বধ্যভূমি
..............................
ছিল প্রতিস্থাপনের মায়া। আজ নক্ষত্রে নক্ষত্রে ঈশ্বরের
চকচকে কঙ্কাল দেখার চোখে শৈশব ভরে গেছে, জানো।
এক সূর্যের ভিতর আরও বহু পঙ্গু সূর্যের মৈথুন রশ্মি ফাটিয়ে
নেমে আসছে আমাদের গ্রামে; এক চন্দ্রের ভিতর আরও বহু
অন্ধ চন্দ্রের লঘু পাথর ধোঁয়া হয়ে যাচ্ছে সারা রাত...
দ্যাখো, তোমার মধ্যে প্রবেশের পর আমি আর টের পাচ্ছি না কাম,
কেবল বিষাদ! কেবল পিচ্ছিল পাহাড় বেয়ে ধীরে ধীরে শূন্যে ওঠা
বোবা ক্রান্তদর্শীর ছায়া জড়িয়ে ধরছে আমাদের রমণ।
অথচ মায়া কিংবা প্রতিস্থাপন, কিংবা উভয়েরই হাড় আমাদের সমস্ত
শব্দের নাভি অবধি আগেও গড়িয়ে যেত প্রতিরোধহীন।
ছিল প্রতিস্থাপনের আয়ু। আজ তোমার ক্ষমতার পাশে আমার
উপচার শান্ত, জড়, নীল। বিবাহের ওপর চকচক করছে অন্ধকার,
এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে দৌড়ে যেতে যেতে
আমাদের সন্তান-সন্ততির শিকড় চৌচির হয়ে এল, শোনো।
শোনো হত্যার শব্দে কেঁপে উঠতে উঠতে কাঠ হয়ে যাচ্ছে
প্রতিবেশীদের ঘর, বোঝো বিগ্রহ আরাধনার পর কাঁদতে কাঁদতে
হ্রদে তলিয়ে গেল যে বিধবা তার আত্মার তলায় মদ সুস্বাদু লাগে
বলেই না ক্যাডারের পর ক্যাডার নেমে আসছে স্বর্গ পেরিয়ে!
থাকে প্রতিস্থাপনের ভয়। তোমার শরীর থেকে আস্তে আস্তে
উঠে যাচ্ছি আমি... শূন্যে, দীর্ঘ শূন্যে এই উত্থান মৃত্যুর খুব কাছাকাছি।
মৃত্যুর আশঙ্কা ছাড়া আর নেই, উপাসনা নেই।
..............................
আরও পড়ুন : কোজাগরী / তন্ময় ভট্টাচার্য
আরও পড়ুন : কোজাগর / সৃজিতা সান্যাল
..............................
[অলংকরণ : ঐন্দ্রিলা চন্দ্র]