ক্যামেরাকে সঙ্গী করে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ রক্ষার লড়াই : চিত্রনির্মাতা মাইক পাণ্ডে
ক্যামেরা, বন্যপ্রাণ আর পরিবেশ - এই তিনটে মন্ত্র নিয়েই তাঁর জীবন। তিনি পরিবেশ-সংরক্ষণ ও বন্যপ্রান বিষয়ক তথ্যচিত্রে ভারতের জীবন্ত কিংবদন্তী। মাইক পাণ্ডে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৬০০ তথ্যচিত্র, টিভি সিরিজ ও ছায়াছবির নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে থেকেছেন তিনি। হাতি, হাঙর, বাঘ, শকুন, অশ্বখুর কাঁকড়াদের নিয়ে তাঁর কাজ আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বারবার। সারাজীবনে অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন। তিনবার জিতেছেন গ্রিন অস্কার (হুইটলি পুরস্কার)। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও।
মাইক পাণ্ডের জন্ম কেনিয়ায়। নাইরোবি ন্যাশনাল পার্ক ছিল তাঁর বন্যপ্রাণ ও ফটোগ্রাফি এই দুই নেশারই অনুপ্রেরণা। সাত বছরের জন্মদিনে উপহার পাওয়া একটি কোডাক ব্রাওনিং বক্স ক্যামেরাই নির্ধারণ করে দিয়েছিল তাঁর ভবিষ্যতের রূপরেখা। হলিউডে ক্যামেরার কাজ শেখেন। শুরুতে শুধু কেনিয়ার নাগরিকত্ব থাকলেও পরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর অনুরোধে ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে দিল্লিতে তৈরি করেন নিজস্ব স্টুডিও রিভারব্যাঙ্ক স্টুডিও। মাইক প্রথমবার গ্রিন অস্কার পান ১৯৯৪ সালে, 'The Last Migration – Wild Elephant Capture in Surguja' ছবির জন্য। দ্বিতীয়বার, ২০০০ সালে, 'Shores of Silence: Whale Sharks in India' ছবির জন্য। ২০০৪ সালে হাতিদের বিষয় করে নির্মিত তথ্যচিত্র 'Vanishing Giants'-এর জন্য তিনি তৃতীয়বার গ্রিন অস্কার পান। দূরদর্শন ও অন্যান্য ভারতীয় চ্যানেলের জন্য কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টিভি সিরিজ নির্মাণ করেছিলেন তিনি। সেগুলিও পেয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ছোটদের মধ্যে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ বিষয়ক সচেতনতা তৈরি করার জন্য 'খুল্লম খুল্লা' নামে একটি শিক্ষামূলক টিভি সিরিজ নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর ক্যামেরা আর দায়বদ্ধতা দুই-ই আজও ক্লান্ত হয়নি।
.....................