অতএব ভালোবাসা
একসময় কোন এক ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করলেন। অনেকখানি ছায়ার মতো। কখনও রোদ্দুর-মেঘ-হিম মেখে তৈরি হল তার আকার। যত্ন নিয়ে আঁকা হল চোখ, আর কিছুটা ভালোবাসা...ব্যস!
- এই মানুষের কি মৃত্যু নেই ঈশ্বর?
- নিশ্চয়ই।
- এই মানুষের মধ্যে কি অন্ধকার নেই ঈশ্বর?
- হ্যাঁ।
- এই মানুষের পরিণতি কি মৃত্যুতেই?
- ধ্বংসে।
- কীভাবে সে আসবে ঈশ্বর?
-
- হিংসায়?
-
- ঘৃণায়?
-
- আঘাতে?
-
- কীভাবে?
- ভালোবাসায়...
এই মানুষই কোন একদিন ভুলে যাবে আপনজন। সে স্বার্থপর। সেভাবেই গড়ে তোলা। তাই নিজের কাছে সমস্ত আগল রেখে এগিয়ে আসাটাই, তার ধর্ম হবে। সে হয়ে উঠবে একা। হ্যাঁ, সেভাবেই তৈরি সে।
- সেই তো মৃত্যু?
- না। মৃত্যু তো মুক্তি। এ এক অবশভাব। একেই টিকে থাকা বলে।
- আর ধ্বংস?
একা হয়ে যাওয়া মানুষ চিরকাল টিকে থাকতে পারবে না। ঠিক কখনও মনে পড়বে আপন করে নেওয়া মুখ। আঘাতকারী আঙুলও স্পর্শ চাইবে তখন। হয়তো ঠিক স্পর্শ নয়, হয়তো বা শান্তি। সে অপার, অনুভূতিহীন মৃত্যুও নয়। কারণ, সে অনুভবে বাঁচে। সেভাবেই গড়া সে। ওই যত্নের চোখ বেয়ে নেমে আসবে ধারা। ভেজা ঠোঁট নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে তীব্র অনুভূতিকে খুঁজে নিতে চাইবে সে। তখনই হয়তো নেমে আসবে ধ্বংস। সে ধ্বংস ঠোঁট ছুঁয়ে ছড়িয়ে পড়বে দেহে, দেহ চুঁইয়ে উঠে আসবে শ্বাস, সেই নিঃশ্বাসে পৃথিবীর বুক ভার হবে। ভারী হয়ে আসবে মানুষের চোখও। সেই আবহে শরীরটুকু টেনে এনে খুব প্রিয় মানুষের কাছে শুইয়ে দেবে সে।
ধ্বংস এসেছে। অতএব, এখন ভালোবাসা যায়...