অভিমুখ (পর্ব : আট)
কৃষি ও কৃষ্টির সমন্বয়ে 'উজ্জ্বল' স্বপ্নে 'বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী'
...........................
বীরভূম যেমন বহুকাল থেকে পুণ্যভূমি হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে, তেমনই বঙ্গ সংস্কৃতির বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের আঁতুড়ঘর হিসেবেও এ জেলা প্রণিধানযোগ্য। শান্তিনিকেতনের বিশ্বজোড়া খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মনে রাখতে হবে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ও কর্মজীবনের সিংহভাগের সঙ্গে বীরভূমের লাভপুরের গভীর সম্পর্ক।
এ অবধি এসে পাঠকের হোঁচট খাওয়া অসঙ্গত নয়। বা, পাঠক দাঁড়িয়েও পড়তে পারেন সেই বিপন্ন দিশেহারা পর্যটকের মতো, যে ছোট বাচ্চা ও স্ত্রী নিয়ে প্রথমবার আনন্দ মাখতে মাখতে পাহাড়ে উঠতে গিয়ে আটকে পড়লেন আচমকা ধসে। আশপাশে দোকান নেই। বাচ্চার দুধের জন্য জল কিনতে হবে। তিনি নেমে হাঁটচ্ছেন। গাড়ির জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একলা হেঁটে চলেছেন। দোকান, দোকান, দোকান...। দোকান কোথায়? এই উপমা খানিক বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। তবু দিলাম এ কারণেই যে 'অভিমুখ'-এর অষ্টম পর্বে এসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বহুল পরিচিত জীবনের কথা বলার তো আমার কোনও প্রয়োজন ছিল না। তবে কেন শুরুতেই এ জীবনী অংশের অবতারণা?
জানতে হলে আরেকটু হাঁটা যাক। লাভপুরে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব বাড়ি, যা 'ধাত্রীদেবতা' নামে পরিচিত, সেই ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি ১৯৯৬ সালে তারাশঙ্করের পরিবার লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে দান করে। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতির দীর্ঘ উদাসীনতা ও অবজ্ঞায় বাড়িটি ধ্বংসের দিকে অমোঘ যাত্রা শুরু করে - এ রাজ্যে অনেক কবি-সাহিত্যিকদের বসতবাড়ির মতোই। তবে ধ্বংস দেখে কেউ এড়িয়ে গিয়ে বাঁচে, কেউ জীবন বিপন্ন করে ধস সরায় সমস্ত পর্যটকদের যাবার রাস্তা তৈরি করবার জন্য। বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর নাট্যকার-নির্দেশক, আমারই সমসাময়িক নাট্যজন, বন্ধুপ্রতিম উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় সেই বিপন্ন অথচ এড়িয়ে বাঁচতে না-চাওয়া এক ব্যতিক্রমী মানুষ। ধাত্রীদেবতা রক্ষা করবার দাবিতে তিনি পথে নেমেছিলেন, তার সংস্কৃতি বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে। সে নিয়ে রাজনৈতিক আক্রোশ ও আক্রমণও কম সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। ২০১৪ সালে নতুন পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ধাত্রীদেবতার যাবতীয় দায়িত্ব বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। উজ্জ্বলের মুখে সেদিন ধস সরে যাবার উজ্জ্বলতার সঙ্গে মিশেছিল পাহাড়ি ঝরনার উচ্ছ্বলতা।
অতঃপর সেই ঝরনা বয়ে যেতে শুরু করল। বয়ে যেতে শুরু করল ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিকভাবে অতি সমৃদ্ধ জনপদ লাভপুরের মধ্যে দিয়ে। নিজের জন্মভূমিকেই উজ্জ্বল আঁকড়ে ধরলেন নাটচর্চার ক্ষেত্র হিসেবে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হল অধুনা বিখ্যাত নাট্যদল 'বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী'। যদিও প্রথমে নাম ছিল 'লাভপুর তারাশঙ্কর সব পেয়েছির আসর'। তখন এটি ছিল শিশু কিশোরদের কল্যাণমূলক কাজ করবার জন্য একটি নিয়মিত প্রতিষ্ঠান।
"রেলের একফালি জমিতে প্রতিদিন বিকালে ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলতো নাচ গান নাটকের চর্চা," জানালেন উজ্জ্বল। তাঁর চোখে তখন অতীত বুলিয়ে যাচ্ছে তুলি। সদ্য সকালের রেশ ছড়িয়ে আছে তখন চারিদিকে। উজ্জ্বল সেইসব রেশ তুলে নিলেন নিজের গলায়। তাঁর আবগের সততা সংক্রামিত করল আমাদেরও, "২০০৮ সালে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা দিয়ে পাশেই একফালি জমি কেনা হয়। ২০০৯ -১০ সালে বীরভূমের শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন রূপে নেহরু যুব কেন্দ্র একটি কম্পিউটার প্রদান করে। একটি লাইব্রেরি তৈরির সুযোগও আসে। লাভপুরের মানুষের অকৃপণ দানে ২০১০ সালে ওই জায়গায় নির্মিত হয় সংস্কৃতি ভবন। ২০১১ তে স্থানীয় বিধায়কের অর্থে তার দ্বিতল নির্মিত হয়। নিজেদের উদ্যোগে তারই সামনে নির্মিত হয় একটি ৩০ বাই ২৫ মাপের মঞ্চ। বর্তমানে সংস্কৃতি বাহিনীর যাবতীয় নাট্য উৎসব এই মঞ্চেই হয়।"
উজ্জ্বলের কথা শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, কলকাতার কাছে থাকার যেটুকু অহংকার এখনো হাতে পায়ে গায়ে ফেবিকুইকের মতো নাছোড়বান্দা হয়ে লেগে আছে তাদের যদি এখনই বিদেয় করে দেওয়া যেত! পাশে তখনই বেজে উঠল ঘন্টা। কীসের ঘণ্টা? উজ্জ্বল জানালেন, "৫১ পীঠের অন্যতম মা ফুল্লরার মন্দির এখানে। সেখান থেকেই ঘন্টা বাজিয়ে কেউ জানান দিচ্ছেন দিনের নির্ঘন্ট।"
কোপাই ও বক্রেশ্বরের মিলিত স্রোত হয়ে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুয়ে নদী। দুজনে বাইরে এসে দাঁড়ালাম তার সামনে। বয়ে যাওয়া দেখতে কার না ভাল লাগে!
উজ্জ্বলই স্রোতের দিকে তাকিয়ে থাকার নীরবতা ভাঙেন, "আসলে এই রুক্ষ লালচে মাটির বিচিত্র প্রকৃতিতে আরও বহু কিছু দেখার উপাদান ছড়িয়ে আছে। আজ সংস্কৃতি বাহিনীর তত্ত্বাবধানে 'ধাত্রীদেবতা'-র আমূল সংস্কার হয়েছে। তৈরি হয়েছে সংগ্রহশালা, মঞ্চ এবং গেস্টহাউস।"
প্রসঙ্গত বলে নেওয়া যাক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক-বিষয়ক এক বক্তৃতায় তারাশঙ্কর বলেছিলেন, "...একান্ত তরুণ বয়সেই অভিনয় আক্রান্ত করার সমসাময়িক কাল থেকেই গোপনে গোপনে চেষ্টা নাটক রচনা করবার চেষ্টা করেছি। আমার রচিত নাটক, আমার গ্রামের নাট্যমঞ্চে মহাসমারোহে অভিনীত হয়েছে। সাহিত্যে আমার হাতেখড়ি নাটকের মধ্যে দিয়েই।" এমন একজন বরেণ্য সাহিত্যিকের বাসভূমিকে কেন্দ্র করে যে নাট্যোন্মাদনা 'বীরভূম সংস্কৃতি' বয়ন করে তুলতে পেরেছে এবং আঞ্চলিক লোকসংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে যেভাবে একের পর এক নাট্যের আয়োজন করে চলেছে, তাতে নাট্যরসিক সহ সাহিত্যপ্রেমীদেরও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তাঁরা আছেনও। এই প্রতিবেদক প্রায় দশ বছর আগে তাদের উৎসবে গিয়েছিলেন। সেই উৎসবের উদ্বোধনে লোকসংস্কৃতির নানা উপাদানকে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতায় জড়ো করেছিলেন উজ্জ্বল। রনপা, হাড়ি নাচ, ডান্ডি নৃত্য, ব্রতচারী ইত্যাদির সেই মহাসম্মেলন ভুলে যাবার মতো নয়।
তখনও তাঁদের সাধের সংস্কৃতি ভবন সম্পূর্ণ হয়নি। কাজ চলছিল। পরে বছর তিনেক আগে গিয়ে আমি চমকে গিয়েছিলাম রীতিমত। দ্বিতল সংস্কৃতি ভবনের এই মঞ্চটি ৩০/২৫ ফুট আয়তনের। মাথায় তৈরি করা হয়েছে স্থায়ী আচ্ছাদন। অবশ্য এখনও দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় আচ্ছাদন ও চেয়ার ভাড়া করতে হয়। কাজ চালিয়ে নেবার মতো পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা আছে। সাউন্ড ভাড়া করে নিতে হয়। বাইরের কোন দল যদি শো বা রিহার্সাল করতে চায়, তাদের থাকা খাওয়ার জন্যও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছেন উজ্জ্বলরা। সে এক অভাবনীয় উদ্যোগ। এমন সুবিশাল পরিকাঠামোকে নিয়মিত চালু রাখতেই যখন ওষ্ঠাগত প্রাণ, তখনই আবির্ভূত হল কোভিড। ছায়া ফেলল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর লকডাউন। নাট্যকর্মীদের কাছে সে এক ভয়ানক ত্রাসের সময়। যে সময়ের ল্যাজের ঝাপটা এখনো উধাও হয়নি। বাকিরা যখন কোনওমতে উটপাখির মতো মুখ গুঁজে বাড়িতে কাটিয়ে দিচ্ছেন তখনই উজ্জ্বলের মনে হচ্ছিল, "দলের সর্বক্ষণের কর্মীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র কর্মক্ষেত্র প্রয়োজন। তাছাড়া দলের নাট্যচর্চার সঙ্গে ঘনিষ্ট ভাবে জুড়ে আছে লোকসংস্কৃতি এবং লোকশিল্পীরাও। ফলে আরো বেশি করে, আক্ষরিক অর্থেই মাটির সঙ্গে নিবিড় যোগ থাকা প্রয়োজন।" সেই স্বপ্ন নিয়েই গতবছর দলের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বক্রেশ্বর নদের তীরে একটি আদিবাসী পল্লীর প্রান্তে ১৩ বিঘা জমি কিনে শুরু হয়েছে জৈব পদ্ধতিতে চাষবাস। প্রচুর ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। কাটা হয়েছে পুকুর। একই সঙ্গে একটি ৩০/১৫ বর্গফুটের ঘর নির্মিত হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে 'গুরুকুল নাট্য আশ্রম'। উদ্দেশ্য কৃষি ও কৃষ্টির একটি মিলনক্ষেত্র তৈরি, যেখানে থাকবে শিল্পীদের থাকার জায়গা, নাট্যমঞ্চ, গ্রন্থাগার, সংগ্রহশালা, সরস্বতী মন্দির। সত্যিই এক স্বপ্নে মানুষ কত কী করে ফেলে; একটা নাট্য নামিয়ে আত্মপ্রসাদের হাসি হাসতে দেখি কত শত চারপাশের নাট্যবন্ধুদের - আর সেখানে এই বিপুল সাহসী স্বপ্ন ও তাকে বাস্তবায়িত করার আপ্রাণ প্রয়াসে অনবরত মগ্ন উজ্জ্বল। তিনি জানালেন, "ধাত্রীদেবতার মতো বর্তমানে স্পেস ও প্রসেনিয়াম এবং ওপেন এয়ারে নাট্য প্রদর্শনের পরিকাঠামো গুরুকুল নাট্য আশ্রমেও আছে, তবে এখানের মঞ্চটির মাথায় ছাউনি নেই। স্বপ্নের ছাউনি লাগে না। তবে সে ঋতু পরিবর্তনের আঁচ ঠাওর করতে পারেনা। সারা বাংলা বা বহির্বাংলা থেকে বহু দল সারাবছর নাটক করতে আসে। ই জেড সি সি আয়োজিত শেষ কোলকাতা থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের একটি ভেন্যুও হয়েছিল এখানে। আসলে আমরা যাকে নাট্যযাপন বলি, আগামীতে তেমনই এক পরিমণ্ডল তৈরি হবে এই গুরুকূল নাট্যাশ্রমকে ঘিরে।"
"শুধু নাটক নয়, নাটককে ঘিরে হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শবান যুবসমাজ গঠিত হবে, এমন স্বপ্নও দেখি। নাটক শুধু প্রদর্শনের জন্য নয়, এটা যে শুধু শুকনো বক্তৃতা দেবার জন্য নয় তা প্রমাণ করতেই আমরা বদ্ধপরিকর। নাটক থেকে নাট্য তৈরির প্রক্রিয়া আসলে মানুষ তৈরির অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠবে, এই আশা রাখি। তার জন্য একেবারে শিশু শ্রেণি থেকেই শিক্ষালয় থাকবে এখানে," উত্তেজিত লাগে উজ্জ্বলের কণ্ঠ, "থাকবে নাট্যশিক্ষার ব্যবস্থা। আর এ সমস্ত কিছুই হবে ভারতবর্ষের চিরায়ত ভাবধারায়। এ জন্যই আমরা আমাদের স্বপ্ন ক্ষেত্রের নাম দিয়েছি 'গুরুকুল নাট্য আশ্রম।"
বিস্মিত হতেই হয়। এক জীবনে এত কিছু কীভাবে চালিয়ে যান উজ্জ্বল?
উত্তর সরাসরি শুনি উজ্জ্বলের মুখ থেকেই, "ধাত্রীদেবতা, সংস্কৃতি ভবন, গুরুকুল নাট্য আশ্রম - তিন প্রান্তের তিনটি পরিকাঠামো ঠিক রাখতে নাট্যকর্মীদের বিপুল পরিশ্রম করতে হয়। দলের যারা সর্বক্ষণের সাথী, তারা প্রায় সারাদিনই এই কাজে ডুবে থাকে। যারা চাকরি বা অন্য পেশায় যুক্ত, তারাও প্রচুর সময় দেয়। অর্থের জোগানে আমরা সমবায় প্রথায় বিশ্বাসী। এখানে ব্যক্তিগত কিছু নেই। সরকারি সচেতনতামূলক নাটক, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্কিমের কাজ থেকে শুরু করে নানান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, ড্রাইভিং ইত্যাদি বহুবিধ কাজের মাধ্যমে দলকে অর্থের জোগান দেন আমাদের অমূল্য কর্মীরাই। সেখান থেকেই দল ও কর্মীদের অর্থ সংস্থান হয়। তাছাড়া স্যালারি গ্রান্ট থেকে কিছুটা হেল্প হয়। এখনো আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিল্ডিং গ্রান্ট আবেদনের ব্যাপারে কোনও ভাবনাচিন্তা করিনি। আসলে আমাদের ভাবনা এখানে একটি আশ্রমিক পরিবেশ থাকবে। দেখা যাক কতদূর কী করে উঠতে পারি। সেরকম মানানসই কোন স্কিম থাকলে আবেদন করা যেতে পারে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও ছুতমার্গও নেই। বর্তমান বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ব্যক্তিগত অনুদানে জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বর্তমান জেলা শাসকের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে পর্যটন দপ্তর পরিদর্শন করে গেছেন এই অঞ্চল।"
ফেরার সময় হয়ে এল। ১৪ টি ছোট নাটক, ৪ টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের নাটক, ৯ টি সচেতনতামূলক নাটক, ১টি একক নাটক ও ৩টি মানব-পুতুল নাটক প্রযোজনা করা এই নাট্যদলের কাজকর্মের অন্দরমহলের খোঁজ খবর পেয়ে বিপুল বিস্ময়ে ফেরার পথ ধরলাম। দিগন্ত তখন মাঠে এসে মিশেছে। দিগন্তের রং আর মাঠের রং মিলেমিশে গেছে। এখানে লাল আর সবুজের কোনও বিরোধ নেই। একেই কি উজ্জ্বল বলছেন কৃষি ও কৃষ্টির সমন্বয়?
আবার আসলে বাকি কথা বুঝে নেব উজ্বল। নেবই।
........................
লেখকের এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলি পড়ুন :
১) অভিমুখ (পর্ব: এক) - অমল আলো থেকে বিদ্যাধরী হয়ে ক্যাফে থিয়েটার
২) অভিমুখ (পর্ব : দুই) - ইফটার থিয়েএপেক্স
৩) অভিমুখ (পর্ব : তিন) - ইউনিটি মালঞ্চের বিনোদিনী মঞ্চ
৪) অভিমুখ (পর্ব : চার) - 'অমল আলো' স্পেসকে কেন্দ্র করে নির্মিত নতুন নাট্য 'মারের সাগর পাড়ি দেব'
৫) অভিমুখ (পর্ব : পাঁচ) - সাতকহানিয়ার 'তেপান্তর নাট্যগ্রাম'অভিমুখ (পর্ব - পাঁচ)
৬) অভিমুখ (পর্ব : ছয়) - গোবরডাঙার শিল্পায়ন নাট্যবিদ্যালয় ও স্টুডিও থিয়েটার
[লেখক 'অশোকনগর নাট্যমুখ' দলের পরিচালক ও কর্ণধার]
….………………………………………..
[পোস্টার : অর্পণ দাস]
[পোস্টারের মূল ছবি ও অন্যান্য ছবিগুলি লেখকের সূত্রে প্রাপ্ত]