প্লাস্টিকের বদলে সোনা : অভিনব পুরস্কারে পনেরো দিনেই প্লাস্টিকমুক্ত কাশ্মীরের গ্রাম
প্লাস্টিকের বদলে সোনা। গল্প নয়, সত্যি। ২০ কুইন্ট্যাল প্লাস্টিক-বর্জ্য জোগাড় করে জমা দিলেই হাতেগরম মিলছে একটি সোনার কয়েন। কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার সাদিওয়ারা (Sadiwara) গ্রামকে প্লাস্টিক-দূষণের কবল থেকে মুক্ত করতে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। আর ফলও পাওয়া গেছে হাতেনাতে।
এই ভাবনার মূল রূপকার গ্রামের পঞ্চায়েত-প্রধান ফারুক আহমেদ গানাই (Farooq Ahmad Ganai)-এর। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। পরিবেশ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন অনেকদিনই। সাদিওয়ারা গ্রামের নোংরা পরিবেশ তাঁকে ভাবিয়েছিল। আগে গ্রামের রাস্তাঘাট, নদী, ঝর্নায় যত্রতত্র খুঁজে পাওয়া যেত প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, খাদ্যদ্রব্যের মোড়ক, বোতল ইত্যাদি। সেখান থেকেই ফারুকের মাথায় এই ভাবনা আসে। ফারুক বুঝেছিলেন, শুধু প্রশাসনের ঘোষণা বা সদিচ্ছায় কিছু হবার নয়, যদি না সাহদারন মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা যায়। আর সেই সচেতনা তৈরি করার জন্যই একটু অন্যরকম পন্থা নেন তিনি। 'প্লাস্টিকের বদলে সোনা' - এই স্লোগান চালু হবার পর ভোজবাজির মতো কাজ হয়। স্থানীয় মানুষজনের উৎসাহে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই সাদিওয়ারা গ্রাম 'প্লাস্টিকমুক্ত' ঘোষিত হয়। সাদিওয়ারা পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ নজর কেড়েছে উচ্চতর প্রশাসনের। কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে সমস্ত পঞ্চায়েতেই এই উদ্যোগ চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। কাশ্মীরের প্রতিটি গ্রামকে পলিথিনমুক্ত করে তোলার জন্য সাদিওয়ারাকেই মডেল করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কাগজ দিয়েই তৈরি হবে জলনিরোধী ব্যাগ : মুশকিল আসান কর্ণাটকের প্রযুক্তিবিদের
...................
তথ্যঋণ : The Hindu