বন্ধ জানলা
১৮৩০ সালের কথা। এখন যেখানে ওহিও প্রদেশের প্রধান শহর সিনসিনাটি, সে সময় সে অঞ্চলে ছিল ঘন অরণ্য। খুব অল্পস্বল্প বসত গড়ে উঠেছিল, যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সীমান্তবর্তী ভবঘুরে মানুষজনের অস্থায়ী ঠিকানা। ততদিনে তাদের অনেকেই এই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিল আরও পশ্চিমের দিকে। অল্পসংখ্যক যারা পাকাপাকিভাবে থেকে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে একজনকে নিয়েই আমাদের গল্প।
চারদিকে জঙ্গলে ঘেরা একটি কাঠের বাড়িতে লোকটি থাকত। কেউই কোনোদিন তাকে হাসতে দেখেনি বা নিতান্ত প্রয়োজনের বাইরে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে শোনেনি। জঙ্গলের আদিম অন্ধকার আর নৈঃশব্দ্যেরই অংশ বলে মনে হত তাকে। শহরে বন্য জন্তুর চামড়া বিক্রি করে দিব্যি তার দিন চলে যেত।
তার ছোট্ট কাঠের বাড়ির একটাই দরজা ছিল। দরজার ঠিক উল্টোদিকে ছিল একটা জানলা। জানলাটা কাঠের পাটা দিয়ে বন্ধ করা ছিল। কবে থেকে বা কেন জানলাটা সে ওভাবে বন্ধ করে রেখেছিল, তা বিশেষ কেউ জানত না। এমন মোটেই নয় যে লোকটা ঘরে আলো-হাওয়ার যাতায়াত পছন্দ করত না। কারণ অনেকসময় তাকে দরজার সামনে বসে রোদ পোহাতে দেখা যেত। ওভাবে জানলা বন্ধ করে রাখার পিছনে যে রহস্য ছিল, খুব কম লোকই সে কথা জানে। ঘটনাচক্রে আমি তাদের মধ্যে একজন।
লোকটার নাম যতদূর শোনা যায়, মারলক। দেখে তাকে সত্তর বছরের মনে হলেও আসলে তার বয়স ছিল বড়জোর পঞ্চাশ বছর। সময় নয়, তার অকালে বুড়িয়ে যাবার পিছনে ছিল অন্য কারণ।
তার চুল আর চাপদাড়ি ছিল সাদা। চোখ ছিল ধূসর। দৃষ্টি প্রাণহীন। মুখের চামড়া অজস্র বলিরেখায় ভরা। লম্বা রোগা দেহের সঙ্গে ঝুঁকে পড়া কাঁধ দেখেই মনে হত, অন্তহীন সমস্যা যেন তার দুটো কাঁধে বোঝা হয়ে চেপে আছে।
আমি কিন্তু নিজে লোকটাকে চোখে দেখিনি কোনওদিন। ছোটবেলায় ঠাকুরদা আমাকে এই লোকটার গল্প বলেছিলেন। অনেক আগে কোনও এক সময় তিনি লোকটার কাছাকাছি থাকতেন, ফলে লোকটার বিষয়ে কিছু কিছু কথা ওঁর জানা ছিল।
মারলককে একদিন তার ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল। সে সময় অত মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার ছিল না, মিডিয়াও ছিল না। ফলে, আমার যতদূর মনে পড়ে, ধরে নেওয়া হয়েছিল যে স্বাভাবিক কারণেই মারলকের মৃত্যু হয়েছে। অথবা বিষয়টা আমার স্পষ্ট করে মনে নেই। আমার শুধু মনে আছে যে তার দেহটা কবর দেওয়া হয়েছিল তার বাড়ির একেবারে কাছেই, তার স্ত্রীর কবরের পাশে।
মারলকের স্ত্রী মারা গিয়েছিল বহুকাল আগে। এতই আগে যে, স্থানীয় মানুষজন অনেকে বোধহয় তার অস্তিত্বই ভুলে গিয়েছিল। মারলকের মৃত্যু ছিল এই রহস্যময় ঘটনা-পরম্পরার অন্তিম পর্ব। অবশ্য অনেক বছর পরে কিছু কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। সাহসে বুক বেঁধে আমি পরিত্যক্ত বাড়িটার কাছাকাছি যেতাম, একটু দূর থেকে ঢিল ছুঁড়ে মারতাম কাঠের দেওয়ালের গায়ে। মেরেই ছুটে পালাতাম। আমার বয়েসী সব ছেলেরাই জানত, কেবিন-সংলগ্ন এলাকা চষে বেড়ায় কোনও এক অতৃপ্ত আত্মা।
গল্পের একদম শুরুর অংশটা আমি শুনেছিলাম ঠাকুরদার মুখে।
যুবক-বয়েসে মারলক যখন এই কাঠের বাড়িটা তৈরি করেছিল, তার শরীর ছিল সুগঠিত। দুচোখে ছিল উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। সে একটা খামার তৈরি করার জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম শুরু করেছিল। সঙ্গে একটা রাইফেল রাখত, শিকার বা আত্মরক্ষার প্রয়োজনে কাজে লাগত।
মারলক যে যুবতীকে বিয়ে করেছিল, সবদিক থেকেই সে ছিল মারলকের ভালোবাসা, সততা ও বিশ্বাসের উপযুক্ত পাত্রী। মারলকের জীবনের সমস্ত চড়াই-উতরাই বা বিপদ সে হাসিমুখে ভাগ করে নিত। মেয়েটির নাম বা বিশদ পরিচয় তেমন কিছুই জানা যায় না। তবে পরস্পরকে তারা ভালোবাসত এবং একসঙ্গে খুবই সুখী ছিল।
একদিন গভীর জঙ্গল থেকে শিকার সেরে ফিরে মারলক দেখল, তার স্ত্রী প্রবল জ্বরে অচেতন। ডাক্তার-বদ্যি দূরের কথা, ধারেকাছে তাদের কোনও প্রতিবেশীও ছিল না। স্ত্রীকে ঘরে একা রেখে মারলক যে সাহায্যের খোঁজে যাবে, তেমন অবস্থাও ছিল না। তাই মারলক নিজেই স্ত্রীর শুশ্রূষার চেষ্টা করল। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো গেল না। তিন দিনের মাথায় মেয়েটি মারা গেল।
মারলকের স্বভাব বিষয়ে ঠাকুরদার থেকে যেটুকু জেনেছিলাম, তার ভিত্তিতে আমি মনে মনে শোকাতুর মারলকের একটা ছবি তৈরি করতে চেষ্টা করেছি। মারলক যখন নিশ্চিত হল যে তার স্ত্রী মারা গেছে, সে তখন মোটামুটি চেতনাতেই ছিল। সে সচেতন ছিল যে এবার তাকে কবর ইত্যাদি ক্রিয়াকর্ম করতে হবে। তবে সবটা সে গুছিয়ে করে উঠতে পারল না। অনেক কিছুই ভুলভাল করল। কিছু জরুরি বিষয় বেমালুম বাদ চলে গেল। যেগুলো ঠিকঠাক করল, সেগুলোও অহেতুক বারবার করে করল।
মারলক সবচেয়ে আশ্চর্য হল এই দেখে যে তার কান্না আসছে না। একটু লজ্জাবোধও হল তার। মৃতের জন্য না কাঁদাটা কি ভালো ব্যাপার?
“কাল,” মারলক যেন নিজেকে শুনিয়েই গলা তুলে বলল, “কাল আমায় কফিন বানাতে হবে আর কবর খুঁড়তে হবে। এসব হয়ে গেলেই বোধহয় আমার ওকে বেশি বেশি করে মনে পড়বে। কাল যখন ওকে আর চোখের সামনে দেখতে পাব না তখনই বোধহয় কষ্টটা হবে। কিন্তু এখন… হ্যাঁ, ও আর বেঁচে নেই আমি জানি। কিন্তু তবু… কী জানি, মনে হচ্ছে এগুলো কোনোটাই সত্যি নয়। কোনও না কোনোভাবে সব ঠিক হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।”
বিদায়ী সূর্যের আলোয় স্ত্রীর মৃতদেহ সামনে নিয়ে মারলক অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। স্ত্রীর কপালের চুল ঠিক করে দিল, পোশাক পরিপাটি করে দিল। বিশেষ ভাবনাচিন্তা না করে যন্ত্রের মতো সে এগুলো করে যাচ্ছিল। খুবই যত্ন নিয়ে করছিল, কারণ মনে মনে সে তখনও ভাবছিল সব ঠিকই আছে। বোধহয় মনের গভীরে সে ভাবছিল তার স্ত্রীকে সে আগের মতোই ফিরে পাবে, শুধু কিছুটা সময়ের অপেক্ষা।
এর আগে গভীর শোকের কোনও অভিজ্ঞতা মারলকের ছিল না। তার চেতনা কোনওভাবেই এই শোককে গ্রহণ করতে পারছিল না। তার মানসিক আঘাত যে কতটা তীব্র, সেটা তার বোধ-বুদ্ধিতে ধরাই দিচ্ছিল না। নিজের হৃদয়ের হাহাকারকে সে টেরই পাচ্ছিল না। প্রচণ্ড শোক একেকজনকে একেকভাবে প্রভাবিত করে। কারও বুকে তীরের ফলার মতো বিঁধে বেদনার উৎসমুখ ঝরনার মতো খুলে দেয়, কাউকে আবার আকস্মিক আঘাতে একেবারে বিহ্বল-হতবাক করে দেয়। মারলকের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টা হয়েছিল।
মারলক একটা চেয়ার টেনে নিয়ে টেবিলের পাশে বসল। সেই টেবিলের ওপর শায়িত ছিল তার স্ত্রীর মৃতদেহ। মারলক লক্ষ করল, অন্ধকারের মধ্যেও তার স্ত্রীর মুখের ফ্যাকাশে ভাবটা যেন আলোকিত হয়ে আছে। টেবিলের ধারের দিকে হাত ছড়িয়ে তার ওপর মাথা দিয়ে মারলক শুয়ে পড়ল। চোখে অশ্রু নেই, কিন্তু ঘুম ঝেঁপে আসছে।
ঠিক সেই মুহূর্তে, খোলা জানলা দিয়ে একটা বিকট অমানুষিক চিৎকার ভেসে এল। চিৎকারটা যেন গভীর জঙ্গলের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া কোনও শিশুর আর্তনাদ। মারলক কিন্তু নড়ল না। অপার্থিব আর্তনাদটাকে সে তার লুপ্তপ্রায় চেতনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার টের পেল - এবার আরও কাছাকাছি। হয়তো কোনও বন্য জন্তু বা হয়তো তেমন কিছুই না, নিছক স্বপ্ন। মারলকের চেতনা তাতে সাড়া দিল না। ততক্ষণে সে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কতক্ষণ পর কে জানে, আচমকা মারলকের ঘুম ভেঙে গেল। কেন, সে জানে না, মাথা তুলে সে শুনতে চেষ্টা করল কোনও শব্দ শোনা যাচ্ছে কিনা। হঠাৎ তার মনে হল, মৃতদেহের পাশে একটা জমাট বাঁধা অন্ধকার। চকিতে আগের ঘটনাটুকু মনে পড়ে গেল তার। ভালোভাবে চোখ কুঁচকে সে দেখার চেষ্টা করল - কী দেখার চেষ্টা করল কে জানে। কিন্তু তার সমস্ত চেতনা সজাগ হয়ে উঠল। দম আটকে আছে গলার কাছে। নিস্তব্ধতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেহের রক্তচলাচলও যেন স্থির হয়ে গেছে। কেন হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল এভাবে? ঘরে কি কিছু রয়েছে? কোনও বিজাতীয় অস্তিত্ব? সমস্ত ইন্দ্রিয় আচমকা এমন টানটান হয়ে উঠছে কেন?
আচমকা মারলকের হাতের নিচে টেবিলটা কেঁপে উঠল। সঙ্গে সঙ্গে সে শুনতে পেল, অথবা সে ভাবল সে শুনতে পাচ্ছে, একটা হালকা নরম পদধ্বনি। কেউ যেন খালি পায়ে মেঝের ওপর হেঁটে বেড়াচ্ছে।
মারলক এতটাই ভয় পেয়ে গেল যে তার নড়াচড়া বা চিৎকার করার শক্তিটুকুও যেন লোপ পেল। অন্ধকারের একেকটা মুহূর্তকে একেকটা দীর্ঘ অনিঃশেষ শতাব্দী বলে মনে হচ্ছিল। এ এমন এক গলা টিপে ধরা ভয় যা অনুভবই করা যায় শুধু, বুঝিয়ে বলা সম্ভব না। মারলক চেষ্টা করল মৃতা স্ত্রীর নাম ধরে ডাকতে, কিন্তু গলা দিয়ে কোনও শব্দই বেরোলো না। সে টেবিলের ওপর দু-হাত বাড়িয়ে দিয়ে বুঝতে চাইল মৃতদেহ নিজের জায়গায় আছে কিনা। কিন্তু হাত আড়ষ্ট, এগোলো না। গলাও শুকিয়ে কাঠ। সারা দেহে বিন্দুমাত্র শক্তিও যেন অবশিষ্ট নেই।
তখনই আরও ভয়ানক একটা ঘটনা ঘটল। মনে হল একটা ভারী শরীর যেন কেউ টেবিলের ওপর ছুঁড়ে দিল। মারলকের বুকে এসে সেটা ধাক্কা খেল। পরক্ষণেই মারলক টের পেল মেঝেতে ভারী কিছু একটা পতনের শব্দ। পুরো ঘটনার অভিঘাতে গোটা কাঠের বাড়িটা কেঁপে উঠল থরথর করে। তারপরেই অন্ধকারের গর্ভে একটা খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল যেন। কারা যেন হুটোপাটি করছে। অদ্ভুত জান্তব শব্দে কারা যেন আক্রমণ করেছে পরস্পরকে। সে ভয়ানক মুহূর্তের ব্যাখ্যা হয় না। অবর্ণনীয় আতঙ্কে মারলকের সমস্ত দেহ যেন পঙ্গু হয়ে গেল। তবু কোনোক্রমে টলতে টলতে উঠে দাঁড়িয়ে সে টেবিলের ওপর দু-হাত ছুঁড়ে দিল। টেবিল ফাঁকা! কিচ্ছু নেই!
একটা চরম বিন্দুতে এসে প্রচণ্ড ভয় অনেকসময় উন্মাদদশায় পৌঁছে যায় এবং উন্মাদদশা অনেকসময় মানুষকে দিয়ে অবিশ্বাস্য কাজ করিয়ে নিতে পারে। মারলকের ক্ষেত্রেও তাই ঘটল। পাগলের মতো লাফিয়ে উঠে সে দেওয়ালের দিকে ছুটে গেল। দেওয়ালে ঝোলানো রাইফেলটা লোড করাই ছিল। সেটা নামিয়ে দিশাহারা মারলক অন্ধকারেই গুলি চালিয়ে দিল।
রাইফেলের ফ্ল্যাশে মুহূর্তের জন্য ঘর আলোকিত হয়ে উঠল, আর তাতেই মারলক দেখতে পেল বিরাট হিংস্র একটা নেকড়ে মৃতদেহটাকে জানলা দিয়ে টেনে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। জন্তুটার দাঁত মৃতদেহের গলায়। এক মুহূর্তের জন্য এই ভয়ানক দৃশ্য। আর তারপরেই অন্ধকার নেমে এল আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি কালো হয়ে। সঙ্গে নিস্তব্ধতা।
মারলকের যখন জ্ঞান ফিরল, ততক্ষণে সূর্য উঠে গেছে। জঙ্গল ভরে গেছে পাখিদের কলতানে। মারলক দেখল, মৃতদেহটা পড়ে আছে জানলার কাছে। রাইফেলের গুলিতে ভয় পেয়ে জন্তুটা জানলার বাইরেই মৃতদেহটা ফেলে পালিয়েছে।
পোশাক একেবারে তছনছ হয়ে গেছে। লম্বা সুন্দর চুল এলোমেলো বিস্রস্ত হয়ে আছে মুখের ওপর। হাত-পা সন্ত্রস্ত ভঙ্গিতে ছড়ানো। মৃতদেহের গলার অংশটা ছিঁড়ে হাঁ হয়ে আছে আর সেখান থেকে রক্তের স্রোত বেরিয়ে এসে ছোটোখাটো একটা পুকুর তৈরি করে ফেলেছে। মারলক লক্ষ করল, যে রিবন দিয়ে মৃতদেহের হাতদুটো সে বেঁধে রেখেছিল, সেটা ছেঁড়া।
আর মৃতদেহের দাঁতের ফাঁকে শক্ত করে ধরা আছে বন্য জন্তুটির কানের ছেঁড়া একটি অংশ।
..................................................................................................................
(ঈষৎ সংক্ষেপিত)
[লেখক পরিচিতি : আমব্রোজ গ্বিনেট বিয়ার্স (১৮৪২-১৯১৪) একজন আমেরিকান ছোটগল্প-লেখক এবং সাংবাদিক। প্রথম জীবনে তিনি মার্কিন সিভিল যুদ্ধের সেনাদলে ছিলেন। অবসরের পর সাংবাদিকতা ও লেখালিখির জগতে আসেন। ব্যঙ্গাত্মক রচনা, কল্পবিজ্ঞান, সাহিত্য-সমালোচনা, যুদ্ধবিষয়ক সাহিত্য, কবিতা ইত্যাদি লিখলেও মূলত Psychological Horror বা মনস্তাত্ত্বিক ভয়ের গল্পের জন্যই তাঁর পরিচিতি। লেখক হিসেবে তাঁর বৈশিষ্ট্য ছিল ন্যাচারালিস্ট বর্ণনারীতি এবং চমকে দেওয়া সমাপ্তি। ‘An Occurrence at Owl Creek Bridge’, ‘The Moonlit Road’, ‘The Death of Halpin Frayser’, ‘Eyes of the Panther’ ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত গল্প। আমাদের আজকের মূল গল্পটি ১৮৯১ সালে প্রকাশিত। ১৮৪৪ সালে প্রকাশিত এডগার আলান পো-র বিখ্যাত গল্প ‘The Premature Burial’-এর সঙ্গে গল্পটির ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে। গল্পটি Wallace Stegner ও Mary Stegner সম্পাদিত ‘Great American Short Stories’ বই থেকে নেওয়া হয়েছে। বইটির প্রকাশক Pearl Publication Private Limited, Bombay। আমরা ব্যবহার করেছি বইটির প্রথম ভারতীয় সংস্করণ (১৯৬৯)।]
কভারে ব্যবহৃত ছবিটির উৎস: www.bookbuddynamibia.blogspot.com