শরীর-ই গুপ্তচর
.............................
ডিটেক্ট it : প্রথম পর্ব
................................
— ডিয়েটজেল। ফ্রাঙ্ক ডিয়েটজেল। আমার বন্ধু আজ আসতে পারছে না। যদি আপত্তি না থাকে, আমরা ডিনারে যেতে পারি?
— ইয়ে... না... মানে... হ্যাঁ! নিশ্চয়ই!
বন। জার্মানি। ১৯৭৭ সালের জুলাই মাসের একটা ঝকঝকে বিকেল। রাইন নদীর পাড়ে বসে গ্যাব্রিয়েল ক্লিয়েম অপেক্ষা করছিলেন। একটি ছেলের তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসার কথা। ডেট-ই বলা চলে বোধহয়। কিন্তু কোনও সংবিধান যেহেতু শপিংয়ে গিয়ে উইন্ডো শপিং করার অধিকারকে নাকচ করেনি, সুতরাং ক্লিয়েম-এরও চোখ টেনেছিল হঠাৎ-দেখা নীল চোখের লম্বা ব্লন্ড ছেলেটি। ঠিক যেন স্বপ্নে দেখা রাজপুত্তুর। তাঁকে অভিভূত করে দিয়ে ছেলেটি এগিয়ে এসেছিল তাঁরই দিকে। আর তারপর, ডিনারের আমন্ত্রণ।
গ্যাব্রিয়েল ক্লিয়েম পরবর্তী কালে বলেছিলেন, “আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল যে এক্ষুনি উঠে পালানো উচিত। এত সুন্দর কারও সঙ্গে প্রেম! সর্বনাশ!!” নাহ, সেদিন পালাননি গ্যাব্রিয়েল ক্লিয়েম। পালাতে পারেননি। “We are never so defenseless against suffering as when we love.”— ফ্রয়েড না বললেও এ কথা সবারই জানা হয়ে যেত। কখনও না কখনও, কোনও না কোনও ভাবে। কথাটা জানতেন মার্কাস উলফ-ও। তবে তিনি কেবল নিজের জানা নিয়েই সন্তুষ্ট হতে পারেননি, আরও অনেককে এ কথা জানিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কেবল, জানানোর যে উপায়টা তিনি নিয়েছিলেন, তা যেমন অভিনব, তেমনই নিষ্ঠুর। সেই গল্পই বলি।
রাজনৈতিক চরবৃত্তির ক্ষেত্রে একটা শব্দ বেশ প্রচলিত। ‘Sexpionage’। বলাই বাহুল্য, সেখানে চরবৃত্তি (espionage)-র প্রধান উপাদান যৌনতা। প্রকৃতির অমোঘ আকর্ষণ যে অনেক সময়েই চেতনাকে নাকে দড়ি বেঁধে ঘোরায়, সে তো মানবসভ্যতার ইতিহাসে পরীক্ষিত সত্য। প্রাচীন কালেও রাজপুরুষদের খবর সংগ্রহের অন্যতম সূত্র ছিলেন নগরনটীরা। আর আধুনিক সভ্যতা যতই রং চাপাক, সে না পেরেছে যুদ্ধ থামাতে, না পেরেছে যুদ্ধের অনুষঙ্গে তৈরি হওয়া এইসব আদিম অস্ত্রকে রুখে দিতে। সুতরাং, রাজনীতির খেলায় বারবারই একটা বড়ো অস্ত্র হয়ে উঠেছে মানবশরীর। আর সেখান থেকেই উৎপত্তি ‘Sexpionage’-এর।
তা, এই ‘Sexpionage’ ব্যাপারটা বিশ্বরাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। মাতা হারি-র নাম কে না জানে! গুপ্তচরবৃত্তির ইতিহাসে কিংবদন্তি এই নামের আড়ালে হারিয়ে গেছে তাঁর আসল নামটাই, মার্গারিটা গার্ট্রুইডা জেল। নেদারল্যান্ডের ধনী পরিবারে জন্মানো এই মেয়েটি নিয়তির খেলাতেই হয়ে উঠেছিলেন নর্তকী, প্যারিসের রঙ্গমঞ্চের মূল আকর্ষণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বাধলে ইংরেজ গোয়েন্দারা জানতে পারেন জার্মানদের গোপন তথ্য সন্ধান করে মাতা হারি তা পৌঁছে দিচ্ছেন ফরাসিদের হাতে। আবার ১৯১৭ সালে জার্মানদের পাঠানো একটা গোপন সাংকেতিক বার্তা ডিকোড করে এইচ-২১ নামে এক জার্মান গুপ্তচরের কথা জানতে পারেন ফরাসি গোয়েন্দারা, যিনি আর কেউ নন, মাতা হারি! আবার, আব্রাহাম লিঙ্কনের বিপক্ষে, অভিজাতদের হয়ে কাজ করতেন ‘ক্লিওপেট্রা অফ সেশন’ নামে বিখ্যাত বেল বয়েড। ১৮৬০-এর ৬ নভেম্বর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর লিঙ্কন যেই ক্রীতদাস প্রথা বিলোপ করতে চাইলেন, অমনি খেপে উঠল দক্ষিণের স্লেভ স্টেটগুলো। তৈরি হল তাদের সম্মিলিত সংঘ, কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকা। সেই দলেই যোগ দিলেন বেল বয়েড, যিনি আমেরিকার এই গৃহযুদ্ধের সময় অন্তত তিরিশবার ধরা পড়েন ইউনিয়ন ফোর্সের হাতে, আর রূপ ও বুদ্ধির যুগলবন্দিতে মুক্তও হন প্রতিবারই।
মাতা হারির মতোই, রাশিয়ার নামকরা অপেরা গায়িকা ছিলেন ‘কার্স্ক নাইটিঙ্গেল’। আসল নাম নাদেঝদা প্লেভিৎস্কায়া। ভদ্রমহিলা জমিয়ে বাঁচতে ভালোবাসতেন। এদিকে বলশেভিক উত্থানের পর দেখা গেল তাঁর ভাঁড়ারে টান পড়ছে। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাল সোভিয়েতের গুপ্ত পুলিশ দপ্তর ‘চেকা’। রাশিয়াতে তখন ‘হোয়াইট মুভমেন্ট’ শুরু হয়ে গেছে। হোয়াইট-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ফ্রি কনসার্টের আয়োজন করে, এবং প্রয়োজনমতো নিজের শরীরকে ব্যবহার করে ‘কার্স্ক নাইটিঙ্গেল’ খবর জোগাতে লাগলেন ‘চেকা’-কে। আর সেইরকম একটা বার্তার অর্থ উদ্ধার করেই হোয়াইট-রা ধরে ফেলল তাঁকে।
কী ভাবছেন? খেলা শেষ? উঁহুঁ, এবারেই আসল চমক। প্লেভিৎস্কায়া-কে যখন ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো হল, তিনি চোখ বাঁধতে আপত্তি জানালেন। স্কোয়াডের নেতা তরুণ তুর্কি নিকোলাই স্কবলিন, যিনি জার আমলের পূর্ববর্তী পবিত্র রাশিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য বদ্ধপরিকর। তাতে কী, প্লেভিৎস্কায়া-র সৌন্দর্য এবং সাহস পেড়ে ফেলল খোদ স্কবলিন-কেই! ফায়ারিংয়ের আদেশ তো রদ হলই, নিজের দায়িত্বে মুক্তিও দিলেন তাঁকে। তারপর? চেকা-র নির্দেশে স্কবলিন-কে রিক্রুট করার কাজে নেমে পড়লেন প্লেভিৎস্কায়া। বিয়েটা হয়ে গেল তাড়াতাড়িই। নবদম্পতি সংসার পাতলেন প্যারিসে, এবং রাশিয়ার ‘exile movement’-এর সময় দুজনেই হয়ে উঠলেন চেকা-র নির্ভরযোগ্য সেনানী।
এখানে অবশ্য যুগলের ক্ষেত্রে রূপকথাসুলভ ‘হ্যাপি এন্ডিং’ ঘটেছিল। কিন্তু আসলে ‘Sexpionage’-এর সবচেয়ে পরিচিত পদ্ধতি ‘হানি ট্র্যাপ’। বিপক্ষের প্রয়োজনীয় তথ্য হাসিল করার জন্য সেই দলের কাউকে ‘টার্গেট’ বানিয়ে তার সঙ্গে প্রেম-প্রেম খেলা, এই হচ্ছে এক কথায় ‘হানি ট্র্যাপ’-এর নীতি, কিংবা নীতিহীনতা। আন্তর্জাল দুনিয়ায় ‘Sexpionage’ লিখে সার্চ করলে একনজরে কেবল মেয়েদের ছবিই আসে বটে, কিন্তু এই বৃত্তি পুরুষের সমানাধিকারের পথ আটকায়নি মোটেও। এই কাজে যুক্ত মেয়েদের অভিধা ছিল ‘স্প্যারো’ অর্থাৎ চড়াই, আর পুরুষ চরের ডাকনাম ছিল ‘র্যাভেন’ অর্থাৎ দাঁড়কাক। আর গোড়ায় যাঁর কথা বলেছিলাম, মার্কাস উলফ, তিনি কাজে লাগিয়েছিলেন এই দাঁড়কাকদেরই। একটি নয়, একঝাঁক।
মার্কাস জোহান উলফ পূর্ব জার্মানির প্রতিরক্ষা দপ্তর স্ট্যাসি-র দু নম্বর কর্তা ছিলেন, ঠিক ৩৪ বছর। সেই যে লীলা মজুমদার লিখেছিলেন না, ‘দ্বিতীয় টিকটিকির পরিচয় যত কম লোকে জানে ততই মঙ্গল।’ পশ্চিম জার্মানির রাজনৈতিক জগতে উলফের পরিচয় ছিল ‘দ্য ম্যান উইদাউট আ ফেস’, কারণ ১৯৭৮ সালে স্টকহোম ভ্রমণের সময় সুইডেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস তাঁর ছবি তোলার আগে কেউ জানত না তাঁকে কেমন দেখতে। আর এই উলফের মাথা থেকেই বেরিয়েছিল ‘রোমিও’ প্রোজেক্ট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যত ক্ষতি করেছিল, তার মধ্যে একটা বড়ো ক্ষতি ছিল অগণিত যুবকের মৃত্যু। এর ফলে জার্মানিতে ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’-এর সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছিল। আর বাইরের শত্রুর পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জার্মানিকে উপহার দিল নতুন প্রতিপক্ষ। একদিকে গণতন্ত্র-ঘেঁষা পশ্চিম জার্মানি বা FDR (Federal Republic of Germany), অন্যদিকে সোভিয়েত-মিত্র পূর্ব জার্মানি বা GDR (German Democratic Republic)। পূর্ব জার্মানি তার নিজের দেশের মেয়েদের জীবনে প্রেমিকের অভাব ঘোচাতে এগিয়ে এল, উপযুক্ত মূল্যের বিনিময়ে। গড়ে উঠল স্ট্যাসি-র ‘রোমিও’ দল। স্ট্যাসি-র বিস্তৃত নেটওয়ার্ক শিকার খুঁজতে নামল। কোন মেয়ে সদ্য হারিয়েছে তার প্রিয়জনকে, কার জীবনে বিচ্ছেদ ঘটেছে সদ্য, কার বন্ধুর সংখ্যা কম, পশ্চিম জার্মানির সরকারি দপ্তরে কর্মরত সমস্ত মেয়ের জীবন খোলা বইয়ের মতো গোপনে পাচার হয়ে যেতে লাগল তাদেরই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে, যারা এতদিন এক দেশ ছিল।
১৯৫০ সালের গোড়ার দিকে প্রথম রোমিও কাজে নামে। তার কোডনেম ছিল ফেলিক্স, চ্যান্সেলরের অফিসের এক সেক্রেটারির সঙ্গে সে প্রেম জমায়। তার পথ ধরেই ক্রমশ দেখা দেয় ফ্রাঙ্ক-দের মতো ধুরন্ধর স্পাইরা। বন শহর সেই সময় উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়েদের টানছে চুম্বকের আকর্ষণে। আমেরিকান দূতাবাসের অনুবাদক এবং দোভাষী, বত্রিশ বছরের গ্যাব্রিয়েল ক্লিয়েম-কে প্রেমের জালে জড়ানোর অ্যাসাইনমেন্ট নিয়েই বন শহরে পা রেখেছিল ফ্রাঙ্ক ডিয়েটজেল। তিন মাস বাদে বাগদান পর্ব, তারপর দীর্ঘ সাত বছর ধরে শয়ে শয়ে গোপন নথি ফ্রাঙ্ককে জোগান দিয়ে গেছিলেন ক্লিয়েম। কেনই বা দেবেন না? তিনি তো জানতেন তাঁর প্রেমিক একজন পদার্থবিদ, যে বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে নিবেদিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণা কমিটির সদস্য। সাত বছরের ক্লান্তিকর অপেক্ষার পরে ক্লিয়েম বিয়ে করেন অন্য মানুষকে। আর ১৯৯১ সালে, চরবৃত্তির দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, তাঁর পূর্ব প্রেমিক আসলে স্ট্যাসি-র গুপ্তচর। তাঁদের দীর্ঘ প্রেমপর্ব কর্মজীবনে পুরস্কৃত করেছে তাকে। আর একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন চোখে নিয়ে কেনা তাঁর যাবতীয় উপহারের ঠিকানা হয়েছে ফ্রাঙ্কের স্ত্রীর কাছে।
১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে পশ্চিম জার্মানিতে জাতীয়তাবাদী কর্তব্য পালন করেছে অন্তত ৮০ জন রোমিও। বার্লিন প্রাচীর ভাঙার আগে অন্তত কুড়ি বছর পশ্চিম জার্মানিতে ‘রোমিও’-র দায়িত্ব পালন করেছে গেরহার্ড বেয়ার। একইসঙ্গে চার-পাঁচটি ‘কেস’ হাতে নিয়ে সে যাচাই করে নিত কে সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। তার প্রেমিকাদের মধ্যে ছিল এক ঊর্ধ্বতন আর্মি অফিসারের মেয়েও। গেরহার্ডের সঙ্গে তার পরিচয় কর্মখালির এক মিথ্যে বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে। আলাপ একটু গড়াতেই মেয়েটির দেশপ্রেমের সুযোগ নিয়ে গেরহার্ড তাকে বাধ্য করেছিল নিজের পছন্দের চাকরি নিতে। তারপর, ‘দেশসেবা’-র জন্য সমস্ত নথির এক কপি ফটোগ্রাফ বা ফটোকপি গেরহার্ডের কাছে পৌঁছনোর পাকা বন্দোবস্ত। আর-এক রোমিও উলফি জানিয়েছিল চার বছরের কার্যকালে সে নিজের জালে জড়িয়েছে বারোজন মহিলাকে। ‘GDR-এ মেয়েদের রাজনৈতিক ভূমিকা’ নিয়ে গবেষণার প্রয়োজনে পূর্ব জার্মানিতে এসে কার্ল-হেঞ্জ স্নেইডার-এর প্রেমে পড়ে পশ্চিম জার্মানির ছাত্রী গ্যাব্রিয়েল গাস্ট, এবং অবশেষে সেও যোগ দেয় স্ট্যাসি-তে।
আরও পড়ুন : সম্পাদক সত্যজিৎ / নির্মাল্য কুমার ঘোষ
এই প্রেমিকাদের অন্তত চল্লিশ জনকে পরবর্তী কালে দাঁড়াতে হয় আসামির কাঠগড়ায়। ‘দ্য স্পাইজ হু ডিড ইট ফর লাভ’ বইয়ের লেখক মারিয়ান কুইরিন এইরকম অন্তত এক ডজন ‘দেশদ্রোহের মামলা’-র প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানাচ্ছেন, সব রোমিওরা মোটেই ফ্রাঙ্কের মতো সুদর্শন ছিল না। যৌনতা এ গল্পে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারেনি অধিকাংশ সময়ে। বরং, মেয়েদের প্রেমে পড়ার একটা বড়ো কারণ ছিল তাদের কথা শোনার, তাদের কথা বোঝার মতো একজন সঙ্গী খুঁজে পাওয়া। যুদ্ধ যাদের একা করে দিয়েছে, তাদের প্রিয়জনের খোঁজ আর প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার ভয়কে বড়ো নিষ্ঠুরভাবে ব্যবহার করেছিল তাদেরই দেশ। রোমিওরা সঙ্গিনীর সঙ্গে পরিচয়ের আগে থেকেই তাদের সব দুর্বলতা সম্বন্ধে অবহিত থাকত। এমনকি আলাপের পরও তাদের প্রেমপত্রগুলোর গতি হত GDR-এর সাইকোলজি দপ্তরে, যাতে বাসরঘরের আরও নতুন নতুন ছিদ্র আবিষ্কার করা যায়। ক্লিয়েম-এর বেলায় যেমন, তাঁর পূর্ব প্রেমিক ছিলেন নীল চোখের ব্লন্ড, পেশায় অঙ্কের শিক্ষক। সুতরাং নীল চোখ, ব্লন্ড ফ্রাঙ্কের আবির্ভাব ঘটেছিল পদার্থবিদের ভেক ধরে।
বসন্ত যাদের এমন নির্মমভাবে বঞ্চনা করে গেল, আরও পরে তাদেরই কারও ঠাঁই হল অন্ধকার কারাগারে, কারও বা নির্বাসনে, আর আজীবন তাদের গায়ে লেগে রইল ‘ট্রেটর’-এর তকমা। মাতা হারি-ই হোন কি গ্যাব্রিয়েল ক্লিয়েম, রাজনীতির খোলা বাজারে প্রত্যেকেই এক-একটি বেনামি পণ্য। আর নিজের মেমোয়ারে নির্বিকার স্বরে উলফ জানালেন, “The link between espionage and romance is no invention of mine. Since time immemorial, security services have used the mating game to gain proximity to interesting figures. But if I go down in espionage history, it may well be for perfecting the use of sex in spying.”
উলফ-রা যতদিন থাকবেন, মানবিক অনুভূতিদের রাজনীতির বোড়ে না হয়ে আর উপায় কী?
ঋণ : 1.www.medium.com
2.www.theguardian.com
...................................
[পোস্টার : অর্পণ দাস]
#Spy #Sexpionage #Detective Series #Spy Series #Honey Trap #Federal Republic of Germany #মাতা হারি #কার্স্ক নাইটিঙ্গেল #নাদেঝদা প্লেভিৎস্কায়া #মার্কাস জোহান উলফ #দ্য স্পাইজ হু ডিড ইট ফর লাভ #মারিয়ান কুইরিন #গ্যাব্রিয়েল ক্লিয়েম #চর #গোয়েন্দা #গুপ্তচর #রণিতা চট্টোপাধ্যায় #সিলি পয়েন্ট