বিবিধ

অভিমুখ (পর্ব : চার)

অভি চক্রবর্তী Sep 22, 2021 at 7:02 am বিবিধ

মারের সাগর পাড়ি দেব

..........................................

বাংলা থিয়েটারে, বিশেষত গ্রুপ থিয়েটারে পারিবারিক পরিকাঠামোর সাফল্য ঈর্ষণীয়। ধারাটা বহুল প্রচলিত, পরম্পরা বাহিত। প্রথমে স্বামী-স্ত্রী, পরবর্তীতে সেই উদ্যোগের সঙ্গে পুত্র বা কন্যার জুড়ে যাবার ইতিহাস সুপরিচিত। এখন পাঠকের মনে প্রশ্ন-প্রপাত শুরু হতেই পারে যে নাটকের স্পেস সংক্রান্ত একটি ধারাবাহিক সিরিজে এমন প্রসঙ্গ এনে আমি অভিমুখ বদলে ফেলতে চাইছি কিনা! প্রথমেই স্পষ্ট করে দেওয়া যাক তেমন কোনো গূঢ় উদ্দেশ্য আমার নেই। আসলে সম্প্রতি অশোকনগর নাট্যমুখের 'অমল আলো'-কে কেন্দ্র করে নির্মিত, সংগীতা চক্রবর্তী নির্দেশিত 'মারের সাগর পাড়ি দেব' নাট্য নিয়ে এই পর্বের লেখা।


 


এখানে এই গৌরচন্দ্রিকার প্রয়োজনীয়তা এই যে, সম্পর্কে সংগীতা চক্রবর্তী আমার স্ত্রী, নাট্যমুখ আমাদের দল এবং 'অমল আলো' আমাদের নিজস্ব থিয়েটার স্পেস। তাহলে কি এই লেখা ততটা নির্মোহ বা নিরপেক্ষ থেকে আমি লিখে উঠতে পারব? সম্ভাবনা কম জেনেই শুরু করছি। শুরুর কৈফিয়ত হিসেবে তাই কিছু কথা বলে নেবার প্রয়োজন বোধ করলাম। তবে স্বামী স্বয়ং নিজের স্ত্রী-র কাজকর্ম নিয়ে লিখছেন, তা নিয়ে চোখ টেপা বা গুপ্ত ঠাট্টার উল্লাসে মেতে ওঠার আগে একবার চেষ্টা করে দেখাই যাক না যে, এমন একটা মন আমরা তৈরি করতে পারি কি না , যেখানে একটি কাজকে ঘরোয়া চৌহদ্দির বাইরে বেরিয়ে যথাসম্ভব নিরপেক্ষভাবে দেখা যায়। সেই অভীষ্টে পৌঁছনোর জন্যই এই লেখার অবতারণা।





একটি আটপৌরে কথোপকথন 


লেখাটি গোছানো বা সাজানোর সময় মনে হতে থাকে যে 'মারের সাগর' নিয়ে আমার মতামতের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি নির্দেশক সংগীতার বয়ান। সে আসলে কোন মন থেকে অন্তরীণকালের এই প্রকট বিষাদ, হিংস্র নৈঃশব্দ্য, নাছোড় আতঙ্কের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কাছে আনত হতে চায়, জানতে চেয়েছিলাম। 

সংগীতা বলল - "মারের সাগরের ভাবনা এসেছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটককে জানবার আগ্রহ থেকে। আরো বেশি করে রবীন্দ্র-নাটকের অভ্যন্তরে বা উৎসমূলে পৌঁছনোর আগ্রহ থেকে। রবীন্দ্রনাথের নাটক অনেক তৈরি হয় বটে, আমাদের দলেও রবীন্দ্র-নাট্য হয়েছে বেশ কিছু। কিন্তু সেইসব নাটকে রবিঠাকুরের ভাবনা কী ছিল, সেই নাট্যভাবনার উৎস কী ছিল, সেটা আমার জানতে ইচ্ছে করছিল। এই নিজস্ব আগ্রহ থেকেই 'মারের সাগর পাড়ি দেব' নাটকের ভাবনা আসে আমার, যা আসলে প্রসারিত হয়েছে আমাদের সকলের মধ্যেই। তাই এই নাট্যপরিক্রমায় নাটকগুলির উৎস-অনুসন্ধান, সংলাপ-নির্যাস ও সেই নাটকের সংগীত - এই তিনটি বিষয়কে একত্র হয়েছে। মূলত চারটি নাটকের পরিক্রমাই মারের সাগরের আখ্যান। যদিও এখানে কালগত পরম্পরা, গঠনগত পরম্পরা বা আঙ্গিকের পরম্পরা কোনওটাই মানিনি আমরা।  'রক্তকরবী', 'মুক্তধারা', 'রাজা' ও 'তাসের দেশ' মিলেমিশে গেছে কোলাজের মতো করে। আবার নিজস্ব রং নিয়েও প্রকট থেকেছে ক্যানভাসে। এই খাপছাড়া অনিয়মই এই নাট্যের শক্তি। একে কেন্দ্র করেই নাট্যে এসেছে রবীন্দ্রনাথের ধাঁচের পেইন্টিং, শাস্ত্রীয় নৃত্যের চলন এবং একটি বাংলা যাত্রার প্যাটার্ন। স্পেস জুড়ে একটি চাঁদোয়ার নিচে অভিনয় হয় এ নাট্যের - পিছনে বসেন গায়ক, বাদক ও সঙ্গতকারেরা। বাঁশি, তবলা, খোল, কাহন, ঝাঁজ, হারমোনিয়াম, গিটার সহ একটি লাইভ মিউজিক্যাল পারফরমেন্স এই প্রযোজনাটির মেরুদণ্ড। তার সঙ্গে  অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের মেলবন্ধনে একটি ভারতীয় নাট্যের ঐতিহ্যের দিকে যাবার চেষ্টা করেছি আমরা। হয়তো শুরুতে সেই চেষ্টা খুব জ্ঞাতসারে হয়নি, কিন্তু এখন প্রযোজনা দেখলে বোঝা যাবে যে কোনও স্পেসে, যে কোনও আলোয় খুব কম মঞ্চ-আয়োজনে এই নাট্যের অভিনয় সম্ভব।"



আমার মনে পড়ছিল রবীন্দ্রনাথের 'রঙ্গমঞ্চ' প্রবন্ধের কথা। মনে পড়ছিল প্রথম লকডাউনে আমাদের প্রকাশনা থেকে প্রস্তুত শেখর সমাদ্দার সম্পাদিত 'বুকের মাঝে বিশ্বলোক; রবীন্দ্র নাট্যভুবন' বইটির কথা - যেখানে শ্রী সমাদ্দার রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় নাটক সংক্রান্ত লেখাগুলিকে একত্র করে রবীন্দ্রনাট্যের এক বিশেষ অভিমুখের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। আমি ভাবছিলাম, সংগীতা কি তাহলে এই লাইব্রেরি ওয়ার্ককেই ল্যাবরেটরিতে কাটাছেঁড়া করে নাট্যের রূপ দিলেন? এক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকে তার নিয়মিত তালিম নেওয়া নৃত্যর ভূমিকা ঠিক কতটা? 

পরিচিত লোকের মুখোমুখি বসে এ প্রশ্নের জবাবে হেসে ওঠেন সংগীতা। অকপটেই জানান, "আমার প্রথম ভালবাসা বা প্রেম নৃত্য। আমি খুব যত্ন করে নাচ শিখেছি দীর্ঘদিন। তবে নাটকের মধ্যে আছি দু-দশক। নাটক তিলোত্তমা শিল্প। তাই নাটক নির্মাণে আমি মনে করি সমস্ত শিল্পের যাতায়াত এবং আন্তরিক মিলমিশ থাকা উচিত। আমি এখানে নৃত্য, আবহ, সঙ্গীত, চিত্রশিল্প, আলোর রং ব্যবহার করেছি। তবে এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, এই নাটকের একটি বিশেষ অংশ  জুড়ে নৃত্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার প্রথম প্রেম ও ভালোবাসার মাধ্যমের সঙ্গে আমার আরেক ভালোবাসাকে মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ করতে পেরে অবশ্যই খুশি হয়েছি।"

আসলে 'অমল আলো' তৈরির পর দলের তরুণদের মধ্যে একরকম উন্মাদনা সঞ্চারিত হয়েছে। তারা নানা নাট্যপ্রযোজনা দেখার সুযোগ পায়, দলগতভাবে তাদের নিয়মিত নাট্য দেখার, বা বলা ভালো 'অমল আলো'-য় হয়ে ওঠা পারফরমেন্স দেখার বাধ্যতামূলক নির্দেশও আছে। ফলত নিজস্ব চর্চাক্ষেত্র প্রতি শনি-রবি নিয়ম করে যখন নানা নাট্যের আকারানুসারে সাকার হয়ে ওঠে, তখন এই দল থিয়েটারের প্রতি আরও আন্তরিক, আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ওঠে। এসব নিয়েই কথা হচ্ছিল সংগীতার সঙ্গে। সংগীতা জানায়, "সত্যিই এদের শৃঙ্খলা, প্রত্যহ দীর্ঘক্ষণ মহলা করবার এনার্জি আমাকে চমকে দিয়েছে। আসলে গত পাঁচ বছর এরা দলের সঙ্গেই আছে। আর এই নাট্যের মধ্যে দিয়ে এদেরকে আমি যেন নতুন করে চিনলাম। এদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা বেড়ে গেল আমার। বহু গুণ। আমার ভীষণ আশা, এখনকার ছোটোদের ব্যাচও আগামী দিনে এমন কাজ করতে পারবে।" 



সত্যিই আজকাল মনে হয়, একটা নাট্যদলে এই স্রোত খুবই জরুরি। কেউই অপরিহার্য নয়, আবার সকলেই জরুরি। এই যে 'মারের সাগর' শুরুর সময়ে শাশ্বতী দাস কোরিওগ্রাফির কাজ করছিলেন। তখন ঘোর অন্তরীণকাল। তৈরি হচ্ছিল একটা মিনিট কুড়ির প্রযোজনার খসড়া। সংগীতা তখন অসুস্থ। অনেকেই দূর থেকে আসতে পারছেন না। লোকাল ছেলেমেয়েদের দিয়ে ই জেড সিসির জন্য একটি ভিডিও-ও প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু থিয়েটারের লোকদের কি আর ভিডিওতে পেট বা মন ভরে? অন্তরীণ একটু আলগা হতেই ভেলকির মতো জড়ো হতে লাগল সবাই। ঝুমুর,দেবাদ্রিতা, অর্পিতা, শ্রেয়া, রুমকি, মৌসুমী,  সোহান, সৌমেন্দু, অঞ্জন, তানিয়ারা প্রত্যহ পাঁচ, সাত ঘন্টা করে সজীব করে তুলতেন 'অমল আলো' স্পেসকে। সঙ্গে লাইভ মিউজিকে রোজকার সঙ্গতে অরিন্দম, রণিত, প্রতীক, অন্বেষা এবং সৌহৃদ। শাশ্বতী অসুস্থ হলেন, দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল দেবাদ্রিতা। থিয়েটার আসলে রিলে রেসের মতো। থেমে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তিয়াসা চাকরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, জুড়ে গেল তানিয়া, রুমকি। এর নামই থিয়েটার। আমি একে নিয়েই বাঁচি। সংগীতাও তাই। 

এ যেন আত্মসংহারের মধ্যে দিয়ে জীবনের উল্লাস। আনন্দের মধ্যে মধ্যেই নানা শলার আঁচ পাই, টের পাই বিবিধ জল্পনার - চুপ করে থাকি। মহলার আনন্দে, সুরে, তালে, লয়ে, আলোতে বাঁচি - পতঙ্গের মতো ঝাঁপ দিয়ে। 

সংগীতাকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করে বসি, "থিয়েটারে স্বামী নির্দেশক, স্ত্রী নিরাপদ প্রধান চরিত্রের দাবিদার -  এই বাইনারি যে আমরা ভাঙতে চাইলাম। সে বিষয়ে কিছু বলবে?" 

হাসে সংগীতা। সে হাসিতে পরিযায়ী পাখির ক্ষণস্থায়ী বিদ্যমান। চোখের কোটরে যেন তখন শিকার-উৎসবের আলো জ্বালিয়েছে প্রাচীন মানুষ। সেই আলোর উৎসবের দিকে যেন হাঁটতে হাঁটতে সে বলে, 'আমি যখন থিয়েটারে আসি, মূলত স্বামী নির্দেশক আর স্ত্রী অভিনেত্রী এমনটাই বেশি দেখেছি বটে। কিছু মহিলা নির্দেশক আছেন যারা এককভাবে সময় দিয়ে একই দলে থেকে স্বামীর নির্দেশনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। এমন ঘটনা আমাদের পশ্চিমবাংলায় একেবারেই বিরল। আমি খুব অল্প বয়স থেকেই নির্দেশনার কাজ শুরু করি বিভিন্ন স্কুল কলেজে।  ওয়ার্কশপ বেস্ড প্রোডাকশনসের মধ্যে দিয়েই আমার চলার শুরু। অবশ্য 'তিতলি' বলে একটি নাটক দিয়ে আমার প্রসেনিয়াম থিয়েটারের পরিচালনায় হাতেখড়ি। আমি এই অলিখিত অদৃশ্য প্রথাকে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলাম যেখানে স্বামী পরিচালক হবেন আর স্ত্রী মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন। এই দুটোর থেকেই সচেতনে সরে আসতে চেয়েছি।  প্রয়োজনের তাগিদে আমি চরিত্রের হাত ধরে অভিনয় করেছি। আবার দলের প্রয়োজনে ও নিজের ইচ্ছায় পরিচালনার কাজ করেছি। আর এই প্রথা ভাঙার পথে আমাকে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন অভি চক্রবর্তী। যিনি একইসঙ্গে এই বিতর্কিত প্রশ্নের অবতারণা করেছেন আবার তিনি আমার স্বামীও বটে। তাই রীতি ভাঙার জন্য কিন্তু আমাদের দু'জনকেই আগে শিল্পী বলে নিজেদের ও পরস্পরকে বিশ্বাস করতে হয়েছে। এখানে স্বামী বা রিলেশানশিপ ম্যাটার করেনি। আমাদের এখানে সর্বদাই রিলেশনশিপকে প্রায়োরিটি দেওয়া হয়ে থাকে - যেমন অমুকের বউ খুব ভালো অভিনয় করেছে, তমুকের বউ  স্যালারি গ্রান্টের বা দলের অন্যান্য কাগুজে কাজে দক্ষ, কিংবা তমুকের স্ত্রী নির্দেশনাটা ভালোই দিয়েছে। ফলত কারোর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই আমাদের পরিচয় হয় 'তমুকের স্ত্রী' হিসেবে - শিল্পী হিসেবে নয়। এই নিয়েই চলতে হয়। ক্লান্তির বোঝা বাড়লেও নিরুপায় আমরা। কাজ করে যাওয়া ছাড়া উপায় কী?" 




সত্যিই পুরুষতন্ত্রের এই সর্বগ্রাসী দানবীয় থাবার বিস্তারে, চাই বা না চাই, সামাজিক সমস্ত ক্ষেত্রে আমিও কোনও না কোনওভাবে শরিক -  ভাবতে খানিক লজ্জাই হয়। 

কথা ঘুরিয়ে দিই। প্রশ্ন করি সংগীতাকে - "মারের সাগর কোথায় হলে ভাল লাগবে?" 

আত্মবিশ্বাসী উত্তর দেয় সংগীতা, "এই নাটকটি অমলআলোকে কেন্দ্র করে বা অমল আলোর মত আরো সব ইন্টিমেট স্পেসকে কেন্দ্র করে বানানোর কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু এই নাটকটির বিন্যাস ও পরিবেশনা প্রসেনিয়াম, এমনকি ওপেন এয়ারেও গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে আমি বেশি আনন্দ পাব জ্যোৎস্না রাতে কোনও পাহাড়ের কোলে, নদীর ধারে বা বনের মধ্যে এই নাট্য অভিনয় করতে পারলে। আবার বড়ো কোনও বাড়ির লাল মেঝেতে, বাগানে বা কোনও বাড়ির ছাদে, কলেজে বা স্কুলের বড় ঘরেও করতে পারলে ভালো লাগবে। অর্থাৎ, সর্বত্র আমি এটা করতে চাইব। যে কোনও স্পেসে। চাইব রবীন্দ্রনাথের নাট্যভাবনা নিয়ে আলোচনা হোক প্রতি শোয়ের আগে বা পরে। আলাপচারিতার পরিসর তৈরি হোক।" 


সংগীতা বলেই চলছিল। আমাকে থামাতে হল। শব্দসংখ্যা এবং নিরপেক্ষ থাকার দায় আমাকে সতর্ক করছিল। তাই মারের সাগর নিয়ে আরো জানতে আগামী ৯ অক্টোবর অমল আলোয় আসুন। সেই প্রযোজনা নিজেই বরং এই লেখার পরবর্তী এবং অন্তিম কিস্তি হয়ে থাকুক।

................................


আরও পড়ুন : অভিমুখ (পর্ব: এক)   

                   অভিমুখ (পর্ব : দুই) 

                  অভিমুখ (পর্ব : তিন) 


[লেখক 'অশোকনগর নাট্যমুখ' দলের পরিচালক ও কর্ণধার]

….……………………………………….. 


[পোস্টার : অর্পণ দাস] 

[পোস্টারের মূল ছবি ও অন্যান্য ছবিগুলি লেখকের সূত্রে প্রাপ্ত] 

#অভিমুখ #অভি চক্রবর্তী #ইন্টিমেট থিয়েটার #ফ্লেক্সিবল থিয়েটার স্পেস #অর্পণ দাস #বাংলা পোর্টাল #ওয়েবজিন #মারের সাগর পাড়ি দেব #সংগীতা চক্রবর্তী

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

24

Unique Visitors

219138