কবিগুরুর নোবেল খুঁজতে গিয়ে প্রাচীন বৌদ্ধ পুথি : রহস্যময় ‘গাইতংপা’-র গল্প
কবিগুরুর নোবেলের খোঁজে নেমে কিনা পাওয়া গেল শতাব্দীপ্রাচীন তিব্বতী বৌদ্ধ পুথির সন্ধান! হ্যাঁ, এমনই ঘটেছিল বছরকয়েক আগে, খোদ পশ্চিমবঙ্গে।
রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির ঘটনায় আলোড়ন পড়েছিল সারা দেশ জুড়েই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তভার নেয়। যদিও চুরির কিনারা আজও হয়নি, তবে এই তদন্তের সূত্র ধরে ঘটনাচক্রে অন্য এক চমকপ্রদ আবিষ্কার করেন তদন্তকারীরা। ২০১১ সালে কালিম্পং থেকে তাঁরা প্রাচীন এক বৌদ্ধ পুথি ও বেশ কয়েকটি বুদ্ধমূর্তির হদিশ পান। বিদেশে ওই পুথি পাচারের চেষ্টা করার দায়ে এক তিব্বতি ভিক্ষু-সহ তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ওই বৌদ্ধ পুথিটির নাম গাইতংপা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০০ থেকে ১৫০০ বছর বয়স হতে পারে এই পুথির।
মামলা চলাকালীন অপরাধী ভিক্ষু সুলেন লামা মারা যান। তদন্তে ফাঁক থাকায় পরে অন্য দুই অভিযুক্তও মামলা থেকে অব্যাহতি পান। কিন্তু পুথি ও মূর্তি থেকে যায় কালিম্পং আদালতে মালখানার একটি সিন্দুকে। কলকাতা হাইকোর্টে করা একটি মামলার জোরে আট বছর পর, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে পুথি সহ বুদ্ধমূর্তিগুলি আসে ভারতীয় যাদুঘরের হাতে।
ওই পুথিতে প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র লেখা রয়েছে। চার ফুট লম্বা, আড়াই ফুট চওড়া কাঠের তৈরি ওই পুথিতে রয়েছে ৩০৫ পৃষ্ঠা। প্রতিটি পাতাই আলাদা আলাদা কাঠের পাটা। পুথিটি আগাগোড়া সোনার জলে লেখা। পুরু কাঠের তৈরি মলাটে খোদাই করা আছে বুদ্ধমূর্তি। পুথির ওজন ৪০ কিলোগ্রাম। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই পুথির দাম কয়েক কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পুথির পুরাতাত্ত্বিক মূল্য অপরিসীম। বর্তমানে পুথিটি ভারতীয় যাদুঘরের হেফাজতেই রয়েছে।
..............................
#Buddhist manuscript #Kolkata Museum #Ancient Manuscript