বেতারের আদিযুগ ও জগদীশচন্দ্র (চতুর্দশ পর্ব)
পর্ব ১৪। মার্কনি-জগদীশচন্দ্র : বেতার-বিতর্কের শেষ পর্ব
১৯০১-এর ডিসেম্বর মাসের বারো তারিখ। ইতালীয় উদ্ভাবক গুগলিয়েমো মার্কনি (Gugliemo Marconi, ১৮৭৪ - ১৯৩৭) সেদিন উপস্থিত হয়েছেন কানাডার পূর্ব উপকূলের নিউ ফাউন্ডল্যান্ড নামে এক জায়গায়। সঙ্গে এসেছেন তাঁর এক সহকারী জর্জ কেম্প-ও। ওদিকে ইংল্যান্ডের পল্ডহিউ-তে রেখে এসেছেন তাঁর এক বন্ধুকে। যে ঘটনাটা ঘটতে চলেছে, তাতে মুখ্য উদ্যোক্তা মার্কনি-ই; তাঁর উদ্দেশ্য এমন এক কীর্তি স্থাপন করা, যা ইতিহাসে হয়নি কখনও। গত সাত-আট বছর ধরে এই কাজটাই তো হয়ে আছে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান।
আটলান্টিক মহাসাগরের একদিকে ইংল্যান্ড, অন্যদিকে আমেরিকা। মার্কনির মূল ইচ্ছে, এই দুই মহাদেশকে বেতার-বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে সংযুক্ত করবার। আসলে এই কাজটায় সফল হওয়ার ইচ্ছে তাঁর অনেকদিনের। এ জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি নানাভাবে। রেডিও তরঙ্গের বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে নানা পরীক্ষার পাশাপাশি আবহাওয়ার অবস্থা বা বাতাসের গতিবিধি— এসব নিয়েও নানাভাবে চর্চা করা চলছিল। তাছাড়া এর আগে তিনি প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরের দুটো জায়গার মধ্যে বেতার-বার্তা পাঠাতে পেরেছিলেন, যেটা তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই জাগিয়ে তুলেছিল। ওই কাজটা করে সাফল্য পেয়ে তিনি পেটেন্ট-ও নিয়ে নেন, সেটা ছিল ১৯০০ সাল। তারও আগে তিনি সফলভাবে ইংলিশ চ্যানেলের এপার-ওপারে বার্তা পাঠিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। ওই ঘটনার পর থেকেই সকলে তাঁর তৈরি ওয়ারলেস কোম্পানির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। যেটা ইউরোপের প্রথম বেসরকারি ওয়ারলেস কোম্পানি।
তবে সত্যিই যে কোনওদিন ইউরোপ-আমেরিকার মধ্যে দূরবর্তী দুটো মহাদেশের মধ্যে বেতার-সংযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা যেতে পারে, এটা সে আমলে কেউই প্রায় বিশ্বাস করতেন না। সবারই এই ধারণা ছিল যে পৃথিবীর আকার যেহেতু গোলাকার, এর পৃষ্ঠতল সমতল নয়, বরং বক্রতল, তাই এই বক্রতলের ওপরের দুটো বেশ দূরবর্তী স্থানের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় বেতার তরঙ্গও বেঁকে যাবে, পৌঁছতে পারবে না যথাস্থানে। অনেকে এমন হিসেবও করে বলেছিলেন যে, দুশো মাইল, বা সাড়ে তিনশো কিলোমিটারের বেশি পথ বেতার তরঙ্গ অতিক্রম করতেই পারবে না কোনওদিন। আমাদের সৌভাগ্য যে এঁদের কথায় মার্কনি কান দেননি। শুধু তাই নয়, স্বয়ং হেওনরিখ হার্জ-ও তো বলেছিলেন যে অনেক দূরের পথ বেতার তরঙ্গকে ঠিকঠাকভাবে পাড়ি দিতে গেলে সেই প্রেরক অ্যান্টেনার আকার হতে হবে প্রচণ্ড বড়, সেটা বাস্তবে বানানোই প্রায় অসম্ভব। সুতরাং এতগুলো নেগেটিভ মতামতকে ভুল প্রমাণ করবার একটা পাহাড়-প্রমাণ দায় তাঁর ওপর ছিলই।
২. যদিও প্রথমে তাঁর পরিকল্পনা ছিল ইংল্যান্ডের পল্ডহিউ নামের সেই জায়গাটা থেকে আমেরিকার কেপ কড্ উপদ্বীপের সঙ্গে সরাসরি বেতারের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা। কেপ কড জায়গাটা ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের বোস্টন শহর থেকে প্রায় একশো কুড়ি কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে।
কিন্তু সে যাত্রা পরীক্ষাটা করা গেল না। মাস দুয়েক আগে তাঁর পরীক্ষার মূল কাঠামোটা ভেঙে পড়ল, আর তিনিও জায়গা বদলে ফেললেন। তবে জায়গা পরিবর্তন করাটা তাঁর সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল কারণ আজ আমরা জানি যে এই কাজে ইতিহাসে প্রথম তিনিই সফল হয়েছিলেন। ডিসেম্বরের ওই বারো তারিখে স্থানীয় সময় দুপুর বারোটার দিকে ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকায় মর্স কোড মারফত বার্তা বয়ে আনে বেতার তরঙ্গ, সেই বার্তা ছিল একটা ইংরেজি অক্ষর ‘এস’। প্রেরক যন্ত্র থেকে উদ্ভুত সেই বেতার তরঙ্গ বাতাসের মধ্যে দিয়ে সোজা ওপরের দিকে গিয়ে আয়নস্ফিয়ারে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে নিচের দিকে, এবং প্রতিফলনের নিয়ম মেনে সেটা ধরা দেয় গ্রাহক যন্ত্রে। সেদিন মার্কনি কতটা উৎফুল্ল হয়েছিলেন, তা আজ আমরা অবশ্যই অনুমান করতে পারি।
এই কাজে ব্যবহৃত মার্কনির যন্ত্রপাতি
মার্কনির ব্যবস্থাপনা বুঝে নেওয়া খুব একটা কঠিন কিছু নয়। বিনা তারে বার্তা পাঠানোর ব্যাপারে জার্মান বিজ্ঞানী হেইনরিখ হাৎর্জ-ই প্রথম ব্যক্তি, যিনি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ উৎপন্ন করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠাতে এবং সেখানে গ্রাহক যন্ত্রের সাহায্যে গ্রহণ করতে পেরেছিলেন। এই কাজে তিনি তিন ধরনের যন্ত্রাংশ কাজে লাগিয়েছিলেন: উৎপাদক বা জেনারেটর, প্রেরক বা ট্রান্সমিটার, আর গ্রাহক বা রিসিভার। মোটামুটি তিরিশ সেন্টিমিটার থেকে আট মিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য-যুক্ত তরঙ্গকে তিনি এইভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে পেরেছিলেন। তবে হাৎর্জ কখনও ভাবতেই পারেননি, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে এক সময় বার্তা পাঠানো সম্ভব হবে। ১৮৮৯ সালে তিনি জনৈক এইচ হুবার-কে এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন তাঁর বিশ্বাসের কথা: যদি শ্রবণযোগ্য সীমার মধ্যে থাকা তরঙ্গকে বেতার-বার্তা হিসেবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে হয়, তবে প্রয়োজনীয় অ্যান্টেনার দৈর্ঘ্য হতে হবে একটা গোটা মহাদেশের সমান। হায়, তাঁর মাথায় তখন আসেনি ‘মডিউলেশন’ নামে ব্যবস্থার কথা!
আজকে আমরা যেভাবে আমাদের কথাবার্তা, ছবি, গান বা ভিডিও ইত্যাদি নানা ফরম্যাটের বার্তাকে এক স্থান থেকে বহু দূরের অন্যত্র পাঠাতে পারছি বিভিন্ন যান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে (মোবাইল, টিভি, রেডিও ইত্যাদি), এই পুরো প্রক্রিয়ার মূলেই আছে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গকে কাজে লাগাবার সেই মূল নীতিটাই। সে কাজে তরঙ্গ উৎপাদন, প্রেরণ আর গ্রহণ— এই তিনটে কাজ ছাড়াও আর একটা খুব বড় কাজ করতে হয়, তা হল তরঙ্গের মডিউলেশন-ডিমডিউলেশন করে নেওয়া।
ব্যাপারটাকে বিস্তারিতভাবে বলবার সুযোগ নেই এখানে, শুধু এইটুকুই বলা যেতে পারে যে দুর্বল বেতার তরঙ্গকে অনেক দূরের কোথাও পাঠাতে হলে ওর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া দরকার অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী (মানে যার কম্পাঙ্ক এবং শক্তি বেশি) কোনও তরঙ্গকে, যেটাকে বলে বাহক তরঙ্গ বা কেরিয়ার ওয়েভ। আর এই জুড়ে দেওয়ার মূল পদ্ধতির নামই হল মডিউলেশন, বাংলায় বলে ‘বিরূপণ’। আর গ্রাহক যন্ত্রে এই সংযুক্ত তরঙ্গ থেকে দুর্বল বেতার তরঙ্গকে আলাদা করে নেওয়ার যে ব্যবস্থা, সেটার নাম ‘ডিমডিউলেশন’, বাংলায় ‘বিমোচন’।
মার্কনি তাঁর অ্যান্টেনাকে অনেক উঁচুতে তোলার জন্যেও একটা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তিনি অ্যান্টেনাকে চাপিয়ে দিয়েছিলেন একটা বেলুনের সঙ্গে যুক্ত করে। একটা ছবিতে দেখা যায় এই বেলুনটাকে নিয়ে তাঁরা নানারকম কসরত করে চলেছেন পাহাড়ের ওপর।
মার্কনির কোহেরার
মার্কনি তাঁর ব্যবস্থায় গ্রাহক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন এক বিশেষ ধরনের কোহেরার। এখানেই আসল বিতর্কের সূত্রপাত। তিনি যে কোহেরার যন্ত্রটা ব্যবহার করেছিলেন, সেটাই এই তরঙ্গকে অনেক দূরে পাঠাবার কাজে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল। আর অনেকেই দাবি করে থাকেন এটাই ছিল জগদীশচন্দ্র আবিষ্কৃত কোহেরার। যেটা মার্কনি ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি দেননি জগদীশচন্দ্রকে। আবার অনেকে বলেন তিনি এই যন্ত্রটা পেয়েছিলেন তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে, সেই বন্ধুই মার্কনিকে বলে দেননি যে এটা অন্য কোনও বিজ্ঞানীর আবিষ্কার। সেই হিসেবে মার্কনিকে মোটেই দোষী বলা চলে না।
বাঙালি গবেষক প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্তর খেটেখুটে দু-দশক আগেই দেখিয়েছিলেন যে মার্কনির এই যে সাফল্য, তাতে খুব বড় ভূমিকা ছিল জগদীশচন্দ্রের উদ্ভাবিত যন্ত্রের। সুতরাং জগদীশচন্দ্রের স্বীকৃতি না মেলাটা অবশ্যই একটা বড় ঐতিহাসিক বেদনা। মার্কনির ওই পরীক্ষার বছর-আটেক বাদে তাঁর নাম নোবেল পুরস্কার-প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়, সেই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যে বক্তৃতা দেন মার্কনি, তাতে একেবারেই নাম বলেননি জগদীশচন্দ্রের।
৩.
অন্যদিকে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা, যাঁদের মধ্যে আছেন স্বনামধন্য অলিভার লজ বা এস পি থমসনও, তাঁদের মতে এইভাবে হার্ৎজিয়ান তরঙ্গকে দূরবর্তী স্থানে পাঠানো খুব কঠিন কাজ, তাঁরাও অবাক বিস্ময়ে দেখেছিলেন মার্কনির সাফল্য। এঁরা দুজনেই ব্রিটিশ পোস্ট অফিসের তরফে নিযুক্ত হয়েছিলেন এক্সপার্ট হিসেবে, এঁদের কাজ ছিল (এজন্য প্রত্যেকে একশো গিনি করে মাইনেও পেতেন) কারও দাবীকে যাচাই করে দেখা। এঁরা এঁদের রিপোর্টে মার্কনিকে তাই, বাধ্য হয়েই সফল ঘোষণা করেছিলেন।
মোটামুটি ১৯০২ সালের মধ্যে সত্তরটা বাণিজ্যিক জাহাজ মার্কনির কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, প্রত্যেকটা জাহাজে তাঁর উদ্ভাবিত বেতারবার্তা প্রেরণ ও গ্রহণের উপযুক্ত ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হল।
মার্কনির সাফল্যের অনেকগুলো কারণের একটা, তিনি খুব সহজেই বুঝতে পেরেছিলেন এই ধরনের তরঙ্গকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠাবার ফলে তৈরি হওয়া বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দিকটা। এর আগে একাধিক বিজ্ঞানী বেতারতরঙ্গ নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন, কেউই এই দিকটা খেয়াল করেছেন বলে মনে হয় না।
দ্বিতীয়ত, মার্কনি বেতার তরঙ্গের তত্ত্বগত ধর্মাবলি বা চারিত্রিক গঠন নিয়ে মাথা ঘর্মাক্ত করতে যাননি, তিনি সরাসরি এই তরঙ্গকে যান্ত্রিক উপায়ে তৈরি করে দূরবর্তী স্থানে পাঠাবার কাজেই নিজের সময় আর মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য একেবারে স্থির, যেভাবেই হোক বার্তা পাঠাতেই হবে।
মার্কনির কাজের গুরুত্ব আরও কয়েকটা দিক থেকে দেখা যেতে পারে। প্রথমত, তাঁর ছিল না প্রথাগত কোনও ডিগ্রি। ছিল না পদার্থবিদ্যার গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক জ্ঞান। ছিল না অ্যাকাডেমিক কৌলীন্য, বা কোনও গবেষণাকেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্তি। তাঁকে কোনও মোটেই বিজ্ঞানী বলা চলে না। বলা চলে না উদ্ভাবক বা ইনভেন্টরও। মোবাইল বা টিভি সারাই করেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে অন্তত এই ব্যাপারে মার্কনির অনেকটাই মিল। বলতে গেলে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায়, অন্যদের তৈরি বা বর্ণনা করা যন্ত্রপাতিকে একত্রিত করে (যেমন কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টস কিনে একত্র করে গোটা কম্পিউটার বানিয়ে নেওয়া) তিনি এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করলেন যা বার্তা-সংযোগ ব্যবস্থা নামে একটা আস্ত সাম্রাজ্য হিসেবে জন্ম নিল বছর কয়েকের মধ্যে। বিনা তারে বার্তা পাঠাবার সেই সাম্রাজ্যে তিনিই অধীশ্বর। আর পেটেন্ট পেয়ে যাওয়ায় বাকি বিজ্ঞানীদের হাত কামড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না।
১৯৩৭ সালে তেষট্টি বছর বয়সে প্রয়াত হন মার্কনি। তাঁর শেষকৃত্যের দিনে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানি-র (বিবিসি) সব স্টেশন থেকেই দু’-মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছিল (অর্থাৎ দুটো মিনিট নীরব ছিল প্রত্যেকটা রেডিও স্টেশন)।
তাঁর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ১৯৩৭ সালে একটি বইয়ে (Orrin E. Dunlap Jr.-এর লেখা MARCONI -THE MAN AND HIS WIRELESS, McGraw Hill, New York, 1937, Reprinted 1971, Arno Press) মার্কনি স্বীকার করেছিলেন যে তিনি সাধারণ রিসিভারের বদলে ব্যবহার করেছিলেন টেলিফোনযুক্ত রিসিভার, যেটা আবিষ্কারের কৃতিত্ব জগদীশচন্দ্রের। এর মাঝখানের সাঁইত্রিশ বছরে, এমনকি ১৯০৯ সালে তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরের বক্তৃতাতেও তিনি এ প্রসঙ্গে মোটেই মুখ খোলেননি।
অন্যদিকে জগদীশচন্দ্র শতাব্দীর গোড়া থেকেই মেতে ওঠেন অন্য এক কাজ নিয়ে, বেতার তরঙ্গ নিয়ে পরবর্তী কাজের সঙ্গে তাঁর আর যোগাযোগ ছিলই না। যে কারণে এই সংক্রান্ত তাঁর কাজ আসতে-আস্তে সকলের মন থেকে মুছে যেতে থাকে। প্রাণ-অপ্রাণের ধূসর সীমানায় তাঁর ঘোরাফেরা চলতে থাকে, যে প্রসঙ্গ এই আলোচনার বাইরে। বেতার-তরঙ্গের সাহায্যে বার্তা প্রেরনে তাঁর অবদানের গুরুত্ব, তাই বিস্মৃতির আড়ালেই চলে গেল কয়েক বছরের মধ্যেই। এইটাই যা দুঃখের।
...............
[সমাপ্ত]
...............
পূর্ববর্তী পর্ব পড়ুন : বেতারের আদিযুগ ও জগদীশচন্দ্র (ত্রয়োদশ পর্ব)