প্লাস্টিক-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ ভারত : 'প্লাস্টিক-মাত্রা অতিক্রমী' দিবসে জানাল সমীক্ষা
গত ২৮ জুলাই বিশ্ব দেখে ফেলল মানবেতিহাসের প্রথম International Plastic Overshoot Day বা আন্তর্জাতিক 'প্লাস্টিক-মাত্রা অতিক্রমী দিবস'। অর্থাৎ এই দিন পৃথিবীর বর্জ্য ধারণ ও ব্যবস্থাপনার নির্ধারিত ঊর্ধ্বসীমা ছাড়িয়ে করে গেল প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ। আর বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নিয়েছে যে-দেশগুলি, তাদের একটি তালিকাও তৈরি করেছে সুইটজারল্যান্ডের সংস্থা Earth Action (EA)। ১২ টি দেশের সেই তালিকায় রয়েছে ভারতেরও নাম।
তালিকার বাকি এগারোটি দেশ হল চিন, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, কঙ্গো রিপাবলিক, ইরান, কাজাকস্তান। সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের মোট অব্যবস্থাপিত প্লাস্টিক বর্জ্যের ৫২ শতাংশই এই বারোটি দেশের অবদান। ২০২৩ সালে গোটা বিশ্বজুড়ে মোট ১৫৯ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক (স্বল্পকালের জন্য ব্যবহারযোগ্য) উৎপাদিত হবে, যার ৪৩ শতাংশই শেষমেশ দূষণে ভূমিকা নেবে বলে সংস্থাটির আশঙ্কা। মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের হিসেব নিলে অবশ্য ভারতকে অনেক পিছনে ফেলছে আইসল্যান্ড। আইসল্যান্ডে মাথাপিছু বার্ষিক প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ ১২৮.৯ কেজি। ভারতে এই পরিমাণ ৫.৩ কেজি। কিন্তু ভারত পিছিয়ে রয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায়। প্লাস্টিক উৎপাদন বা ব্যবহারের পরিমাণ শুধু নয়, ব্যবহারের পর সঠিক জায়গায় ফেলা ও সেই বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ওপরেই মূলত নির্ভর করে প্লাস্টিক দূষণ। ভারতে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন রয়েছে। বলে রাখা দরকার, ভারতে 'প্লাস্টিক-মাত্রা অতিক্রমী দিবস' কিন্তু এ-বছরের একেবারে গোড়ার দিকেই এসেছে। ৬ জানুয়ারি, ২০২৩। প্রতিটি দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে এই মাত্রা ও দিন নির্ধারিত হয়। যাই হোক, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে কথাবার্তা হলেও সেই অনুপাতে সচেতনতা বাড়ছে না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সরকারি-বেসরকারি সব স্তরেই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করা প্রয়োজন। তালিকাভুক্ত বারোটি দেশের জন্যই অ্যালার্ম বাজিয়ে দিয়েছে সুইটজারল্যান্ডের সমীক্ষা।
..................
ঋণ : downtoearth.org
#plastic waste # Plastic Overshoot Day #plastic pollution #silly পয়েন্ট