সবার জন্য বই : 'লিটল ফ্রি লাইব্রেরি' শাখা খুলছে সারা দুনিয়ায়
ছোট্ট একটা গুমটি। তাতে ধরবে কয়েকশো বই। সমবায় ভিত্তিতে চলবে বইয়ের আদানপ্রদান। ছোট এমন একটা লাইব্রেরি হাতের কাছে পেলে মন্দ কী? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার অলাভজনক সংস্থা 'লিটল ফ্রি লাইব্রেরি' এই ছকেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে চাইছে অজস্র ছোট ছোট বইঘর।
এই মুহূর্তে মোট একশো কুড়িটি দেশে রয়েছে এমন খুদে লাইব্রেরি। টড বল (Todd Bol) ও রিক ব্রুকস (Rick Brooks) প্রাথমিকভাবে এই ধরনের লাইব্রেরি বানানো শুরু করেন। ২০০৯ সালে তৈরি হয় প্রথম লিটল ফ্রি লাইব্রেরিটি। ২০১২ সালে আইনের সিলমোহর পায় সংস্থা। শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগায় এই উদ্যোগ। খুব কম সময়েই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে। এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে এখন সব মিলিয়ে এঁদের নথিভুক্ত লাইব্রেরির সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বই আদানপ্রদানের জন্য প্রতি বছর সুচিন্তিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পিছিয়ে পড়া এলাকায় বই পৌঁছে দেবার নানা অভিনব পন্থা নেন তাঁরা। Action Book Club নামে একটি উদ্যোগে সবাই মিলে বসে বই পড়ার ব্যবস্থা থাকে। রয়েছে লাইব্রেরিতে বই দান করার ব্যবস্থা। যে-কেউ নিজের উদ্যোগে এমন খুদে লাইব্রেরি তৈরি করে নিজেদের নথিভুক্ত করতে পারেন এই সংস্থার সঙ্গে। এই সংস্থা ২০২২ সালে নিজেদের অ্যাপ তৈরি করেছে, যাতে আগ্রহীরা বিভিন্ন অঞ্চলের লাইব্রেরি সহজে খুঁজে পান।
.....................
#Little Free Library #Book Exchange #public bookcase