সূর্য ছাড়াই সৌরবিদ্যুৎ : উদ্ভিজ্জ বর্জ্য থেকে সোলার প্যানেল উদ্ভাবন ফিলিপিন্সের ছাত্রের
সূর্য ছাড়াই সৌরবিদ্যুৎ। গল্প না। নির্জলা সত্যি। উদ্ভিজ্জ বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পথ দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন ফিলিপিন্সের এক ছাত্র-গবেষক।
ফসলের অবশিষ্টাংশকে কাজে লাগিয়ে ফিলিপিন্সের মাপুয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র, ২৯ বছর বয়সী কার্ভি এরেন ম্যাগি বানিয়েছেন এমন এক ধরনের সৌরপ্যানেল, যা মেঘলা দিনে কিংবা সূর্যের প্রখর তাপ বা আলোর অনুপস্থিতিতেও সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে এ এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ বলা চলে।
অরেস (AURES) নামের এই প্যানেলের প্রাচীর এবং জানালাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ফল ও উদ্ভিজ্জ বর্জ্য থেকে প্রাপ্ত আলোকিত কণা (লুমিনিসেন্ট পার্টিকল) ব্যবহার করা যায়। ফসলের বাইরের কোষে ক্লোরোফিলের সঙ্গে উপস্থিত থাকে একাধিক রাসায়নিক পদার্থ যা সূর্যের আলোর অনুপস্থিতিতে বা মেঘলা দিনেও সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়। মূলত এই ধরনের রাসায়নিক পদার্থগুলি সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে দৃশ্যমান আলোতে পরিণত করে কোষের মধ্যেই, তারপর তা থেকে শক্তি উৎপাদন করে। উদ্ভিজ্জ বর্জ্য থেকে এই বিশেষ রাসায়নিক পদার্থগুলিকেই পৃথক করেছেন কার্ভি। তারপর তা দিয়ে তৈরি হয়েছে উইন্ডো প্লেট। মূল উপাদান রেজিন। এই অভিনব সোলার প্যানেল জানলায় লাগানো যায়। এই প্লেটের প্রান্তে রয়েছে ফটোভোল্টিক সেল, যা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে পরিণত করবে শক্তিতে। যদিও এই সেলের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা প্রচলিত সোলার সেলের মতো ব্যাপক নয়। আপাতত এটি প্রতিদিন দুটি ফোন চার্জ করার মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।
অভিনব এই সৌর প্যানেলটি সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জিতেছে। ২৭টি দেশের ১৮০০টি প্রযুক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জিতে কার্ভি পেয়েছেন জেমস ডাইসন সাসটেনিবিলিটি অ্যাওয়ার্ড অ্যাওয়ার্ড । অবশ্য এই প্রকল্পটি এখনও গবেষণার একেবারে শুরুর দিকেই রয়েছে বলে দাবি করেছেন কার্ভি। তিনি এখন এই প্যানেলের শক্তি বাড়ানো নিয়ে কাজ করছেন।
ঋণ : weforum.org