দীপাবলীতে নজর কাড়ছে প্রবাসী বাঙালির 'মাটি'-র স্টার্ট আপ

বিদেশে মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে দেশে এসে হয়েছেন অন্ত্রপ্রনর। মাটিকে পুঁজি করেই ব্যবসায় নেমেছেন হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মাজু গ্রামের সংবিদ গলুই। সঙ্গে দোসর স্ত্রী রাজশ্রী। তিনিও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে এসে হাত মিলিয়েছেন সংবিদের প্রজেক্টে। মাটির পঞ্চপ্রদীপ, ক্যানডেল হোল্ডার, ল্যাম্পশেড, ধূপদানি থেকে শুরু করে থালা-বাটি, হরেক রকমের পাত্র, গেলাস এমনকি দেবদেবীর মূর্তিও তৈরি করছেন তাঁরা। দীপাবলীর বাজারে নজর কাড়ছে তাঁদের সংস্থা 'ক্রাফটলিপি'।
আইআইটি দিল্লি থেকে পাওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনের ডিগ্রি নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বড় বড় কম্পানিতে কাজ করেছেন সংবিদ। গোদরেজের মতো সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৫ সালে নিজে কিছু করবার স্বপ্ন নিয়ে বিদেশ থেকে ফিরে আসেন নিজের জন্মস্থানে। মাটি কাঁচামাল হিসেবে সহজলভ্য, কিন্তু মাটির তৈরি জিনিসের ভালোই চাহিদা রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই মৃৎশিল্পকে ভিত্তি করে 'স্টার্ট আপ' করার পরিকল্পনা করেন সংবিদ। বছরকয়েকের কঠিন পরিশ্রমে দাঁড় করান 'ক্রাফটলিপি'-কে। তাঁদের তৈরি সব জিনিসেরই ভালো চাহিদা রয়েছে। তবে এবার দীপাবলীতে তাঁদের তৈরি পরিবেশবান্ধব এই প্রদীপ দারুণ বিকোচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে। জানা গিয়েছে, জৈব উপাদান দিয়ে তৈরি এই প্রদীপ। মাটির সঙ্গে সয়া তেল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে প্রদীপ তৈরি হওয়ায় এটি জ্বালালে সুগন্ধ বের হয়।
সংবিদের হাত ধরে তাঁর গ্রামে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থানও। এই মুহূর্তে ৫০ জন গ্রামীণ শিল্পী কাজ করছেন তাঁর সংস্থায়। তাঁদের হাতের কাজ পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও। মাটিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক রূপ দিয়ে বাজারজাত করার পাশাপাশি গ্রামের শিল্পী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য, জানিয়েছেন সংবিদ গলুই।
........................
#Startup #entrepreneur #diwali #দীপাবলী #silly পয়েন্ট #Kraftlipi
সুপর্ণা মন্ডল (m) 9831513678
মাননীয় সংবিত ও রাজশ্রী ম্যাডাম, আমিও মাটি নিয়ে কাজ করছি , তবে ব্যর্থতার সংগে। কারন আমার পরিধি মাটির গয়না বিষয়ক। ক্রাফটলিপি নাম টি খুবই পপুলার হয়েছে --আপনাদের নিজ নিজ সাফল্ল্যের. নিরিখে। আমি একক প্রচেষ্টায় অনেক চেস্টা করেও বিশেষ কিছুই করতে পারছি না। আমার সংস্থার নাম "মিট্টি " । মূলত মাটির গহনা যেটা টেরাকোটা নামেই পরিচিত। আপনার সৃজনশীলতা ও পরিপাটি- দক্ষতায় ক্রাফটলিপি যেমন সমৃদ্ধ এবং দেশ বিদেশেও সুনাম অর্জনে সমর্থ্য আমি অত্যন্ত অসফল এবং আমার প্রোডাক্ট বিক্রিতে কোন দিশা খুঁজে পেতে অসফল । তাই আপনার ছত্রছায়ায় থেকে আমার প্রোডাক্টের বিক্রি হওয়ার আশায় আপনার সাহায্য প্রার্থী । যদি এই টেরাকোটা সম্বন্ধীয় কোন প্রকার সহায়তা করতে পারেন , দেশে অথবা বিদেশেও , যা আমার পক্ষে অসম্ভব , তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকব। যদি আমার এই প্রোডাক্ট গুলি ভাল মানের বলে মনে হয়, অনত্র যেখানে বাজারজাত করা যেতে পারে , অনুরোধক্রমে whatsapp মাধ্যমে কয়েক্ টি ছবি পাঠালাম ,অনুগ্রহ করে হেল্প করলে বাধিত হব । কিছু হতদরিদ্র আর্টিস্ট , যারা পরম্পরায় এই টেরাকোটা নেকলেশ, ইয়ার রিং হাতের বালা এবং ডোকরা আইটেমও শিল্পায়ন করে থাকেন প্রতন্ত গ্রামেগঞ্জের শিল্পি রা যাঁদের না আছে কাঁচামাল, না আছে প্রযুক্তির ব্যায়ভার বহন করার ক্ষমতা । বিগত করনাকালে যারা একপ্রকার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল , তাদের নির্মিত শিল্প কর্ম , কুশলতা ও শিল্প স্বত্তা বর্তমানে অত্যন্ত সমৃদ্ধ লাভ করতে পারে যদি এই শিল্প কর্ম বিশেষ ভাবে উন্মুক্ত ও বহিরাঙ্গনে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। সেই শিল্পি দের কিছু নমুনা whatsapp এ পাঠালাম দয়া করে দেখে মতামত জানালে উপকৃত হব। সংবাদপত্রে আপনাদের সংস্থার নাম এবং কর্মসূচি গুরুত্ত্ব সহ প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। আশা করেই এই আলাপচারিতা গ্রহনযোগ্য মনে করছি। সেইহেতু এই অনুরোধ প্রস্তাবিত হল। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। বিশেষ অনুরোধ, আপনাদের ,ক্রাফটলিপি র পোষটাল ঠিকানা অ মোবাইল শেয়ার করলে যোগাযোগ করতে সুবিধা হয়।