বিলুপ্তির মুখে ভারতীয় কলসপত্রী
স্থানীয় খাসিয়ারা প্রজাতির মানুষজন এর নাম দিয়েছেন ‘টিউ-রাকোট’ বা রাক্ষুসে গাছ। জয়ন্তিয়ারা ডাকেন ‘মেমাং কোকসি’ বা 'শয়তানের ঝুড়ি' নামে। বৈজ্ঞানিক নাম ‘নেপেনথেস খাসিয়ানা’। ভারতে কলসপত্রী বা Pitcher Plant-এর একমাত্র প্রজাতি। খাসি পাহাড়ে তাদের আদি বাস। আজ বিপদের মুখে এই মাংসাশী উদ্ভিদ।
কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে ছোট পাখি, ইঁদুর ইত্যাদি রয়েছে এই কলসপত্রীর খাদ্যতালিকায়। সে কারণেই একে মাংসাশী গাছ বলা হয়। সাধারণত এক বিশেষ ধরনের গন্ধ উৎপন্ন করে এই কলস। সেই গন্ধের আকর্ষণেই এই ফাঁদে পা রাখে জ্যান্ত খাদ্যেরা। একবার এই আঠালো 'কলসী'-র মুখের মধ্যে ঢুকে পড়লে আর বেরোনোর সুযোগ পায় না তারা। অবশ্য স্থানীয় মানুষের চিকিৎসার কাজে বহুলভাবে কাজে লাগে এই গাছের বিভিন্ন অংশ। তবে গত কয়েক দশক ধরে নগরায়নের জন্য বেপরোয়া অরণ্য ধ্বংসের কারণেই ক্রমশ বিলুপ্তির দিকে চলে যাচ্ছে কলসপত্রীরা। বিপন্নপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতি হিসাবে এই গাছ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসার্ভেশন অফ নেচার-এর ‘রেড লিস্ট’-এর অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে অল্পসংখ্যক কয়েকটি গাছ রয়েছে মূলত বাঘমারা রিজার্ভ ফরেস্টের একটি বিশেষ এলাকায়। ২০২২ সালে এলাকাটিকে 'কলসপত্রী অভয়ারণ্য' হিসাবে ঘোষণা করেছে মেঘালয় সরকার। বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিটিকে সংরক্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে শিলং-এর নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
.....................
#nepenthes khasiana #pitcher plant #কলসপত্রী #endangered plant #silly পয়েন্ট