'সুপার কাউ' : চিনের নতুন আবিষ্কার কি ডেয়ারি শিল্পে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে?
মানুষের সুপারহিরো থাকলে গরুরই বা থাকবে না কেন? সুপারম্যান তার শক্তি দিয়ে দুনিয়াকে নানারকম বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে অনেকবার। অবশ্য 'সুপার কাউ'-এর পৃথিবীকে বাঁচানোর মতো ক্ষমতা নেই। তার ক্ষমতা দুধের পরিমাণে। পুঁজিবাদী সভ্যতার এই চমকদার উদ্ভাবন গরুদের কোনও উপকারে আসবে না। নিতান্তই মানুষের সেবায় কাজে লাগবে তার 'অলৌকিক' ক্ষমতা। চিনের Northwest University of Agricultural and Forestry Science and Technology-র বিজ্ঞানীরা ক্লোনিং পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন এমন এক প্রজাতির গরু, যারা সাধারণ গরুর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে দুধ দেবে। এই নতুন প্রজাতিকেই তাঁরা বলছেন 'সুপার কাউ'।
এই মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দুধ দিতে পারে নেদারল্যান্ডের হলস্টিন ফ্রিসিয়ান (Holstein Friesian) প্রজাতির গরু। সুস্থসবল পাঁচটি হলস্টিন গরুর থেকে সোমাটিক সেল ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ক্লোন করে গবেষকরা ১২০ টি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন। তার থেকে ৪২ শতাংশ ভ্রূণ ওই প্রজাতির কিছু গরুর গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। এদের থেকেই তিনটি বাছুর জন্ম নিয়েছে যারা বছরে প্রায় ১৮ লিটার এবং সারা জীবনে প্রায় ১০০ লিটার দুধ দিতে সক্ষম। সাধারণ হলস্তিন গরুর চেয়ে তাঁদের দুধ দেবার ক্ষমতা অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ বেশি, এমনই দাবি গবেষকদের। চিনের এই প্রজেক্ট ইতোমধ্যেই হইচই ফেলে দিয়েছে বাণিজ্যিক মহলে। তিনটি 'সুপার কাউ' সফলভাবে জন্মানোর পর গবেষকদের পরবর্তী লক্ষ্য, আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০০০ টি 'সুপার কাউ' তৈরি করা। এই লক্ষ্য সফল হলে চিনের দুধের উৎপাদন এক লাফে বহুগুণ বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে দুধ উৎপাদনে ভারত ও আমেরিকাকে পিছনে ফেলতে খুব বেশি সময় লাগবে না তাদের।
...............
ঋণ : www.businessinsider.in