চারটি কবিতা ।। ফিয়োদর তুৎচেভ
রাশিয়ায় যাঁর কবিতা সবচেয়ে বেশি মুখে মুখে ফেরে, তিনি তুৎচেভ। মূলত লিখেছেন ‘অকেশনাল পোয়েট্রি’ বা উদ্যাপনকালীন কবিতা, অনুবাদ ও রাজনৈতিক কবিতা। তাঁর কাব্য হারিয়েই গিয়েছিল, রুশ প্রতীকবাদী বা সিম্বলিস্টদের হাত ধরে ফিরে আসে। এবং, রুশ সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে স্বীকৃতি পান তিনি। এখানে তাঁর চারটি কবিতার বঙ্গানুবাদ করা হলো। সব কটিই শিরোনামহীন, অতএব সংখ্যাচিহ্নিত।
১.
গ্রামে গ্রামে শুধু রিক্ততা, হাহাকার;
শংকর তাঁর কদর্য রূপে কেন
এসেছেন আজ! না-পাওয়াই শুধু সার,
গরিব-দুঃখী মাতৃভূমিটি যেন।
বহিরঙ্গের আবরণে যার চোখ
দেখার ক্ষমতা আছে তার এতটুকু?
তুমি উলঙ্গ। তাই তো তোমার রোখ
কোনায় কোনায় ঝলমল করে মুখ।
ভৃত্যের বেশে, স্বর্গের যিনি রাজা
একটু নিম্নে হাঁটতে এলেন মাঝে,
এপার ওপার বিশ্বের অর্ধেক,
আশীর্বাদেই মাতৃভূমিটি সাজে।
২.
মগজ দিয়ে যায় না তাকে ধরা
আঁটবে না সে একঢালা বাক্সেও,
নামটি তাহার: রুশদেশ, রুশদেশ।
পারো যদি তবে বিশ্বাসে রেখে যেও
৩.
আমরা জানি না ভবিষ্যৎ,
আমার কথার কথা
অনুভূতি আর দৈবীপথ
রহস্যে মোড়া— যথা।
৪.
আমার কিচ্ছু নেই নেই নেই যেন
স্বাস্থ্য, ইচ্ছা, নিদ্রা বা সুবাতাস।
শুধু তুমি আছ, দেবতার ইচ্ছায়
প্রতিশোধে তার প্রার্থনাটুকু আশ।
★ দ্বিতীয় কবিতার পাঠান্তর
বিস্ময়ে সে যে চমকেও দিতে পারে
তবু, সকলের কাছে পড়বেই না তো ধরা।
বিচিত্র তার রকমসকম বড়ো
তাই, বিশ্বাসই এক পন্থা যত্নে গড়া।