হল ওয়াইন উৎপাদন। সেজন্যই কেপ টাউনের ওয়াইন এস্টেট ভেরজেনোয়েড লো-তে ‘ইন্ডিয়ান রানার ডাক’ প্রজাতির হাঁসেদের ব্যবহার করা হয় কৃষিক্ষেত্রে। হাঁসেদের আসল কাজটা কী? আসলে এই খেতগুলোয় কোনোরকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। কীটপতঙ্গের উৎপাত এড়াতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করেছেন মালিকরা। প্রতিদিন সকাল হলেই ভাইন ইয়ার্ডে নামানো হয় হাঁসের ব্যাটেলিয়ন। তারাই মাটি থেকে খুঁজে খুঁজে কীটপতঙ্গ, কৃমি, শামুক খেয়ে রক্ষা করে খেত। তাছাড়া তাদের মল-মূত্রই সারের কাজ করে। সব মিলিয়ে এই খেতগুলোয় হাজার পাঁচ-ছয়েক হাঁস পাহারাদারির কাজ করে। বছরে একবার মাসখানেকের লম্বা ছুটিও পায় তারা। সেটা মেলে ফসল কাটার মরশুমে। এ-সময় বোনাসও পায় তারা। খেতের সেরা আঙুরের একাংশ বরাদ্দ করা হয় তাদের জন্য।হাঁসেদের এই কর্মক্ষেত্র পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
.......................
#duck #vineyard