আমরা শিখেছিলাম, চড় মারাই মেয়েমানুষের ওষুধ
আমরা যারা নব্বইয়ের জাতক, অথবা বেড়ে উঠেছি ওই সময়ে, আমাদের প্রজন্মের সবথেকে বড়ো সমস্যা সম্ভবত Iconoclasm। আমাদের শৈশব-কৈশোরের অনেক আইকনের কাছেই বড়ো হওয়ার পর আমরা আর ততটা খোলা মনে যেতে পারি না। তার অন্যতম কারণ সম্ভবত এই যে, সেই সময়ের অধিকাংশ আইকনের মধ্যে লিঙ্গ সচেতনতার যথেষ্ট অভাব ছিল। তবে সেই দায় কি সবটুকু তাঁদের? নাকি তাঁরা যে সময়ের আয়না হয়ে উঠছিলেন, সেই সময়টাই লিঙ্গ সচেতনতার প্রশ্নে ছিল মূক ও বধির। এমনকি আজ যখন এই লেখা লিখতে হচ্ছে তখনও আমাদের চারপাশ লিঙ্গ সচেতনতার ক্ষেত্রে ঠিক কোন বিন্দুতে দাঁড়িয়ে?
আমার অত্যন্ত প্রিয় এক সাহিত্যিকের একটা গল্পের উদাহরণ দিয়ে এই লেখা শুরু করি। উল্লেখ থাক, আমি আজও এই সাহিত্যিক দ্বারা গ্রস্ত। বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন এঁর লেখা অগ্রাহ্য করা যাবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আমি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথা বলছি। তাঁর একটা গল্পই আমার আজকের লেখার নান্দী।
গল্পটির নাম ‘ওষুধ’। এই গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে একটি ডিভোর্সের মামলা। দুর্গাপদর মেয়ে লক্ষ্মী বিয়ের দুই বছর যেতে না যেতেই ফিরে আসে বাপের বাড়িতে। তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জামাই আসে না। আসে উকিলের চিঠি। জামাই ডিভোর্সের মামলা আনছে। দুর্গাপদর বয়ানে পাঠক লক্ষ্মীর যে ছবি পায় তা বড়ো ‘লক্ষ্মীসুলভ’ নয়। সে বড়ো ‘‘ট্যাটন’’। “বিয়ের আগে পাড়া জ্বালিয়েছে”। আর বিয়ের দু-বছর যেতে না যেতেই বাপের বাড়িতে “খাদিমা” হয়ে বসেছে। লক্ষ্মীর বর নবীনকে অবশ্য দুর্গাপদ তেমন অপছন্দ করে না। সে “নরম সরম, ভদ্র, বিনয়ী”। জামাইবাবাজি তেমন লোক খারাপ নয় জানে বলেই দুর্গাপদ উকিলের চিঠি পেয়ে মেয়ের দিকে কটমট করে তাকায়। লক্ষ্মী অবশ্য সেসব গ্রাহ্য করে না। লক্ষ্মীর মাও দুর্গাপদর ভাষায় “কুঁদুলি মেয়েছেলে”। সেও মেয়েরই পক্ষ নেয়। দুর্গাপদর খুবই কষ্ট। কারণ, “দুটো মেয়েছেলে একজোট, অন্যধারে দুর্গাপদ একা পুরুষ”। তা এই পীড়িত পুরুষটি বউ-মেয়ের গঞ্জনা এড়াতেই উকিলের কাছে যায়। ডিভোর্সের মামলা লড়ার জন্য।
এই দুর্গাপদর সঙ্গে একদিন হঠাৎ করে দেখা হয়ে যায় জামাই নবীনের। নবীন থমকে ভাবে যে কথা বলা উচিত কিনা। কারণ সে-ও জানে শ্বশুর লোকটা তেমন খারাপ নয়। মনের ভুলে সে টুপ করে একটা প্রণাম করে ফেলে দুর্গাপদকে। দেখা যায় এই দুই পুরুষই উকিল, উকিলের খরচ, আর ডিভোর্সের মামলা নিয়ে ভারী বিব্রত। দুর্গাপদ নবীনের কাছে দুঃখ করে যে লক্ষ্মীর মা তার জীবনটা একেবারে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে। এরপর শীর্ষেন্দু লিখছেন, “লোহা-পেটানো শরীরটা গরম হয়ে গেল নবীনের মেনিমুখো শ্বশুরের কথা শুনে। ঝাঁকি দিয়ে বলল- "স্ট্রং হতে পারেন না? মেয়েছেলেকে দরকার হলে চুলের মুঠি ধরে কিলোতে হয়।” এই কথা শুনে দুর্গাপদও রেগে বলে, “তুমি পেরেছ? পারলে উকিলের শামলার তলায় গিয়ে ঢুকতে না।” এই কথা শুনে নবীন স্তম্ভিত হয়ে যায়।
অন্যদিকে সিনেমা দেখে ফেরার পথে খামখেয়ালি লক্ষ্মী চলে যায় নিজের শ্বশুরবাড়িতে। গিয়ে চুপচাপ সে নিজের ঘরে ঢুকে শুয়ে পড়ে। এদিকে নবীন ফেরে। ঘুমন্ত লক্ষ্মীকে তুলে পরপর দুটো থাপ্পড় মারে। লক্ষ্মীকে এতদিন কেউ মারেনি। আজ প্রথম মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতেও লক্ষ্মীর মনে হল সে আনন্দে ভেসে যাচ্ছে। আর নবীনের সঙ্গে আসা দুর্গাপদ “লোভীর মত জুলজুল চোখে” মেয়ের মার খাওয়ার দৃশ্য দেখে ভাবে “ঠিক এই রকমই দরকার ছিল লক্ষ্মীর মায়ের। দুর্গাপদ পেরে ওঠেনি”। দুর্গাপদ জানে সকলের দ্বারা সব হয় না। কিন্তু নিজের না পারা অন্য আরেক পুরুষ পেরে গেল দেখে তার মনে হয়, “এই না হলে পুরুষ”।
এখন এই গল্পের মূল ভাবনাবিন্দুর সমস্যাটা খুবই স্পষ্ট। গার্হস্থ্য হিংসাকে কেবল প্রশ্রয় দেওয়া নয়। পুরুষের আধিপত্য (authoritical hierarchy) প্রতিষ্ঠা। এবং তা স্বাভাবিক বলে বর্ণনা।
কিন্তু এর জন্য লেখক শীর্ষেন্দুকে কাঠগড়ায় তোলাটা খুব যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ আমাদের সমাজে আশেপাশে তাকালেই দেখা যাবে, পুরুষ-আধিপত্যের স্বাভাবিকতা এখনও কী গভীরভাবে সমাজ-মনস্তত্ত্বে প্রোথিত।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই আধিপত্য আসে খুব সহজ স্বাভাবিকতায়। দৈনন্দিনের অভ্যস্ত চোখ তাকে আধিপত্য বলে চিনেও নিতে পারে না। ধরা যাক, এই আর. জি. করের ঘটনার প্রতিবাদে চলা আন্দোলনের সময় কোনও মেয়ে একটি মিছিলে যেতে চান। কিন্তু সেই মিছিলে গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা বিস্তর। তাঁর উদ্বিগ্ন প্রেমিক তাঁকে সরাসরি “বারণ” করলেন, তুমি এই মিছিলে যাবে না। শীর্ষেন্দুর গল্পের মূল ভাবনাবিন্দুটি যে কারণে সমস্যাজনক এই বয়ানও সেই কারণেই সমস্যাকীর্ণ। পুরুষ আধিপত্য।
লিঙ্গ বিদ্যাচর্চার এক সামান্য গবেষক হিসেবে যখনই আমি ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে কথা বলেছি, লক্ষ করেছি এই আধিপত্য বিষয়ে অধিকাংশ সময়ে পুরুষ নিজে খুব সচেতন নন। তিনি স্পষ্টতই বলবেন, “আমি তো ভালো চেয়েই বলেছি”। পুরুষের ভালো চাওয়ায় বিন্দুমাত্র সন্দেহ না রেখে এই কথা প্রশ্নাতীতভাবে বলা যায়, অধিকাংশ পুরুষই জানেন না আধিপত্য না দেখিয়েও, ভালো চাওয়া যায়। concerned হওয়া মানেই hierarchy প্রকাশ করে ফেলা নয়। ঠিক এইখানে এসেই মনে হয়, স্কুলে-কলেজে লিঙ্গ সচেতনতার পাঠ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ অধিকাংশ মানুষই অবচেতনে এই আধিপত্য বয়ে নিয়ে চলেছেন। অনেক মহিলা সেই আধিপত্য মেনেও নিয়েছেন সহজ স্বাভাবিকতায়। এই আধিপত্যের স্বরূপটি চিনে ফেললে তাঁদের অনেকেই নিশ্চয়ই সরে আসবেন পিতৃতন্ত্রের বয়ান থেকে।
আমরা আমাদের আশেপাশে নজর ঘোরালে, এই ছদ্মবেশী পিতৃতন্ত্রকে সহজেই চিনে নিতে পারি। একটা ছোট্ট পরীক্ষা করে দেখুন। আশেপাশের বিভিন্ন সমাজ-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর মহিলাকে প্রশ্ন করুন মেয়েদের পোশাক নিয়ে। ধরুন আপনার সমীক্ষার অন্তর্গত মেয়েদের বয়সসীমা ৪০ থেকে ৫৫। দেখবেন অনেক মহিলাই হাঁটুর ওপরে জামা পরে বা বক্ষবিভাজিকা দৃশ্যমান হয় এমন মেয়েদের খুব ভালো চোখে দেখছেন না। এর একটা সহজ কারণ হতে পারে এই যে আমাদের সমাজে খুব উন্মুক্ত পোশাক দেখার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। কিন্তু এই কারণের একটা খুব সহজ প্রতিযুক্তি আছে। আপনি যাঁদের ওই ওপরের প্রশ্নটি করেছেন, তাঁদের এইবার জিজ্ঞেস করুন, তাঁদের নিজের বাড়িতে ঠিক কতজন পুরুষ খালি গায়ে ঘোরেন? দেখবেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হ্যাঁ-বাচক উত্তর পাবেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন, সমস্যাটা শরীরী দৃশ্যমানতায় নয়। মেয়েদের শরীরী দৃশ্যমানতায়।
এইবার আপনি ভাবুন, মেয়েদের শরীরকে উত্তেজনার উদ্দীপক ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে শেখায়নি আমাদের সমাজ। সেইজন্যই তো মেয়েদের উন্মুক্ত পোশাক পরাকেই আমরা অস্বাভাবিক বলে দেখতে শিখেছি। সেই উন্মুক্ত পোশাক দেখেই মেয়েটিকে সহজলভ্য ভেবে নেওয়াটাকে অস্বাভাবিক বলে ভাবতে শিখিনি।
এই সমস্যাটাই বাড়তে বাড়তে এমন বয়ানে পৌঁছয় যেখানে শুরু হয়ে যায় ভিক্টিম ব্লেইমিং। প্রশ্ন উঠতে থাকে, ধর্ষণের সময় মেয়েটির পরনে কী পোশাক ছিল। সেই পোশাকই ধর্ষকদের উদ্বুদ্ধ করেছে কিনা!
আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের সমাজ এইটা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি, স্বল্পবসন পরা মানে অযাচিত স্পর্শের আহ্বান নয়। তাঁর ওই পোশাকটি পরতে ভালো লাগছে। অন্যকে “দেখানোর” জন্য তিনি ঐ পোশাক পরেননি। “নিজের ভালো লাগে” বলে পরেছেন।
কাজেই অনভ্যস্ত পোশাকে আপনার যদি “চোখ টাটায়”, মেয়েটিকে প্রশ্ন করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার চোখের পেছনে অজানা কোনও অন্ধকার কাজ করছে না তো! উন্মুক্ত পোশাক পরিহিতা কাউকে আপনি ভালো চোখে যে দেখতে পারছেন না, এই না পারার জন্য দায়ী কি পোশাক বা পোশাক পরিহিতা ওই মেয়েটি, নাকি আপনার পিতৃতান্ত্রিক চোখ! নিজেকে প্রশ্ন করুন। নাহলে পরিসংখ্যান তো বলেই দেয় অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ষিতাদের পোশাক, আপনার সামাজিক নিক্তি মেপেই “ঠিকঠাক” ছিল। সুতরাং আপনি কি এখন এই নির্ণয়ে এসে পৌঁছবেন যে ধর্ষণের জন্য পোশাক দায়ী নয়!
তাহলে ধর্ষণের জন্য দায়ী কী? এ নিয়ে কিন্তু প্রচুর গবেষণা হয়েছে। কোনও কোনও গবেষক মোটা কথায় ধর্ষণকে একটি “pseudosexual act” বলে বর্ণনা করেছেন। যা মূলত সামাজিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পুরুষ-আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য অথবা প্রতিষ্ঠা না করতে পারার হতাশা থেকে ঘনিয়ে ওঠে। A. N. Groth অন্তত তেমনটাই বলেছেন তাঁর Men Who rape: The Psychology of the Offender (New York, Premium Press, 1979) বইতে। International Journal for Women’s Study (1978)-তেও A. N. Groth এবং A.W. Bugess একটা প্রবন্ধ লেখেন যার নামই দেওয়া হয়, “Rape: A Pseudosexual Act”। Lee Ellis, Journal of Consulting and Clinical Psychology (1991, Vol 59, No.4, pg. 631-642)-তে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। “A Synthesized (Biosocial) Theory of Rape” নামে। সেইখানে তিনি ধর্ষণের কারণ হিসেবে কেবল সেক্স-ড্রাইভ কে রাখেনি। ‘Drive to possess and control’-কেও রেখেছেন।
অর্থাৎ যে আধিপত্যের বিষ অজান্তেই ঢুকে পড়েছে আমাদের যৌথ মনস্তত্ত্বে, সেই বিষের এক গাঢ়তর, প্রবলতর, ভয়ংকরতম বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় ধর্ষণে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, এই আধিপত্যের অর্জিত মনস্তত্ত্বই তৈরি করে তোলে ধর্ষণ- সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি কিন্তু আইনি ভাষায় যাকে ধর্ষণ বলা হয় তা নয়। বরং এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে রয়েছে আমাদের চারপাশেই। একটা পিরামিড দিয়ে এই সংস্কৃতিকে দেখানো যেতে পারে।
দেখা যাবে সেই পিরামিডের প্রথম স্তরেই, ওই আধিপত্য বিস্তার, ভিক্টিম-ব্লেমিং, শ্লাট সেমিং, সেক্সিস্ট আচরণ প্রভৃতি রয়েছে। রয়েছে মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য তাঁদের পৃথিবীটা ছোটো করে দেওয়ার প্রচেষ্টা। সমস্ত বিধিনিষেধ তাঁদের ওপরেই চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা যেন ধর্ষণের জন্য ধর্ষক নন, ধর্ষিতাই দায়ী।
এই আর জি কর কাণ্ডের পরেও তো আমরা দেখেছি, সরকারের প্রস্তাবিত “রাতের সাথী”তে মেয়েদের যথাসম্ভব নাইট ডিউটি কম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ লক্ষ্য তো ছিল এক নিরাপদ রাতের। সেই দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের। আর আমাদের দায়িত্ব কী? এই ধর্ষণ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এক প্রতি-সংস্কৃতি গড়ে তোলা।
কীভাবে গড়ে উঠবে সেই প্রতি-সংস্কৃতি? এই লেখা শুরু হয়েছিল Iconoclasm দিয়ে। আমাদের শৈশব-কৈশোর কার্যত তৈরি করেছিলেন যাঁরা তাঁদের প্রতি মুগ্ধতা পেরিয়ে আরেকটু সচেতন চোখে তাঁদের পড়তে চেয়ে। আমাদের সমাজের প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধগুলো সম্পর্কেও আমাদের তেমনই মুগ্ধতা রয়েছে। সমাজের কাছ থেকে, পরিবারের কাছ থেকে আমরাও তো আশৈশব নিয়েছি পিতৃতন্ত্রের পাঠ। এইবার সময় এসেছে সেই পিতৃতন্ত্রকে আনলার্ন করার। এবং চেষ্টা করার সেই আনলার্নিং- এর স্রোত যথাসম্ভব নিজেদের সামাজিক এবং পারিবারিক বৃত্তে ছড়িয়ে দেওয়ার। সময় এসেছে, এইটা প্রাথমিক ভাবে বোঝা এবং বোঝানো যে ধর্ষণের মূলগত কারণগুলো আমাদের সমাজ মনস্তত্ত্বেই রয়েছে। লিঙ্গ সচেতনতা তাই এই যুদ্ধে আমাদের অমোঘ আয়ুধ। এবং লিঙ্গ সচেতনতা বলতে কেবল, নারী নয়, ট্রান্সজেন্ডার কুইয়ার মানুষদের প্রতিও সংবেদনশীল হওয়া। এমন একটা সমাজ তৈরি করা, যেটা ইন্ক্লুসিভ। যেখানে প্রত্যেকটি মানুষ নিজের লিঙ্গসত্তার পরিচয় নিয়ে সমান মর্যাদায় এসে দাঁড়াতে পারেন। নিজেদের সামাজিক বৃত্তে লিঙ্গ-অসচেতনা দেখলে, আমরা যেন নিজেদের সাধ্যমতো সেটা নিয়ে একটা দ্বিরালাপ তৈরি করি। ধর্ষণবিরোধী মিছিলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কাজটিও কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। এই যুদ্ধে আমরা প্রত্যেকেই সৈনিক। আমাদের প্রত্যেককেই নিজের মতো করে লড়ে যেতে হবে। একদিনে হবে না। কিন্তু একদিন হবেই। আমরা সবাই মিলে একদিন এই যুদ্ধটাও জিতে যাব। ততদিন, শুধু লড়াই।
আরও পড়ুন : যে রাষ্ট্র মেয়েদের দায়িত্ব নেয় না, আমরাও কি তার ধারক নই?/ বিবস্বান
যে আর জি কর-কে চিনতাম, আর যাকে চিনি না/ ব্রতেশ
অ্যাবিউজের যে দীর্ঘ দিনলিপি আমরা জানি/ যশোধরা রায়চৌধুরী
আমাদের পরিবারেই বেড়ে ওঠে ধর্ষক/ সায়নদীপ গুপ্ত
চিন্তা নেই, পিএইচডি হয়ে যাবে!/ বিপ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য্য
পুরুষ থেকে ধর্ষকের মাঝে যেটুকু ফারাক/ শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরী
মিছিলে পা মেলান, তবে মনে রাখুন…/মুনিয়া দেবলীনা
অন্ধকার পথে একলা হাঁটার স্বাধীনতা চেয়ে…/অঙ্কিতা ভট্টাচার্য
নট অল মেন, কিন্তু.../ রণিতা চট্টোপাধ্যায়
অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র