ফিল্ম/ওয়েব সিরিজ রিভিউ

ধর্ষণ, ক্ষমতায়ন এবং বিচারের বাণী : গোবিন্দ নিহালনির ‘আক্রোশ’

রোহন রায় Oct 16, 2020 at 6:26 am ফিল্ম/ওয়েব সিরিজ রিভিউ

ফিল্ম : আক্রোশ
পরিচালক : গোবিন্দ নিহালনি
কাহিনি, চিত্রনাট্য : বিজয় তেন্ডুলকর
অভিনয় : ওম পুরি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাতিল, অমরীশ পুরি, মোহন আগাসে, মহেশ এলকুঞ্চওয়ার প্রমুখ
প্রযোজনা : দেবী দত্ত, ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (NFDC)
মুক্তি : ১৯৮০

কোনও ধর্ষণ হয়নি। মনীষা বাল্মীকিকে কেউ ধর্ষণ করেনি।

বিজয় তেন্ডুলকরের স্ক্রিপ্টেও তাই বলেছিল মুরুব্বিরা। নাগি ভিখুকে কেউ ধর্ষণ করেনি।

হাথরসের বাস্তবের সঙ্গে গোবিন্দ নিহালনির ছবি ‘আক্রোশ’-এর ঘটনাক্রমের তফাত হচ্ছে, ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করতে ছবিতে মেয়েটিকে পুড়িয়ে মারা হয়নি। ধর্ষিতার স্বামীর ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্ত্রীকে খুনের দায়। বাকি গল্পটা অনেকটাই এক। ‘নিচু’ জাতের নারী। গণধর্ষণকারীরা ‘উঁচু’ জাত। বিচারের নামে সেই একই প্রহসন। পুলিশ, প্রশাসন, ডাক্তার উকিল, নেতা- সবাই হাতে হাত রেখে আসল ঘটনার অংশবিশেষ রবার দিয়ে মুছে সেখানে নিজেদের পেন্সিলে মিথ্যে দাগ টেনে দেয়, আর চোখে ঠুলি পরে ‘অন্ধ সেজে থাকার অনুরাগে’ আদালতও দিব্যি তাতে স্ট্যাম্প দিয়ে দেয়। সঙ্গে, বলাই বাহুল্য, প্রতিবাদী কণ্ঠকে যত্ন করে সরিয়ে দেবার সুচারু ব্যবস্থাপনা।

‘আক্রোশ’ ছবিটি অবশ্য আলাদা করে ধর্ষণের রাজনীতি নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখে না। এ ছবির মূল বিষয় ক্ষমতায়ন, ধর্ষণ যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ নিহালনি ফোকাস করেছেন একেবারে গোড়ার সমস্যায়। লহানিয়া ভিখু গরিব আদিবাসী। অন্যায় দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিবাদ করা তার স্বভাব। এই প্রতিবাদী স্বভাবই তার বিপদ ডেকে আনে। গরিব আদিবাসী নতমস্তক হয়ে না থেকে মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করবে, এ কি সহ্য করা যায়! তা ছাড়া লহানিয়ার সুন্দরী স্ত্রীর নাগির দিকে এমনিতেও লোলুপ নজর ছিল তার মালিকদের। তাই মালিকের গোলাঘরেই একদিন নাগি ভিখুকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়। তাতে অংশ নেয় স্থানীয় ডাক্তার, জেলা পরিষদের নেতা, ফরেস্ট কনট্রাক্টর, পুলিশ অফিসারের মতো প্রতিষ্ঠিত পদস্থরা। তারপর লহানিয়ার উপরেই চাপিয়ে দেওয়া হয় স্ত্রীকে খুনের দায়। তরুণ আইনজীবী ভাস্কর কুলকার্নিকে সরকার নিয়োগ করে লহানিয়ার আইনজীবী হিসেবে। ভাস্কর আঁচ করে, কোনও কিছুকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু লহানিয়া তার কাছে মুখ খোলে না। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে সে পুরোপুরি মৌন হয়ে গেছে। প্রকাশ্যে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। ভাস্কর ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারের মতো সত্যি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। এ ছবি প্রকৃতার্থে ভাস্করের সত্যানুসন্ধানের ছবি। সত্য খুঁজতে গিয়ে তার ক্ষতবিক্ষত হবার, ধ্বস্ত হবার ছবি। 

আরও পড়ুন : হাথরস যে নতুন ও পুরোনো প্রশ্নগুলি আবার তুলল

ধর্ষণের আপাত-প্রণোদনা হিসেবে অবদমিত উদগ্র কামক্ষুধা, প্রচণ্ড ক্রোধ, বা তীব্র প্রতিশোধস্পৃহার মতো অনেক কিছুই কাজ করতে পারে। কিন্তু এহ বাহ্য। এগুলোর কোনওটা দিয়েই ধর্ষণের নিহিত সত্যকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না, বরং এগুলো আসল সত্যকে যত্নে আড়াল করে রাখে। ধর্ষণের মূলে আসলে থাকে আগ্রাসন, আধিপত্যের কামনা। সেই কারণেই তো যুগে যুগে যে কোনও পীড়নের প্রধান একটি ভাষা হয়ে ওঠে ধর্ষণ। ধর্ষণ প্রকৃত বিচারে আগাগোড়া একটি ক্ষমতা-ভাষ্য। ‘আক্রোশ’ এই ক্ষমতার পীড়নকেই চিহ্নিত করতে চেয়েছে। ঢিমেতালে চলতে চলতে নিহালনির ছবি একেবারে ক্লাসিক মার্কসীয় তাত্ত্বিকের ভঙ্গিতে ক্ষমতার এই কুৎসিত মুখচ্ছদকে ছিঁড়তে ছিঁড়তে এগোয়। নিপুণ নিরাসক্তি নিয়ে তিনি দেখান, ‘নিচু’ জাতে জন্মানো ব্যারিস্টার দুসানে (অমরীশ পুরি)-র শ্রেণি-উত্তরণ ঘটে গেছে- এখন তিনি ক্ষমতার একজন, ক্ষমতারই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপারেটাস। অপরাধীদের আড়াল করার খেলায় তিনিও সামিল থাকেন। সকলের আঁতাত মিলেই তো ক্ষমতার বৃত্ত পুষ্ট হয়। লহানিয়ার বাবা আর বোন লহানিয়া আর নাগির শিশুসন্তানকে নিয়ে অসহায়। ক্ষমতা নিয়ম করে খেয়াল রাখে, তাদের সঙ্গে ‘বহিরাগত’ কারা দেখা করতে আসছে। নিয়ম করে একজন সাইকেল-আরোহী নজর রাখে ভাস্করের গতিবিধির উপরেও। লহানিয়ার পরিবার, প্রতিবেশী থেকে শুরু করে স্থানীয় খবরের কাগজের সম্পাদক- ঘটনা বিষয়ে ওয়াকিবহাল প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে ঠান্ডা সরীসৃপের মতো একটা ভয় ঘুরে বেড়ায়, ভাস্কর লক্ষ করে। এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা তথাকথিত যে ‘নকশাল’-রা আদিবাসীদের অধিকার-সচেতন করে তুলতে চায়, তাদের মধ্যে একজন যুবক লহানিয়ার ব্যাপারে সাহায্য করতে চায় ভাস্করকে। প্রকৃত ঘটনা সে-ই জানায় ভাস্করকে। কিন্তু তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ছেঁড়া ছেঁড়া দৃশ্য প্রয়োগ করে নিহালনি দেখান, নারীমাংস-লোভী শকুনেরা কেমন করে খুব শিল্পিতভাবে ঘিরে ধরতে চাইছে লহানিয়ার পরিবারকে। ছোট করে আনছে বৃত্ত। আরও একটি নারীশরীর রয়ে গেছে এখানে। বাধা দেবারও কেউ নেই সেভাবে। তবে কিনা সদ্য নাগি ভিখুর ঘটনাটা ঘটেছে। তাই একটু রয়েসয়ে পা ফেলতে হবে।

নির্দেশনায় আসার আগে গোবিন্দ নিহালনি বেশ কয়েক বছর সিনেমাটোগ্রাফির কাজ সামলেছেন। কিংবদন্তি সিনেমাটোগ্রাফার ভি.কে. মূর্তির সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা নিহালনি আবহসংগীতকে বরাবর কম গুরুত্ব দিয়েছেন। দৃশ্যকে আবহ ছাড়াই কথা বলাতে তিনি সিদ্ধহস্ত। এক-একটা ফ্রেমের সঙ্গে নৈঃশব্দ্যের ব্যবহার একেবারে ছুরির মতো বসে যায় মনের মধ্যে। এই ছবিতে নিহালনির সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা ছিল লহানিয়া ভিখুর চরিত্র। লহানিয়ার ভূমিকায় ওম পুরির অভিনয়কে ব্যাখ্যা করা যায় এমন কোনও শব্দ আমার জানা নেই। স্ক্রিন-টাইমের শতকরা পঁচানব্বই ভাগ সময় লহানিয়া ভিখুর মুখে কোনও সংলাপ নেই। যেটুকু আছে তাও ফ্ল্যাশব্যাকে। শুধু মুখের ভাঁজ আর চোখের চাহনিতে ঘৃণা, আতঙ্ক, হতাশা, রাগ নিয়ে ভিতরের সমস্ত ভাঙাচোরার জ্যামিতি যে এভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব, না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। সাবেক স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ‘বুলস-আই’ লন্ঠনের মতো ওমের ওই চোখজোড়াকে রাইফেলের মতো ব্যবহার করেছেন নিহালনি। লহানিয়া ভিখুর ওই দৃষ্টিপাত দর্শকের স্নায়ু, বিবেক সবকিছু ঝাঁঝরা করে দেয়। এ ছবিতে ওমের সহ-অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ ‘And Then One Day: A Memoir’ বইয়ে লেখেন- “Om’s blazing salt-of-the-earth intensity finally caught the eye of many a film-maker but it was Govind Nihalani who first recognised the magnetic simplicity in his screen presence…।”

আরও পড়ুন : সহজ আলাপে ইস্কুলে জেন্ডার : স্কুলস্তরে সামাজিক লিঙ্গ ও লিঙ্গ-বৈষম্য চর্চার এপিঠ-ওপিঠ

অন্যদিকে নাসিরুদ্দিন নিজেও নব্য-আইনজীবী ভাস্কর কুলকার্নির আদর্শ, আন্তরিকতা, বিভ্রান্তি, বিশ্বাস বা বিশ্বাসভঙ্গকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। লহানিয়ার কেসই তার প্রথম কেস। ফলে সরকার-নিযুক্ত ডিফেন্স ল-ইয়ার হয়েও এই কেস নিয়ে তার আলাদা একটা প্যাশন ছিল। তা ছাড়া ভাস্কর ছিল স্বভাবত আদর্শবাদী। ঘৃণ্য বাস্তব যখন ক্রমশ ভাস্করের চোখের সামনে ক্যাবারে ডান্সারের মতো একে একে পোশাক ছাড়তে থাকে, তার ভিতরের ভেঙে যেতে থাকা সবকিছুর শব্দ পরম বিশ্বস্ততায় ধরে রাখেন নাসির। সমস্ত সাজানো তথ্যপ্রমাণের বিরুদ্ধে লড়ে ‘মৃতপ্রায়’ একটা কেসের মধ্যে প্রায় একক চেষ্টায় ভাস্কর অনেকটা জীবন ঠেসে দিতে পেরেছিল। দুঁদে উকিল দুসানে, যে তাঁরই সিনিয়র, তাঁকে পর্যন্ত ভাস্কর একেবারে কোণঠাসা করে ছেড়েছিল একটা সময়। তবে সংগঠিত ক্ষমতার সামনে ঠিক কতদূর গিয়ে প্রগতিশীল মধ্যবিত্তকে থেমে যেতে হবে, নিহালনি বিলক্ষণ জানেন। মশালা বলিউডি ছবি বানানোর দায় ছিল না বলে দর্শকের অক্ষম ফ্যান্টাসিতে ধোঁয়া দিয়ে ভাস্করকে ‘মসিহা’ বানানোর পথে হাঁটেননি তিনি। ফলে আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সহানুভূতিশীল দর্শকের বেশি কিছু সে হয়ে উঠতে পারে না। সাজানো বিপ্লবের পক্ষপাতী ছিলেন না নিহালনি। কোনও শপথ বা প্রতিশ্রুতি নেই এ ছবির শেষে। তবে লহানিয়া ভিখু বিস্ফোরক এক প্রতিবাদ রেখে যায়। সে প্রতিবাদ কোথাও পৌঁছয় না বা কাউকেই কোথাও পৌঁছে দেয় না ঠিকই; কিন্তু দর্শকের একেবারে ভিতরে হাত ঢুকিয়ে টেনে বের করে আনে অন্ত্র, মাংস, মজ্জা সমস্ত কিছু। মামলায় লহানিয়ার শাস্তি যখন প্রায় নিশ্চিত, সেসময় তার বুড়ো থুত্থুড়ে বাবা মারা যায়। দাহকাজের জন্য লহানিয়াকে তার ভিটেয় নিয়ে যায় পুলিশ। পরাজিত, ভিতরে ভিতরে ভেঙে যাওয়া ভাস্করও ছিল সেখানে। বাবার চিতায় আগুন দিতে দিতে বোনের দিকে অপলক আর্ত চোখে তাকিয়ে থাকে লহানিয়া। শিশুটিকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একা হয়ে যাওয়া কিশোরী মেয়েটি। কাঁদছে। তারপরেই ঘটে যায় সেই কাণ্ড। ‘আক্রোশ’-এর ক্লাইম্যাক্স ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক দৃশ্য। হঠাৎ টানটান হয়ে দাঁড়ায় লহানিয়া। চোখে বন্য আক্রোশ ঝলসে ওঠে আচমকা। চিতার ক্ষিপ্রতায় ছুটে গিয়ে গ্রামের একজনের হাত থেকে কেড়ে নেয় কুঠার। তারপর সোজা বসিয়ে দেয় বোনের মাথায়। এতদিনের অবদমিত সমস্ত যন্ত্রণা আর রাগ ডুকরে বেরিয়ে আসে বুকফাটা এক জান্তব চিৎকার হয়ে। একেবারে শেষে এসে ছবির ইকোকার্ডিওগ্রাফকে একলাফে আকাশে তুলে দিয়ে দর্শককে আলতো করে ছেড়ে দেন নিহালনি। সমস্ত অস্তিত্বকে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়া এমন ‘হুইপল্যাশ এন্ডিং’ ভারতীয় ছবি আর কটা দেখেছে সন্দেহ। লহানিয়া জানত তার বোনের ভবিতব্য। আমরাও কি জেনে গেছি? মেনে নিয়েছি? না হলে একের পর এক ঘটনা কী করে হজম হয়ে যায় আমাদের? সভ্য মানুষের এই দুর্দান্ত হজমশক্তির রহস্যটা কী? 

গোবিন্দ নিহালনির ‘আক্রোশ’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮০ সালে। তারপর থেকে এক ইঞ্চিও এগোইনি আমরা। তবে ক্ষমতা কৌশলী হয়েছে আরও। পাওয়ার স্ট্রাকচার বিষয়টা আসলে ভাইরাসের মতোই নিয়ত আপডেট ও নিশ্ছিদ্র করে চলে নিজেকে। আমাদের অনেকেরই হয়তো মনে পড়বে, গত ডিসেম্বরে হায়দ্রাবাদ পুলিশ রাতারাতি এনকাউন্টার করে দিয়েছিল চার ‘ধর্ষক’-কে। তথ্য-প্রমাণাদির ধারপাশ না ঘেঁষে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে ‘সমাধান’ করে ফেলা সেই ঘটনা গোটা দেশ জুড়ে তুমুল অভিনন্দন কুড়িয়েছিল। তবে সেই কেস-ফাইলে আজও সন্দেহের আঁশটে গন্ধ। ঘটনাটা ‘আক্রোশ’-এর লহানিয়া ভিখুর ঘটনার মতো ‘মর্ফড’ কি না, তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে বরাবর। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, জনতা এই সমাধানকে মান্যতা দিয়েছিল। আর কী চাই? মিশেল ফুকোর ‘গভর্নমেন্টালিটি’ তত্ত্বের কথা মনে পড়ে। অপশাসনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল জনতার সম্মতি আদায় করে নেওয়া- সুকৌশলে জনতাকে নিজেদের অপসিদ্ধান্তের অংশ বা সমর্থক করে নেওয়া। ‘আক্রোশ’-এর ভাস্কর কুলকার্নি পাবলিক প্রসিকিউটর দুসানেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিল, এ দেশের কোনও এক কোণে যদি একচিলতেও ন্যায়বিচার বেঁচে থাকে, সে তাকে খুঁজে বের করবে। ভাস্কর পারেনি। মনীষা বাল্মীকির জন্য আমরা কি খুঁজে পাব সেই বিপন্ন প্রজাতির বস্তুটিকে? যা পাচ্ছি, সেটা আদৌ ন্যায়বিচার কি না, জানতে পারব কীভাবে? সত্য কাকে বলে অনেকদিনই গুলিয়ে গেছে আমাদের।

“সত্য বলে কিছু যদি থেকে থাকে, তবে সে এখন কার সঙ্গে শুয়ে আছে?” আত্মহত্যা করার কয়েক মাস আগে অদ্রীশ বিশ্বাস প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর ডায়েরিতে। সভ্যতার মুখে ছুড়ে দেওয়া একদলা থুতুর মতো এ প্রশ্নের উত্তর সহজ। মহামান্য সত্য আজ ক্ষমতার বিছানা-সঙ্গী। ক্ষমতা যা বলবে, সেটাই সত্য। সে-ই সত্য, যা রচিবে ক্ষমতা।   


ঋণ : ১) Naseeruddin Shah / And Then One Day: A Memoir / Penguin, India 

২) অদ্রীশ বিশ্বাস / অদ্রীশ বিশ্বাসের ডায়েরি / ধানসিড়ি 



[পোস্টার ডিজাইন : অর্পণ দাস] 
#রিভিউ #নিবন্ধ #Review #Power Politics #Power Structure #Rape Case #ধর্ষণ-কাণ্ড #ক্ষমতার রাজনীতি #ক্ষমতায়ন #ক্ষমতাতন্ত্র #Govind Nihalani #Arthouse film #Hindi Film #Naseeruddin Shah #Om Puri #Amrish Puri #Smita Patil # Vijay Tendulkar #Silly পয়েন্ট #রোহন রায়

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

14

Unique Visitors

214977