আজগুবি (তৃতীয় পর্ব)
তারপরের খবর সবসময় বিজ্ঞান বলে দিতে পারে না। এ দেশে তাই বলে ‘তিন মাথা যেখানে, বুদ্ধি নেবে সেখানে।’ তাই ত্রিকাল উত্তীর্ণ ক্রেতা হরেন পুনর্বার বলে ওঠে-
ক্রেতা: দৌড়, এক পরিত্রাহী দৌড় শুরু হয়েছে। আগুন চুরি করতে যারা বেরিয়েছিল তারা নাকি সব নিখোঁজ হয়ে গেছে। ঝড়ে গাছ পড়ে। মানুষও কাবু হয়। বন্দুকের গুলির শব্দ উৎসবে মিশে যায় – এই নিয়ম। ময়দানে যদি প্রেমিক প্রেমিকা বসে ঘাস শোঁকে, আমি গিয়ে ঘ্রাণ নিই তার। বৃদ্ধের যা স্বভাব, নতুন করে বাঁচার ইচ্ছে জাগে। আর আমাদের বাঁচার ধরনটাও তো ক্রমশ লড়াই করতে করতে যাচ্ছে নিয়ত। বেঁচে থাকা যেহেতু সময়ের আপেক্ষিক সূত্রে গাঁথা তাই ধরে নেওয়া যায়, এই যুবক যুবতির প্রেমে স্রেফ কেটেছে ১২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড। কিন্তু ক্যালেন্ডারে বারোটা বছর কেটে গেছে।
তাই ঠিক ১২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড পরডাক পড়ে...সময়ের ছাপ মানুষের চামড়ায় পড়ে। তাই যুবক ও যুবতিকে মধ্য বয়সের চামড়া ধারণকরতে হয়েছে।ছেলেটি: WAITER!সময়ের প্রভাব জিনির ওপরেও পড়ে। তাই জিনিটি তন্বী যুবতি হয়ে গেছে।ওয়েটার: Yes sir!ছেলেটি: Can you bring the drinks list Please!ওয়েটার: Of course!জিনির গতিপথে মোহগ্রস্ত ছেলেটি ম্যানেজ দেওয়া উচ্ছ্বাসের সাথে বলে ওঠে-ছেলেটি: Moon! What a beautiful world this is, I like this view.মেয়েটি: আমার কেমন মনে হয় বিদেশে বসে আছি। এটা এত উঁচু যে রাস্তাটাও দেখাযায় না।জিনি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুতগামী হয়েছে।ওয়েটার: Sir!ছেলেটি: Thank you young lady. Let me see... okay, I think I’ll have some crafted beer. Canyou bring a pitcher for me?ওয়েটার: Of Course!জিনি ফের গতিপথে ফিরে ছেলেটির থেকে দূরে যায়।ছেলেটি: কী ব্যাপার? এত চুপ কেন?মেয়েটি: বনগাঁ লোকালে করে অফিসে যাওয়া লোকটি পলকের মধ্যে কী করে এইসুপুরুষ শিক্ষিত হ্যান্ডসাম ম্যান হয়ে গেল, সেটাই ভাবছি।ছেলেটি: সময়, মুন! সময়। ম্যানড্রেকের ম্যাজিক। এ পৃথিবীর সবথেকে কঠিনচ্যালেঞ্জ। হুডিনি মরে গেছিল কারণ সময়কে হার মানাতে পারেনি। মনে পড়ে, এইহোটেলের রোশনাই দেখে আমার বনবন করে মাথা ঘুরে গেছিল? নিজের দিকে তাকিয়েদেখি, অবাক হই। আস্ত একটা জাদু ঘটে গেছে নিজেকে ঘিরে... সেদিনকার ওই দশটামিনিটের নেশা...সবকিছুর প্রতি আর-একটু... আর-একটু চুঁইয়ে পড়া পাকস্থলীর রস...মেয়েটি: আমি মিস করি। তোমায়। খুব।ছেলেটি: তাই নাকি? এত কাছে পেয়েও শান্তি নেই?মেয়েটি: মাঝে মাঝে, নৈকট্য অভিশাপ মনে হতে থাকে।ছেলেটি: মনে পড়ে মুন? আমি ইংরেজি শুনলে কেমন ঘাবড়ে যেতাম।মেয়েটি: হ্যাঁ!ছেলেটি: ক্যাবলা ছিলাম বটে।মেয়েটি: তোমার স্মার্টনেস, জামার রং, গায়ের গন্ধ, চোখের চাউনি, হাসির ভাষাআমার সব কিছু অচেনা লাগে। মনে হয় নতুন, অচেনা মানুষ।ছেলেটি: Sounds great!মেয়েটি: তুমি নিজেকে চিনতে পারো?ছেলেটি: Why not?মেয়েটি: বলো তো তুমি এখন কী চাও?ছেলেটি: LONG DRIVE! এখান থেকে অনেক দূরে, তারপর ভোরে কোনও রিসর্টে গিয়ে...মেয়েটি: আমি যাকে চিনি, সে এটা চায় না। পাঁচ টাকার ঝালবাদাম সে যত্ন নিয়ে খায়।কোনও নেশাতুর খিদের অযত্ন তার নেই। তাই, নকুলদার বাড়ির রিহার্সালের শেষে সেএকবার তার ভীতু হাতে আমার হাতটা নেয়,অল্পের জন্য। অল্প, ভীতু অথচ ভীষণগভীর।ছেলেটি: Love is deep!মেয়েটি: BUT THIS DEEPNESS IS KILLING ME. অতলান্ত সমুদ্র যাত্রায় যেন কেউবসিয়ে দিয়েছে। তুমি বোধহয় মোমবাতির আলোয় বাইরের ভেসে চলা হাঙর কুমিরগুলোদেখতে পাচ্ছ না। আমি পাচ্ছি। আমার স্মৃতি থেকে ট্রেনের বগি, ঝালবাদাম,গেঞ্জির গন্ধ গিলে খাচ্ছে হাঙরে কুমিরে।
সেই যে মানুষগুলি ছিল। যারা আপনার পরিচিত মানুষের মতো। তারা ফিরে এসে গান ধরে।
কোন ছেলেটা বলে গেল, বদলে গেছে সবই?বদলেছে দিন বদলেছে রাত-তোমার ঘরের চাবি, সেও বদলে গেছেবদলে গেছে বেশ করেছে।জীবন মানে চলা।চলতেচলতেরাস্তা বদলনতুন কথা বলা।কথার মধ্যেচলার মধ্যে সাগর দিলাম পাড়ি।আমরা যেন নতুন করে, বদলে যেতে পারি।বলো, বদলাবে না?
আবার সেই কথার পান্ডাটি মইয়ের শীর্ষে বসে আহাম্মকের মতো ঠ্যাং দুলিয়ে বলে-
___: বদল বদল বদল। হুটপাট বদলাচ্ছে পৃথিবী। ফুটপাথ বদল হচ্ছে মধ্যরাতে। কার্নিশ থেকে কার্নিশে লাফ দিতে দিতে ক্লান্ত বাঁদর এসে বেছে নিচ্ছে রাস্তা। রাস্তা কিন্তু কোন রাস্তা? বদলের রাস্তা? নাকি রাস্তার বদল? আজব কথার টাংট্যুইস্টারে কে যে কীভাবে আমাদের বেঁধে রেখেছে, তা আমরা বুঝতে পারছি না। বুঝতে পারছি না? নাকি বোঝাটাই বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে? আচ্ছা আমরা কী বুঝলাম? হরেনকাকা কি এতক্ষণে দাউদাউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন? সারাটি রাত একই আলোর দিকে তাকিয়ে আছে ল্যাম্পপোস্ট?নাকি পড়ে রয়েছে নিজে অন্ধ হয়ে? তাদের ছায়াপথ কি সুপারনোভার বিস্ফোরণে মৃত বনে যাওয়া তারা? ডায়মন্ড হোটেলের সোফায় কি এখনও বদলের নির্ধারণ ও নির্ধারিত বদলের হিসাবনিকাশ চলছে, নাকি সমস্তটাই একটা ভুল অঙ্কে গড়া কালো ব্ল্যাকবোর্ড? যার তলায় চকের গুঁড়োর মতো ছড়িয়েছে মানুষের লাশ। আর সেইসব মৃতদের উপর দিয়ে চলেছে আমাদের প্রশ্নের মিছিল।
আমি যে কথাগুলো বলতে চাইছি, সেই কথাগুলো আমি এতক্ষণ আপনাদের সামনে পেশ করছিলাম আপনাদের চেনা পরিচিতের মধ্যে দিয়ে। এমনকি চরিত্র বেছে নেওয়ার গুরু দায়িত্ব আমি আপনাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দেশ যেহেতু গণতান্ত্রিক, তাই আপনাদের হাতে সমস্ত কথা বলার অধিকার থাকলেও শেষ কথা বলতে হবে আমাকেই। তাই এবার আমি লেখক, আপনাদের সেই পরিচিত কথার পান্ডাটিকে ভেবলিয়ে দিয়ে অদৃশ্য জনতার মাঝ থেকে চেঁচিয়ে উঠব-
লেখক: প্রশ্ন থাকা ভালো।ঘাবড়ে যাওয়া কথার পান্ডাটির সামনে দাপটে দাঁড়িয়ে আমি বলব-লেখক: প্রশ্ন থাকা ভালো।___: আপনি কে?লেখক: আমি রামু।___: তো বেশ রামুবাবু...লেখক: এক সেকেন্ড। তুমি আমায় হর্ষবর্ধন বলতে পারো।___: আচ্ছা হর্ষবাবু...লেখক: এই না, গোটাটা না বললে ফিল আসে না ঠিক।___: ধ্যার, আপনি কে বলুন তো?লেখক: মমতা ব্যানার্জি।___: অনেক ছ্যাবলামি হয়েছে এবার...লেখক: কিংবা নরেন মোদি।___: আমার কথা এখনও শেষ হয়নি।লেখক: সে তো শেষ করলেই শেষ হবে। আপাতত আমার কিছু কথা আছে...___: কেন এটা কি আপনার অফিস নাকি?লেখক: যদি ভাবি তাই তো তাই... কারণ বাস্তবিক অর্থে এই জায়গাটাই আমার সৃষ্টিকরা।___: কী পাগলামো হচ্ছে এসব?লেখক: একটা কফি!___: ঘাড় ধরে বার করে দেব। আমি কিন্তু একা নই।লেখক: ভাবুন তো, সত্যি সত্যি ইনি বিশ্বাস করেন উনি নাকি একা নন। আপনি করেনএমন বিশ্বাস?ইতিমধ্যে কফি ডাক শুনে এক মগ কালো কফি এনে দেয় মনোরমা।___: কী হচ্ছে এসব?লেখক: আম্ফান, সুনামি, দাবানল।___: যা ইচ্ছে তাই নাকি?লেখক: হ্যাঁ। যা ইচ্ছে তাই। আমারই মাথা, আমারই খাতা, আমারই নাটক। ওমা,তোমার জন্য তো কিছু বলাই হল না। একটা ৬০ এম ভ্যাট নিট।___: আমি ওসব খাই না।লেখক: খাবে। আমি খেতে বললে খাবে, শুতে বললে শোবে, উগরে দিতে বললে দেবেউগরে, এতে আবার এত কথার কী?এতক্ষণে সেই কথাটির পান্ডাটি আপনার সামনে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে আমায় আক্রমণকরবে। কিন্তু আপনি নিশ্চয় হিংসাবিরোধী। তাই আমি আপনার খাতিরে আপনার সেইপরিচিত চরিত্রটিকে বাটাম দেব না। উলটে একটু সাংস্কৃতিক হব, গেয়ে উঠব –লেখক: সোহাগ চাঁদবদনী ধনি, নাচো তো দেখি!যেহেতু আমি লেখক তাই সে আমার কথামতো নেচে উঠবে, সে বালা হোক আর নাইহোক। তাতে আরও খাপ্পা হয়ে সে যদি তেড়ে আসে আমি একটু সংঘপ্রেমী হয়েচিল্লে উঠব-লেখক: সংঘ সাবধান। সংঘ কদম তাল- বাম, বাম, বাম ডান বাম। (এইটের ছন্দ হবেআপনার অভিজ্ঞতায় থাকা পিটি টিচারের প্যারেড করানোর ছন্দ। যা টানা পাঁচমিনিট চলতে থাকতে পারে।)___: আমার এবার ক্লান্ত লাগছে।একটি ল্যাম্পপোস্ট এসে নিট ভ্যাটের চকচকে গ্লাসের পাত্রটি দিয়ে যায়। বাইরেথেকে দেখে মনে হয় যেন পাত্রটি কাচের না, বরফের তৈরি।লেখক: তোমার পানীয় এসে গেছে, মেরে দাও।___: দেব?লেখক: দেবে না কেন? ওটা তো তোমার। একেবারে অমৃত। সারা পৃথিবীর তুমি বস্হবে।চরিত্র লেখকের ব্যাপারখানায় এতক্ষণে একটু খটকা পাবে ও বাধ্য হয়েই, ওক্লান্ত হয়েই, ও বস্ হওয়ার লোভে গেলাস ফাঁকা করবে।___: আপনাকে না কেমন চেনা লাগছে।লেখক: বেশ, তবে আজ থেকে আমরা বন্ধু হলাম।___: তবে শোনো বন্ধু...লেখক: বলো, বন্ধু।___: আপনাকে আমার ‘শক্তিমান’ মনে হচ্ছে।লেখক: সেই আনন্দেই আর-এক পাত্তর হয়ে যাক।এইভাবেই আপনার সেই কথার পান্ডা পরিচিত ব্যক্তিটিকে চার পেগ মদ খাইয়েবাথরুমে পাঠাব। তারপর সে হড়হড় করে বমি করলে, আমিই তাকে সুস্থ করে তুলেমইয়ের পাশে একটা চেয়ারে বসিয়ে বেঁধে রাখব ম্যাজিক দেখাব বলে। আমারঅ্যাসিস্ট্যান্ট হবে ক্রেতা হরেনকাকা, আর ল্যাম্পপোস্ট। আর গায়ে জোর আছেবলে থাকবে ওই জাস্ট আছে গোছের দুটো ছোকরা। অবশ্যই কিছু নোংরামো না হলেচলবে না, তাই উপস্থিত থাকবে ল্যাম্পপোস্টের গায়ে যে লোকটি পেচ্ছাপ করেছিল,সেই লোকটি। তারপর এক মগ জল, বাঁধা পান্ডাটির গায়ে ছিটিয়ে খোঁয়ারি ভাঙিয়েদিলে আবার কথা বলবে কথক-___: কী হচ্ছেটা কী?লেখক: ম্যাজিক।___: কীসের ম্যাজিক?লেখক: পেনের। এই আমার আশ্চর্য দুটাকার কলম, এ দিয়ে আমি যা যা লিখেছি তাইতাই ঘটেছে, ঘটনার সুতো ছিঁড়ে হাজার প্রশ্নের দাপট সব আমি এক হাতে মুড়িয়েদিয়েছি। এক একটা পরিণতিহীন গল্পের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছি চরিত্রদের...ব্যাপারটা বিশ্বাস না হতে পারে, তাই এই ম্যাজিক শোয়ের ব্যবস্থা। এই আমি নোটখাতা বার করলাম, লিখলাম, হরেনকাকার চেঁচিয়ে বলে ওঠা- সারারাত অপেক্ষাকরেছি, আর নয়। বারে বারে দৌড় শুরু করে কেউ। আমরা আশায় বাঁধি বুক। ভাবি এইবুঝি এল ভোর। কিন্তু আমাদের নড়চড় না হলেও তারা ঠিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেনড়ে ওঠে, সরে বসে। ওর চেয়ে চলো ভাই, সিডেটিভ মেরে ঘুমিয়ে পড়ি।ক্রেতা: সারারাত অপেক্ষা করেছি, আর নয়। বারে বারে দৌড় শুরু করে কেউ। আমরাআশায় বাঁধি বুক। ভাবি এই বুঝি এল ভোর। কিন্তু আমাদের নড়চড় না হলেও তারাঠিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নড়ে ওঠে, সরে বসে। ওর চেয়ে চলো ভাই, সিডেটিভমেরে ঘুমিয়ে পড়ি।লেখক: লিখলাম, হরেনের মূর্ছা ও পতন।স্বভাবতই ক্রেতা মইয়ে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।লেখক: লিখলাম, ল্যাম্পপোস্ট জড়িয়ে ধরে সেই পেচ্ছাপ করে দেওয়া লোকটিকে বলে-আমায় তুমি বিয়ে করবে প্রিয়তম? তোমার জন্য জেগে থাকব সারারাত। তারপরদুজনে ভিজব। সে অঝোর ধারা আর কখনও আসবে না জীবনে!ল্যাম্পপোস্ট: আমায় তুমি বিয়ে করবে প্রিয়তম? তোমার জন্য জেগে থাকবসারারাত। তারপর দুজনে ভিজব। সে অঝোর ধারা আর কখনও আসবে না জীবনে!নোংরা লোকটি ল্যাম্পপোস্ট ধরে মৈথুনে রত হয়।লেখক: লিখলাম জাস্ট আছে চরিত্ররা চেপে ধরে কথককে।চাপে পড়ে কেউ কেউ কথাও বলে ওঠে। তাই, কথক বলে-___: এসব ক্ষমতার বিরুদ্ধেই আমাদের...লেখক: কী?___: লড়াই।লেখক: বেশ তো। লড়ো না। আমিই তার ব্লু প্রিন্ট বানিয়ে দেব... কিন্তু সেইলড়াইয়ের কি কোনও অর্থ হবে?___: ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষ লড়বেই... অবিনশ্বর হতে পারে না কেউ, ভিড় গ্রাসকরবেই ক্ষমতাকে।লেখক: আমিও মিশে থাকব ভিড়ে। তারপর দেখা যাবে ওই ভিড় থেকেই আমার মতোকোনও লেখক উঠে এসেছে।___: চরিত্ররা একদিন লেখকের হাত থেকে পাঠকের হাতে পড়বেই। আর তারপর...লেখক: তারপর? তারপর আর উত্তর নেই, তাই তো? পুনরাবৃত্তি। পৃথিবীর দীর্ঘতমরিলে রেস।
আমার হাতে আশ্চর্য দুটাকার কলম। এই আমি আমি ছুড়ে দিলাম আপনাদের হাতে, এবার আপনাদের পালা।
#নাটক