একটি কন্ঠের দ্বান্দ্বিক মৃত্যু
মৃত্যুর খবরে এখন শোকের বদলে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল। কার মৃত্যু কতটা ঠিক, কতটা সময়োপযোগী, মৃত্যুর পথ কতটা সফল, কতটা বৈচিত্র্যময় তার এক তুলনামূলক পাঠ চলতে থাকে। আত্মহত্যার খবর প্রাক্তন বা বর্তমান সম্পর্কের আনাচকানাচ তোলপাড় করতে উদ্যত হয়, কিন্তু দুঃখ আর হয় না কারও। এহেন মৃত ও জীবিতের টানাপোড়েনে যখন সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম, তখনই আরেক মৃত্যুর ঘটনা। একজন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, যাকে কিছুক্ষণ আগে মঞ্চে শুনে এসে দর্শক তার আমেজ নিচ্ছে, ভিডিও পোস্ট করছে এদিক-ওদিক, আচমকা তাঁর মৃত্যুর খবর আপামর দেশবাসীকে বিহ্বল করেছে, আর কলকাতাবাসীকে করেছে ক্ষুব্ধ। অনুষ্ঠানে অব্যবস্থার অভিযোগ এবং তদন্তের দাবি উঠেছে, শোরগোল জারি হয়েছে আরেক সঙ্গীতশিল্পীর অপমানজনক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। আর এই টানাপোড়েন আমাদের দুঃখ-জর্জর করেছে ঠিকই, কিন্তু মানুষ স্তব্ধ হতে ভুলে গেছে। অথবা, বর্তমানে যে গতিতে ঘটনার পট পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ, সেখানে শোকে জর্জরিত হওয়ার বা থমকে দাঁড়ানোর সময় ও সুযোগ সীমিত। তবে, কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ বা কেকে-র এই সহসা মৃত্যু যেমন কিছু অদক্ষতা, গাফিলতিকে সামনে এনেছে, তেমনই কিছু জরুরি প্রশ্নকে উস্কে দিয়েছে, যা নিয়ে সার্বিকভাবে পর্যালোচনা প্রয়োজন।
প্রশ্ন ওঠে শিল্পীর অধিকার নিয়ে, শিল্পী ও দর্শকের সম্পর্ক নিয়ে। দর্শকের কতটা দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা থাকে শিল্প ও শিল্পীর প্রতি? শিল্পকে কি আমরা এখনও নিছক বিনোদনের একটি মাধ্যম হিসেবেই দেখি? কারণ, যে মুহূর্তে শুধু বিনোদনের প্রসঙ্গ আসে, সেই মুহূর্ত থেকে বিনোদনপ্রদানকারী ও বিনোদনগ্রাহকের মধ্যে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়, আসে বিনিময়ের কথা। সেখানে স্পষ্টত দুটি গোষ্ঠী থাকে, একদিকে ভোগ্যবস্তু আর অপরদিকে ভোগকারী। যেসব ক্ষেত্রে বিনিময়ের সম্পর্ক থাকে, ভোগবাদের প্রভাব থাকে, সেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতার পারস্পরিক সম্পর্ক ঠিক কেমন হয়? শিল্পী ও দর্শকের সম্পর্কের মধ্যে আর্থিক বিনিময়ের সম্পর্ক কতটা? সেখানে মূল্য দিয়ে অনুষ্ঠানে আসা একজন দর্শক কি মেনে নেবেন যদি শিল্পী পারফর্ম করতে না পারেন? আদৌ কি শিল্পীর স্বাধীনতা আছে অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে না যাওয়ার? সেক্ষেত্রে দর্শকের আর্থিক মূল্যের ক্ষতিপূরণ কী হতে পারে? অর্থ যেখানে উপস্থিত, সেখানে কি আদৌ ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে শিল্পী ও শিল্প প্রাধান্য পায়? কেকে-র এই আকস্মিক মৃত্যু এমন কিছু গুরুতর প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে আমাদের, অব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি যেখানে দর্শকের ভূমিকাকে প্রশ্ন করা প্রয়োজন।
আলোচনায় উঠে আসছে উদ্যোক্তাদের পরিচয়, রাজনীতি, তাদের আর্থিক যোগানের সূত্র নিয়ে প্রশ্ন। এইসমস্ত দরকারি বিষয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠানের ধরন নিয়ে বরং আমরা একটু কথা বলি। কলেজ ফেস্ট কলেজজীবনের একটি অন্যতম আকর্ষণ, তা বলাই বাহুল্য। তারুণ্যের উদ্যমে সেখানে প্রথম চুমুর স্বাদ, যুগলে নেচে ওঠার ছন্দে মিলে যায় পরিচিত সুরের দোলায় গোপন আচম্বিতে হাত ধরা। প্রিয় ব্যান্ডের পরিচিত গানের লিরিক্সের সঙ্গে কলেজজীবনের প্রথম পাওয়া স্বাধীনতা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেখানে উদ্দামতা থাকে অনন্ত, উত্তেজনা থাকে অফুরন্ত। সঙ্গে এসে মেশে নস্টালজিয়া, কলেজ পাশ করে গিয়ে সদ্য চাকরি পাওয়া বা নতুন সংসারে সামিল মুখগুলোর হাত ধরে। আর এদের সঙ্গে থাকে আরেকদল, যারা আসে প্রিয় দল বা প্রিয় শিল্পীর টানে, যাদের সঙ্গে হয়তো ওই কলেজের কোনও সম্পর্ক নেই। এইবার, এই সোশ্যাল মিডিয়া সর্বস্ব জীবনে, আরেক দলের উদ্ভব হয়েছে। সেই দলটি শুধুমাত্র কলেজ ফেস্ট বলে নয়, যে কোন জায়গায় যায়, অংশগ্রহণ করে সমাজের স্রোতের জোয়ারে ভেসে থাকার জন্য। তাঁরা সেখানে গিয়ে ছবি তোলেন, সেলফি আপলোড করেন ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ দেখতে পাওয়া চেনা মুখের সঙ্গে। অনুষ্ঠানের ভিডিও দ্রুততার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দেওয়ার তাড়া থাকে তাঁদের; থাকে অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজেদের সামাজিক বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করে তোলার উদগ্র চেষ্টা। এই শ্রেণি ভিড় বাড়ান। দুর্ভাগ্যবশত, কোভিড আমাদের জীবনকে বিজ্ঞাপনের দৌড়ে ঠেলে নামিয়েছে। সেখানে ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামের বন্ধুত্ব ও ফলোয়ার সংখ্যা দিয়ে গুণ বিচারের এক চোরাবালিতে পাক খাচ্ছে সকলে। কোভিড বুঝিয়েছে, যে কোন সময় মানুষের একেবারে কাছে পৌঁছনোর সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জীবন অনিশ্চিত। সোশ্যাল মিডিয়া হল একটি প্রচারের মাধ্যম, ভাইরাল হয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার চাবিকাঠি, বিখ্যাত হওয়ার, পরিচিতি পাওয়ার ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা লাভের একটি উপায়। নিত্যনতুন কন্টেন্ট বা মুখরোচক বিষয়ের জোগাড় রাখতে হবে। অতএব, নিজেকে বিকিয়ে দিতে হবে সামাজিক মাধ্যমে, অন্যের লাইক, ভালো ভালো মন্তব্যকে আদায় করে গোষ্ঠী বানিয়ে তুলতে হবে যেনতেনপ্রকারেণ। তবে, সেই গোষ্ঠী কি বিপদের সঙ্গী, ‘অনাথের নাথ, অবলের বল’ হবে? জানা নেই!
মূল প্রসঙ্গে ফিরি।
সম্প্রতি একটি কলেজ ফেস্টে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে যা আন্দাজ হল তা একটি ফেস্টের সার্বিক চরিত্র বলা যেতে পারে (এটি আমার জীবনের প্রথম কলেজফেস্ট, নিজের সময়ে নানান কারণে এ রসে বঞ্চিত ছিলাম)। এই দর্শকের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ আসেন এক ভয়ংকর হুজুগে পড়ে, যাঁদের সঙ্গে কলেজের কোনও সম্পর্ক থাকে না। সেই হুজুগের মধ্যে আসে সোশ্যাল মিডিয়া চেক-ইন। তাঁরা মূলত ব্যস্ত থাকেন চেনামুখের সন্ধানে, অনুষ্ঠান নিয়ে তাঁদের তেমন মাথাব্যথা থাকে না। তবে, গেয়ে ওঠেন মাঝেমধ্যে, সুর কানে এলে। হলের মধ্যে অনুষ্ঠান বা মুক্ত মঞ্চ, জায়গা ভেদে দর্শকের এক বিরাট অংশ তুমুল নেশায় মেতে থাকেন। ধোঁয়া-মাদকের তূরীয় অনুভূতির সঙ্গে তাঁরা বিলীন হয়ে যান, সেখানে শিল্পী বা অনুষ্ঠান তাঁদের উত্তেজনার আরেক সামগ্রী মাত্র। আরেকদল আসেন নস্টালজিয়ায় ভেসে বেড়াতে, পুরনো স্মৃতি হাতড়াতে, তাঁরা অনুষ্ঠান চলাকালীন কথোপকথনে, আড্ডায় বেশি আগ্রহী। ৭৫ ভাগের পরে বাকি ২০ শতাংশ কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রী, যাঁদের জন্য, যাঁদের নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন। আর পড়ে থাকে ৫-৩ শতাংশ হয়তো সত্যিই অনুষ্ঠানের জন্য বা শিল্পীর জন্য আসেন। এটাই প্রায় পরিচিত ছবি এবং নতুন সংযোজন নেই তেমন এখানে। দর্শকের এই সার্বিক চরিত্রকে মাথায় রেখে আমরা কি আশা করতে পারি যে তাঁরা শিল্পী ও শিল্পের প্রতি এক্ষেত্রে মনোযোগী? যে দর্শককূল উন্মাদনায় মেতে থাকতে এসেছে, উত্তেজনায় ভেসে যাবে বলেই যাদের সমাগম, তাদের উত্তেজনায় ভাঁটা পড়লে তখন কী হবে প্রতিক্রিয়া?
অনেকেই বলছেন, কেকে অনুষ্ঠান থামিয়ে দিলে পারতেন। অনেকের মত, দর্শক কেন বুঝতে পারলেন না যে শিল্পী অসুস্থতা অনুভব করছেন। বদ্ধ হলের উদ্দাম উত্তেজনার রেশ তো শিল্পীর মধ্যেও চালিত হয়, সেখানে বিনোদনপ্রদান করে দর্শককে ছন্দ যোগানোই তাঁর কাজ। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বা তাঁরাই দর্শকের এই আমেজের প্রশংসায় মুখরিত হন। কিন্তু, এই উন্মাদনায় শিল্পীর অধিকার হারিয়ে যায় না কি? ওই ফেস্টের বদ্ধ অডিটোরিয়ামে দাঁড়িয়ে কেকে-র অসুস্থতা, গরম লাগা, গান গাইতে না চাওয়াকে কতজন অনুমোদন দিতেন? সর্বোপরি, এত কিছু সেই মুহূর্তে লক্ষ্য করতেন কতজন? এই বিপুল সংখ্যক জনতার উন্মাদনা সামলাতে অদক্ষ উদ্যোক্তা কীটনাশক ছড়ায়, অবৈজ্ঞানিকভাবে। স্বভাবের বশে তাঁরা চড়া দামে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করে ফেলেন। আসনসংখ্যার বেশি দর্শককে প্রবেশমূল্যসহ ও প্রবেশমূল্যবিহীন কোনোরকম অনুষ্ঠানেই প্রবেশ থেকে বিরত করা যায় না। বিনোদনের জন্য উন্মুখ শ্রোতার দলকে নিরস্ত করার অধিকার কি শিল্পীর আছে? একহল শ্রোতা সমবেতভাবে যৌথ অনুমতি কি একজন শিল্পীকে দেন? সকলে বলেন, দর্শক না থাকলে শিল্পীরা কোথায় যেতেন, তাঁদের পরিচিতি-খ্যাতির কী হত, দর্শকদের কেন্দ্র করেই শিল্পী বেঁচে থাকেন। এহেন, পারস্পরিক নির্ভরতার সম্পর্কে পাল্লা কার দিকে বেশি ভারী থাকে? শিল্পীরা দর্কশচ্যুত হয়ে হারিয়ে যাওয়ার ভয় পান, অপরিতৃপ্ত দর্শক যদি মুখ ফিরিয়ে নেন, সে আশঙ্কায় থাকেন কখনও কখনও। কিন্তু, দর্শক যখন অনুষ্ঠানে যান, তখন তাঁরা কীভাবে প্রস্তুতি নেন, শিল্পী ও শিল্পের জন্য তাঁরা কীভাবে তৈরি করেন নিজেদের? দর্শকেরও কি অনুশীলনের, অন্তত সংবেদনশীল হওয়ার দায় থেকে যায় না?
আরেকটি প্রসঙ্গ এক্ষেত্রে উল্লেখ করার খানিক প্রয়োজন বোধ করি। আমাদের প্রবণতা হল শিল্পী বা পারফর্মারকে সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা করে দেখা বা ভাবা। তাঁকে লার্জার দ্যান লাইফ ক্যারেক্টার বা অতিমানবিক চরিত্র করে তোলার চেষ্টা প্রচলিত। একজন শিল্পী তাঁর দক্ষতার মাধ্যমে যা পরিবেশন করেন বা একজন অভিনেতা যেরকম অনেক চরিত্রের আধার করে তোলেন তাঁর শরীর- মনকে, তা তাঁদের সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা করে দেয়। ফলে, আমরা ধরে নিই, শিল্পীদের মন খারাপের প্রবণতা বেশি, কারণ কষ্ট না পেলে শিল্প সৃষ্টি হয়না, এমন এক মিথ বাজারে প্রচলিত, এবং, যত্নে লালিত, উভয়পক্ষের দ্বারাই। দু'পক্ষই তার সৎ ও অসৎ ব্যবহার করে। কেউ নানান সুযোগ নেওয়ার অছিলায় থাকে, সুযোগকে প্রাপ্য বলে মনে করে। আর, আরেকপক্ষ তাকেই স্বাভাবিক বলে জানে। এই সবকিছুর ফলে আমরা ভুলে যাই যে তাঁরা আর চার-পাঁচজনের মতোই রক্তমাংসের মানুষ, যাঁদের ব্যথা-বেদনা-শারীরিক ও মানসিক অনুভূতির প্রকাশ একেবারে আমাদের মতন। পারফরমাররা শেখেন, জীবন ও মঞ্চকে আলাদা করতে, মঞ্চ এমন এক জায়গা যেখানে নিজের ব্যক্তিগত আনন্দ- যন্ত্রণার ছায়া আসবে না। শেখান হয়, চর্চা যেন এমন হয় যে পারফরমেন্সের সময় পরিশ্রমের ছোঁয়া ফুটে না ওঠে। মুখে হাসি মেখে, শ্বাসের ওঠাপড়াকে নিজের আয়ত্তে রেখে নৃত্যপরিবেশনের অভ্যাস নতুন নয়। কেকে-ও তাই শুধু গরম লাগার কথা বলেছিলেন, কিন্তু তাঁর পেশাদারিত্ব তাঁকে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করিয়েছে, তিনি চলে যাননি। এই অবস্থায় মঞ্চেই মৃত্যুকে গ্লোরিফাই করে, কল্পনায় প্রলেপ দিয়ে আমরা যে শুধু বাস্তববিমুখ হয়ে পড়ি তাই নয়, আমরা আবারও শিল্পীর অধিকারের কথা ভাবতে ভুলে যাই। শিল্পের কাছে নিজেকে লীন করে দেওয়ার ও মৃত্যুকে কল্পনার জগতে নিয়ে গিয়ে রসাস্বাদনের মধ্যেকার সূক্ষ্ম ফারাকগুলো আমাদের বারবার বিচার্য।
একটি মৃত্যু, একজন শিল্পীর মৃত্যু শোকের সঙ্গে সঙ্গে এমন অনেক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি আমাদের এনে দেয়। কেকে-র গানের সঙ্গে, গলার সঙ্গে আশি- নব্বই দশকে বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের এক আত্মিক সম্পর্ক। বাঙালি বাড়িতে হিন্দিগানের যে নতুন কণ্ঠ প্রেমে, বিচ্ছেদে, প্রথম দেখায়, মন খারাপে, বৃষ্টিদিনে, অভিমানে, অনুরাগে সদ্য কৈশোর বা যৌবনকে মাতিয়ে তুলেছিল, সে ছিল কেকে। আর, একবিংশের গোড়ার দিকেও যে সব বাড়িতে হিন্দিসিনেমা, হিন্দিগান নিষিদ্ধ ছিল, তাদের সঙ্গে বলিউডের আলাপ হত পাড়ার প্যান্ডেলের মাইকে বা স্কুলবাসের প্লে-লিস্টে, কেকে-র গলার মাধ্যমে। কেকে মানে নস্টালজিয়া, বেড়ে ওঠার স্মৃতির সংমিশ্রণ সারা দেশের এক প্রজন্মের কাছে। এই বিচ্ছেদ, এই না থাকার বেলা তাই স্মৃতিমেদুর, এই ক্ষণ মনে রেখে দেওয়ার। হাজার বিবাদের মধ্যেও তাঁর স্বরকে বাঁচিয়ে রাখার দায় আমাদের, দর্শকের।
*************************************