১২২ তম জন্মবার্ষিকীতে 'সান কুইন' মারিয়া টেলকেসকে বিশেষ ডুডলে সম্মান গুগলের
বিকল্প শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি নিয়ে আজ যে এত আলাপ-আলোচনা ও উদ্যোগ গ্রহণ চলছে, তার নেপথ্যে রয়েছেন তিনিই। তাঁকেই বলা চলে সৌরশক্তির পথিকৃৎ। তিনি মারিয়া টেলকেস (Mária Telkes)। গত ১২ ডিসেম্বর তাঁর ১২২ তম জন্মবার্ষিকীতে গুগল তাঁকে সম্মান জানাল বিশেষ একটি ডুডলের মাধ্যমে।
মারিয়া টেলকেসের জন্ম ১৯০০ সালে হাঙ্গেরিতে। ১৯২৫ সালে কাজের সূত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যান এবং বায়োফিজিসিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে সেখানের নাগরিকত্বও নেন। সৌরশক্তি নিয়ে তাঁর গবেষণা চারের দশক থেকে সাড়া ফেলতে শুরু করে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীমহলে। স্থপতি এলিনর রেমন্ডের (Eleanor Raymond) সঙ্গে টেলকেসের যৌথভাবে একটি সৌর-তাপিত বাড়ি বানান, যাতে প্রতিদিন সূর্যালোক সঞ্চয় করে রাখার ব্যবস্থা ছিল এবং তা দিয়েই চলত বাড়ি উষ্ণ রাখার কাজ। বাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছিল 'ডোভার সান হাউজ'। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি তৈরি করেছিলেন 'সোলার ডিসটিলার' নামে একটি অভিনব যন্ত্র, যা সমুদ্রের নোনা অ-পেয় জলকে পরিণত করতে পারে পানীয় জলে। তাছাড়াও সোলার ওভেন সহ সৌরশক্তি-চালিত একাধিক দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসও তৈরি করেন তিনি। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-তে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০ টিরও বেশি পেটেন্ট রয়েছে তাঁর নামে। ১৯৫২ সালে তিনি জিতেছিলেন Society of Women Engineers Achievement Award। এই সম্মানের প্রথম প্রাপ্রক তিনিই। ১৯৯৫ সালে ৯৪ বছর বয়সে মারিয়ার মৃত্যু হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির বিপ্রতীপে বিকল্প শক্তির গুরুত্ব যত বাড়বে, ততই বাড়বে মারিয়ার মতো গবেষকদের নিয়ে আলোচনা।
........................