জেলে বসে নোবেল শান্তি পুরস্কার ইরানের নার্গিস মোহম্মদীর
গত বছর তিনি বিবিসি-র বিশিষ্ট ১০০ জন নারীর তালিকায় জায়গা পেয়েছিলেন। এ-বছর পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম ঘোষিত হল। অথচ এই মুহূর্তে তিনি নিজের দেশে কারাবন্দি। জেলে বসেই নোবেল-লাভের খবর পেলেন ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহম্মদী। পেশায় তিনি ইরানের আরেকজন নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদির প্রতিষ্ঠিত হিউম্যান রাইটস সেন্টারের উপপ্রধান। নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবার কারণে তিনি ইরানের ধর্মান্ধ শাসকদের চক্ষুশূল হয়েছেন বহুদিনই।
গত কয়েক বছরে ইরানে লিঙ্গবৈষম্যমূলক ঘটনা কম না। সরকারি মদতে অনর্থক নীতিপুলিশি ইরানকে রাহুর মতো গ্রাস করছে। মাহসা আমিনি থেকে শুরু করে একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে কিশোরী আরমিতা গেরাওয়ান্দ - নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের নতুন নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে ইরান রাষ্ট্র। তারই বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন নার্গেস। তাঁর জন্ম ১৯৭২ সালে। ১৯৯৯ সালে, তিনি সহকর্মী সাংবাদিক ত্যাগী রহমানিকে বিয়ে করেন। দীর্ঘ কয়েক দশকের সংগ্রামী জীবনে সব মিলিয়ে ইরানের শাসক তাঁকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে তাকে পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করে সর্বমোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শেষবার ২০১৬ সালের মে মাসে তাকে তেহরানে ১৬ বছরের জন্য কারাদণ্ডের হুকুম দেওয়া হয়েছে। নার্গেসের এই নাছোড় সংগ্রামী চেতনাকেই সম্মানিত করেছে নোবেল কমিটি। তাঁদের বয়ানে ইরানের ভয়ংকর বাস্তবের পরিপ্রেক্ষিতে নার্গেসের গুরুত্বপূর্ণ সদর্থক ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে প্রতিবাদী ভাবমূর্তির জন্য সারাজীবনে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে তাঁকে। তারই স্বীকৃতি এই নোবেল। ইরানের পক্ষ থেকে অবশ্য নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করা হয়েছে। এই পুরস্কারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছে তারা।
...........................