দূর বসতের শব্দ-রিফু
..................
শব্দ ছড়িয়ে আছে উঠোনময়। আকাশে বাতাসে। সবখানে। তাদের থেকেই বাছাই করে পাশাপাশি সাজিয়ে জুড়ে নিচ্ছি যে কথা পাঠাব তোমায়। দেখা হয়নি অনেকদিন। কবে হবে তাও জানি না। শুধু জানি, ঠিকানায় চিঠি পাঠালে, ছিঁড়ে ফেলবার আগে একবার অন্তত মনে পড়বে আমায়। জানলা ঘেঁষে এলোমেলো দুলছে অশথের কচি পাতা। লাউ ডগা সাপ ভ্রমে চমকে পিছিয়ে আসছি। কলতলার সামনে জমা জলে চাঁদ উঠেছে। ফের পংক্তি ভেঙে শব্দ ছড়িয়ে দিলাম উঠোনময়। জলের কাছে অশথের পাতা দুলছে। সাপের অবয়ব আরও স্পষ্ট। অনভ্যস্ত শহুরে মন সেদিকে ভয়ে তাকিয়ে আছে। মৃত্যুচিন্তা হয়। ভবিষ্যৎ তোলপাড় করেও কারুর স্মৃতিতে মৃত্যু পরবর্তী আমাকে খুঁজে পাই না। তোমারও কী মনে পড়বে? জানি না। মধ্যবিত্ত চাকুরের সব জানতে নেই। এই অশান্ত সময়ে সম্পর্কে যেতে ভয় করে। বিচ্ছেদে ভয় পাই বলে সহজলভ্য হয়ে থাকি। যা আয়াসে মেলে তা হারানোর কষ্ট হয় নেই। বরং দুষ্প্রাপ্য হলে হারিয়ে ফেললেই তুমি মেঘ জমিয়ে ফেলবে। বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে একের পর এক স্যাঁতসেঁতে দিন-রাতে আয়ু নিভে যাবে। আমি তা হতে দিতে পারি ! তাই তো দূরে যাচ্ছি। দূরে যাব। রোদ পাঠাবো বলে।
আরও পড়ুন : অনাম্নী / শৌভিক মুখোপাধ্যায়
.....................................
[অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র]