উপন্যাস

সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন (পঞ্চম পর্ব)

তপোব্রত ভাদুড়ি April 23, 2023 at 4:24 am উপন্যাস

[ আগে যা ঘটেছে : মুম্বই মেলে হাওড়ায় আসার পথে অপরাজিতার এক সহযাত্রীর সুটকেস চুরি হয়। লোকটিকে রেলপুলিশের কাছে ডায়রি করতে পরামর্শ দিয়ে ট্যাক্সিতে বাড়ি ফেরার পথে হুমকি চিরকুট পায় অপু। পরে হৃষীকেশ কাকুর কাছে গিয়ে অপু আর ওর মাসতুতো ভাই তপু জানতে পারে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মিলিটারি অফিসার ড্যানিয়েল রিচার্ডসনের ডায়রিতে লিপিবদ্ধ সুজার চিঠির কথা, যার মধ্যে ছিল সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধনের সংবাদ। অন্যদিকে রায়পুরের সিমরন হেরিটেজ হোটেলে পাওয়া যায় ডেরেক রিচার্ডসনের লাশ। অপুদের প্রতিবেশী লালবাজারের পুলিশ অফিসার রিজওয়ানুর রহমানের চেষ্টায় ডেরেকের ভাড়াটে খুনি ধরা পড়লেও আসল অপরাধী থেকে যায় অধরা। হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার হওয়া একটা নোটবুকের সূত্র ধরে অপু আর তপু জানতে পারে, ডেরেক রেসের মাঠে যাতায়াত করতেন।]

....................

সাপ্তাহিক উপন্যাস 

চতুর্থ পর্বের পর 

..................... 

আজ সকাল থেকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছে। সারা আকাশ ভরে গেছে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘে। তপু বাইরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আপনমনে গুনগুন করে গাইছিল ‘ঠান্ডি হাওয়া কালী ঘটা আ হি গয়ি ঝুম কে’। সামনের রাস্তায় জল থইথই। খুব ছোটবেলায় এমন বাদলা দিনে খবরের কাগজ ছিঁড়ে বাবা নৌকা বানিয়ে দিত। আর সামনের বারান্দা থেকে তপু একটা একটা করে ভাসিয়ে দিত রাস্তার জলে। মা বলত, কোথায় যাচ্ছে নৌকা? তপু বলত, অপুর বাড়ি। পুরোনো কথা মনে করে তপু হেসে ফেলল। 


অপুর আজ ওদের বাড়িতে আসার কথা। বৃষ্টি মাথায় করে কী করে আসবে ভগবানই জানে। মা বলল, ‘একটা ফোন করে দেখ না মেয়েটা কোথায় আছে।’ তপু বলল, ‘আর দশটা মিনিট দাঁড়াও।’ বলতে বলতেই জল ছপছপ করতে করতে অপু হাজির— ‘দরজা খোলো মাসি। উফ্, কী এঁদোপুকুর গো তোমাদের পাড়াটা।’ 

তপু বলল, ‘আমাদের শুধু বর্ষার সময়টুকু। তোদের তো সারাবছর। পাতিপুকুর।’

‘চুপ কর। বাজে বকিস না।’ বলতে বলতে অপু বাথরুমে ঢুকল পা ধুতে।


তপু উঠে এল ওপরতলায় চিলকুঠুরিতে। এইটা ওর অনেককালের আস্তানা। দরজার গায়ে আঁকাবাঁকা হরফে প্যাস্টেলে লেখা– ‘খুলিগুহা’। পাশেই সাঁটা খবরের কাগজের কমিকসের পাতা থেকে জমানো বাঘার ছবি। থাবা গেড়ে পাহারা দিচ্ছে। 


বেলা হয়ে গেছে৷ মা বোধহয় রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে অপুকে বলল, ‘এখখুনি খেতে দেব। ডাকলে নেমে আসবি।’ 


ঘরে এসে অপু বলল, ‘আরিব্বাস! গ্রামোফোন! কবে কিনলি? বলিসনি তো!’ 

তপু বলল, ‘এই মাস দু-এক আগে। তুই তো একযুগ পরে এলি।’ 

অপু বিছানার একধারে মৌজ করে বসে বলল, ‘তোর পড়া হয়ে গেছে বইটা? আমারটা কিন্তু নিয়ে এসেছি।’ 

তপু বলল, ‘লাস্ট চ্যাপ্টার আর ছ-সাত পাতা বাকি। তুই নিয়ে যাস।’

মা নিচের থেকে ডাকল, ‘অপু-তপু, খেতে এসো।’ 

তপু অপুকে বলল, ‘চল, শুভস্য শীঘ্রম্। তোর অনারে আজ স্পেশাল মেনু হয়েছে।’

***

দুপুরে খাওয়ার পরে আরামকেদারায় বসে মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের ‘মঞ্চে ও নেপথ্যে’ বইটা পড়তে পড়তে হৃষীকেশের একটু তন্দ্রা এসেছিল। হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে উঠতে তাকিয়ে দেখলেন, কেউ একটা অচেনা নম্বর থেকে কল করেছে। ধরতে ধরতে ফোনটা কেটে গেল। আজকাল নানাজায়গা থেকে অনেক উলটোপালটা ফোন আসে হাবিজাবি ব্যাঙ্ক লোন আর ডোনেশনের জন্য। হৃষীকেশ একটু ভেবে ফোনটা রেখে দিলেন। খানিকক্ষণ পরে আবার রিং। হৃষীকেশ এবার ধরলেন।

—কে বলছেন?

—মিস্টার গুপ্তা?

—গুপ্ত।

—ওকে। মিস্টার গুপ্ত, আমার নাম ডেনিস রিচার্ডসন। 

—আচ্ছা, নমস্কার। 

—হ্যাঁ। নোমস্কার। আপনি আমার বাড়িতে এসে ঘুরে গেছেন শুনলাম। আমার অ্যাটেন্ডেন্ট রঘুবীর বলছিল। কার্ডে আপনার নম্বার পেলাম।

—হ্যাঁ, আপনার সঙ্গে একটু দরকার ছিল। একবার দেখা হতে পারে?

—কী দরকার বলুন।

—আমি আসলে একটা রিসার্চ করছি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিয়ে।

—আচ্ছা, কীসের কম্পানি আছে এটা? সিকিউরিটিজ লিমিটেড আছে কি?

—না। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

—আচ্ছা, তো আমার সাথে এটার কী কানেকশন আছে?

—আমি ড্যানিয়েল রিচার্ডসন নামে এক সাহেবের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার জন্য আপনার কাছে গিয়েছিলাম। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মিলিটারি অফিসার ছিলেন। সাউথ পার্ক স্ট্রিট সেমেট্রিতে ওঁর গ্রেভ আছে। চেনেন আপনি?

—ইয়েস, আমার গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার। আপনি কোথা থেকে পেলেন ড্যানিয়েলের কথা?

—আমি ওঁর একটা ডায়রি পড়েছি।

—আপনার কাছে আছে ডায়রিটা?

—হ্যাঁ।

—আপনি আজ আসতে পারবেন মিস্টার গুপ্ত? ইভনিংয়ে? এই ধরুন সাতটার দিকে। 

—হ্যাঁ। নিশ্চয়ই।

—ওকে। ডায়রিটা সাথে আনবেন কাইন্ডলি।

—আচ্ছা। রাখছি এখন। ধন্যবাদ।

—ধন্যবাদ।


হৃষীকেশ ফোন রেখে আবার পড়ায় মন দিলেন। 

***

পটল পোস্ত দিয়ে অপু অনেকটা ভাত মেখে ফেলেছে দেখে সুদেষ্ণা বললেন, ‘ও কী রে! অতটা ভাত মেখে ফেললি কেন? পাবদা মাছ আছে। মাটনও করেছি তুই ভালোবাসিস বলে।’ 

তপু বলল, ‘আজ এখানেই থেকে যা। সব না খাইয়ে মা তোকে ছাড়বে না।’

অপু হেসে বলল, ‘পটল পোস্তটা দুর্দান্ত হয়েছে, মাসি। চিকেন-মাটন তো অনেক খাই। মাছ অবশ্য মুম্বাইতে তেমন পাওয়া যায় না। তুমিও তো আমাদের সঙ্গেই বসে পড়তে পারতে।’

সুদেষ্ণা বললেন, ‘তোদের খাওয়া হোক। তারপর।’

একটু পরে রান্নাঘর থেকে ঘুরে এসে সুদেষ্ণা বললেন, ‘তোরা কীসব করে বেড়াচ্ছিস আবার? তপুর কাছে শুনলাম, লালবাজারে গিয়েছিলি। ওসব গণ্ডগোলের মধ্যে যাওয়ার কী দরকার?’

অপু বলল, ‘গণ্ডগোল? কোথায়?’

তপু বলল, ‘আরে সেই ডেরেক রিচার্ডসনের কেসটা নিয়ে দিনরাত্তির মা আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। কী কুক্ষণে সেদিন বাড়ি এসে গুপ্তধনের কথা বলেছিলাম!’

সুদেষ্ণা বললেন, ‘তুই থাম। আমি অপুর সঙ্গে কথা বলছি।’

অপু বলল, ‘ওহ! সেইটা? ওটা তো আমরা একটা রহস্যভেদ করার চেষ্টা করছি।’

সুদেষ্ণা বললেন, ‘পড়াশোনা ছেড়ে রহস্যের পিছনে ছুটে কী হবে? তাও যদি কোনো টাকাপয়সা পাওয়া যেত, বুঝতাম।’

অপু বলল, ‘পড়াশোনা করছি না কে বলল? আর টাকাপয়সাটাই তো সব নয়। তার থেকে অনেক বেশি আনন্দ মস্তিষ্ক সঞ্চালনে।’

সুদেষ্ণা বললেন, ‘তোরা আজকাল কীসব হেঁয়ালি করে কথা বলিস, বোঝা যায় না। মস্তিষ্ক সঞ্চালনটা আবার কী?

তপু হেসে বলল, ‘মস্তিষ্ক প্রক্ষালনের উলটো।’


খাওয়ার পরে চিলকুঠরিতে ফিরে এসে তপুর পিঠে দুম করে একটা কিল মেরে অপু বলল, ‘গাধা একটা!’

***

বেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই আজ দরজা খুলে গেল। রঘুবীর নামের সেই লোকটা৷ মুচকি হেসে হৃষীকেশকে বলল, ‘আইয়ে, সাহাব অন্দর আপ কা ইন্তেজার কর রহে হ্যায়।’ ভিতরে ইলেকট্রিসিটি নেই। মোমদানিতে চার্চ ক্যান্ডল জ্বলছে। অথচ বিল্ডিংয়ে আলো আছে।  


রঘুবীর হৃষীকেশকে ড্রয়িং রুমে সোফায় বসতে বলে ভিতরে গেল বুড়ো সাহেবকে খবর দিতে। সোফাটার শ্রীহীন অবস্থা। অল্প আলোয় যতটুকু বোঝা যায়, ঘরের অবস্থাও তথৈবচ। সামনে দেয়ালের গায়ে এক মহিলার ছবি। বোধহয় বৃদ্ধের পরলোকগত পত্নীর। 


ডেনিস রিচার্ডসন মিনিট দু-এক পরেই এলেন। ওয়াকার নিয়ে। অল্প একটু খুঁড়িয়ে হাঁটেন। সম্ভবত হাঁটুর সমস্যা। রঘুবীর ধরে ধরে এনে বসিয়ে দিল। ভদ্রলোকের পরনে ফুলহাতা শার্ট আর ট্রাউজার। মুখখানা দেখে হৃষীকেশের খুব চেনা চেনা লাগছিল। তারপরে হঠাৎ তাঁর মনে হল,  রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওঁর মুখের বেশ মিল আছে। তবে এঁর মাথার চুল সব পেকে গেলেও বেশ ঘন। 


হৃষীকেশ ভদ্রতা করে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। ডেনিস রিচার্ডসন ডান হাতখানা তুলে ইশারায় বসতে বললেন। তারপর ফ্যাঁশফ্যাঁশে গলায় বললেন, ‘আই অ্যাম এক্সট্রিমলি সরি। একটু আগে সাডেনলি আমাদের ফ্ল্যাটে শর্ট সার্কিট হয়ে গেছে। রঘুবীর ইলেকট্রিশিয়ানকে খবর দিয়েছে। দেখি কখন আসে।’

হৃষীকেশ বললেন, ‘আপনি বৃথাই উতলা হচ্ছেন। আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না।’ 

ডেনিস বললেন, ‘আপনি ডায়রিটা এনেছেন?’

হৃষীকেশ ব্যাগ থেকে ডায়রিটা বার করে ওঁর হাতে দিলেন। ভদ্রলোক মিনিটকয়েক ধরে এলোমেলো ভাবে খানকয়েক পাতা উলটে দেখলেন। তারপর হৃষীকেশকে বললেন, ‘আপনি কী করেন?’ 

হৃষীকেশ জবাব দিলেন, ‘আমি শেয়ালদার মিত্র ইনস্টিশনে বাংলা পড়াই।’

‘আর হিস্ট্রি? হবি?’

‘নেশা বলতে পারেন। বিশেষ করে এনশেন্ট, মুঘল আর নাইনটিন্থ সেঞ্চুরি আমার বেশি পছন্দের।’ হৃষীকেশ বললেন।

ডেনিস রিচার্ডসন বললেন, ‘ভেরি গুড। তো ডায়রিটা আপনার হাতে লাগল কোথা থেকে? মাফ করবেন, আমার বেঙ্গলিটা একটু উইক আছে।’

রঘুবীর একগ্লাস শরবত দিয়ে গেল। হৃষীকেশ শরবতে চুমুক দিয়ে বললেন, ‘আমি চেনা একজনের থেকে মাঝেমধ্যে পুরোনো বইপত্র কিনি। তার কাছ থেকেই পাওয়া। কে বিক্রি করেছে, জিজ্ঞাসা করেছিলাম। নামটা বলতে পারেনি। তবে তারও পদবি রিচার্ডসন। … কলকাতায় আপনাদের আর কোনো জ্ঞাতি আছে?’

ডেনিস হঠাৎ রেগে উঠে বললেন, ‘সব ওই স্কাউন্ড্রেলটার কাণ্ড!’

হৃষীকেশ বললেন, ‘কার কথা বলছেন?’

‘আমার গুণধর ছেলে। ডেরেক।’

হৃষীকেশ কী বলবেন বুঝতে না পেরে চুপ করে থাকলেন। 

মিনিটখানেক পরে বৃদ্ধ নিজেই আবার বলতে শুরু করলেন, ‘ওয়েলিংটনে আমাদের তিন পুরুষের দোকান ছিল, বুঝলেন। ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেসের। সব বরবাদ করেছে আমার ওই রাস্কেল ছেলে। আসলে ওর মা মারা গেছে ছোটবেলায়। অতিরিক্ত প্রশ্রয় পেয়েছে আমার কাছে। অসৎ সঙ্গে মিশে স্বভাবটাই গেছিল নষ্ট হয়ে। আজেবাজে লোকের পাল্লায় পড়ে জীবনটাও শেষ হয়ে গেল অকালে।’ বলতে বলতে ওঁর গলাটা কান্নায় ধরে এল। কথা শেষ করেই ডেনিস হাতের তেলোয় চোখ মুছলেন।

হৃষীকেশ বললেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে। না জেনে আপনাকে দুঃখ দিয়ে ফেলেছি।’

ডেনিস বললেন, ‘ঠিক আছি আমি।’

হৃষীকেশ বললেন, ‘ড্যানিয়েলের ডায়রিটা আপনাদের পারিবারিক জিনিস। আপনি মনে করলে ওটা রেখে দিতে পারেন।’

ডেনিস রিচার্ডসন ডায়রিটা ফেরত দিয়ে বললেন, ‘না না, আপনি পড়ালেখার মানুষ। আমার অ্যানসেস্টারকে নিয়ে রিসার্চ করছেন৷ ডায়রি আপনার কাছেই থাকুক। তবে আমি ওঁর ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না। শুনেছি উনি ক্যালকাটার বঙ্গালি মেয়ে বিয়ে করেছিলেন। ডেরেকের মাদারও বঙ্গালি ঘরের ছিল।’

হৃষীকেশ শরবতটা শেষ করে বললেন, ‘আজ তাহলে উঠি।’

ডেনিস রিচার্ডসন বললেন, ‘মিস্টার গুপ্ত, আপনি হিস্ট্রির লোক আছেন। তাই আরেকটা কথা বলার ছিল।’

হৃষীকেশ ডায়রিটা ব্যাগে ঢুকিয়ে বললেন, ‘বলুন।’

ডেনিস বললেন, ‘আমাদের ফ্যামিলিতে একটা জিনিস আছে। একটা চিঠি। আপনি আরবি-ফারসি কিছু জানেন?’

হৃষীকেশ বললেন, ‘অল্পস্বল্প পড়তে পারি। তবে চিঠিটার কথা ড্যানিয়েলের ডায়রিতে পেয়েছি।’

মোমবাতির মৃদু আলোয় ডেনিসের চোখদুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠল। হৃষীকেশকে তিনি বললেন, ‘জিনিসটা দেখাচ্ছি আপনাকে। বসুন।’


রঘুবীরের সঙ্গে ওয়াকার নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে আবার ভিতরের ঘরে গেলেন ভদ্রলোক। ফিরে এলেন মিনিট দশেক পরে। হৃষীকেশের হাতে ভাঁজ করা মসলিন কাপড়ের চিঠিটা তুলে দিয়ে বললেন, ‘পড়ে দেখুন তো একবার।’ 

রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় মোমের আলোয় চিঠিটা পাঠ করে হৃষীকেশ বললেন, ‘এটা শাহজাদা দারাশুকোকে লিখেছেন তাঁর ভাই শাহ সুজা। বুরহানপুর থেকে। আজ থেকে তিনশ বিরানব্বই বছর আগে। সুজা লিখেছেন, তাপ্তি নদীর কিনারে আহুখানায় বাদশার দৌলত মেহফুজ আছে।’

(চলবে)


আগের পর্বগুলি পড়ুন : 

১) সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন (প্রথম পর্ব) 

২) সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন (দ্বিতীয় পর্ব) 

৩) সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন (তৃতীয় পর্ব) 

৪) সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন (চতুর্থ পর্ব) 


........................... 

[অলংকরণ : বিবস্বান] 


#ধারাবাহিক উপন্যাস #তহস্য উপন্যাস #তপোব্রত ভাদুড়ি #সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন #silly পয়েন্ট

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

5

Unique Visitors

219107