'ষষ্ঠ মহাসাগর' রয়েছে ভূপৃষ্ঠের তলদেশেই, দাবি গবেষকদের
এ যেন জুলে ভার্নের ১৮৬৯ সালে লেখা 'Journey to the Center of the Earth'উপন্যাসেরই সত্যি হয়ে ওঠা। নতুন একটি মহাসাগরের হদিশ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছেন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানীরা। তবে পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরিভাগে নয়, এই মহাসাগর রয়েছে পৃথিবীপৃষ্ঠের তলদেশে। গত মাসে‘নেচার জিওসায়েন্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রটি আলোড়ন ফেলেছে বিজ্ঞানীমহলে।
পৃথিবীর মহাসাগরের তালিকায় গত বছর যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ মহাসাগর। দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে থাকা জলরাশিকে পৃথিবীর পঞ্চম তথা ‘দক্ষিণ মহাসাগর’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবার আরও একটি মহাসাগর এবার গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের স্বীকৃতির অপেক্ষায়। গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক ব্রেঙ্কারের নেতৃত্বাধীন গবেষক দলের দাবি, ভূপৃষ্ঠের ৪০০ থেকে ৬৬০ কিলোমিটার নিচে, পৃথিবীর আপার ও লোয়ার ম্যান্টলের মধ্যবর্তী অংশের Transition zone (TZ)-এ লুকিয়ে রয়েছে প্রকাণ্ড এক জলের ভাণ্ডার। এই জলভাণ্ডারকেই তাঁরা বিশ্বের ষষ্ঠ মহাসাগর বলে অভিহিত করছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, এই জলভাণ্ডারের আয়তন নাকি ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত আমাদের পরিচিত পাঁচ মহাসাগরের সম্মিলিত আয়তনের প্রায় তিনগুণ। বৎসোয়ানা থেকে পাওয়া একটি হিরের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এই আশ্চর্য জলভাণ্ডারের হদিশ মিলেছে। হিরেটি তৈরি হয়েছিল ভূগর্ভের প্রায় ৪০০ মাইল গভীরে। এই হিরের গায়ের কিছু চিহ্ন থেকেই গবেষকেরা প্রথম এক বিরাট জলভাণ্ডারের অস্তিত্ব অনুমান করে তার খোঁজ শুরু করেন। ভূপৃষ্ঠ ও ভূকেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে অজস্র স্তর। এইসব স্তরের মাঝে কোথাও জল সঞ্চিত আছে কিনা, এ তর্ক বহুকালের। গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা এই তর্কে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।
গবেষকদের দাবি, পেরিডট নামের একটি বিশেষ খনিজের উপস্থিতির জন্যই এই জলভাণ্ডার সঞ্চিত হয়েছে। উচ্চ জলধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই খনিজের। অবশ্য আন্তর্জাতিক মহলে সমস্ত বিজ্ঞানী যে এখনই এই ষষ্ঠ মহাসাগরের এই অস্তিত্ব মেনে নিচ্ছেন, এমন নয়। 'ষষ্ঠ মহাসাগর' আদৌ আমাদের পরিচিত পাঁচ মহাসাগরের সঙ্গে একই তালিকায় জায়গা পাবে কিনা, তা ভবিষ্যতের গবেষণাই বলবে।
.......................
ঋণ : nerdist.com, outlookindia.com
#SIXTH OCEAN #Underground Ocean #New Study #silly পয়েন্ট