দুটি কবিতা
...................
হেমলক
শূন্যতা, বিষাদঋতু। তোমাদের কাছে এসে থামে
একটি চিরকুট, যার কাছে
আমার বসন্ত আজ ভগ্নস্তূপ সমূহ সাজানো।
যে ঘরে ভাঙন ধরে, তার মতো প্রতিদিন
গড়ে উঠি, ভেঙে যাই আজও।
কিছু লিখে রেখে গেছে বুঝি কোনও স্টেশনমাস্টার।
আজ কোনও ট্রেন থেকে লাফ দেবে না গৃহস্থ মশাল
দিকে দিকে অন্ধকারে পড়ে আছে বোবা প্রজাপতি
ভেসে গেছে সহোদরা রক্তবীজ, পুরোনো সন্ধ্যায়।
শূন্যতা, তোমায় বলি, এখন যেকোনও পাত্র থেকে
তুলে নাও বিষ। দ্যাখো, পৃথিবীর কোথাও এখন
তেমন সবুজ কোনও স্বেচ্ছাচার নেই।
ছোবল
কখন তোমায় বলব, ফিরে এসো, এই ভেবেই
দেখি সব ধানক্ষেত থেকে উড়ে যাচ্ছে শস্যদানাগুলি
আমাদের হিসেবের খাতাগুলো বিরতি পেল না।
ঘরে ঘরে জ্বলে উঠল আশা নিভে যাওয়া প্রদীপের
শিখা, তাকে আমন্ত্রণ জানাও।
আমিও তোমার পাশে একেকদিন দুধের শিশুকে
কীভাবে ঘুম পাড়াব ভাবি। জলে আগুনের স্রোত
মিশেছে বসন্তঋতু থেকে। দেখি, তুমি কত ঠিক প্রিয়।
পাখিদের সংসার থেকে যখন বিজয়বার্তা শোনা যায়
তখন বিষাক্ত হাওয়া ছুটে আসে নিম্নচাপ থেকে।
শরীর, কুসুমমাত্র। তুমি বোঝ, তাই
মান্দাস একাই ভাসে, একাই ভাসায়।
.........................
[অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র]