সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন (ষোড়শ পর্ব)
[ আগে যা ঘটেছে : হৃষীকেশ কাকুর কাছে গিয়ে অপু আর তপু জানতে পারে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মিলিটারি অফিসার ড্যানিয়েল রিচার্ডসনের ডায়রিতে লিপিবদ্ধ শাহ সুজার চিঠির কথা। তার মধ্যে ছিল সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধনের সংবাদ। এরই মধ্যে রায়পুরের সিমরন হেরিটেজ হোটেলে পাওয়া যায় ড্যানিয়েলের বংশধর ডেরেক রিচার্ডসনের লাশ। এদিকে শাহি খাজানার খবর পেয়ে ব্যগ্র হয়ে উঠেছে হিংসাকুটিল লোভী লুঠেরার দল৷ রহস্যভেদের তদন্তে অপুরা এসেছে বুরহানপুরে।]
....................
সাপ্তাহিক উপন্যাস
পঞ্চদশ পর্বের পর
.....................
সকালে বেরিয়ে অপুরা প্রথমে গেল মোহনা রোডে রাজা কি ছত্রী দেখতে। রাজা কি ছত্রী আমেরের রাজা জয় সিংহের স্মৃতিসৌধ৷ জয় সিংহ ছিলেন মুঘল সেনাপতি। দাক্ষিণাত্য অভিযানে এসে বুরহানপুরে মৃত্যু হয়৷ স্মৃতিসৌধটা তৈরি হয়েছিল আওরঙ্গজেবের নির্দেশে রাজপুত আর মুঘল শিল্পরীতির সংমিশ্রণে।
হোটেলের সামনে থেকেই অটো ভাড়া করা হয়েছে। অটোওয়ালা গাড়ি চালাতে চালাতে বললেন, ‘অগর আপ কুছদিন পহলে য়ঁহা আতে তো বেগমসাহিবা কা উর্স দেখ পাতে।’
অপু বুঝিয়ে বলল, ‘এখানে প্রতিবছর জুন মাসে মুমতাজ মহলের মৃত্যুতিথি পালন করা হয়। আউটলুক ট্র্যাভেলরে পড়েছিলাম।’
ইছাপুর হাইওয়ে দিয়ে ফেরার সময়ে তপু হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল, ‘দ্যাখো দ্যাখো৷ সেই গাড়িটা।’ জিজামাতা পলিটেকনিকের সামনে একটা কালো টয়োটা দাঁড়িয়ে আছে। কাল তাড়াহুড়োর মধ্যে গাড়িটার নম্বর দেখে রাখা হয়নি। অপু বলল, ‘এরকম কালো গাড়ি অনেক আছে, তপু।’
তাপ্তির ওপারটা হচ্ছে জৈনাবাদ। জৈনাবাদেই আহুখানা। বুরহানপুর থেকে রাজঘাট ব্রিজ হয়ে রাস্তা চলে গেছে জৈনাবাদে।
সাগর ধাবার কাছে পঞ্চাশ নম্বর হাইওয়ে ছেড়ে অটোটা বাঁদিকে ঘুরল। রাস্তা সুবিধার নয়। বোঝাই যায়, এদিকে খুব একটা লোক আসে না। পথের ধারে মাঝে মাঝে দু-একটা দোকানপাট। আর তুলোর খেত। ভৈরব বাবার মন্দির পর্যন্ত এসে অটোওয়ালা বললেন, ‘য়ঁহা সে পয়দল জানা হোগা৷ গাড়ি আগে নেহি জায়েগি।’
***
হৃষীকেশ কাকু হাঁটতে হাঁটতে বললেন, ‘আহুখানা কথাটার মানে হচ্ছে শিকারগাহ। একসময়ে এখানে ছিল মৃগদাব বা ডিয়ার পার্ক৷ আকবরের ছেলে দানিয়েল তৈরি করেছিলেন।’
অপু বলল, ‘পরে মুমতাজ বুরহানপুরে এসে এখানে গোলাপ বাগান বানিয়েছিলেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটা আর্টিকেলে পড়েছি, মুমতাজের খুব বাগানের শখ ছিল৷ আগ্রায় থাকতে যমুনার তীরে মুমতাজ একটা বাগান তৈরি করেন। জাহরা বাগ৷ সেটার কাজ শেষ হওয়ার আগেই আহমেদনগর, গোলকুন্ডা আর বিজাপুরের সুলতানদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে শাহজাহানকে চলে আসতে হয় বুরহানপুরে। মুমতাজ তখন নিজের অপূর্ণ সাধ মেটান এই আহুখানায়। নাম রাখেন বাগ-এ-জন্নত বা নন্দন কানন।’
হৃষীকেশ বললেন, ‘বাহ! এটা নতুন জানলাম। আমাকেও পড়তে দিয়ো তো লেখাটা।’
আহুখানায় ঢুকতে প্রথমেই পড়ে বারাদরি৷ বারাদরি মানে বারোদুয়ারি৷ চারদিকে তিনটে করে মোট বারোটা দরজা আছে৷ খোলামেলা ভাবে বানানো হয়েছিল হাওয়া চলাচলের জন্য৷ আগে মাথার উপরে ছাদ ছিল৷ এখন ভেঙে পড়েছে৷ দেওয়ালগুলোও দাঁড়িয়ে আছে কোনোরকমে জরাজীর্ণ অবস্থায়৷
তপু বলল, ‘কী যাচ্ছেতাই অবস্থা! কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না, এরা খালি পার্লামেন্ট বিল্ডিং বানাচ্ছে৷’
হৃষীকেশ বললেন, ‘এখানে আরেকটা হিস্টরিকাল মনুমেন্ট আছে, জানো তো?’
হৃষীকেশের কথা শেষ না হতেই পুবদিকের খিলানের আড়াল থেকে একটা লোক বেরিয়ে এল৷ হৃষীকেশকে বলল, ‘ওসব হিস্ট্রি-ফিস্ট্রি পড়ে হবে৷ আগে জিওগ্রাফিটা বোঝান তো৷’
অপু আর তপু দুজনেই লোকটার দিকে তাকাল৷ মুখখানা একটুও অচেনা নয়৷ তবে সিসিটিভি ফুটেজ কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফোটোর থেকে সামনাসামনি এখন আরও বেশি স্পষ্ট৷
হৃষীকেশ একটুও ভয় না পেয়ে বললেন, ‘আসুন, মিস্টার ডেরেক রিচার্ডসন৷ না কি ডেনিস দ্য মেনাস? কী নামে ডাকব আপনাকে? আপনার তো একই অঙ্গে অনেক রূপ!’
অপুরা খেয়াল করে নি, কখন চুপিসাড়ে রঘুবীর পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে৷ রঘুবীর ধমকে উঠে বলল, ‘বকোয়াস বন্দ কর৷’
ডেরেক অপুদের দেখিয়ে প্রশ্ন করল, ‘এগুলো আপনার স্টুডেন্ট? না কি টিকটিকির বাচ্চা?’
তপু হঠৎ পাগলের মতো একটা কাণ্ড করে বসল৷ কোথা থেকে একটা রিভলবার বার করে চিৎকার করে উঠল, ‘হ্যান্ডস আপ৷’
ডেরেক রিচার্ডসন ব্যাপারটার জন্য প্রস্তুত ছিল না৷ হকচকিয়ে হাতদুটো মাথার উপরে তুলল৷
রঘুবীর বেপরোয়া ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ল তপুর ওপরে৷ রিভলবারটা কেড়ে নিয়ে সেটার বাঁট দিয়ে জোরে আঘাত করল তপুর মাথায়৷ একটা অস্ফুট আর্তনাদ করে তপু লুটিয়ে পড়ল৷
রঘুবীর রিভলবারটা ভালো করে দেখে বলল, ‘বাবুয়া হমে খিলোনা সে ডরা রহে থে৷’
খেলনা বন্দুকটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পকেট থেকে একটা মুঙ্গেরি পিস্তল বার করে রঘুবীর বলল, ‘আসলি গান ম্যাঁয় দিখাতা হুঁ৷’
‘আবে গান মত নিকাল। পহলে ঠন্ডা দিমাগ সে সমঝানে দে।’ বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়ে যে-লোকটা উপরে উঠে এল, অপু একবার দেখেই চিনতে পারল। প্লেনে এই লোকটাই কাকুর পাশে বসে ছিল।
রঘুবীর বলল, ‘আইয়ে হুজৌর।’
ডেরেক হতবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘ইয়ে কৌন হ্যায়?’
লোকটা ধূর্ত ভাবে হেসে উত্তর দিল, ‘মেরা নাম ব্রিজভূষণ দারুওয়ালা। রঘু মেরা হি আদমি হ্যায়।’
ডেরেক রাগে চোখ লাল করে বলল, ‘বেইমান কঁহি কা।’
রঘুবীর তড়পে উঠে বলল, ‘কৌন কিস কো বেইমান কহ রহা হ্যায়? তু নে আপনে ভাই কে সাথ ক্যা কিয়া? বাতাউঁ সব কো? অউর বাবুজি কো ক্যা কিয়া?’
ডেরেক মুহূর্তের মধ্যে চুপসে গেল।
তপু মাথায় হাত চেপে উঠে বসেছে। অপু কাঁদো কাঁদো হয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘কোনখানে লেগেছে?’
তপু নির্বিকার ভাবে বলল, ‘কাঁদিস না। ডিহাইড্রেশন হয়ে যাবে৷’
ডেরেক দাঁতে দাঁত চেপে বলল, ‘হিসেব মতো ট্রেজার আমারই পাওয়ার কথা। ট্রেজারের ব্যাপারটা জানতেন একমাত্র ড্যানিয়েল। সুজার চিঠিটাও আমাদের ফ্যামিলির জিনিস৷’
হৃষীকেশ বললেন, ‘আপনার মুখে ড্যানিয়েলের নাম মানায় না। ড্যানিয়েল ঠগীদমন করেছিলেন। আর আপনি তো নিজেই একজন ঠগ। দাড়িগোঁফ আর পরচুলা লাগিয়ে আপনি আমাকে ফাঁকি দিতে পারেন নি৷ আমি গোড়াতেই বুঝতে পেরেছিলাম, আপনার কান্নাকাটি সবটাই অভিনয়৷ সেদিন ভিতরের ঘর থেকে চিঠি আনতে গিয়ে আপনি খোশমেজাজে পারফিউম লাগিয়ে এসেছিলেন। গন্ধটা এখানেও বাতাসে ভাসছে৷’
অপু বলল, ‘জ্যাক অ্যান্ড জোন্স৷’
দারুওয়ালা হৃষীকেশকে বললেন, ‘ও বিলকুল ঝুটা আদমি আছে৷ আপনি হামার সাথে ডিল কোরেন৷ হামার প্রোমোটিংয়ের বেওসা আছে৷ হামি আপনাকে রাজারহাট মে দো শো একরের ফার্ম হাউস দিব৷’
অপু বলল, ‘উনি কিচ্ছু জানেন না৷ আপনারা যা খুঁজছেন, সেটা এখানে নেই৷’
দারুওয়ালা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘ক্যা মতলব?’
অপু বলল, ‘যার জিনিস, সে অনেক আগেই সরিয়ে ফেলেছে৷’
রঘুবীর বলল, ‘ইয়ে লড়কি হমে ভড়কা রহি হ্যায়৷ নকশা কঁহা হ্যায় ঠিক সে বতা৷ নেহি তো গোলি মার দুঙ্গা৷’
‘এই যে নকশা৷’ বলেই অপু জিনসের পকেট থেকে একটা ভাঁজ করা কাগজ ছুঁড়ে দিল দারুওয়ালার দিকে৷
চোখের নিমেষে ডেরেক আর দারুওয়ালা দুজনেই ঝাঁপিয়ে পড়ল কাগজটার উপরে৷ আর সঙ্গে সঙ্গে অপুর ডান পা-টা বিদ্যুতের বেগে শূন্যে উঠে ছিটকে গিয়ে লাগল রঘুবীরের থুতনিতে৷ রঘুবীর একটা অদ্ভুত আওয়াজ করে কাটা কলাগাছের মত হাততিনেক দূরে গিয়ে পড়ল৷
হৃষীকেশ রঘুবীরের হাত থেকে খসে পড়া পিস্তলটা মুহূর্তের মধ্যে কুড়িয়ে নিয়ে ডেরেক আর দারুওয়ালার দিকে তাক করে বললেন, ‘আমি এমনিতে শান্তিপ্রিয়৷ কিন্তু দরকার পড়লে ফোঁস করতে জানি৷’
হঠাৎ গাড়ির আওয়াজ শুনে অপু আর তপু তাকিয়ে দেখল, একটা পুলিশের জিপ ঢুকছে।
দারুওয়ালা গজগজ করে বললেন, ‘বহোত বড়ি না-ইনসাফি হুয়ি৷ শাজাহাঁ কৌন থে? বিদেশী৷ লুটেরা৷ ইস খজানে পর হমারা হি হক হ্যায়৷’
হৃষীকেশ বললেন, ‘মুঘলরা এই দেশটাকে ভালোবেসেছিলেন৷ লুটেরা হচ্ছেন আপনার মতো ধান্দাবাজ মানুষরা৷ টাকার লোভে পুকুর, খেলার মাঠ, জমিজিরেত লুঠ করে হাইরাইজ বানাচ্ছেন৷’
লম্বাচওড়া চেহারার একজন পুলিশ অফিসার লাফ কেটে উঠে এলেন বারাদরিতে৷ পিছনে চারজন বন্দুকধারী কনস্টেবল৷ অপুকে দেখে অফিসার বললেন, ‘হম সুবা সে আপকো খোজ রহে হ্যায়৷ হেডকোয়ার্টার্স সে কল কিয়া থা৷ মেরা নাম সিদ্ধার্থ মেঘাওয়াল৷ য়ঁহা কা সিএসপি৷’
ডেরেক মাথা নিচু করে বসে ছিল৷
হৃষীকেশ বললেন, ‘রায়পুর থেকে কুরিয়র করে আপনি অ্যালিবাই খাড়া করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে এভিডেন্স আছে৷ হোটেলের সিসিটিভিতে ডেভিডকে শুধু ঢুকতে দেখা গিয়েছে৷ খুনের ঠিক আগে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আপনি৷’
অপু জিজ্ঞাসা করল, ‘মিছিমিছি সুজার চিঠিটা হাত করার জন্য নিজের ভাইকেই মেরে ফেললেন?’
ডেরেক ডুকরে উঠে বলল, ‘ওকে মা বেশি ভালোবাসত৷’
ডেরেক, রঘুবীর আর দারুওয়ালাকে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে জিপে তুলল৷ কোতোয়ালি থানায় চালান করা হবে৷
তপু মাটি থেকে নকশাটা কুড়িয়ে নিয়ে বলল, ‘গুপ্তধনের ম্যাপ তুই কোথা থেকে পেলি?’
অপু হেসে বলল, ‘গোরু, ওটা ম্যাপ নয়৷ টেট্রোডোটক্সিনের মলিকিউলার স্ট্রাকচার৷’
তারপর হৃষীকেশের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এখানে আরেকটা হিস্টরিকাল মনুমেন্ট আছে বলছিলে৷ দেখবে না?’
***
চতুর্দিকে তুলোর খেত৷ তার মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা কাঁচা রাস্তা৷ কোথাও আবার হাতখানেক মতো এবড়োখেবড়ো করে ইঁটের টুকরো পাতা৷
অপু সামনে সামনে চলেছে৷
তপু বলল, ‘লাথিটা দুর্দান্ত কষিয়েছিলি৷’
অপু বলল, ‘ওটাকে বলে মাওয়াসি গেরি৷ খাবি?’
পঁচিশ-তিরিশ গজ যাওয়ার পরে পড়ল একটা ছোটখাটো চুনকাম করা মসজিদ৷ আর তার উল্টোদিকে পাথরের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা অনাড়ম্বর একটা সৌধ৷ দোতলা৷ নিচের তলায় ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে৷ মাঝখানে একচিলতে উঠোনের মতো চৌকোনো একফালি জমি৷
অপু বলল, ‘ষোলশ একত্রিশের সতেরোই জুন শেষরাত্তিরে আর্জুমন্দ বানু বেগমের মৃত্যু হয়৷ আর বিশে ডিসেম্বর তাঁর প্রধান সহচরী সতিউন্নিসা আর শাহজাদা সুজা শবাধার নিয়ে যাত্রা করেন আগ্রার উদ্দেশে৷ মাঝের ছমাস এইখানেই মেহফুজ ছিলেন শাহজাহানের দৌলত।’
বাইরে সত্যিই একটা নীল-সাদা বোর্ড লাগানো আছে — ‘বেগম মুমতাজ মহল কি কবর’।
হৃষীকেশ অবাক হয়ে অপুর দিকে তাকালেন৷ তারপরে আস্তে আস্তে বললেন, ‘ভালোবাসার চেয়ে বড় ঐশ্বর্য আর কী আছে! রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন না — সৃষ্টির শেষ রহস্য ভালোবাসার অমৃত৷’
অপু তপুর দিকে ফিরে বলল, ‘তুই একদিন “রাব নে বানা দি জোড়ি”-র সেই গানটার কথা বলেছিলি, মনে পড়ে? তু হি জন্মোঁ কি দৌলত৷ হঠাৎ সেটা স্ট্রাইক করল৷’
তপু বলল, ‘কুবীর গোঁসাইয়ের একটা গান আছে৷ তলাতল পাতাল খুঁজলে পাবি রে প্রেমরত্নধন৷’
অপুরা নিচে তাকিয়ে দেখল, চৌখুপ্পি ফাঁকা জায়গাটায়, যেখানে মুমতাজের মরদেহ রাখা ছিল, এখন সেখানে একটা অনাদরের গোলাপচারা গজিয়ে উঠেছে৷ তাতে লালটুকটুকে একটাই ফুল খুশিতে মাথা দোলাচ্ছে৷
(সমাপ্ত)
আগের পর্ব পড়ুন :
সম্রাট শাহজাহানের গুপ্তধন (পঞ্চদশ পর্ব)
..................