একটি কবিতা
দুপুরটা দুপুরের পেটে ঢুকে যায়কাশীর গঙ্গা কুলুকুলু বয়তার ধারে পান সিগ্রেটের দোকানের কচি বালককে পুষ্যি নিতে চেয়েআমরা জানলার পাশ দিয়ে রোমোদ্দীপ্ত গ্রীষ্মের দিকে চেয়ে থাকিতোমার হাত একটা দারুণ সত্যহাত ধরে ঝুলে পড়তে পারা বড় দারুণ বিশ্বাসখিলখিল খিলখিল হাসি বটের ঝুরির মতো নেমে পড়ছে চার পাশ দিয়েআমাদের আটটা হাত পাআর তালার মধ্যে চাবি ঢুকতে প্রচণ্ড উল্লাসআর আমরা অপরূপ ভাবে আবার আলাদা হইকোন ক্ষতচিহ্নই থাকে নাপাশাপাশি হাঁটিফের একসাথে!কোন পরিচয় ছাড়াই!তালায় চাবি লেগে গেলে আমরা এক অতিকায় মাকড়শাআমাদের অনচ্ছ তন্তুতে আটকা পড়েছে কাশী বারাণসীশিবের পরিশুদ্ধ রোদ্দুরভাঙ গাছের জঙ্গলে গেলে কে কাকে বাঁচায় জানা নেইআমাদের দেহ নানা অশ্রু হয়ে সুরধুনী আনন্দলহরীআমাদের গুহা তার মুখে পাথর চাপাপাথর ঠেলছি দুজনেই প্রাণপণেতারপর ঘাসের উপর কবে কে জানেনরম রোদ্দুর গায়ে শুয়ে গেছি তাও মনে নেইএই একইসঙ্গে ভয়এই একইসঙ্গে মুক্তিআর আমার সমুদ্রস্বপ্নে দ্রাবিড় মন্দিরেতোমার উদ্ভ্রান্ত এসে পড়াএই চর্বণের মতো এই পানের মতন সুধা প্রেমপ্রশ্রয়ী অজস্র বিধবার আঁচলের নীচেমুখ তুলে হেসে ফেলা গাঙ্গেয় কাশী বারাণসী
[অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র।]