গল্প

মিঠে কড়া

পিয়ালী দত্ত Nov 27, 2022 at 8:27 am গল্প

ঘোষবাড়ির বড় ছেলের ঘরে টুকটুকে মেয়ে এল।দেখে শুনে ঠাকুমা নাম রাখলেন কুমকুম। পাকা চোখ মনোরমাদেবীর। বুঝেছিলেন, অমন লালচে পানা হয়ে জন্মেছে যখন, এ মেয়ে তাদের বাড়ির বাপ-দাদার মত শ্যামলা বরণই পাবে। মনোরমাদেবী কর্তার কাছে আবদার করে বসলেন, "লক্ষ্মী এসেছে যখন, দোকানে নতুন মিষ্টি চাই।" হেড কারিগরকে কালই বাড়িতে আসতে বলা হোক।তিনি বলে দেবেন কেমন জিনিস তৈরি করতে হবে নাতনির নামে মিষ্টি হবে। হেড কারিগর নিবারণ কর্তামার ফরমায়েশ মত মিষ্টি এর আগেও ঢের বানিয়েছে। মনোরমাদেবী তো মনে মনে ঠিক করেই রেখেছিলেন। নিবারণকে বেশ করে বুঝিয়ে দিলেন।

"গোপাল ভোগের মত একটা নরম রসের মিষ্টি করবে।জাফরানি রঙের হাল্কা মিঠে। ছানার সঙ্গে ক্ষীর মিশিয়ে রসে ফুট দেবে। ভেতরে থাকবে লালচে ক্ষীরের গুলি। ওই তোমরা দরবেশ বানাতে যে লাল রংটা দাও,ওটাই একটু হালকা করে দেবে অখন। সব শেষে গুঁড়ো ক্ষীরের ওপর ভালো করে গড়িয়ে নেবে।" নিবারণ মাথা নেড়ে বলল, "ক্ষীর ছানা মিশিয়ে রসে পাক দিলে কিন্তু একদিনের বেশী ও মিষ্টি রাখা যাবেনা। তার ওপর আবার ক্ষীরের গুঁড়ো মাখানো! আমাদের দোকানের ক্ষীর কদমের তো ভালো বিক্রি, গোপাল ভোগও তৈরি হয়। এ দুয়ে মিলে আজব মিষ্টি কেমন হবে কে জানে!" মনোরমা দেবী পানের খিলিটা মুখে পুরে হেসে বললেন, "আমার লক্ষ্মী এসেছে। তাকে আদর  আপ্যায়ন করতে হবে না? তুমি দেখে নিও নিবারণ, ঠিক মত যদি বানাতে পারো, এ মিষ্টি স্বাদে অতুলনীয় হবেই। তবে ক্ষীর, ছানা দুটোই খুব টাটকা হতে হবে, নইলে একবেলাতেই টকে যাবে।চিনির রসে বেশি পাক দিলে মিষ্টি শক্ত হয়ে যেতে পারে। গোপালভোগের মত অত কড়া মিষ্টি কোরো না যেন।"

নিবারণ মাথা চুলকে কারখানায় চলে গেল।

মিষ্টি নিয়ে মনোরমা দেবীর উৎসাহ বরাবর। গ্রামের বাড়ীতে দুধের কমতি ছিল না। গোপালের নিত্য সেবার ভোগের জন্যে ছানা কাটিয়ে নিজে হাতে পাক দিয়ে সন্দেশ বানাতে শিখেছিলেন। প্রথম প্রথম সুবিধের হত না। রোজ করতে করতে, কতটা আঁচ লাগবে,কেমন পাক দিলে শক্ত হয়ে যাবেনা, এসব ভালো করে বুঝে ফেললেন। বিয়ে কিংবা অন্য পাব্বনে বাড়িতে ভিয়েন বসলেই তিনি খুব মন দিয়ে কারিগরদের কাজ দেখতেন। এই করে করে রসগোল্লা, পান্তুয়া, দরবেশ বানাতে দিব্যি শিখে গেলেন।

তারপর কলকাতায় থাকতে আসা।

হুগলির বংশীপোতায় সাবেক বাড়ি হলেও কলকাতায় ঘোষ কর্তার যাতায়াত ছিল ভালোই। বউবাজারের ছানাপট্টিতে হপ্তায় কমসে কম দুবার করে আসতে হত। চারদিক দেখে আঁচ করেছিলেন,কলকাতায় শৌখিন মিষ্টির ভালো চাহিদা রয়েছে। ওস্তাদ কারিগর আর ভালো ছানার দরকার। বংশীপোতায় তাগড়াই গরুরা তো ছিলোই, তারা কাঁড়ি কাঁড়ি দুধও দিত। টাটকা ছানার যোগান ছিল অঢেল। দুধ-ছানার ব্যবসা তাঁদের বেশ ক'পুরুষের। কলকাতার সুলুকসন্ধান বুঝে নিতে বছরখানেক লেগে গেল। কজন ভালো কারিগরের সন্ধান পাওয়া গেল। সঙ্গে কলেজ স্ট্রিটের দিকে একটা খালি দোকানঘরের। মন ঠিক করে, মনোরমা দেবীর কাছে হাত পাতলেন। বিয়ের গয়নাগুলো দরকার। নইলে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না, অনেক আয়োজন রয়েছে।

মনোরমা দেবী প্রথমটা থতমত খেয়ে গেছিলেন।বংশীপোতার সাবেক বাড়ি ছেড়ে গেলে অন্য দেওর ভাশুরেরা কী বলবে? আর তিনি গাঁয়ের মেয়ে, কলকাতা শহরে ছেলেপিলে নিয়ে থাকবেন কি করে? ঘোষ কর্তা আশ্বস্ত করেন মনোরমা দেবীকে।

আপাতত তিনি একাই যাবেন, মেসে থেকে কাজ সামলাবেন। দোকান ভালো করে চালু হোক। বাড়ীর বন্দোবস্ত করে তারপর পরিবার নিয়ে পাকাপাকি যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

মনোরমা দেবীর প্রথমটা খুব কষ্ট হয়েছিল, বিয়ের গয়না। সব ব্যবসায় চলে যাবে! তাও,কর্তাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন বলে চারগাছা চুড়ি রেখে বাক্সশুদ্ধ ধরে দিলেন।

বংশীপোতার দুই বিশ্বস্ত কর্মচারীকে সঙ্গে করে বিছানা বালিশ সমেত বেনেটোলার এক চেনা মেসে উঠলেন ঘোষকর্তা। নতুন বাজার থেকে দোকানের দরকারী বাসনপত্র সব কেনা হয়ে এল। দোকানে চুনকাম করালেন,ভাঙ্গা দরজা সারিয়ে-সুরিয়ে নিলেন। ভারি ইচ্ছে ছিল, একটা গালভরা নাম রাখবেন দোকানের। সেও হল।

ঘোষকর্তার দুই চৌকি পরে থাকতেন মিত্র স্কুলের মাস্টার মশাই অবনী বাবু। চন্দন নগরের মানুষ, হাঁপের টান রয়েছে বলে নিত্য যাতায়াত করতে পারেন না। সোম থেকে শুক্কুর মেস ভরসা। তিনি একটা ভালো নাম দেখে দিলেন। ঘোষদের বড় কর্তার নাম ছিল,স্বর্গীয় মধুসূদন। তাঁর সঙ্গে মিলিয়ে দোকানের নাম রাখলেন মধুময় মিষ্টান্ন ভান্ডার। ঠনঠনে কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে দুগ্গা দুগ্গা বলে দোকান চালু হল।প্রথম দিন মেসের সবাইকে কাঁচা গোল্লা আর রাজভোগ খাওয়ালেন। নিবারণ তার শাগরেদদের নিয়ে মিষ্টির পাক ভালোই দিয়েছে।ঘোষ কর্তা ভয়ে ছিলেন, নিবারণ পুরোনো কারিগর,অভিজ্ঞতা ঢের তবু, আসল কাজের কাজ কেমন করবে ঠিক ভরসা হচ্ছিল না। নিজে রাজভোগ খেয়ে বুঝলেন ঠিক আছে। এ তো শহরের দোকান, ভালো টাটকা মিষ্টি নইলে মোটে চলবে না। আবার,স্বাদেও ভালো হতে হবে। তাহলেই লোকে দাম দিতে পিছপা হবে না।তাঁদের গাঁয়ের কথা আলাদা।সেখানে অত নিখুঁত স্বাদের ব্যাপার নেই ,ওই চলনসই গোছের হলেই হল।পাড়ার লোক আর মিষ্টি কেনে কই! নাড়ু আর নারকেল ছাপা তো বাড়িতেই বানিয়ে নেয়। পালা পাববনে মেয়েরাই বাড়িতে খাজা গজা, লবঙ্গ লতিকা নিপুণ হাতে তৈরী করে ফেলে। হাটুরে লোক পেট ভরাবার জন্যে মিষ্টি কেনে। তারা কড়া মিষ্টি পছন্দ করে। গোটা দুয়েক খেয়ে এক পেট জল খেলেই অনেকক্ষণ নিশ্চিন্ত।

কিন্তু শহরে বাপু কঠিন ঠাঁই।

একথা ঘোষ কর্তা বিলক্ষণ বুঝেছিলেন। অনেক সূক্ষ্ম স্বাদের রকমারি মিষ্টি দরকার,নইলে লোকের মুখে রুচবে না। আবার,গন্ধ হয়ে যাওয়া জিনিস চালালে এমন বদনাম হবে, কেউ আর ও-পথ মাড়াবে না মোটে। ঘোষ কর্তা হাঁফ ছেড়ে ভাবলেন,নিবারণ তার দলবল নিয়ে বোধহয় সামলে ফেলতে পারবে। একটু সুযোগ পেলেই ছেলেদের আর মনোরমা দেবীকে কলকাতায় আনতে হবে। মেসে থাকতে থাকতে ও পাড়াতেই পুরোনো বাড়ির খোঁজে লেগে পড়লেন। ব্যবসা একটু থিতু হতেই মোটামুটি বন্দোবস্ত হয়ে গেল।মনোরমা দেবী ছেলেদের নিয়ে বংশীপোতা থেকে কলকাতা চলে এলেন। পৈতৃক বাড়ীতে ভারী আসবাবগুলো প্রায় সবই রয়ে গেল।শুধু যেটুকু না আনলেই নয়,সেটাই এল। ঘোষ কর্তা বৌবাজার থেকে দেখে শুনে হাল ফ্যাশনের কিছু আসবাব কিনে এনেছিলেন। মিষ্টির দোকান থেকে হাঁটাপথে একটা দোতলা ভাড়া বাড়ি, তিনি ভেবেই রেখেছিলেন,মনোরমা দেবীর পছন্দ হলে ওটা কিনে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তাঁদের দুজনের শহুরে জীবন শুরু হল পাকাপাকিভাবে।এইবারে কর্তার কাছে আবদার করে বসলেন মনোরমা দেবী। দোকানের কারখানা দেখবেন,হেড কারিগরের সঙ্গে নাকি তাঁর ভারি দরকার। বংশীপোতায় থাকার সময়েই কর্তার কাছে গল্প শুনেছিলেন,কলকাতায় রকমারি মিষ্টির ভারী চাহিদা, বিভিন্ন পালা পার্বণে অনেক নামিদামি দোকান নতুন মিষ্টি বানায়। ঘোষকর্তা ঘুরে ঘুরে বেশ কিছু জায়গা দেখেছেন, নতুন মিষ্টি কিনে খেয়েছেন। নিবারণের সঙ্গে এই নিয়ে তাঁর কথাও হয়েছে, তবে ব্যাপারটা আর বেশী দূর গড়ায়নি।মনোরমা দেবী,নিবারণ কে ডেকে বললেন,"তোমাদের বাবুর নামে একটা মিষ্টি কর দিকিনি। বাবু তো সাদা ধুতি আর সাদা ফতুয়া ছাড়া কিচ্ছু পরেন না, তা বাবুর মত গোলগাল গড়নের একটা সাদা সন্দেশ বানাও। নাম দিও, বাবু সন্দেশ। ছানা অল্প বাদাম বাটা দিয়ে পাক করবে।খবরদার, কোনো রং যেন না ধরে। তোমাদের বাবুর মত ওপরটা কড়া পাক,আর ভেতরটা ভারী নরম।" ঘোষকর্তা লজ্জা পেয়ে গেলেন। নিবারণ ঘাড় নেড়ে বলল, "এ তো সোজা কাজ।আজ রাতেই বানিয়ে খাওয়াব। উৎরে গেলে পরশু থেকেই দোকানে চালু হয়ে যাবে।"

মধুময় মিষ্টান্ন ভান্ডার অল্প সময়ে নাম করে ফেলল। দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই ছিল। লোকেরা ভারী উৎসাহিত হত রকমারি মিষ্টি দেখে।পাশেই বই পাড়া,দিনভর অজস্র লোকের আনাগোনা লেগেই থাকত। বসে খাবার জন্যে দুটো চেয়ার টেবিল পাতা হল দোকানের এক পাশে। কচুরি তরকারি আর সিঙ্গাড়া চালু হয়ে গেল।

মনোরমা দেবীর উৎসাহে আরো কয়েক রকম মিষ্টির ব্যবস্থা হল। মায়ের নামে হল লেবুর গন্ধওয়ালা কমলা বরফি। ততদিনে, বড় বৌমা মাধুরী ঘরে এসেছে। চ্যাপ্টা চমচম মাঝখান থেকে কেটে মধ্যিখানে ক্ষীর মিছরী আর কাঠ বাদামের পুর দিয়ে তৈরী হল রস মাধুরী।তাতে পড়ল রূপোলী তবক। সে মিষ্টিও বেশ নাম করে ফেলল।কাঁচা গোল্লার মধ্যে গোলাপ গন্ধ দিয়ে গোলাপ পাপড়ি সাজিয়ে হল গোলাপী পেঁড়া।

মনোরমাদেবী সবচেয়ে চমকে দিয়েছিলেন ঘোষবাড়ির ছোট জামাইকে। জামাই ষষ্ঠীর দিনকয়েক আগে থেকে নিবারণের তো ভারি উৎসাহ। কর্তামা যেমন বলেছেন, হুবহু তেমনি হাজির করল। নতুন জামাই দুপুর বেলা খেতে বসেছে। পাতের পাশে হরেক রকম তরি-তরকারি, মাছ-মাংস তো আছেই, দেখে চমকে উঠল আলাদা রেকাবি করা দুখানি পাঁউরুটি টোস্ট। পুরু করে মাখন লাগানো। একটায় মোটা দানা চিনি,অন্যটায় গোলমরিচ।পাশে আবার একখানা ডিম সেদ্ধ। একে নতুন জামাই,তার ওপর কিছুতেই ঠাওর করতে পারেনা, ভরদুপুরে এত খাবারের সাথে তাকে কেন রুটি ডিম সেদ্ধ পরিবেশন করা হয়েছে। স্বয়ং মনোরমা দেবী পিঁড়ি পেতে সামনে বসেছেন, পাখা নেড়ে হাওয়া করছেন। জামাই তো ভয়ে ভয়ে প্রথমে ডিম পাউরুটির দিকেই হাত বাড়াল। ভাবল, এ বাড়িতে বোধহয় এমনি দস্তুর, ভাতের আগে পাঁউরুটির চল।

কামড় দিতেই রসে টইটুম্বুর হয়ে গেল তার মুখ।মালাই মাখানো অপূর্ব স্বাদের চমচম। এলাচের গুঁড়ো কে সে মরিচ বলে ভুল করেছিল। জামাই তো এমন মিষ্টি খেয়ে হতবাক। মনোরমা দেবী মুখে আঁচল দিয়ে হেসেই কুটিপাটি,বললেন,"ঠাকুর জামাই,এবারে ডিম সেদ্ধ খানা খেয়ে দেখো দিকি।"

জামাই এতক্ষণে বুঝল, তার সঙ্গে মস্করা হচ্ছে। ডিম খেয়ে দেখল,নরম পাকের মোলায়েম সন্দেশ।মধ্যিখানে জাফরানি রঙের কুসুমটি অটুট।সেটি ক্ষীর বাদাম বাটা দিয়ে তৈরী। নতুন জামাইয়ের বন্ধুরা মজা করে বলেছিল, "ময়রার বাড়ী বিয়ে হয়েছে। পেটপুরে মন্ডা মেঠাই খাবি।" কিন্তু এমনি সূক্ষ্ম স্বাদের মিষ্টি তার কপালে জুটবে, সে কল্পনা করতে পারেনি । পরদিন ঘোষকর্তা, নিবারণকে বলে বেশ কয়েক বাক্স ডিম-পাঁউরুটি মিষ্টি আলাদা করে জামাইয়ের সঙ্গে দিয়ে দিলেন। বন্ধুদের খাওয়ানো আর চমকানো দুটিই হবে।

মনে মনে মনোরমাদেবীর তারিফ না করে পারলেন না। দোকানে দিব্যি লাভ হচ্ছে। এইবারে মকর মুখো বালা জোড়া অন্ততঃ গড়িয়ে দিতেই হবে। দোকান করতে সবই তো প্রায় চলে গেছে। মনোরমাদেবীর আর গয়নার দিকে তেমন নজর নেই। তিনি ভারী উৎসাহে আবার নিবারণ কে বুঝিয়ে চলেছেন,চিৎপুর থেকে নতুন ধরনের কাঠের ছাঁচের অর্ডার দিতে হবে। বর্ষায় আনারস উঠবে।ছোট ছোট আনারস ছাঁচের সন্দেশ বানালে দোকান ঝলমল করবে।

অনেকদিন অবধি, মধুময় মিষ্টান্ন ভান্ডার রমরমিয়ে চলেছিল। উপযুক্ত চার ছেলে মিলে এমনি নানান স্বাদের মিষ্টির ধারাটি বজায় রেখেছিল।তবে,নতুন নামের কিংবা নতুন স্বাদের মিষ্টি আর তৈরি হয়নি।কেননা ঘোষ গিন্নী ততদিনে চোখ বুজেছেন।


.................. 

সংযোজন :

সব চরিত্র কাল্পনিক হলেও মিষ্টিরা সত্যিকারের।এই সেদিন অবধি দোকানের কাঁচের শোকেসে থরে থরে সব সাজানো থাকত।

ইদানীং ঝাঁপ বন্ধ।

আশায় আশায় ছিলাম, হয়ত খুলবে। সাময়িক বিরতি বোধহয়। কিন্তু ঝাঁপে পুরু ধুলোর প্রলেপ পড়েছে। বুঝেছি আমার প্রিয় মিষ্টিরাও চিরতরে বিলীন হল এবার। দোকানের নামখানা অনুচ্চারিত থাক,কলেজ স্ট্রিট অঞ্চলে যাঁদের আনাগোনা, কুমকুম মিষ্টি তাঁরা নিশ্চয় ভোলেননি।

আরও পড়ুন : পাখিপড়ার আসর - বসন্তবৌরির গল্প / পিয়ালী দত্ত

[অলংকরণ: বিবস্বান দত্ত] 

#গল্প #সিলি পয়েন্ট #পিয়ালী দত্ত #বিবস্বান

Leave a comment

All fields are required. Comment will appear after it is approved.

trending posts

newsletter

Connect With Us

today's visitors

53

Unique Visitors

217960