'রিসাইকল' হবে পুজোর হোর্ডিং, তৈরি হবে টি-শার্ট, আসবাব
দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে শহর থেকে গ্রাম ছেয়ে যায় বড় বড় ব্যানার আর ফ্লেক্সে। কিন্তু পুজো মিটে যাবার পর? প্রতি বছর এই পরিত্যক্ত হোর্ডিংয়েরা জঞ্জালের স্তূপের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তবে সুখবর হল, এ-বছর শহর কলকাতায় অন্তত তা হচ্ছে না। পরিবেশের কথা চিন্তা করে হোর্ডিংকে পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
হোর্ডিং, বলাই বাহুল্য পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়ে তৈরি হয় না। কিন্তু পুজো হোক বা ভোট, নানা উপলক্ষ্যে হোর্ডিংয়ের ব্যবহার আজ অপরিহার্য। এই সমস্যা সমাধান করতে এবার পুজোর আগেই কোমর বেঁধে নেমেছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা। কলকাতা পুরসভার পরিবেশ বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাঁরা অনুরোধ করেছিলেন, এই অসংখ্য হোর্ডিং যেন ধাপার মাঠে জঞ্জালের স্তূপে না ফেলে পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের পরামর্শ মেনে হোর্ডিং গুঁড়ো করে নানারকম জিনিস তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ-বছর কলকাতার বিভিন্ন পুজোর হোর্ডিংয়ের জন্য বর্জ্য তৈরি হয়েছে মোট ২১০ টন। এই বিপুল পরিমাণ হোর্ডিং-বর্জ্য থেকে তৈরি করা যাবে টি-শার্ট, চেয়ার, টেবিল, গাছের টব, রাস্তার পেভার ব্লক ইত্যাদি। প্রাথমিকভাবে ধাপার প্ল্যান্টে হোর্ডিং গুঁড়ো করার পর হাওড়ার একটি সংস্থা তা দিয়ে তৈরি করবে এইসব জিনিস। ফলে পরিবেশের যেমন লাভ হবে, তেমনই অতিরিক্ত আয়ের পথ খুলবে পুরসভারও। সুভাষ দত্তের মতো পরিবেশবিদ পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ভোটের সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যবহৃত হোর্ডিংগুলিকেও এভাবে 'রিসাইকল' করার কথা ভাবা উচিত।
...............
#Puja Hoarding #Recycle #Ecofriendly #Environment #silly পয়েন্ট