বিরোধী স্তবকগুচ্ছ
১৮ জুনএই যে সাম্প্রতিক নিশ্চুপ পৃথিবী লীন হয়ে আছে সমতলে,আমাদের আকাঙ্ক্ষাসিক্ত ব্যর্থ গিরিখাতের মতন। তাতে অমল প্রত্যুষে স্বাদ ছিল নিরাকার। এখন সুখ ক্রমে নীল থেকে কালো আর কিছুটা বিচ্ছুরিত আলো হয়ে কথা বলে। জ্বলে ওঠে কি পিপাসায়?সেইভাবে তুমিও পূর্ণতিথিতে জেগে শুনো আচার্য দর্শন।১৯ জুনসেই ভ্রান্তি রয়েছে কোথাও? দেবদারু অভাবিত শান্তি; তবু এও সার্থক প্রজন্মবদলে যথাকালে করে বাষ্পের আয়োজন;চোখ বুজে নিয়ে যাও সরোবরে; এ তাপ এখন গভীরে গ্রহণীয়। এত প্রেম সেতু ঘিরে তবু দেখ পরিচয় সূচিত হল না। এখনও জাগেনি কেউ ঊর্ধ্বতন । যেন কোন আকালে রেখে গেছে ভেকের মতন।২২ জুন এই তো ক্লান্ত দ্রাঘিমা ছুঁয়ে রয়েছ বিষম।এখন ভিতরে ঘ্রাণ নাও বিরলে। এই শতকের চেয়ে প্রাণঘাতী আর কী আছে সাধনায়?এই তো ডুবে আছ মসৃণ!অথবা ভিতরে প্রবিষ্ট তোমার আততায়ী ডাকে এক পত্রের মতন। গোটা দ্বীপ পেতে হলে জাহাজ পুড়িয়ে দিতে হয়!এই তত্ত্বে জেনো তোমারো রয়েছে অধিকার মকরের মতো।২৯ জুনআমাদের শ্রম প্রবল প্রয়াগে কী ফল ভালোবাসে? এমন বিপন্ন তবু নিয়ন্ত্রিত আমি একদা তোমারই ব্যবহারে হয়েছি ম্লান। এতটা ক্ষত জুড়ে জেনেছি কেবলই মুগ্ধতা বেড়ে যায়। এখন মূলে আছ?ভুলে আছ? আকাশের শ্বাসাঘাত মেঘেরা জানে?৮ জুলাইতুমি যে ঈপ্সিত বাতায়নে যাবে বলেছিলে,গিয়ে দেখেছ কি এখনও নবতর হাসির ভ্রম কেবলই পিপাসা ওড়ায়?বিশ্বাস সুলভ বলেই এতটা সময়ে এই ক্ষত জুড়োবার নয় মানি।ত্রস্ত মুখে ডাল বেয়ে দেখি আকাশ মোছে ঘোর নীলাঞ্জন। নিবেদিত দিনে কিছুই বলে না কেউ।তবু আমি এখনও বলিমানুষ কাছে এলে আমি আবার সরস হয়ে যাব।৯ জুলাইপৃথিবীর আবর্তনে মাঝে মাঝেই জ্যোৎস্নার সাথে দেখা হয়। জিজ্ঞাসায় জীর্ণ তার সেই ক্ষমতা নেই আবার ফল ভালোবাসে। এই ভেবে সবার মাঝেই আলোকিত হয় রাত। পরিচিত কাঁটা বিষণ্ণ বাতাসে তাই দেখে পাখিদের পীড়িত করে রাখে।১১ জুলাইএই ঢের বসে আছি স্বচ্ছ বাতাসে;ক্ষতবিশিষ্ট প্রাণের মতো উজ্জ্বল।কিছুটা হৃদয় না কি গড়ে নিতে হয়অবিরাম অসুস্থতার পথে!এখন কোনও বিরাম নেই প্রান্তের।কোনও শ্বাস নেই প্রভাত বেলায়।এত জন্ম পেরিয়ে বুঝিবিশ্বাস নিরাকার থাকে। আত্মা নয়।
..............................
[অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র]