গাছের জন্য হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স : দৃষ্টান্ত স্থাপন অমৃতসরের সরকারি অফিসারের
গাছেদের জন্য আস্ত হাসপাতাল। রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও। এই অভিনব ভাবনার জনক অমৃতসরের রোহিত মেহরা। পেশায় আয়কর বিভাগের অফিসার, কিন্তু নেশায় পরিবেশকর্মী। 'শ্রীমতি পুস্পা ট্রি অ্যান্ড প্ল্যান্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডিসপেনসারি' ভারতের এক অনন্য প্রতিষ্ঠান।
এই হাসপাতাল গাছ-সংক্রান্ত ৩৩ রকমের পরিষেবা দিয়ে থাকে, যেমন গাছের গা থেকে পেরেক তোলা, গাছের ছাউনি বা বেড়া, গাছের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ইত্যাদি। এই কাজে রোহিতের সহযোগী তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি মেহরা। গীতাঞ্জলির মায়ের নামেই এই হাসপাতালের নামকরণ হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বহু উদ্ভিদবিদ, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ, বনভূমি-বিশেষজ্ঞ ও ভারতীয় বনদপ্তরের কর্তা যুক্ত আছেন। সঙ্গে রয়েছেন অসংখ্য বৃক্ষপ্রেমী। প্রতিদিন ফোনে ও সামনাসামনি অনেক বৃক্ষপ্রেমী মানুষ এই হাসপাতালের সাহায্য নেন। শুধু অ্যাম্বুলেন্স নয়, একটি রিকশাকেও চলমান মিনি-হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। রিকশাটি বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় গাছের নানারকম প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নিয়ে। রোহিত মেহরার অবশ্য এটাই প্রথম পরিবেশবিষয়ক কাজ নয়। এর আগে তিনি ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করে ভারতের ৩০ টি শহরে প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি উল্লম্ব বাগান (Vertical Garden) তৈরি করেছেন। বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু মাইক্রো-ফরেস্টও তৈরি করেছেন তিনি। সেগুলির মধ্যে আয়তনে বৃহত্তম বনভূমিটি (প্রায় ৮ একর) পঞ্জাবের বাতালায়।
..................