তামিলনাড়ুর হ্রদ,জলাশয়ের প্রাণ ফেরাচ্ছেন ‘জলযোদ্ধা’ মণিকন্দন

২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটুর শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কোভাই কুলাঙ্গাল পাধুকাপ্পু আমাইপ্পু'। উদ্দেশ্য ছিল শহর ও রাজ্যের বিপন্ন হ্রদ, জলাশয়গুলিকে নতুন প্রাণ দেওয়া। বছর পাঁচেক একটানা লড়াইয়ের পর এই প্রকল্পের দৌলতেই স্বাস্থ্য ফিরে এসেছে কোয়েম্বাটুর ও তামিলনাড়ুর বহু হ্রদ ও জলাশয়ের। আর এই অসাধারণ উদ্যোগের নেতৃত্বে থাকা আর. মণিকন্দন এবার সম্মানিত হতে চলেছেন এ বছরের দাক্ষিণাত্যের 'Water Warrior Award'-এ।
প্রাথমিকভাবে মনিকন্দনের লক্ষ্য ছিল কোয়েম্বাটুর শহরের জলাশয়গুলি থেকে প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য অপসারণ। এই বিপুল কর্মযজ্ঞের জন্য তিনি একত্র করেছিলেন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে। সমাজের নানা পেশার মানুষজন স্বেচ্ছায় শ্রম দানকরেছেন তাঁর উদ্যোগে। প্রতি রবিবার ৩-৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন তাঁরা। নদী থেকে খাল কেটে এনে ভরাট করার ব্যবস্থা করেছেন শুকিয়ে যেতে বসা স্থানীয় জলাশয়গুলিকে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ শুরুর দিকে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের থেকেই সংগ্রহ করেছিল মণিকন্দনের সংস্থা। পরে সরকারি সাহায্যও পাওয়া গেছে। কাজের জন্য একটি বৃহৎ তথ্যভাণ্ডার তাঁরা তৈরি করেছেন, যেখানে শুধু কোয়েম্বাটুর শহরেরই ৯০০-র বেশি জলাশয়ের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। গত বছর আগস্ট মাসে তাঁরা পেরুর হ্রদ সংলগ্ন অঞ্চলে একদিনে ২০০০ চারা বসানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এছাড়া জাপানের 'মিয়াওয়াকি' নামক বনসৃজন পদ্ধতিতে অনেকগুলি জলাশয়ের চারদিকেই বিশেষ অরণ্য তৈরি করেছেন। জলাশয়ের প্রাণ ফেরানোর পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য কাজ করে চলেছেন 'জলযোদ্ধা' মনিকন্দন ও তাঁর দল।
#Water Warrior Award #মনিকন্দন #পরিবেশ #টিম সিলি পয়েন্ট
Bokul Ahmed
Really it's good work, should be aware every people about water bodies.
Bokul Ahmed
Really it's good work, should be aware every people about water bodies.