বিশ্বকবির নামে বিদেশের যত রাস্তা
ভারত, বাংলাদেশে তো অলতে-গলিতে রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত রাস্তাঘাট, পার্ক, স্কুল-কলেজ, স্টেশন, আবাসনের ছড়াছড়ি। এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও কবির নামকে স্মরণীয় করে রাখার উদাহরণ কম নেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না, পাশ্চাত্যের বেশ কিছু দেশেও রয়েছে রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত একাধিক রাস্তা। আমাদের দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করিয়েছেন রবীন্দ্রনাথই। তাই গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথের সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে তাঁকে সম্মান জানানোর প্রয়াস করেছে অনেক দেশ। এমনই কিছু রাস্তার গল্প বলা যাক আজ।
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে একটি এলাকা আমাদের কবিগুরুর নামাঙ্কিত। 'ঠাকুরোভা'। রবীন্দ্রনাথ দুবার প্রাগ ভ্রমণে এসেছিলেন। ১৯২১ এবং ১৯২৮ সালে। দ্বিতীয়বার তাঁর দুটি নাটক প্রাগের মঞ্চে মঞ্চস্থ হয়। নাৎসি শাসন থেকে চেক প্রজাতন্ত্রকে মুক্তি পেতে দেখে যেতে পারেননি কবি। কিন্তু চেক প্রশাসন তাঁর নামকে জুড়ে নিয়েছে নিজেদের অন্যতম ব্যস্ত একটি এলাকার সঙ্গে।
দ্বিতীয় নিদর্শনটি হয়তো অনেকেরই জানা। পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরের একটি রাস্তা রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত। এই সেই শহর যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন নাৎসিদের দখলে চলে যাওয়া অনাথালয়ের শিশুদের জন্য পোলিশ শিক্ষক জানুস করজাক রবি ঠাকুরের 'ডাকঘর' নাটককেই বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালের সেই প্রযোজনাকে স্মরণীয় করে রাখতেই ওয়ারশ শহরে কবিগুরুর নামে সড়কের নামকরণ।
অতি সম্প্রতি ইজরায়েলের তেল আভিভ শহরে একটি রাস্তার নাম দেওয়া হয়েছে 'রেহভ টেগোর'। ২০২০ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ইজরায়েল সরকার এই নামকরণ করেছেন। 'রেহভ' শব্দের অর্থ রাস্তা। তুরস্কের আঙ্কারাতেও রয়েছে কবির নামে রাস্তা।
বলা বাহুল্য, আর কোনও এশীয় সাহিত্যিকের নামেই এত দেশে এত রাস্তাঘাট নেই। হাতে-গোনা কয়েকজন বাদে গোটা বিশ্বেও এমন শিল্পী, সাহিত্যিক বা মেধাজীবী বিরল। আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বকবি তিনি।
...........................
#Rabindranath Tagore #Rehov Tagore #silly point