“ফিরে এস, আমার স্বপ্নের কলকাতা” : কলকাতা-৩০০’র বর্ণময় বিজ্ঞাপন
“রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এক ঘেসাড়া। নবাগত সাহেব তাকে দেখতে পেয়ে প্রশ্ন করলেন, ওহে, এ জায়গাটার নাম কি? চাষাভুষো মানুষ। ইংরেজিতে মা-গঙ্গা। সে ভাবলে সাহেব বুঝি তাকে প্রশ্ন করছে ওই ঘাস কবে কাটলে? সে তাই সাহেবকে জবাব দিলে, আজ্ঞে কালই কাটা। সাহেব অমনি পকেট থেকে ডাইরী খুলে গোটা গোটা করে লিখে নিলেন জায়গাটার নাম, কাল কাট্টা অর্থাৎ Calcutta।”১
কলকাতা শহরের নাম ঠিক কী কারণে কলকাতা হল, সে নিয়ে গবেষকদের মধ্যে নানান মতান্তর আছে, উপরের কাহিনিটিরও তেমন বাস্তব ভিত্তি আছে বলে এ বইয়ের লেখকই মনে করেন না, তবু, গল্পটি এমন মজাদার যে এই উদ্ধৃতি দিয়েই লেখা শুরু করা গেল। কলকাতা নামটির মধ্যেই এমন মনভোলানো এক আনন্দ লুকিয়ে থাকে, সে কারণেই এ লেখায় বিষয় করলুম কলকাতাকেই। সেদিনের সেই সদ্যোজাত যখন তিনশো বছরের হলেন, সেসময়ে সংবাদপত্রে বা নানান দেশীয় পত্রিকায় তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে নানান প্রবন্ধ, স্মৃতিচারণা বা গবেষণাধর্মী লেখার সঙ্গে বেরিয়েছিল এসবের খুব ঘনিষ্ঠ কিছু মনোগ্রাহী বিজ্ঞাপন, আমি বরঞ্চ, তারই কয়েকটিকে বেছে নিয়ে তাদের গল্প বলি। ১৬৯০কে কলকাতার জন্মসাল ধরলে ১৯৮৯-৯০, এ সময়টিতে তার তিনশো হয়। বিজ্ঞাপনগুলি সেই বছরেরই।
“১৬৯০, ২৪ অগাস্ট। রবিবার । বাংলাদেশে তখন ঘোর বর্ষাকাল।
সুতানুটিতে তৃতীয়বার ভিড়ল চার্নকের জাহাজ। লগ্বুকে নিজের হাতে লিখলেন।
‘অগাস্ট ২৪, ১৬৯০। এই দিনেই সাঁকরাইলে ক্যাপ্টন ব্রুককে নির্দেশ দিলাম তাঁর জাহাজ নিয়ে সুতানুটিতে চলে আসতে, সেখানে আমরা পৌঁছোলাম মধ্যাহ্নে, কিন্তু দেখলাম সেখানকার অবস্থা শোচনীয়, আমাদের বসবাসের জন্যে কিছুই অবশিষ্ট নেই কোনোখানে, বৃষ্টি পড়েই চলেছে সারা দিন রাত...”২
সেই ঘনঘোর বর্ষার দিনটির কথা ভাবলে আজকে আমাদের দিব্যি শিহরন হলেও সেসময় জোব চার্নকের ভোগান্তি যে কম হয়নি তা আন্দাজ করা যায়। আজকের দিনে বৃষ্টি আর কী এমন ব্যাপার, শুধু ছাতায় যদি কাজ না হয়, গায়ে একটা ওয়াটারপ্রুফ চাপিয়ে নিলেই হয়। কিন্তু সেসময় যে ‘ডাকব্যাক’ ছিল না। ১৯২০ সালে সুরেন্দ্রমোহন বসু স্থাপন করলেন ডাকব্যাক। আর তারই গল্প লিখে বেঙ্গল ওয়াটারপ্রুফ লিমিটেড বানাল বিজ্ঞাপন, যার মাধ্যমে খবরের কাগজের রাজনীতিবিহ্বল পাতাটিতে চোখ বোলাতে বোলাতেও পাঠক জেনে যাবেন চার্নকের কলকাতা আসার গল্প।৩
জীবনের ওঠাপড়া যাতে আমাদের গায়ে না লাগে, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে বাঙালির ঘরে ঘরে পরম যত্নে সে খেয়াল রেখে চলেছে যে অতি সাদামাটা সবুজ পোশাকের বস্তুটি, সে ‘বোরোলীন’। বোরোলীন প্রস্তুতকারক জি ডি ফার্মাসিউটিক্যালসের বিজ্ঞাপনের কপি চিরকালই মনোগ্রাহী। ‘বঙ্গজীবনের অঙ্গ’ যেমন সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিকটি, তেমনই এই দুটি শব্দও জড়িয়ে গিয়েছে আমাদের জীবনের সঙ্গে। সেই বোরোলীন কলকাতার জন্মদিনে যে বিজ্ঞাপনটি বের করে, সেই কপিটি সরাসরি তুলে দেওয়ার লোভ সামলানো যায় না।
“ষাট বছর আগের কথা।
তখন হাওড়া থেকে কলকাতা আসে লোকে আর্মানিঘাটের পন্টুন্ ব্রীজ বেয়ে। হ্যামিলটনের দোকানে সাতনরী হারের দাম পঞ্চাশ টাকা।
দু’টাকা নিয়ে বাজারে গেলে ধামা ভ’রে মাছ তরকারি কেনার পরও ফুলেল তেল কেনার পয়সা থাকে হাতে।
হাওয়া গাড়ি চ’ড়ে আসা শৌখীন বাবুবিবিরা হগ সাহেবের বাজারে ঘুরে কেনেন ‘চাঁদের আলো’ শাড়ি, লেসের জ্যাকেট, লালেবাই সাবান।
শহরে বারোয়ারি দুর্গাপূজোর সংখ্যা সাকুল্যে সাতাশটি।
গঙ্গা বেয়ে কালীঘাটে রোজ এসে লাগে পুণ্যার্থীদের নৌকো। বিকেল বেলা গড়ের মাঠে গোরার বাদ্যি, সন্ধ্যে হ’লেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুঙুরপরা বুলবুলভাজা।
আর একটু রাত বাড়লেই শেয়ালের ডাক- বালীগঞ্জের বুক থেকে। অহীন চৌধুরীর ‘বাঁদীর প্রাণ’ তখন রমরম ক’রে চলছে।
জোড়াসাঁকোয় রবিবাবুকে টেলিফোন করতে হ’লে বলতে হয়, ‘অপারেটর, বড়বাজার ১৯৪৫ দিন।’
নজরে থাকুক
সন ১৯২৯।
কলকাতা শহরে সম্প্রতি শেষ হয়েছে কংগ্রেসের অধিবেশন। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের জি ও সি হ’য়ে গেলেন সুভাষচন্দ্র বসু।
স্বদেশীয়ানার প্রথম ছোঁয়াচ লাগল বাঙালীর মনে। আর ঠিক সেই সময়েই বালক দত্ত লেনে গৌরমোহন দত্ত খুললেন ‘দিশি ওষুধে’র স্বদেশী কারখানা। বাজারে এলো বোরোলীন। সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রীম। সেদিনের সেই ছোট প্রতিষ্ঠান জি ডি অ্যান্ড কোম্পানী আজ এক বিরাট মহীরুহ।
বোরোলীনও আজ আর বাঙালীর কাছে শুধু অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রীমই নয়। ষাট বছর ধ’রে সে ধীরে ধীরে বাঙালির জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। বোরোলীন আজ বঙ্গজীবনের অঙ্গ। তার সমাদর আজ ঘরে ঘরে।”৪
অল্প কয়েকটি শব্দের মধ্যে জমকালো ফ্ল্যাশব্যাকে আমরা গত শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ঘুরে আসি সেই কলকাতায়, যখন আজকের রংবাহারি বালিগঞ্জে রাত বাড়লে শেয়াল ডাকত আর টেলিফোন অপারেটরের কাছে ১৯৪৫ নম্বরে ফোন চাইলে শুনতে পাওয়া যেত তাঁর গলা।
বোরোলীন নাহয় বঙ্গজীবনের অঙ্গ হয়ে বসে আছে সেই কবে থেকেই, কিন্তু মডার্ন ডেকরেটর্স-এর মতন তুলনামূলক কম জনপ্রিয় মণ্ডপসজ্জা সংস্থাও কলকাতার তিনশো বছরে পাঠককে উপহার দেন এমন এক বিজ্ঞাপন, যার মধ্যেও পাওয়া যায় পুরনো সেই দিনের একটুকরো ইতিহাস। জোব চার্নক বিবাহ করেছিলেন হিন্দু এক মহিলাকে সতীদাহর হাত থেকে বাঁচিয়ে। এই দেশের সেই বিখ্যাত জামাইটির বিবাহবাসর সাজাতে না পারার সামান্য অনুশোচনা থাকলেও মডার্ন ডেকরেটর্স জানায়,
“না ৩০০ বছর আগে জোব চার্নকের বিয়ের বাসর আমরা সাজাইনি কিন্তু আজ কলকাতার মণ্ডপ উৎসব অনুষ্ঠানে আমরা অপরিহার্য।”
বিজ্ঞাপনের অলংকরণ করেন পূর্ণেন্দু পত্রী।
বাংলার তাঁতের কাপড়ের সঙ্গে ‘তন্তুজ’র সম্পর্ক বেশ পোক্ত। সেই সংস্থা মাদাম বেলনসের আঁকা ছবি দিয়ে যে বিজ্ঞাপন তৈরি করে, তাতে ঔপনিবেশিক যুগে দেশীয় তাঁত শিল্পীদের দারিদ্র্য, অসহায়তার ছবি বেশ স্পষ্ট। “সাহেব, মি পুওর সাহেব, ওয়ান গিনি মোর সাহেব...”, সাদা চামড়ার শাসকের কাছে এই আবেদন আজকের পাঠককে বিচলিত করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাদাম বেলনস্ ছিলেন ফরাসি শিল্পী। “Twenty-Four plates illustrative of Hindoo and European Manners in Bengal” (১৮৩২) বইটির ২৪টি ছবিতে বেলনস্ নিখুঁতভাবে এঁকে রেখেছেন সেসময়ের বাংলার দৈনন্দিন জীবন, অন্দরমহল, দারিদ্র্য, নানান বিচিত্র প্রথাকে। তন্তুজের বিজ্ঞাপন বাংলার তাঁতবস্ত্রের ঐতিহ্য ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসে সেই অতীত দিনের শিল্পীর নাম, যিনি পরম মমতায় এঁকেছিলেন এই দেশের ছবি।৬
“Calcutta means different things to different people. It has been so for 300 years.
Today as the great metropolis steps into its 300th year, we salute its many-splendoured charms anew and pay triubute to a city where the spice of life flourishes as it does in few cities in the world.
We should know. We’ve been around for 150 years.”৭
জীবনের স্বাদগুলি যেখানে স্পষ্টতর হয়ে ওঠে, তার নাম যে কলকাতা, সে তো বিজ্ঞাপনই বলে দেয়। বিজ্ঞাপনদাতা কুকমী, বাংলার হেঁশেলকে যে আরও রোমাঞ্চকর ও সরস করে তুলেছে তার মশলার গুণে।
লক্ষণীয়, বিজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়েই ফুটে ওঠে কলকাতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন। কে সি দাসের রসগোল্লা থেকে জীবনবিমা, পূর্ব রেলওয়ে থেকে ডানলপ, সকলের বিজ্ঞাপনেই সেই ছাপ স্পষ্ট। কলকাতার বিশেষ সুরগুলিকে চমৎকার ভঙ্গিমায় ধরে রাখার প্রয়াস সবখানে ছড়িয়ে থাকে।
India Foils Limited কোম্পানি কলকাতার তিনশো বছরে যে জিনিসটিকে শিরোনামে রাখে, তার সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই একমত। “Love : That’s what makes Calcutta beautiful. Give it generously”, সঙ্গে মাদার টেরিজার শীর্ণ রোগাক্রান্তকে ভালোবাসাভরে খাইয়ে দেওয়ার ছবিটি।৮
মাদাম বেলনসের মতন খুড়ো-ভাইপো থমাস ও উইলিয়াম ড্যামিয়েলের ছবিও ব্যবহৃত হয়েছে বিজ্ঞাপনে। পুরোনো কলকাতার ছবি, ফোটোগ্রাফের মতনই ত্রুটিহীন, তবু তারই সঙ্গে শিল্পীর কল্পনার রংটি মিশে আমাদের পরিচিত শহরকে আরও মায়াময় করে তোলে।
এভাবেই “চলন্ত কলকাতার চিরসঙ্গী” Bata, রঙিন এনগ্রেভিং-এর স্রষ্টা বালথাজার সলভিনসের আঁকা ছবিতে তুলে ধরে ‘চিত্তির’ সম্প্রদায়ভুক্ত বাবুর কেতাদুরস্ত পোশাকের সঙ্গে নাগরা জুতোর ছবিটি। ছবির তারিখ ১ জানুয়ারি, ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দ। তেমন বাহারি জুতো এ যুগেও কলকাতাকে উপহার দিতে পারে বাটা, সেই কথাটিই অত্যন্ত অনুচ্চকিত ভঙ্গিতে জানিয়ে দেওয়া হয়।
‘কলকাতার আপনজন’ দে’জ মেডিক্যাল এর কেয়ো-কার্পিন, ১৮৯০ এর কালীঘাটের পটের কেশবতী যুবতীর ছবি দিয়ে, সেই কেশবিন্যাসের ধারা আজও অব্যাহত, তা জানাতে ভোলে না -
“তাঁর আতীথেয়তার প্রধান সাক্ষী বেলগাছিয়া ভিলা... অভ্যাগতদের জন্য যে রান্না হত তার প্রণালী ছিল অতুলনীয়। ... খাদ্য তালিকায় থাকত ফরাসী ও প্রাচ্য দেশীয় খাদ্যের অফুরন্ত বৈচিত্র্য। তাদের মধ্যে অবশ্য সবচাইতে কদর ছিল কাবাব, পোলাও এবং হোসেনীর। মদ আমদানী করা হত সোজা য়ুরোপ থেকে। আর দ্রাক্ষা মদিরার মধ্যে সেগুলো ছিল সেরা জাতের।
এ অতুলনীয় রান্নার আকর্ষণে শহরের তাবৎ খাইয়ে এবং পেটুকরা এখানে জমায়েত হতেন।৯
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের বেলগাছিয়ার বাগানবাড়িতে এমন বিলাসবহুল খানাপিনা নাচগানের ব্যবস্থা থাকত, তা তাঁর জীবনীর মধ্যেই পাওয়া যায়। কলকাতার তিনশো বছর পূর্তিতে কোয়ালিটি আইসক্রিম সেই স্মৃতি উস্কে দিয়ে সবিনয়ে এও মনে করিয়ে দেয় যে নানান লোভনীয় খাদ্য-পানীয়ের সমারোহ থাকলেও, একটি খাবারের অনুপস্থিতি সেখানে ছিলই। সেই মনোহরণকারী সুস্বাদু কোমল আইসক্রিমের অভাব পূরণ করার দায়িত্ব বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে কোয়ালিটি নিয়েছে। হয়ে উঠেছে মহাভোজের অঙ্গ।
সাহিত্য এবং ইতিহাসের পুনরুদ্ধার তো বটেই, বিজ্ঞাপনগুলি তার ভাষা ব্যবহারে, শিল্প ভাবনায় নিজেই এক একটি সাহিত্য হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে।
কলকাতার তিনশো বছর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক, সাহিত্যিকদের মনোজ্ঞ আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে প্রকাশিত নানান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উৎসাহী পাঠকের সামনের ধরা পড়ে কলকাতার একটি পরিপূর্ণ রেখাচিত্র। হাওড়া ব্রিজ থেকে হাওয়া গাড়ি, ফুটবল থেকে রসগোল্লা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে সর্ষে বাটা দিয়ে ইলিশ মাছ, চুলের তেল থেকে পুরোনো পাঁচতারা হোটেল... সবকিছুর মধ্যে ফুটে উঠেছে সেই ঐতিহ্য আর মেলবন্ধনের ছবিটি।
হাজার প্রতিবন্ধকতা, বিপদ, বাধা থাকা সত্ত্বেও এই শহরটি প্রাণের শহর, ভালোবাসা দিয়ে জন্মের দিনটি থেকে সে অল্পে অল্পে বেড়ে উঠেছে। একসময়ের বিপদসংকুল গ্রাম হয়েছে আজকের মহানগর। সময়ের পরিবর্তনেও যার যত্নে আগলে রাখার স্বভাবটির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
প্রাচীন এবং নবীনের মধ্যে এই সেতুবন্ধের কাজটির মূল নায়ক যদি হয় সময়, তাহলে সেই সময়কে নির্ভুলভাবে তুলে ধরেছে বিজ্ঞাপনগুলি।
বাংলা পত্র-পত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সম্ভার অফুরন্ত। কলকাতা শহর, তার সমস্যা, সুযোগ-সুবিধাকে কেন্দ্রে রেখে তৈরি হয়েছে নানান বিজ্ঞাপন। তারই মধ্যে রয়েছে কলকাতার তিনশো বছর পূর্তিতে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনগুলি, তার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। স্বল্প পরিসরের মধ্যে তারই মাত্র কয়েকটিকে বেছে নিয়ে আলোচনা করা গেল। সারা পৃথিবীর গভীরতর অসুখের মধ্যে কাটানো দিনগুলিতে কলকাতা বারেবারে আসে ‘প্রথম সবকিছু’র স্মৃতি নিয়ে। পালাতে চাইলেও যে পিছু নেয়, শ্বাসরোধী বেদনা আর ভয়ের মধ্যেও এনে দেয় স্বস্তিদায়ক এক টুকরো কালবৈশাখী।
১। আজকাল পত্রিকার কলকাতা ৩০০ সংখ্যায় প্রকাশিত ডাকব্যাকের এই বিজ্ঞাপনটি, ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ।
২। মডার্ন ডেকরেটর্স’এর বিজ্ঞাপন, আজকাল পত্রিকার কলকাতা ৩০০ সংখ্যা, ১৩৯৬।
৩। তন্তুজ, বাংলার তাঁতের কাপড়, আজকাল, কলকাতা ৩০০, ১৩৯৬।
৪। বাটা, আনন্দবাজার সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন, ২৫ অগাস্ট, ১৯৯০।
৫। Life Insurance Corporation of India, The Statesman, Calcutta Tercentenary issue, 1990.
৬। The Oberoi Grand, The Telegraph, Calcutta 300, 2.09.89.
তথ্যসূত্র :
১। পূর্ণেন্দু পত্রী, কী করে কলকাতা হলো, কলকাতা : দে’জ পাবলিশিং, ২০১৭, পৃষ্ঠা ৩৯।
২। পূর্ণেন্দু পত্রী, জোব চার্নক যে কলকাতায় এসেছিলেন, কলকাতা : এ মুখার্জী অ্যান্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেড, প্রকাশ সাল অনুপস্থিত, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭।
৩। অশোক দাশগুপ্ত (সম্পা.), আজকাল : কলকাতা সংখ্যা, কলকাতা : ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ, বিজ্ঞাপনী পৃষ্ঠা।
৪। ঐ, বিজ্ঞাপনী পৃষ্ঠা।
৫। ঐ, বিজ্ঞাপনী পৃষ্ঠা।
৬। ঐ, বিজ্ঞাপনী পৃষ্ঠা।
৭। Ghosh, Nityapriya (Guest Editor), An Economic Times (Special Feature Calcutta 300), Calcutta : 1990, Advertisement Page.
৮। Datta Ray, Sunanda K. (Editor), The Statesman, Calcutta tercentenary issue, Calcutta : 1990, February, Advertisment Section.
৯। কিশোরীচাঁদ মিত্র, দ্বারকানাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল নাথ (অনু) ও কল্যাণকুমার দাশগুপ্ত (সম্পা.), কলকাতা : প্রকাশক অনুল্লেখিত, ১৯৬২, পৃষ্ঠা ৮১-৮২।
গ্রন্থঋণ :
১। অরুণ নাগ (সম্পা.), সটীক হুতোম প্যাঁচার নকশা, কলকাতা : আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, ২০০৮।
২। কিশোরীচাঁদ মিত্র, দ্বারকানাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল নাথ (অনু) ও কল্যাণকুমার দাশগুপ্ত (সম্পা.), কলকাতা : প্রকাশক অনুল্লেখিত, ১৯৬২।
৩। পূর্ণেন্দু পত্রী, কলকাতার প্রথম, কলকাতা : দে’জ পাবলিশিং, ২০১৮।
৪। পূর্ণেন্দু পত্রী, কী করে কলকাতা হলো, কলকাতা : দে’জ পাবলিশিং, ২০১৭।
৫। পূর্ণেন্দু পত্রী, জোব চার্নক যে কলকাতায় এসেছিলেন, কলকাতা : এ মুখার্জী অ্যান্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেড, প্রকাশ সাল অনুপস্থিত।
৬। পূর্ণেন্দু পত্রী, সেনেট হলের স্মৃতিচিত্র, কলকাতা : অরুণা প্রকাশনী, ১৯৮৭।
পত্রিকাঋণ :
১। অশোক দাশগুপ্ত (সম্পা.), আজকাল : কলকাতা সংখ্যা, কলকাতা : ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ।
২। সাগরময় ঘোষ (সম্পা.), দেশ (প্রিন্স দ্বারকানাথ সংখ্যা), বর্ষ ৬১ সংখ্যা ৮, কলকাতা : ১৯৯৪।
৩। সাগরময় ঘোষ (সম্পা.), দেশ-বিনোদন, কলকাতা : ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ।
ইংরেজি পত্রিকাঋণ :
1.Datta Ray, Sunanda K. (Editor), The Statesman, Calcutta tercentenary issue, Calcutta : 1990, February.
2.Ghosh, Nityapriya (Guest Editor), An Economic Times (Special Feature Calcutta 300), Calcutta : 1990.
(সবশেষে এইটুকু জানানো যাক যে, এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এই লেখার জন্য, সাধ্যমত প্রয়োজনীয় বই, পত্রিকা দিয়ে আমার যে সমস্ত বন্ধু সাহায্য করেছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।)
[পোস্টার : অর্পণ দাস।]