অ্যাবিউজের যে দীর্ঘ দিনলিপি আমরা জানি
একটা বিষয় নিয়ে এত কেন উদ্বেলিত আমি? আমরা থেকে আমিতে নেমে এলাম। কারণ পার্সোনাল ইজ পলিটিকাল। সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘আমি আমি’-র বন্যা হয়, অনেকেরই অভিযোগ। কিন্তু, সেটা তার দুর্বলতা হলেও সেটাই তার জোর। নিজের কথা জোর গলায় বলতে পারাও তো কম কথা নয়।
এই বিষয় নিয়ে কেন উদ্বেলিত? কেন এত বাড়াবাড়িরকমের সক্রিয় ও উত্তেজিত আমি? অন্য অনেক বিষয়েই তো এতটা সক্রিয় হই না। কেন-না, এ আমার হৃদয়ের কাছের অনুভূতি। কেন হৃদয়ের কাছের? কেন-না, এই লড়াই আর আমার আশৈশবের অভিজ্ঞতার মধ্যে যোগসূত্র আছে। তাই এইসব স্লোগান, এইসব জমায়েত, এইসব দাবি আমার ভেতরে তীব্রভাবে অনুরণন তোলে।
মেয়েদের কেন রাতের অধিকার চাই? কেন ফেরত চাই রাতগুলি, দিনগুলিও? কারণ আশৈশবের তিক্ততার ভেতর দিয়ে আমরা জানি, মেয়েরা জানি, কেবলমাত্র মেয়েশরীরে বসবাসের কারণে বারেবারে আমরা লঙ্ঘিত হয়েছি, আক্রান্ত হয়েছি, মলেস্টেড হয়েছি, কুৎসিত কথা, টিপ্পনী, চাউনি ও স্পর্শের দ্বারা আহত হয়েছি, কলুষিত বোধ করেছি।
হ্যাঁ, কলুষিত বোধ করে মেয়েটি। পুরুষটির কলুষতা জায়েজ। মেয়েটির অবজেক্টিফিকেশন, মেয়েটির প্যাসিভিটি ধরে নেওয়া হয়, অথচ শেষমেশ সমাজ শেখায় মেয়েটিকে, যে, তুমি কলুষিত। এবং সেই অনুভূতিটা হচ্ছে সম্পূর্ণ তার সম্মতি বিনা, সক্রিয় অংশদান বিনা, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে কলঙ্কিত বোধ করছে। নোংরা বোধ করছে।
ধরে ধরে বলতে পারি কী কী ঘটেছে, দেখেছি ঘটতে।
১। পাঁচ বছর বয়সে মলেস্টেড হয়েছি বাড়ির পুরুষ কর্মীর দ্বারা। হয়তো দু-তিন বার ঘটেছিল, কিন্তু তার ব্যবহারটি যে স্বাভাবিক নয়, তা ওই বয়সেই বুঝতে পেরেছিলাম। এবং আজও ভুলিনি। সে ‘একটা খেলা খেলবে?’ বলে আমার ওপরে শুয়ে পড়ত। এই আচরণগুলো ঘটত আমার একাকী বৈধব্যতাড়িত মা যখন ব্যাংকে বা অন্যান্য কাজে বেরুতে বাধ্য হতেন তখন। মা সামান্য সময়ের জন্য বেরুতেন। কিন্তু আমি তো জানতাম মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে লোকটি। আমি এতটাই ছোটো যে ঘর বন্ধ করে ছিটকিনি তোলার মতোও আমার ক্ষমতা ছিল না, এখন ফিরে তাকালে বুঝি। মাকে বলে দিয়েছিলাম। মা সঙ্গে সঙ্গে প্রায় একবস্ত্রে লোকটিকে কাজ থেকে বিতাড়ন করেন। কাজে অত্যন্ত দক্ষ ছিল সে। প্রায় মায়ের ডানহাত ছিল। এরপর বহুদিন মা কোনও গৃহকর্মী নিয়োগ করেননি সবসময়ের জন্য। ঠিকে কাজের লোক দিয়েই চলেছিল। কিন্তু অনেক শিশু নিজে বুঝে, ব্যাপারটা বুঝিয়ে মা বা বাবাকে বলতে পারে না; বা বাবা মা কোনও অ্যাকশন নেবার পরিস্থিতিতে থাকেন না।
২। ১০-১১ বছর বয়সে একটি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম। দিনের বেলাতেই। কোনও এক বিখ্যাত সদনের পেছনদিকের বাথরুমে আমি লেডিজ বাথরুম থেকে বেরোই, জেন্টস বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে একটি বছর ২৫/৩০-এর যুবক আমাকে জড়িয়ে ধরে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি পাথরের মতো হয়ে যাই, নড়াচড়ার ক্ষমতা থাকে না। মা-কে বা দিদিকে সঙ্গে না নিয়ে একা বাথরুমে আসার জন্য আমি নিজেকে দায়ী করি, আমার মনে হয় এসব কথা কারোকে বলার নয়, কারণ প্রথমেই ওরা বলবে, তুই এত ক্যাবলা কেন, তুই কেন চেঁচামেচি করলি না, তুই কেন পালালি না, তুই কেন মারলি না লোকটাকে। যা কিছু হবে আমিই দায়ী। নিজের শরীরকে অসহ্য লাগতে থাকে। ঘৃণা করা শুরু করি নিজেকে।
এরপর বারবার বারবার ঘটেই চলে এ ধরনের ঘটনা। ভিড় বাস, ভিড় রাস্তায় আপত্তিকর স্পর্শ।
৩। কলেজে উঠি। তখন বন্ধুরা ইচ্ছে করে ঝুলন্ত বাসের রড ধরে ঝুলে বাসে যাই। লোকেদের রাস্তায় ধরে মারি। আমি গড়িয়াহাটের কাছাকাছি মনে পড়ছে প্রায় ফাঁকা বাসে থাপ্পড় মেরেছি এক ছেলেকে। চেঁচিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছি। এসব ক্ষেত্রে যা ঘটে থাকে তাই-ই, সমস্ত যাত্রী ও যাত্রিণীরা চুপ করে অন্যদিকে তাকান। কেউ সমর্থনে এগিয়ে আসেন না। মূক দর্শক।
৪। আপিসে জয়েন করি। ট্রেনিংয়ে শিমলা যাবার সময়ে আমি ও আমার সহকর্মিণী দুজনে দিল্লি আইএসবিটি থেকে শিমলার বাস ধরি। তার আগে দুজনেই দিল্লি স্টেশনে কুলির পিছু ধরতে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। মানে আলাদা আলাদা অটো করে এসে এক জায়গায় মিলি। প্রচণ্ড নার্ভাস, নতুন জায়গা, ভালো হিন্দি বলি না, টোটালি নড়বড়ে। আইএসবিটি থেকে একটা বাস চলতে শুরু করে আমাদের দুজনকে নিয়ে। নাইট বাস। কিছু পরে আর-এক মহিলা ওঠেন। তিনি চণ্ডীগড়ে নেমে যাবার পর বাসে আমরা দুই ২৮ বয়সিনী মেয়ে শুধু। হঠাৎ ড্রাইভার ও তার হেল্পার দুজন বলে, গাড়ি খারাপ হয়ে গেছে। নামি একটা ধাবায়। বসে থাকি অনির্দিষ্টকাল। গাড়ি ঠিক করে আবার চালু করে রাত একটা নাগাদ আমাদের শিমলায় নামায়। কোনও ইনসিডেন্ট ঘটেনি। এখন ভাবলে আশ্চর্য বোধ করি। আমার বেশ কিছু কলিগের সারারাত স্টেশনের ওয়েটিং রুমে বা প্ল্যাটফর্মে বসে থাকার অভিজ্ঞতাও আছে। সেই অনিরাপত্তাবোধ, বুক ঢিপঢিপ ভোলা যায় না।
আমরা রাত দেড়টায় শিমলায় নেমে, ভারী ব্যাগ সিঁড়ি দিয়ে টেনে তুলে হোস্টেলে পৌঁছোই। শিমলায় সব পথটাই উঁচুনিচু পাহাড়ি, কোনও টোটো বা সাইকেল রিকশা নেই। দিনের বেলায় কুলি টেনে তুলত, মাঝরাতে তা সম্ভব ছিল না। তাই নিজেদের সেইসব জীবনানন্দের কাব্যগ্রন্থ, মুড়ি আর আচার, নাড়ু আর জিবেগজা ভর্তি ভারী ব্যাগ টেনে তুলতে কী অবস্থা হয়েছিল আজও মনে আছে। জনমানবহীন শিমলা তখন নিরাপদ ছিল।
৫। শিমলায় থাকতেই এক বান্ধবী ডালহৌসি পাহাড়ে বেড়াতে আসছে, জেনে, বারো ঘণ্টা নাইট বাসে চেপে একা একা চলে যাই তার সাথে দেখা করতে। পাশের পুরুষ যাত্রীর কাঁধে মাথা ঢলে পড়েছিল ঘুমে। কোনও ইনসিডেন্ট হয়নি। আজ মনে হয় একা এভাবে যাবার কথা কীভাবে ভেবেছিলাম।
৬। অনেক পরে বহুবার, আপিসের কাজে ইউরোপ চষে, নির্ভয়ে নিরাপদে অনেক রাত অব্দি ঘুরেও, মধ্যরাতে দিল্লিতে এয়ারপোর্টে নেমেই পুলিশের উর্দিধারীর সেই চ্যাটচেটে চাউনি দেখে, বুঝেছি ও আমার দেশের মাটি। উত্তর ভারতের হিমালয়ের দেবভূমি বাদ দিয়ে, বাকিটা ভয়াবহ সেক্সিস্ট। বারেবারে অফিশিয়াল ও বাইরের সমস্ত ক্ষেত্রে মাচো পুরুষের দৃষ্টি থেকে শুরু করে বাকি সব আচরণেই বিশ্রীভাবে একটি মেয়ে হিসেবে অনিরাপত্তা অনুভব করতে হয়েছে।
৭। কলকাতা দিল্লির ফ্লাইট রাত্রি সাড়ে বারোটা একটায় পৌঁছোলে একা ট্যাক্সি চেপে এখানে ওখানে গেস্ট হাউজে পৌঁছোতে হয়েছে। ড্রাইভার একবার গাড়ি হঠাৎ থামিয়ে নিজের কিছু কাজ করতে নেমে গিয়েছিল। সাংঘাতিক ভয় পেয়েছিলাম। ইনসিডেন্ট ঘটেনি।
৮। কলকাতায় সিনেমা হলে পাশের সিট থেকে নোংরা হাত এসেছে, স্বল্পপরিচিত থেকে পাড়ার রকবাজদের নোংরা কমেন্ট এসেছে, প্রচুর জঘন্য ব্যবহার পেয়েছি। নিজেকে বর্মে ঢাকতে শিখে যায় সমস্ত মেয়েই কিছুটা বড়ো হতে হতেই।
৯। যাদবপুরের হোক কলরবের সময়ের ঘটনাক্রমে, মেয়েদের জন্য যথোপযুক্ত টয়লেট থাকা না থাকাটা বড় প্রশ্ন ছিল। একটি মেয়েকে আক্রান্ত হতে হয়েছিল অন্য বিল্ডিংয়ে টয়লেট খুঁজতে গিয়ে।
১০। চাকরিস্থলে আমার কাজ অডিট। উড়িষ্যায় অডিটের পদে প্ল্যানিং-এর সময়ে, সিদ্ধান্ত হয়, টেকনিক্যাল কলেজের অডিট হবে। তাইতে আমি চেয়েছিলাম যে দেখা হোক মেয়েদের টয়লেট আর পুরুষদের টয়লেটের সংখ্যার তারতম্য আছে কি না। আমার কাছে তার আগেই কিছু ছাত্রছাত্রী এই বিষয়টায় বীভৎস বৈষম্য এবং মেয়েদের টয়লেটের অপ্রতুলতার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। এটা সিস্টেমিক ব্যাপার।
আমি আমার অফিসের গ্রুপের মিটিংয়ে এই প্রসঙ্গে কথা শুরু করতেই আমার অধস্তন অফিসাররা ঘাবড়ে গিয়ে কথা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
তারপর জোর করে সেই অডিটের অনেক প্ল্যান করে ফেলেছি। কোয়েশ্চেনেয়ার তৈরি হয়েছিল ছাত্র ছাত্রীদের ফিডব্যাক নেওয়ার। অডিটে শুধু শুকনো সংখ্যাতত্ত্ব না ঘেঁটে (সেটাও করব, সেটাও বাধ্যতামূলক), আউটকাম বা ছাত্রছাত্রীদের স্যাটিসফ্যাকশন লেভেল নিয়েও কথা হোক অডিট রিপোর্টে, চেয়েছিলাম। আজকাল যাকে বলে সামাজিক অডিট। ইনটার্নাল মিটিংয়ে একপাল পুরুষ অফিসারের সঙ্গে কোয়েশ্চেনেয়ার নিয়ে কথা বলতে বলতে অবলীলায় বলেছিলাম, মেয়েদের টয়লেটই শুধু নয়, কমন রুম আছে কি না, কমন রুমে স্যানিটারি ন্যাপকিন ডিস্পেন্সার আছে কি না, এগুলো প্রশ্নে রাখুন। আজকের দিনে এগুলো ইম্পর্ট্যান্ট।
এতদিনে আমার অফিসের লোক সামান্য হলেও বুঝতে পেরেছেন। কোথাও কোনও কিছু ভাঙার আওয়াজ পাইনি সেদিন আর, কেউ চমকায়নি।
কিন্তু এরপর অত খেটে তৈরি করা আমার রিপোর্টটি আমার ঊর্ধ্বতন মহিলা অফিসার চেপে দিয়েছিলেন। আমাকে মেনে নিতে হয়েছিল। তাঁর যুক্তি ছিল, টেকনিক্যাল এডুকেশন অফ ওড়িশা সরকারের ওয়েবসাইটে গিয়েছ? দেখেছ ওরা কত ভালো ভালো কাজ করেছে? এই রিপোর্টটা সম্পূর্ণ চিত্র নয়, খণ্ডচিত্র।
১১। একটি সেমিনারে এক অধ্যাপক এসেছিলেন আমন্ত্রিত হয়ে। তিনি ঘটনাচক্রে মুসলিম। বলেছিলেন আজও ১২-১৩ বছর বয়সি মেয়েরা সবচেয়ে বেশি স্কুল ড্রপ আউট হয় সারা ভারতে। কারণ স্কুলগুলোতে টয়লেট ফেসিলিটি নেই। অন্যবয়সি মেয়েরা ঝোপঝাড় ব্যবহার করে। অথবা বাথরুম চেপে থাকে (আমার কন্যার ইউটিআই হয়ে গিয়েছিল স্কুলের নোংরা টয়লেট ইউজ করত না বলে, আমি জানি)। পিরিয়ডস শুরু হয়ে গেলে মেয়েরা সেটা পারে না আর। ফলে ড্রপ আউট বেড়ে যায়।
এই তিক্ত সত্য বলার জন্য ওই মুসলিম বক্তাকে আমার সহকর্মী দেশভক্তরা সাংঘাতিক অপছন্দ করেছিলেন। ওঁর এগেনস্টে নালিশ করা হয়, স্বচ্ছ ভারতের ইমেজ নষ্ট করেছেন বলে।
কিন্তু এই প্রতিটি ঘটনাকেই ছাপিয়ে যায় এই ঘটনা, যে, আজকের এই মেয়েটি নিজের ‘কর্মস্থলে’ই আক্রান্ত, যেটা তার পক্ষে সবচেয়ে নিরাপদ হওয়ার কথা ছিল।
কর্মস্থলে নিরাপত্তা দিতে হলে বাথরুমের ব্যবস্থা, বিশ্রামের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা যেখানে ছিটকিনি দেওয়া যায়, ভেতরে বাইরের লোকেদের ঢোকা বন্ধ করা, এই সমস্ত সিস্টেমিক বিষয়ে নজর দিতে হবে। রক্ষক ভক্ষক হলে বা সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে অবশ্যই গোটা ব্যাপারটা আর তত সহজ থাকে না। তখন পথে নামা অনিবার্য হয়। যেটা এক্ষেত্রে হয়েছে।
কিন্তু স্পেসিফিকভাবে মেয়েটির জন্য বিচার চাওয়ার পাশাপাশি, প্রতীকী গুরুত্ব নিয়ে উঠে আসছে মেয়েদের রাত্রিগুলি (ও দিনগুলি) ফেরত পাবার অধিকার। কারণ, এই সময়টা তাকে নিজের ভয়াবহ ইন্যাডিকোয়েসির অনুভূতির মুখোমুখি করে দেয়।
কিন্তু আবারও, আবারও বলতে চাই যে পুরো আন্দোলনটা আমার ও আমার মতো অসংখ্য মেয়েদের কাছে অত্যন্ত ধরাছোঁয়ার, চেনা পৃথিবীর। এই ইস্যুগুলো মঙ্গলগ্রহ থেকে আসেনি। এই দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল, আছে এবং এই মুহূর্তে অনিবার্য। যুগযুগান্তের নানা বেড়ি মেয়েদের রাত্রে বাড়ি থেকে বেরোবার অধিকারের প্রসঙ্গে। কেন যাবে না, কেন যেতে নেই। মনুসংহিতার নবম অধ্যায়ের বিধান,
পিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্ত্তা রক্ষতি যৌবনে।
রক্ষন্তি স্থবিরে পুত্রা ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমৰ্হতি॥
[স্ত্রীলোককে পিতা কুমারী জীবনে, স্বামী যৌবনে ও পুত্র বার্ধক্যে রক্ষা করে; (কখনও) স্ত্রীলোক স্বাধীনতার যোগ্য নয়।]।
তৃতীয় শ্লোকেই মনু তাঁর অ্যাজেন্ডা বিস্তৃত করে দিয়েছিলেন। আর আজকের ভারতীয় সমাজ মনোযোগ দিয়ে সেই অ্যাজেন্ডাকে অনুসরণ করেই চলেছে, করেই চলেছে।
মেয়েরা সর্বত্র যাবে। সবকিছু দখল করবে। বলতে চাই, মধ্যরাতে যেখানে কারও যাবার সাহস নেই সেইসব জায়গারও দখল নিতে হবে।
বিগত শত শত বছর ধরে মধ্যরাতে একা হেঁটে যাচ্ছে সারা পৃথিবীর মেয়ে। আক্রমণের ভয় সত্ত্বেও। এতদূর এসেছে তারা। আরও অনেক দূর যাবে। কেউ তাদের থামাতে পারবে না।
অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র এবং বিবস্বান
আরও পড়ুন : যে রাষ্ট্র মেয়েদের দায়িত্ব নেয় না, আমরাও কি তার ধারক নই?/ বিবস্বান
যে আর জি কর-কে চিনতাম, আর যাকে চিনি না/ ব্রতেশ